‘ব্যক্তিত্বই নারীর নিরাপত্তার সেরা বর্ম’ by গোলাম মুরশিদ

ওপরের শিরোনামে আবুল মোমেনের লেখাটি পড়ে তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ, যখন প্রায়ই বখাটেদের অত্যাচারে স্কুল-কলেজের নিতান্ত কমবয়সী মেয়েদের আত্মহত্যার খবর পড়ি, তখন মনে হয়, এ ধরনের লেখা প্রতিদিন প্রকাশিত হওয়া দরকার। প্রত্যেকটি বিবেকবান মানুষের এ রকম প্রতিবাদ জানানো প্রয়োজন। তাহলে যদি জেগে ওঠে কুম্ভকর্ণের মতো ঘুমন্ত সমাজবিবেক; তাহলে যদি নিদ্রাভঙ্গ হয় মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষা করা যাদের দায়িত্ব, তাদের।
বখাটের অত্যাচারে কিশোরী মেয়েদের আত্মহত্যা অথবা পণলুব্ধ স্বামীর নির্যাতনে নারীর আত্মহত্যার সংবাদ যখন পড়ি, তখন কেবল আন্তরিক দুঃখ হয় না, আমি এই সমাজের একজন সদস্য—এ কথা ভেবে লজ্জা হয়। সেই সঙ্গে সমাজ এবং আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত লোকদের নিষ্ক্রিয়তা অথবা অকার্যকারিতাকেও ধিক্কার জানানোর ইচ্ছে হয়। আবুল মোমেনের বক্তব্যের সঙ্গে আরও কয়েকটি কথা জুড়ে দেওয়ার জন্যই এ লেখা ফেঁদে বসতে হলো।
পোশাক ও সাজসজ্জার প্রসঙ্গ দিয়ে মোমেনের লেখার সূচনা। নারীরা যতক্ষণ না অশ্লীল পোশাক পরে চলাফেরা করছেন, ততক্ষণ তাঁদের দেখে টিটকারি দেওয়া অথবা অপমানজনক আচরণ করার কোনো কারণ নেই। এমনকি নারীরা যদি পুরুষদের কৌতূহল জাগানোর মতো ফ্যাশনদুরস্ত পোশাক পরেন, অথবা একটু বেশি সাজসজ্জা করেন, তাহলেই কি সেই নারীকে উত্ত্যক্ত করার অথবা ধর্ষণ করার মতো অধিকার অর্জন করে কোনো পুরুষ—সে যেকোনো বয়সী হোক না কেন? যদি করে, তাহলে সভ্য সমাজে বাস করার মতো ন্যূনতম শর্তও সে পূরণ করে না। তার সঙ্গে আদিম অসভ্য মানুষের অথবা পশুর বিশেষ কোনো পার্থক্য নেই। তাদের হাত থেকে নারী-পুরুষ সবাইকে রক্ষা করাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীদের দায়িত্ব, যেমন তাদের দায়িত্ব চোর-ডাকাত-ছিনতাইকারী-সন্ত্রাসীদের হাত থেকে সাধারণ নাগরিকদের বাঁচানো।
ভারতে তো বটেই, এমনকি পাশ্চাত্যের বহু দেশে ধর্ষণের মামলা বিচারের সময় নারীর উগ্র পোশাক ছিল কি না, অথবা উসকানি ছিল কি না, তা বিবেচনা করে লঘু দণ্ড দেওয়ার ইতিহাস আছে, কিন্তু তা এখন ইতিহাসেই পরিণত হয়েছে। সমাজের তীব্র সমালোচনার মুখে এ ধরনের বিচারকদের রক্ষণশীল মনোভাব লোপ পাচ্ছে। এখন নারী কী পোশাক পরিহিত ছিলেন, তা বিবেচনা করে লঘু শাস্তি দেওয়ার মনোভাব লোপ পাচ্ছে।
অল্পদিন আগে যখন খবরে পড়লাম, নাটোরের এক কলেজের অধ্যক্ষ ‘বোরকা না পরে কলেজে আসা’ নিষিদ্ধ বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন (এবং উচ্চ আদালত এই নিষেধকে বেআইনি বলে হুকুম দিয়েছেন), তখন মনে হচ্ছিল, একুশ শতকে বাস করলেও, এ রকমের অধ্যক্ষের মধ্যযুগে ফিরে গিয়ে কোনো এক মরূদ্যানে বাস করা উচিত। কারণ তিনি সম্ভবত মেয়েদের বিবেচনা করেন উটের মতো উপকারী জন্তু হিসেবে।
