ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনবে তুরস্ক
ত্রাণবাহী নৌবহরে ইসরায়েলি হামলার ঘটনায় তুরস্কের সরকার বলেছে, ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনা হতে পারে। এদিকে অবরুদ্ধ গাজাবাসীর জন্য ত্রাণসামগ্রী নিয়ে র্যাচেল কোরি নামে আরেকটি জাহাজ গত বৃহস্পতিবার গাজার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। ত্রাণকর্মীরা আশা করছেন, বাধা দেওয়া না হলে আজ শনিবার সকালে এটি গাজা উপকূলে পৌঁছাবে।
তুরস্কের উপপ্রধানমন্ত্রী বুলেন্ত আরিঙ্ক তুরস্কভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভিকে বলেন, ‘ইসরায়েলের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছি আমরা। তবে তৃতীয় একটি দেশের কারণে এক মুহূর্তে সব সম্পর্ক ছিন্ন করা আমাদের দেশের রীতি নয়।’ সে দেশের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ গুলও বলেছেন, ইসরায়েল ও তুরস্কের সম্পর্ক কখনোই আর আগের মতো হবে না। নৌবহরে হামলার পরপরই ইসরায়েল থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে তুরস্ক।
বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সংবাদমাধ্যম সিএনএনে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ত্রাণবাহী নৌবহরে হামলায় প্রাণহানির ঘটনা দুঃখজনক। কিন্তু এ ঘটনাকে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তিপ্রক্রিয়া আবার শুরু করার একটি নতুন সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করা উচিত।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন পরোক্ষ শান্তি আলোচনার মধ্যস্থতাকারী জর্জ মিশেল গতকাল ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। এর আগে বুধবার তিনি ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁদের আলোচনায় গাজা অবরোধ ও ত্রাণবাহী নৌবহরে হামলার বিষয়টি প্রাধান্য পায়। কর্মকর্তারা জানান, নেতানিয়াহু গাজায় আরোপিত অবরোধ পর্যালোচনার কথা ভাবছেন।
গত সোমবার গাজাবাসীর জন্য ত্রাণবাহী নৌবহরে সহিংস হামলার পর এই ত্রাণ কর্মকাণ্ডের উদ্যোক্তারা ঘোষণা দেন, তাঁরা ইসরায়েলের হুমকিতে দমবেন না, আবারও গাজায় ত্রাণ পাঠানোর চেষ্টা করবেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ত্রাণবাহী জাহাজ র্যাচেল কোরি বৃহস্পতিবার গাজার পথে রওনা দেয়। জাহাজে শিশুদের জন্য লেখাপড়ার উপকরণ, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও সিমেন্ট রয়েছে। জাহাজের ১১ জন সাহায্যকর্মীর মধ্যে ছয়জন ব্রিটিশ ও আইরিশ এবং পাঁচজন মালয়েশীয়। এদের মধ্যে রয়েছেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সাহিত্যিক মেইরিড ম্যাগুইর ও জাতিসংঘের সাবেক সহকারী মহাসচিব ডেনিস হ্যালিডে। সোমবারের নৌবহরের সঙ্গেই র্যাচেল কোরির রওনা দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু জাহাজটি নির্ধারিত সময়ে পৌঁছাতে পারেনি।
রওনা দেওয়ার পর গতকাল শুক্রবার এই ত্রাণ কর্মকাণ্ডের উদ্যোক্তা সংগঠন ফ্রি গাজা মুভমেন্টের অদ্রে বোমস বলেছিলেন, তাঁরা জাহাজটির সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছেন। তাঁদের ধারণা, ইসরায়েল জাহাজের যোগাযোগব্যবস্থা ‘স্যাবোটাজ’ করেছে। অবশ্য পরে এই উদ্যোগের সহযোগী সংস্থা আয়ারল্যান্ড প্যালেস্টাইন সলিডারিটি ক্যাম্পেইনের মার্টিন ও’কুইগলে জানান, গতকাল সকাল সাড়ে সাতটায় তাঁরা জাহাজের সাহায্যকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। র্যাচেল কোরি ইসরায়েলের উপকূল ধরে এগিয়ে যাচ্ছে।
ইসরায়েল অবশ্য আগেই ঘোষণা দিয়েছে যে তারা র্যাচেল কোরিকে গাজায় পৌঁছাতে বাধা দেবে। সে দেশের সংবাদবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়াইনেট প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বরাত দিয়ে বলেছে, ‘আমরা র্যাচেল কোরিকে আশদোদ বন্দরে নিয়ে যাব এবং নিরাপত্তা তল্লাশির পর ত্রাণসামগ্রী গাজায় পাঠানোর ব্যবস্থা করব।’
মার্কিন ত্রাণকর্মীর মৃত্যুর তদন্ত করবে যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ফিলিপ ক্রউলি বৃহস্পতিবার বলেছেন, গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী নৌবহরে ইসরায়েলি হামলায় তুর্কি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ফুরকান দোগানের (১৯) মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করবে যুক্তরাষ্ট্র। ত্রাণবাহী নৌবহরে ইসরায়েলের কমান্ডোদের হামলায় কমপক্ষে নয়জন নিহত হন, যাঁদের বেশির ভাগ তুর্কি। হামলার পর ইসরায়েল ছয়টি জাহাজ ও ত্রাণকর্মীদের আটক করে।
