জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন নাওতো কান
জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টি অব জাপানের (ডিপিজে) নেতা নাওতো কান। গতকাল শুক্রবার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে তিনি প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ১৯৭ ভোট বেশি পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। আগামী সপ্তাহে সম্রাট আকিহিতো নতুন প্রধানমন্ত্রীকে শপথ পাঠ করাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
৪৮০ সদস্যের প্রতিনিধি পরিষদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ৪৭৭ ভোট পড়ে। এর মধ্যে নাওতো কানের পক্ষে পড়ে ৩১৩ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান বিরোধী দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রধান সাদাকাজু তানিগাকি পেয়েছেন ১১৬ ভোট। বাকি ভোটগুলো পান ছোট কয়েকটি দলের প্রার্থীরা। নির্বাচনের কিছুক্ষণ পরে পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ কাউন্সিলর পরিষদ কানকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অনুমোদন দেয়।
এর আগে নিজ দলের সাংসদদের ভোটে ডিপিজের প্রধান নির্বাচিত হন নাওতো কান। অপেক্ষাকৃত কম পরিচিত পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে দলের পরিবেশবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান শিনজি তারুতোকো তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এতে নাওতো কানের পক্ষে ২৯১ এবং শিনজির পক্ষে ১২৯ ভোট পড়ে।
ডিপিজের প্রধান নির্বাচিত হওয়ার পর নাওতো কান বলেন, ‘আমার প্রথম কাজ হবে দেশের পুনর্গঠন ও আমাদের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা। পাশাপাশি দলের সদস্যদের মধ্যে “আমরা পারি”এ বিশ্বাস দৃঢ় করা।’ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক প্রসঙ্গে তিনি জানান, জাপান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের মূল ভিত্তি অটুট থাকবে। তবে ওকিনাওয়া দ্বীপে মার্কিন ঘাঁটির ব্যাপারে তাঁর অবস্থান কী হবে, তা উল্লেখ করেননি কান।
দেশের অর্থনীতি প্রসঙ্গে তিনি জানান, জাপানের অর্থনীতি গত ২০ বছর থেকে একই অবস্থায় রয়েছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বন্ধ রয়েছে। তরুণেরা চাকরি পাচ্ছে না। নীতিনির্ধারকদের ভুল নীতিমালার কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমরা একই সময়ে শক্তিশালী অর্থনীতি ও সমাজকল্যাণ ব্যবস্থা অর্জন করতে পারি।’ তিনি সরকারি বিশাল ঋণ কমিয়ে আনার ব্যাপারেও অঙ্গীকার করেন।
দেশটির রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই মুহূর্তে নিজেদের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং ভবিষ্যতের জন্য একটি রোডম্যাপ নিশ্চিত করাই নতুন নেতৃত্বের ডিপিজের প্রধান চ্যালেঞ্জ।
এর আগে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ইউকিয়ো হাতোইয়ামা তাঁর মন্ত্রিসভাসহ আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেন। পরে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। নাওতো কানের নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে জাপান গত চার বছরে ছয়জন প্রধানমন্ত্রী পেল।
গত সেপ্টেম্বরে ডিপিজে ক্ষমতায় এলে নাওতো কান উপপ্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। পাশাপাশি তাঁকে ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি ব্যুরোর দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত জানুয়ারিতে অর্থনৈতিক মন্দার প্রেক্ষাপটে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বও নেন তিনি।
বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ইউকিয়ো হাতোইয়ামা গত সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার আগে দেশটির ওকিনাওয়া দ্বীপ থেকে মার্কিন ঘাঁটি সরানোর প্রতিশ্রুতি দেন। ওই প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসায় কঠোর সমালোচনার মুখে পড়ে গত বুধবার তিনি পদত্যাগ করেন।
৪৮০ সদস্যের প্রতিনিধি পরিষদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ৪৭৭ ভোট পড়ে। এর মধ্যে নাওতো কানের পক্ষে পড়ে ৩১৩ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান বিরোধী দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রধান সাদাকাজু তানিগাকি পেয়েছেন ১১৬ ভোট। বাকি ভোটগুলো পান ছোট কয়েকটি দলের প্রার্থীরা। নির্বাচনের কিছুক্ষণ পরে পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ কাউন্সিলর পরিষদ কানকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অনুমোদন দেয়।
এর আগে নিজ দলের সাংসদদের ভোটে ডিপিজের প্রধান নির্বাচিত হন নাওতো কান। অপেক্ষাকৃত কম পরিচিত পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে দলের পরিবেশবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান শিনজি তারুতোকো তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এতে নাওতো কানের পক্ষে ২৯১ এবং শিনজির পক্ষে ১২৯ ভোট পড়ে।
ডিপিজের প্রধান নির্বাচিত হওয়ার পর নাওতো কান বলেন, ‘আমার প্রথম কাজ হবে দেশের পুনর্গঠন ও আমাদের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা। পাশাপাশি দলের সদস্যদের মধ্যে “আমরা পারি”এ বিশ্বাস দৃঢ় করা।’ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক প্রসঙ্গে তিনি জানান, জাপান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের মূল ভিত্তি অটুট থাকবে। তবে ওকিনাওয়া দ্বীপে মার্কিন ঘাঁটির ব্যাপারে তাঁর অবস্থান কী হবে, তা উল্লেখ করেননি কান।
দেশের অর্থনীতি প্রসঙ্গে তিনি জানান, জাপানের অর্থনীতি গত ২০ বছর থেকে একই অবস্থায় রয়েছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বন্ধ রয়েছে। তরুণেরা চাকরি পাচ্ছে না। নীতিনির্ধারকদের ভুল নীতিমালার কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমরা একই সময়ে শক্তিশালী অর্থনীতি ও সমাজকল্যাণ ব্যবস্থা অর্জন করতে পারি।’ তিনি সরকারি বিশাল ঋণ কমিয়ে আনার ব্যাপারেও অঙ্গীকার করেন।
দেশটির রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই মুহূর্তে নিজেদের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং ভবিষ্যতের জন্য একটি রোডম্যাপ নিশ্চিত করাই নতুন নেতৃত্বের ডিপিজের প্রধান চ্যালেঞ্জ।
এর আগে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ইউকিয়ো হাতোইয়ামা তাঁর মন্ত্রিসভাসহ আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেন। পরে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। নাওতো কানের নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে জাপান গত চার বছরে ছয়জন প্রধানমন্ত্রী পেল।
গত সেপ্টেম্বরে ডিপিজে ক্ষমতায় এলে নাওতো কান উপপ্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। পাশাপাশি তাঁকে ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি ব্যুরোর দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত জানুয়ারিতে অর্থনৈতিক মন্দার প্রেক্ষাপটে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বও নেন তিনি।
বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ইউকিয়ো হাতোইয়ামা গত সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার আগে দেশটির ওকিনাওয়া দ্বীপ থেকে মার্কিন ঘাঁটি সরানোর প্রতিশ্রুতি দেন। ওই প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসায় কঠোর সমালোচনার মুখে পড়ে গত বুধবার তিনি পদত্যাগ করেন।
No comments