দুঙ্গা এবং ‘অন্যায়’ চাপ
সাফল্য তিনি কম পাননি, কিন্তু ব্রাজিলের খেলার সৌন্দর্য ধ্বংস করার দায়ে শুরু থেকেই সমালোচকদের ‘প্রিয়’ লক্ষ্যবস্তু কার্লোস দুঙ্গা। এমন এক দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন যাদের কাছে দ্বিতীয় হওয়া মানেই চরম ব্যর্থতা। আবার শুধু জিতলেও চলবে না, খেলতে হবে মন ভারানো ফুটবল। গত চার বছরে ‘চাপ’ জিনিসটার আদ্যান্ত জানা হয়ে গেছে দুঙ্গার। বিশ্বকাপেও চাপটা ব্রাজিলের সঙ্গী থাকবে, এটা স্বীকার করেই দুঙ্গা চাপটাকেই বলছেন ‘অন্যায়।’
‘চাপটা স্বাভাবিক। মাঠে নামলেই জিততে হবে—এটাই ব্রাজিলিয়ান মানসিকতা। আগে যা হয়েছে, তা পেছনে ফেলতে হবে। এই চাপটা স্বাভাবিক, কিন্তু অন্যায়’—বৃহস্পতিবার র্যান্ডবার্গে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন দুঙ্গা। যাঁদের কাছে এই মনোবেদনার কথা বলেছেন, সেই সাংবাদিকদের ওপরই দুঙ্গার ক্ষোভটা সবচেয়ে বেশি, ‘এখানেই ব্রাজিলের অন্তত ৩০০ সাংবাদিক আছে, যারা চায় আমরা শিরোপা না জিতি, যাতে তারা বলতে পারে “আমাদের কথাই সত্যি—দুঙ্গা কোপা আমেরিকা ও কনফেডারেশনস কাপ জিতেছিল ভাগ্যের ছোঁয়ায়।” সত্যি বলতে শুধু আমার কাছে নয়, প্রতিটি কোচের কাছেই তারা এমন দাবি করে।’
এই চাপ দুঙ্গার কপালে ভাঁজ ফেললেও ব্রাজিল কোচকে দুশ্চিন্তা থেকে কিছুটা মুক্তি দিয়েছেন হুলিও সিজার ও কাকা। বুধবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছেড়েছিলেন গোলরক্ষক সিজার, কিন্তু চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন আঘাতটা গুরুতর নয়। গতকালই আবার অনুশীলন শুরু করার কথা ছিল দলের মূল গোলরক্ষকের। অন্যদিকে, ইনজুরি থেকে ফেরার পর অনুশীলনে কাকার পারফরম্যান্সে মন ভরছিল না দুঙ্গার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এক অর্ধ খেলা কাকার খেলা মনে ধরেছে কোচের, ‘প্রথম অনুশীলনে সে মনে হয় নিজেকে নিয়ে একটু উদ্বিগ্ন ছিল, খুব বেশি কিছু করতে চাইছিল। তবে ধীরে ধীরে সে উন্নতি করছে।’
সংবাদ সম্মেলনের পর যা করতে হয়েছে, তাতে অবশ্য খুব একটা সন্তুষ্ট হওয়ার কথা নয় দুঙ্গার। গত বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা মনে রেখে এবার সাধারণ দর্শক তো বটেই, সংবাদকর্মীদের জন্যও ব্রাজিলের অনুশীলনে প্রবেশ নিষিদ্ধ। জার্মানি বিশ্বকাপের আগে ব্রাজিলের অনুশীলন দেখার জন্যও টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, পুরো ব্যাপারটাতেই ছাপ ছিল যেন অতি আত্মবিশ্বাসের। গতবারের ব্যর্থতার ফলে এবার তাই উল্টো পথে দুঙ্গা, স্রেফ যে মাঠে ব্রাজিল অনুশীলন করছে সেই র্যান্ডবার্গ হাইস্কুলের গুটিকয় ছাত্রছাত্রী দেখতে পাচ্ছে অনুশীলন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সোয়েটের ডোবসোনভিলে স্টেডিয়ামে ব্রাজিলের অনুশীলন ছিল সবার জন্য উন্মুক্ত। বিশ্বকাপের প্রতিটি দলের জন্যই অন্তত একটি অনুশীলন সেশন উন্মুক্ত করে দেওয়ার বাধ্যবাধকতা দিয়েছে ফিফা। সুযোগ পেয়ে কাকা-ফ্যাবিয়ানোদের অনুশীলন দেখতে ভিড় জমিয়েছিল হাজার দশেক দর্শক। তবে দুঙ্গা ইঙ্গিত দিয়েছেন, এই সুযোগ এটাই প্রথম ও শেষ।
ব্রাজিল কোচ আপাতত তাকিয়ে আছেন প্রস্তুতি ম্যাচগুলোর দিকে। বুধবার হারারেতে জিম্বাবুয়েকে ৩-০ গোলে হারানো ব্রাজিল আগামী পরশু আরেকটি ম্যাচ খেলবে তাঞ্জানিয়ার বিপক্ষে, দার এস সালামে। খুব বেশি শক্তিশালী না হওয়া সত্ত্বেও এই দলগুলোর বিপক্ষে ব্রাজিল তাদের দেশে গিয়ে খেলছে উচ্চতা আর পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য। জিম্বাবুয়ে ম্যাচের পরই মিডফিল্ডার এলানো বলেছিলেন, ‘প্রস্তুতি ম্যাচের ফলাফল কোনো ব্যাপার নয়, গুরুত্বপূর্ণ হলো ভালো খেলা, নিজেদের মানিয়ে নেওয়া।’ আর দুঙ্গা বলেছিলেন, ‘আমরা অনেক কিছু শিখেছি।’ তাঞ্জানিয়ার বিপক্ষে ম্যাচেও বড় ব্যবধানে জেতা নয়, দুঙ্গার মূল লক্ষ্য অভিজ্ঞতা অর্জন। দক্ষিণ আফ্রিকায় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে এই অভিজ্ঞতাটুকুই।