পাশ্চাত্যের স্কুলে ইউনিফর্ম ব্যবহার কমে যাচ্ছে বলে মোমেন যে মন্তব্য করেছেন, তা ঠিক নয়। ইউনিফর্ম দিয়ে একটা বিশেষ প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের চেনা যায়। এমনকি বোঝা যায়, তারা স্কুলের ছাত্রী। সেটা প্রয়োজন। ফ্রান্সে আইন করে বলা হয়েছে, কোনো ধর্মীয় পোশাক পরে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে আসতে পারবে না—সেটা মুসলমানদের হিজাবই হোক, অথবা ক্যাথলিক এবং ইহুদিদের শিরোবসনই হোক। এ আইন থেকেও কড়া মুসলিম দেশ তুরস্কের আইন। সেখানে কেবল স্কুল-কলেজে নয়, প্রকাশ্যে কোথাও কারও হিজাব পরার অধিকার নেই। ইসলামি দল ক্ষমতায় এসে কয়েকবার এই আইন বদল করার উদ্যোগ নিয়েছে, কিন্তু প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছে। উল্লেখ্য, তুরস্ককে আধুনিক করে তোলার জন্য কামাল আতার্তুক যেসব পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, তার মধ্যে এটি অন্যতম।
ইদানীং বাংলাদেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে মেলামেশা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পোশাক পরা নিয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। অনেক ছাত্রী যেমন পাশ্চাত্য-প্রভাবিত পোশাক পরে আধুনিকতার দৃষ্টান্ত রাখেন, তেমনি অনেকে ধর্মের প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে বোরকাও পরেন। কিন্তু পোশাকের এই পার্থক্য মেলামেশার ব্যাপারে কোনো তারতম্য ঘটাচ্ছে না। বোরকা-পরিহিতারা মেলামেশার ব্যাপারে একটুও পিছিয়ে নেই। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বোরকা পরা তরুণীকেও অন্য তরুণের হাত ধরে চলতে দেখেছি। দেখেছি, রিকশায় ঘনিষ্ঠভাবে তরুণের সঙ্গে বসে যেতে। বোরকার পরা নারীদের মোবাইল ফোনে কথা বলতেও দেখেছি। অর্থাৎ একই সঙ্গে সপ্তম শতাব্দীর সঙ্গে একবিংশ শতাব্দীর সহাবস্থান লক্ষ করেছি। বস্তুত, বোরকা অথবা হিজাব পরে নারী তাঁর ব্যক্তিত্ব গড়ে তুলতে পারেন না। অথবা তা দিয়ে উত্ত্যক্তকারী অথবা নারীলোলুপ নরপশুদেরও ঠেকিয়ে রাখা যায় না।
প্রসঙ্গত বলতে চাই, মেয়েদের অন্তঃপুরে বন্দী করে রাখার দিন চলে গেছে। কোনো ধর্মীয় আইন দিয়েই তাঁদের আর সেখানে বন্দী করা যাবে বলে মনে হয় না। পোশাক নয়, নারীদের উত্ত্যক্ত করার জন্য পরিবেশই বেশি দায়ী। যে মেয়েরা একটা ভালো পাড়ায় বাস করেন, তাঁদের ভাগ্য ভালো, উত্ত্যক্ত হতে হয় না; অপরপক্ষে, যে মেয়েরা এমন একটা পাড়ায় বাস করেন, যে পাড়ায় পুরুষ নামী গুটিকতক জানোয়ার বাস করে, সেখানে নারীদের উত্ত্যক্ত হতে হয়, কালেভদ্রে ধর্ষিতও হতে হয়, এমনকি নিহত হওয়ার ঘটনাও ঘটে। প্রায়ই দেখা যায়, উত্ত্যক্তকারীরা থাকলে স্কুল-কলেজের ছাত্রীরা সে পথ দিয়ে যায় অতি নম্রভাবে, চোখ না তুলে, নতমুখে। এসব কমবয়সী মেয়েদের ব্যক্তিত্ব গড়েই ওঠেনি। সুতরাং আবুল মোমেনের ভাষায়, তাদের নিরাপত্তার বর্ম তাদের ব্যক্তিত্ব হতে পারে না। তাদের নিরাপত্তা সমাজের অন্য সদস্যরা, আর সেই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরা। তাদের নিরাপত্তা দেশের আইন।
