মার্কিন অর্থনৈতিক সংস্কার বিল সিনেটে অনুমোদন
যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক খাত সংস্কারসংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিল সিনেটে অনুমোদিত হয়েছে। ঐতিহাসিক এ বিল অনুমোদনের ফলে ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম তদারকের জন্য এখন নিয়ন্ত্রক সংস্থা স্থাপন করা হবে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বিল অনুমোদনের বিষয়টি মার্কিনদের জন্য বিশাল বিজয় বলে অভিহিত করেছেন। খবর এএফপি, বিবিসি ও রয়টার্সের।
তিরিশের দশকের অর্থনৈতিক মন্দার পর যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক খাত সংস্কারের ক্ষেত্রে এটাই হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। গত বৃহস্পতিবার সিনেটরদের মধ্যে তীব্র বিতর্কের পর বিলটি ৫৯-৩৯ ভোটে অনুমোদিত হয়।
ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রেসিডেন্ট ওবামা আর্থিক খাত সংস্কারের অঙ্গীকার করেছিলেন। এ বিল অনুমোদনের মধ্য দিয়ে ওবামার প্রশাসনের আরেকটি বিজয় হলো। বিলটি এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রেসিডেন্ট ওবামার কাছে পাঠানো হবে। তবে ওবামার কাছে স্বাক্ষরের জন্য পাঠানোর আগে এ বিলটিকে গত ডিসেম্বরে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে অনুমোদিত হওয়া বিলটির সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে।
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের আর্থিক সেবা খাতসংক্রান্ত কমিটির সভাপতি বার্নি ফ্র্যাঙ্ক সিএনবিসি টেলিভিশনকে বলেছেন, ‘সিনেটে বিলটি অনুমোদনের ব্যাপারে আমি আশাবাদী ছিলাম। আমি এখন নিশ্চিত, প্রেসিডেন্ট ওবামা আগামী ৪ জুলাইয়ের আগেই বিলটিতে সই করবেন।’
সিনেটে অনুমোদিত এ বিলটি আইনে পরিণত হলে বড় বড় প্রতিষ্ঠানের ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া দেউলিয়া ঘোষণা হয়ে যাওয়ার মুখে অনেক বড় আকারের আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর করদাতাদের করের অর্থ থেকে ভর্তুকি পাওয়ার সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। তাছাড়া কঠোরভাবে ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণসংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে। পাশাপাশি বড় ব্যাংকগুলোর অনিয়ন্ত্রিত ব্যবসা ও ঝুঁকি নেওয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বাড়ানোর ক্ষেত্রেও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে এই বিলে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সহায়তা-প্যাকেজ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
সিনেটে এ বিলের ওপর ভোটাভুটির কয়েক ঘণ্টা আগে প্রেসিডেন্ট ওবামা হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আর্থিক খাতে সংস্কারসংক্রান্ত যে বিলে আমি সই করতে যাচ্ছি এর মাধ্যমে আসলে মুক্তবাজার অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে না। প্রকৃতপক্ষে এর মধ্য দিয়ে বিশ্বাসযোগ্য, দায়িত্বশীল ও ন্যায়সঙ্গত বাজারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাংকগুলোকে শাস্তি দেওয়া আমাদের উদ্দেশ্য নয়। বরং চরম বিপর্যয় থেকে মার্কিন অর্থনীতি ও জনগণকে রক্ষা করাই হলো আমাদের লক্ষ্য।’
প্রেসিডেন্ট ওবামা তাঁর বক্তৃতায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি জানান, ‘এসব প্রতিষ্ঠান আর্থিক সংস্কারসংক্রান্ত এ বিলটি ধ্বংস করার জন্য লবিস্ট (তদবিরকারী) নিয়োগ করেছে। বিলটির বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার জন্য বিজ্ঞাপনের পেছনে কোটি কোটি ডলার ব্যয় করেছে। কিন্তু আজ নির্দ্বিধায় বলা যায়, তাদের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।’