‘চাপটা স্বাভাবিক। মাঠে নামলেই জিততে হবে—এটাই ব্রাজিলিয়ান মানসিকতা। আগে যা হয়েছে, তা পেছনে ফেলতে হবে। এই চাপটা স্বাভাবিক, কিন্তু অন্যায়’—বৃহস্পতিবার র্যান্ডবার্গে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন দুঙ্গা। যাঁদের কাছে এই মনোবেদনার কথা বলেছেন, সেই সাংবাদিকদের ওপরই দুঙ্গার ক্ষোভটা সবচেয়ে বেশি, ‘এখানেই ব্রাজিলের অন্তত ৩০০ সাংবাদিক আছে, যারা চায় আমরা শিরোপা না জিতি, যাতে তারা বলতে পারে “আমাদের কথাই সত্যি—দুঙ্গা কোপা আমেরিকা ও কনফেডারেশনস কাপ জিতেছিল ভাগ্যের ছোঁয়ায়।” সত্যি বলতে শুধু আমার কাছে নয়, প্রতিটি কোচের কাছেই তারা এমন দাবি করে।’
এই চাপ দুঙ্গার কপালে ভাঁজ ফেললেও ব্রাজিল কোচকে দুশ্চিন্তা থেকে কিছুটা মুক্তি দিয়েছেন হুলিও সিজার ও কাকা। বুধবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছেড়েছিলেন গোলরক্ষক সিজার, কিন্তু চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন আঘাতটা গুরুতর নয়। গতকালই আবার অনুশীলন শুরু করার কথা ছিল দলের মূল গোলরক্ষকের। অন্যদিকে, ইনজুরি থেকে ফেরার পর অনুশীলনে কাকার পারফরম্যান্সে মন ভরছিল না দুঙ্গার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এক অর্ধ খেলা কাকার খেলা মনে ধরেছে কোচের, ‘প্রথম অনুশীলনে সে মনে হয় নিজেকে নিয়ে একটু উদ্বিগ্ন ছিল, খুব বেশি কিছু করতে চাইছিল। তবে ধীরে ধীরে সে উন্নতি করছে।’
সংবাদ সম্মেলনের পর যা করতে হয়েছে, তাতে অবশ্য খুব একটা সন্তুষ্ট হওয়ার কথা নয় দুঙ্গার। গত বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা মনে রেখে এবার সাধারণ দর্শক তো বটেই, সংবাদকর্মীদের জন্যও ব্রাজিলের অনুশীলনে প্রবেশ নিষিদ্ধ। জার্মানি বিশ্বকাপের আগে ব্রাজিলের অনুশীলন দেখার জন্যও টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, পুরো ব্যাপারটাতেই ছাপ ছিল যেন অতি আত্মবিশ্বাসের। গতবারের ব্যর্থতার ফলে এবার তাই উল্টো পথে দুঙ্গা, স্রেফ যে মাঠে ব্রাজিল অনুশীলন করছে সেই র্যান্ডবার্গ হাইস্কুলের গুটিকয় ছাত্রছাত্রী দেখতে পাচ্ছে অনুশীলন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সোয়েটের ডোবসোনভিলে স্টেডিয়ামে ব্রাজিলের অনুশীলন ছিল সবার জন্য উন্মুক্ত। বিশ্বকাপের প্রতিটি দলের জন্যই অন্তত একটি অনুশীলন সেশন উন্মুক্ত করে দেওয়ার বাধ্যবাধকতা দিয়েছে ফিফা। সুযোগ পেয়ে কাকা-ফ্যাবিয়ানোদের অনুশীলন দেখতে ভিড় জমিয়েছিল হাজার দশেক দর্শক। তবে দুঙ্গা ইঙ্গিত দিয়েছেন, এই সুযোগ এটাই প্রথম ও শেষ।
ব্রাজিল কোচ আপাতত তাকিয়ে আছেন প্রস্তুতি ম্যাচগুলোর দিকে। বুধবার হারারেতে জিম্বাবুয়েকে ৩-০ গোলে হারানো ব্রাজিল আগামী পরশু আরেকটি ম্যাচ খেলবে তাঞ্জানিয়ার বিপক্ষে, দার এস সালামে। খুব বেশি শক্তিশালী না হওয়া সত্ত্বেও এই দলগুলোর বিপক্ষে ব্রাজিল তাদের দেশে গিয়ে খেলছে উচ্চতা আর পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য। জিম্বাবুয়ে ম্যাচের পরই মিডফিল্ডার এলানো বলেছিলেন, ‘প্রস্তুতি ম্যাচের ফলাফল কোনো ব্যাপার নয়, গুরুত্বপূর্ণ হলো ভালো খেলা, নিজেদের মানিয়ে নেওয়া।’ আর দুঙ্গা বলেছিলেন, ‘আমরা অনেক কিছু শিখেছি।’ তাঞ্জানিয়ার বিপক্ষে ম্যাচেও বড় ব্যবধানে জেতা নয়, দুঙ্গার মূল লক্ষ্য অভিজ্ঞতা অর্জন। দক্ষিণ আফ্রিকায় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে এই অভিজ্ঞতাটুকুই।
No comments