মোমেন উত্ত্যক্তকারীদের ধর্মের কথাও শুনিয়েছেন। কিন্তু চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনি। শাস্ত্রে কী লেখা আছে তা শুনিয়ে দুষ্কৃতকারীদের দমন করা যাবে না। দমন করতে হবে আইনের পথ ধরে। সমাজের অন্য পাঁচজনের যে অধিকার, বয়স-নির্বিশেষে, সামাজিক মর্যাদা-নির্বিশেষে প্রতিটি নারীরও সেই অধিকার। সুতরাং সে নারী কী পোশাক পরলেন, কী সাজসজ্জা করলেন, সেটা দ্রষ্টব্য নয়। দেখতে হবে, কে অথবা কারা তাঁকে উত্ত্যক্ত করল, কারা মর্যাদা বিনষ্ট করল এবং কারা তাঁকে শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করল।
অনেক সময়ই দেখা যায়, উত্ত্যক্তকারীরা কোনো ধনীর লাই-দেওয়া বখাটে সন্তান, পাড়ার মাস্তানের পুত্র, ক্ষমতাসীন দলের কোনো মাতুব্বরের ছেলে। অভিভাবকের ছত্রচ্ছায়ায়ই তারা উত্ত্যক্ত করার অথবা মেয়েদের লাঞ্ছিত করার সাহস পায়। আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরা এই শ্রীমানদের ভালো করেই জানে। কিন্তু তাদের বিচার হয় না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে থানায় নিয়ে যাওয়াই সার হয়। তারপর সসম্মানে সেই নরপিশাচদের ছেড়ে দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে সরকার যদি রাজনৈতিক তদবির থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে রক্ষা করে, তবেই নারীদের পক্ষে সুবিচার পাওয়া সম্ভব।
আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরাও যে সব সময় নারীদের প্রতি সম্ভ্রম দেখায় অথবা আইনের প্রতি আনুগত্য দেখায়, তা নয়। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, এমন নারী থানায় গেলে অনেক সময় মামলা নেওয়া হয় না। উপরন্তু, থানায় সেই নারী আরও কয়েকজনের হাতে ধর্ষিত হন—এমনও শোনা যায়।
আইনের পথ ধরে সুবিচার পাওয়ার আর এক বাধা ফতোয়াবাজেরা। কে তাদের ক্ষমতা দিয়েছে জানি না, বরং জানি, ফতোয়া দেওয়ার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালত রায় দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও, বছরের পর বছর দেখে আসছি, ফতোয়ার শিকার হচ্ছেন নূরজাহানের মতো হতভাগ্য দরিদ্র নারীরা। ধর্ষকেরা দোররার আঘাত পেয়েছে অথবা তাদের ওপর ইটের টুকরো ছুড়ে মারা হয়েছে—এমন কোনো খবর এখনো পড়িনি। বরং চট্টগ্রামের এক মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল তাঁর ছাত্রদের সঙ্গে সমকামিতায় ধরা পড়েও কোনো ফতোয়ায় শাস্তি পান না—এ খবর কয়েক বছর আগে প্রথম আলোতেই পড়েছিলাম। ধর্মের নামে এই যে দেশের আইনের প্রতি বুড়ো আঙুল দেখানো—এর মধ্য দিয়ে একই সঙ্গে প্রকাশ পায় ঔদ্ধত্য এবং ভণ্ডামি। এর পরও ফতোয়াবাজেরা সমাজের চোখে সম্মান পায়, অথবা ধর্মের দোহাই দিয়ে সম্মান আদায় করে নেয়।
ভাবতে আশ্চর্য লাগে, দেশে পরপর চারবার প্রধানমন্ত্রী থেকেছেন দুজন মহিলা। সেই সঙ্গে পার্লামেন্টে সদস্য থেকেছেন অসংখ্য মহিলা—সে দেশে নারীরা এমনভাবে নির্যাতিত হয়েছেন এবং হচ্ছেন। এ কথা ঠিক যে, তাঁরা সবারই প্রধানমন্ত্রী, সবারই সাংসদ, কেবল নারীদের স্বার্থ রক্ষা করা তাঁদের কাজ নয়। তবু তাঁদের কাছ থেকে যদি মহিলারা নিজেদের অধিকার রক্ষার ব্যাপারে এবং নির্যাতনের বিরুদ্ধে সুবিচার না পান, তাহলে তাঁরা কি তা পাবেন পুরুষশাসিত প্রশাসনের কাছ থেকে? প্রসঙ্গত বলা দরকার, মহিলা প্রধানমন্ত্রীদের আমলেও সম্পত্তিসহ পূর্ণ মৌলিক অধিকার নারীরা আজও পাননি।