ডেমোক্র্যাট দলীয় সিনেটর হ্যারি রিড বলেছেন, ‘বিলটি ওয়াল স্ট্রিটকে এই বার্তাই দিয়েছে, সাধারণ মানুষের অর্থ আর নির্দয়ভাবে ওড়ানো যাবে না।’
তিরিশের দশকের অর্থনৈতিক মন্দার পর যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক খাত সংস্কারের ক্ষেত্রে এটাই হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। গত বৃহস্পতিবার সিনেটরদের মধ্যে তীব্র বিতর্কের পর বিলটি ৫৯-৩৯ ভোটে অনুমোদিত হয়।
ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রেসিডেন্ট ওবামা আর্থিক খাত সংস্কারের অঙ্গীকার করেছিলেন। এ বিল অনুমোদনের মধ্য দিয়ে ওবামার প্রশাসনের আরেকটি বিজয় হলো। বিলটি এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রেসিডেন্ট ওবামার কাছে পাঠানো হবে। তবে ওবামার কাছে স্বাক্ষরের জন্য পাঠানোর আগে এ বিলটিকে গত ডিসেম্বরে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে অনুমোদিত হওয়া বিলটির সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে।
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের আর্থিক সেবা খাতসংক্রান্ত কমিটির সভাপতি বার্নি ফ্র্যাঙ্ক সিএনবিসি টেলিভিশনকে বলেছেন, ‘সিনেটে বিলটি অনুমোদনের ব্যাপারে আমি আশাবাদী ছিলাম। আমি এখন নিশ্চিত, প্রেসিডেন্ট ওবামা আগামী ৪ জুলাইয়ের আগেই বিলটিতে সই করবেন।’
সিনেটে অনুমোদিত এ বিলটি আইনে পরিণত হলে বড় বড় প্রতিষ্ঠানের ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া দেউলিয়া ঘোষণা হয়ে যাওয়ার মুখে অনেক বড় আকারের আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর করদাতাদের করের অর্থ থেকে ভর্তুকি পাওয়ার সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। তাছাড়া কঠোরভাবে ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণসংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে। পাশাপাশি বড় ব্যাংকগুলোর অনিয়ন্ত্রিত ব্যবসা ও ঝুঁকি নেওয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বাড়ানোর ক্ষেত্রেও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে এই বিলে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সহায়তা-প্যাকেজ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
সিনেটে এ বিলের ওপর ভোটাভুটির কয়েক ঘণ্টা আগে প্রেসিডেন্ট ওবামা হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আর্থিক খাতে সংস্কারসংক্রান্ত যে বিলে আমি সই করতে যাচ্ছি এর মাধ্যমে আসলে মুক্তবাজার অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে না। প্রকৃতপক্ষে এর মধ্য দিয়ে বিশ্বাসযোগ্য, দায়িত্বশীল ও ন্যায়সঙ্গত বাজারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাংকগুলোকে শাস্তি দেওয়া আমাদের উদ্দেশ্য নয়। বরং চরম বিপর্যয় থেকে মার্কিন অর্থনীতি ও জনগণকে রক্ষা করাই হলো আমাদের লক্ষ্য।’
প্রেসিডেন্ট ওবামা তাঁর বক্তৃতায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি জানান, ‘এসব প্রতিষ্ঠান আর্থিক সংস্কারসংক্রান্ত এ বিলটি ধ্বংস করার জন্য লবিস্ট (তদবিরকারী) নিয়োগ করেছে। বিলটির বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার জন্য বিজ্ঞাপনের পেছনে কোটি কোটি ডলার ব্যয় করেছে। কিন্তু আজ নির্দ্বিধায় বলা যায়, তাদের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।’
ডেমোক্র্যাট দলীয় সিনেটর হ্যারি রিড বলেছেন, ‘বিলটি ওয়াল স্ট্রিটকে এই বার্তাই দিয়েছে, সাধারণ মানুষের অর্থ আর নির্দয়ভাবে ওড়ানো যাবে না।’
No comments