ইতিহাস ডাকছে ওদের
সেই ক্লে-কোর্ট। সেই রোলাঁ গাঁরো। শুধু সময়টা বদলে নিন। প্রথম রাউন্ডের জায়গায় বসিয়ে নিন ফাইনাল। আর গত বছরের বদলে পড়ুন এবারের ফ্রেঞ্চ ওপেন। স্থান একই, ‘পাত্র’ও সেই দুজনই, কালটাই শুধু আলাদা। গতবার ফ্রেঞ্চ ওপেনের প্রথম রাউন্ডে মুখোমুখি হওয়া অস্ট্রেলিয়ান সামান্থা স্টাসুর আর ইতালির ফ্রান্সেসকা শিয়াভোনে আজ মুখোমুখি হচ্ছেন সেই একই টুর্নামেন্টের ফাইনালে।
দুজনের সামনেই ইতিহাসের হাতছানি। জিতলে ইভান গুলাগংয়ের পর স্টাসুরই হবেন প্রথম গ্র্যান্ড স্লামজয়ী অস্ট্রেলিয়ান নারী। গুলাগংয়ের কৃতিত্বটাও সেই ১৯৮০ সালের। শিয়াভোনের সামনে তো আরও বড় ইতিহাস ছোঁয়ার আমন্ত্রণ। ট্রফিটা হাতে তুলতে পারলে তিনিই হবেন গ্র্যান্ড স্লামজয়ী প্রথম ইতালিয়ান নারী। আরেকটা মাইলফলকও ছোঁয়া হয়ে যাবে তাঁর। মার্গারেট স্ক্রিভেনের পর র্যাঙ্কিংয়ের সেরা দশের বাইরের কোনো খেলোয়াড় হিসেবে তিনিই হবেন প্রথম গ্র্যান্ড স্লামজয়ী। ১৯৩৩ সালে সর্বশেষ এমন কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন এই ব্রিটিশ।
পেশাদার টেনিস শিয়াভোনে খেলছেন ১২ বছর ধরে। সর্বোচ্চ গ্র্যান্ড স্লাম সাফল্য বলতে ছিল ফ্রেঞ্চ ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনাল। এই ২৯ বছর বয়সে এসে প্রথম ফাইনাল। কেন এত বিলম্ব? শিয়াভোনের উত্তর, ‘আমার মনে হয়, এটা আমারই সময়। হয়তো আগে আমি প্রস্তুত ছিলাম না।’ দুজনের মুখোমুখি লড়াইয়ের পরিসংখ্যানে এগিয়ে আছেন স্টাসুরই। ৫ ম্যাচের চারটিতেই শেষ হাসি হেসেছেন এই অস্ট্রেলিয়ান। আজকের লড়াইয়ে তাই অনেকেরই বাজি স্টাসুরের পক্ষে। লাল মাটিতে একেবারে আগুনে ফর্মে তেতে রয়েছেন তিনি। চতুর্থ রাউন্ড থেকে ধারাবাহিকভাবে হারিয়েছেন সাবেক তিন শীর্ষ তারকা জাস্টিন হেনিন, সেরেনা উইলিয়ামস আর ইয়েলেনা জাঙ্কোভিচকে। স্টাসুরের বড় অস্ত্র তাঁর দুর্দান্ত গতির সার্ভ। স্বদেশি প্যাট রাফটারের বড় ভক্ত স্টাসুর রাত জেগে তাঁর খেলা দেখতেন ছোটবেলায়, ‘আমি প্যাটকে পছন্দ করি। এমনও হয়েছে যে আমি অনেক রাত জেগে থেকেছি এবং সকালে স্কুলে যেতে দেরি হয়েছে। কারণ রাত জেগে তাঁর খেলা দেখতাম।’ এএফপি।
গতবারের চ্যাম্পিয়ন সভেৎলানা কুজনেতসভা নেই। ফাইনালে নেই কোনো নামী তারকাও। তবে র্যাঙ্কিংয়ের ৭ নম্বরে থাকা স্টাসুরের সঙ্গে ১৭ নম্বরের শিয়াভোনের লড়াইটা জমতে পারে। ফিলিপ শাতিয়ের সেন্টার কোর্টের দর্শকেরা চাইলে একটু নড়েচড়ে বসতে পারেন। ফাইনালে সোদারলিং-নাদাল: ছেলেদের বিভাগে ফাইনালে উঠেছেন রবিন সোদারলিং ও রাফায়েল নাদাল। সেমিফাইনালে সোদারলিং হারিয়েছেন টমাস বার্ডিচকে, ইয়ূর্গেন মেজলারকে নাদাল।
No comments