তুরস্কের উপপ্রধানমন্ত্রী বুলেন্ত আরিঙ্ক তুরস্কভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভিকে বলেন, ‘ইসরায়েলের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছি আমরা। তবে তৃতীয় একটি দেশের কারণে এক মুহূর্তে সব সম্পর্ক ছিন্ন করা আমাদের দেশের রীতি নয়।’ সে দেশের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ গুলও বলেছেন, ইসরায়েল ও তুরস্কের সম্পর্ক কখনোই আর আগের মতো হবে না। নৌবহরে হামলার পরপরই ইসরায়েল থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে তুরস্ক।
বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সংবাদমাধ্যম সিএনএনে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ত্রাণবাহী নৌবহরে হামলায় প্রাণহানির ঘটনা দুঃখজনক। কিন্তু এ ঘটনাকে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তিপ্রক্রিয়া আবার শুরু করার একটি নতুন সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করা উচিত।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন পরোক্ষ শান্তি আলোচনার মধ্যস্থতাকারী জর্জ মিশেল গতকাল ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। এর আগে বুধবার তিনি ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁদের আলোচনায় গাজা অবরোধ ও ত্রাণবাহী নৌবহরে হামলার বিষয়টি প্রাধান্য পায়। কর্মকর্তারা জানান, নেতানিয়াহু গাজায় আরোপিত অবরোধ পর্যালোচনার কথা ভাবছেন।
গত সোমবার গাজাবাসীর জন্য ত্রাণবাহী নৌবহরে সহিংস হামলার পর এই ত্রাণ কর্মকাণ্ডের উদ্যোক্তারা ঘোষণা দেন, তাঁরা ইসরায়েলের হুমকিতে দমবেন না, আবারও গাজায় ত্রাণ পাঠানোর চেষ্টা করবেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ত্রাণবাহী জাহাজ র্যাচেল কোরি বৃহস্পতিবার গাজার পথে রওনা দেয়। জাহাজে শিশুদের জন্য লেখাপড়ার উপকরণ, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও সিমেন্ট রয়েছে। জাহাজের ১১ জন সাহায্যকর্মীর মধ্যে ছয়জন ব্রিটিশ ও আইরিশ এবং পাঁচজন মালয়েশীয়। এদের মধ্যে রয়েছেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সাহিত্যিক মেইরিড ম্যাগুইর ও জাতিসংঘের সাবেক সহকারী মহাসচিব ডেনিস হ্যালিডে। সোমবারের নৌবহরের সঙ্গেই র্যাচেল কোরির রওনা দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু জাহাজটি নির্ধারিত সময়ে পৌঁছাতে পারেনি।
রওনা দেওয়ার পর গতকাল শুক্রবার এই ত্রাণ কর্মকাণ্ডের উদ্যোক্তা সংগঠন ফ্রি গাজা মুভমেন্টের অদ্রে বোমস বলেছিলেন, তাঁরা জাহাজটির সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছেন। তাঁদের ধারণা, ইসরায়েল জাহাজের যোগাযোগব্যবস্থা ‘স্যাবোটাজ’ করেছে। অবশ্য পরে এই উদ্যোগের সহযোগী সংস্থা আয়ারল্যান্ড প্যালেস্টাইন সলিডারিটি ক্যাম্পেইনের মার্টিন ও’কুইগলে জানান, গতকাল সকাল সাড়ে সাতটায় তাঁরা জাহাজের সাহায্যকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। র্যাচেল কোরি ইসরায়েলের উপকূল ধরে এগিয়ে যাচ্ছে।
ইসরায়েল অবশ্য আগেই ঘোষণা দিয়েছে যে তারা র্যাচেল কোরিকে গাজায় পৌঁছাতে বাধা দেবে। সে দেশের সংবাদবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়াইনেট প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বরাত দিয়ে বলেছে, ‘আমরা র্যাচেল কোরিকে আশদোদ বন্দরে নিয়ে যাব এবং নিরাপত্তা তল্লাশির পর ত্রাণসামগ্রী গাজায় পাঠানোর ব্যবস্থা করব।’
মার্কিন ত্রাণকর্মীর মৃত্যুর তদন্ত করবে যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ফিলিপ ক্রউলি বৃহস্পতিবার বলেছেন, গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী নৌবহরে ইসরায়েলি হামলায় তুর্কি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ফুরকান দোগানের (১৯) মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করবে যুক্তরাষ্ট্র। ত্রাণবাহী নৌবহরে ইসরায়েলের কমান্ডোদের হামলায় কমপক্ষে নয়জন নিহত হন, যাঁদের বেশির ভাগ তুর্কি। হামলার পর ইসরায়েল ছয়টি জাহাজ ও ত্রাণকর্মীদের আটক করে।
No comments