কেবল যৌনসম্ভোগের বস্তু হিসেবে গণ্য না করে ব্যক্তি হিসেবে একজন নারীকে দেখতে পারা, যোগ্যতা অনুসারে তাঁকে তাঁর প্রাপ্য সম্মান দান করা—এ রকমের মানবিক এবং আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের দেশের অনেক পুরুষই এখনো অর্জন করতে পারেননি।
আবুল মোমেন প্রসঙ্গত রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের কথা উল্লেখও করেছেন। রোকেয়ার প্রধান দুটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয় এখন থেকে ১০০ বছরেরও আগে। তিনি লিখেছেন, ১. নারী-পুরুষ সমান; ২. উভয়ের উন্নতি না হলে সমাজের অগ্রগতি হতে পারে না; ৩. নারীরা অর্থনৈতিক দিক দিয়ে স্বাবলম্বী না হলে সত্যিকার মর্যাদা লাভ করবেন না; ৪. নারীরা যেকোনো ধরনের কাজ করতে পারেন, এমনকি মাঠে কৃষিকাজও করতে পারেন। ধর্মপ্রচারকেরা নারী হলে ধর্মে নারীদের মর্যাদা অন্য রকমের হতো—এমন কথাও তিনি লিখেছেন।
এসব সত্ত্বেও স্বীকার না করে উপায় নেই, সময়ের তুলনায় অগ্রসর এবং সাহসী হলেও, ১০০ বছর আগে রোকেয়া যা লিখেছেন, সেটা আজকের দিনে প্রযোজ্য নাও হতে পারে। যেমন, সে সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে বোরকার পক্ষে তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন, নিজে বোরকা পরে থাকতেন। কিন্তু একুশ শতকের গোড়ায় এসে এটাকে নিতান্তই প্রাচীনপন্থী বলে মনে হবে। আজকের দিনে মেয়েরা যখন পুলিশ এবং সেনাবাহিনীতে যোগ দিচ্ছেন, বিমান চালাচ্ছেন, জজিয়তি করছেন, ওকালতি করছেন; অফিস, কলকারখানা ও গবেষণাগারে কাজ করছেন, পথে চলতে বাধ্য হচ্ছেন, ধাক্কাধাক্কি করে পুরুষের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে বাদুড়ঝোলা হয়ে বাসে যেতে বাধ্য হচ্ছেন, তখন শাড়ি বা বোরকাকে নারীদের সবচেয়ে আদর্শ পোশাক বলে গণ্য করার সুযোগ নেই। বস্তুত, নারীদের অন্তঃপুরে বন্দী করে রাখা যেমন চূড়ান্ত দাসত্ব, অনুপযোগী বস্ত্র দিয়ে তাঁদের চলাচল সীমিত করাও সেই বন্দিত্বেরই নামান্তর। রোকেয়ার অনেক কথাই আজও অসম্পূর্ণ, ১০০ বছর পরও তিনি আধুনিক, কিন্তু তাঁর বক্তব্যকেই চূড়ান্ত বলে বিবেচনা করা যায় না, দরকারও নেই।
আরও একটা কথা মনে রাখা দরকার, নারীদের তুলনায় পুরুষেরা সাধারণত শত গুণ বেশি অপরাধ করেন। পরিবার, সমাজ এবং জেলখানার দিকে তাকালেই তার প্রমাণ মেলে। চুরি, ডাকাতি, খুন, জখম, রাহাজানি, ছিনতাই, ধর্ষণ, স্ত্রীহত্যা, স্ত্রীনির্যাতন, সন্ত্রাস—প্রতিটি অপরাধমূলক কাজে পুরুষদের সংখ্যা নারীদের তুলনায় অনেক বেশি।
নারীদের বর্ম বোরকা বা ব্যক্তিত্ব নয়—তাদের সম্ভ্রম এবং অধিকার রক্ষার পূর্বশর্ত হলো শিক্ষা এবং সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির উন্নতি; পুরুষসমাজের সুস্থ মনোভাব; এবং কাগুজে আইন নয়, সত্যিকারের আইনের শাসন।
গোলাম মুরশিদ: গবেষক, প্রাবন্ধিক।
ghulammurshid@aol.com

No comments

Powered by Blogger.