জাতীয় শিক্ষানীতি -বাস্তবায়ন-প্রক্রিয়া হতে হবে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাতীয় শিক্ষানীতি অনুমোদন গোটা জাতির জন্য একটি আশাজাগানিয়া ঘটনা। বিলম্বে হলেও একটি সময়োপযোগী, প্রাগ্রসর ও বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। স্বাধীনতার পর গত ৩৯ বছরে বহু শিক্ষা কমিশন ও কমিটি গঠন এবং প্রতিবেদন তৈরি হলেও কোনোটিই বাস্তবায়িত হয়নি। বর্তমান শিক্ষানীতির ভাগ্যে তা ঘটবে না বলেই প্রত্যাশা।
অতীতে প্রায় প্রতিটি সরকার পূর্ববর্তী শিক্ষানীতি নির্বিচারে বাতিল করে দিয়ে নতুন কিছু করার মহড়া চালাত। জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় শিক্ষা প্রণয়ন কমিটি খসড়া প্রতিবেদন তৈরির সময় অতীতের সব শিক্ষা কমিশনের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করেছে। বিশেষ করে ড. কুদরাত-এ-খুদা ও শামসুল হক কমিশনের প্রতিবেদনের আলোকেই নতুন শিক্ষানীতি প্রণীত হয় বলে জানানো হয়েছে। প্রস্তাবিত শিক্ষানীতি অত্যন্ত বাস্তবমুখী ও ভারসাম্যপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষাবিদেরা। প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত উন্নীত করা, প্রাথমিক পর্যায়ে মৌলিক বিষয়ে অভিন্ন পাঠ্যক্রম, বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষার পরিধি বাড়ানো ছিল সময়ের দাবি। আদিবাসী শিশুদের জন্য মাতৃভাষায় লেখাপড়ার সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার অধিকার স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষার সংস্কার, ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশ স্টাডিজ অন্তর্ভুক্তিও কম সাহসের কথা নয়।
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে সরকারের পরিবর্তন হবে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু শিক্ষানীতির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জাতীয় মতৈক্য থাকা প্রয়োজন। এবার জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণীত হয়েছে সর্বস্তরে ব্যাপক আলোচনার ভিত্তিতে। সরকারি ওয়েবসাইট ও সেমিনার-সিম্পোজিয়ামের মাধ্যমে ব্যাপক সংখ্যক মানুষের মতামত ও পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাতীয় শিক্ষানীতি চূড়ান্ত অনুমোদনকালে যথাসম্ভব সেসব পরামর্শ আমলে নেওয়া হয়েছে। খসড়া প্রতিবেদনে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা থাকলেও চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সেই শব্দ পরিহার করে অসাম্প্রদায়িক চেতনা পুনঃস্থাপন করা হয়। একে অনেকে আপসবাদী মনোভাবের প্রকাশ মনে করলেও জাতীয় মতৈক্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা রয়েছে।
জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন নিয়ে কালক্ষেপণ কাম্য নয়। সংসদে জাতীয় শিক্ষানীতি বিল পাস করে যত দ্রুত সম্ভব, এর বাস্তবায়নকাজ শুরু করে দিতে হবে। ভালো নীতি হওয়াই যথেষ্ট নয়, কত দিনে ও কতটা সুচারুভাবে তা বাস্তবায়িত হয়, সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অতীতে অনেক ভালো নীতি দেশ ও জনগণের কল্যাণে আসেনি সংশ্লিষ্টদের দুর্নীতি, অদক্ষতা ও অব্যবস্থাপনার কারণে। শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া হতে হবে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক। দলীয় সংকীর্ণতা যেন এই মহৎ উদ্যোগকে মাঝপথে থামিয়ে দিতে না পারে, খেয়াল রাখতে হবে সেদিকেও।
অতীতে প্রায় প্রতিটি সরকার পূর্ববর্তী শিক্ষানীতি নির্বিচারে বাতিল করে দিয়ে নতুন কিছু করার মহড়া চালাত। জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় শিক্ষা প্রণয়ন কমিটি খসড়া প্রতিবেদন তৈরির সময় অতীতের সব শিক্ষা কমিশনের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করেছে। বিশেষ করে ড. কুদরাত-এ-খুদা ও শামসুল হক কমিশনের প্রতিবেদনের আলোকেই নতুন শিক্ষানীতি প্রণীত হয় বলে জানানো হয়েছে। প্রস্তাবিত শিক্ষানীতি অত্যন্ত বাস্তবমুখী ও ভারসাম্যপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষাবিদেরা। প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত উন্নীত করা, প্রাথমিক পর্যায়ে মৌলিক বিষয়ে অভিন্ন পাঠ্যক্রম, বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষার পরিধি বাড়ানো ছিল সময়ের দাবি। আদিবাসী শিশুদের জন্য মাতৃভাষায় লেখাপড়ার সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার অধিকার স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষার সংস্কার, ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশ স্টাডিজ অন্তর্ভুক্তিও কম সাহসের কথা নয়।
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে সরকারের পরিবর্তন হবে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু শিক্ষানীতির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জাতীয় মতৈক্য থাকা প্রয়োজন। এবার জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণীত হয়েছে সর্বস্তরে ব্যাপক আলোচনার ভিত্তিতে। সরকারি ওয়েবসাইট ও সেমিনার-সিম্পোজিয়ামের মাধ্যমে ব্যাপক সংখ্যক মানুষের মতামত ও পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাতীয় শিক্ষানীতি চূড়ান্ত অনুমোদনকালে যথাসম্ভব সেসব পরামর্শ আমলে নেওয়া হয়েছে। খসড়া প্রতিবেদনে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা থাকলেও চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সেই শব্দ পরিহার করে অসাম্প্রদায়িক চেতনা পুনঃস্থাপন করা হয়। একে অনেকে আপসবাদী মনোভাবের প্রকাশ মনে করলেও জাতীয় মতৈক্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা রয়েছে।
জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন নিয়ে কালক্ষেপণ কাম্য নয়। সংসদে জাতীয় শিক্ষানীতি বিল পাস করে যত দ্রুত সম্ভব, এর বাস্তবায়নকাজ শুরু করে দিতে হবে। ভালো নীতি হওয়াই যথেষ্ট নয়, কত দিনে ও কতটা সুচারুভাবে তা বাস্তবায়িত হয়, সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অতীতে অনেক ভালো নীতি দেশ ও জনগণের কল্যাণে আসেনি সংশ্লিষ্টদের দুর্নীতি, অদক্ষতা ও অব্যবস্থাপনার কারণে। শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া হতে হবে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক। দলীয় সংকীর্ণতা যেন এই মহৎ উদ্যোগকে মাঝপথে থামিয়ে দিতে না পারে, খেয়াল রাখতে হবে সেদিকেও।
No comments