ব্যাংকক শান্ত, তবে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে থাইল্যান্ড
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক গতকাল শুক্রবার অনেকটা শান্ত হয়ে এসেছে। বিক্ষোভকারীদের একটি বড় অংশ শহর ছেড়ে গেছে। তবে, কট্টরপন্থী একটি অংশ এখনো সক্রিয় রয়েছে। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী শিগগিরই এর নিয়ন্ত্রণ ব্যাংকক কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আপিসিত ভেজ্জাজিওয়া দাবি করেছেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি স্বীকার করেন, বিক্ষোভ-পরবর্তী বর্তমান পরিস্থিতি সরকারের জন্য ‘বড় চ্যালেঞ্জ’ হিসেবে দেখা দিয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিক্ষোভ-পরবর্তী আলোচনায় সরকারের উচিত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রাকেও যুক্ত করা।
গতকাল জাতীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী আপিসিত বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর জয় হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে থাইল্যান্ডের একটি “সংকটজনক” অধ্যায়ের অবসান হলো। যত দ্রুত সম্ভব আমরা জনজীবনে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনব। এটা আমাদের জন্য বড় এক চ্যালেঞ্জ। এর চেয়েও বড় চ্যালেঞ্জ হলো জনগণের মধ্যে যে বিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে তা কাটিয়ে ওঠা।’
গত মার্চ থেকে শুরু হওয়া সরকারবিরোধী বিক্ষোভে বিভিন্ন সময় হতাহতের ঘটনায় অনুশোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী আপিসিত। তবে, তিনি দাবি করেন, নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে আইনগতভাবেই অভিযান চালিয়েছে। বিক্ষোভ ও হতাহতের ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। আপিসিত বলেন, ‘আমরা একই বাড়ির বাসিন্দা। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় আমি সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’
সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল স্যানসার্ন কায়েকামনার্দ গতকাল বলেন, ‘ব্যাংককের বিভিন্ন হোটেল ও বড় বড় ভবনে অভিযান চালানো হচ্ছে। বিকেল তিনটার মধ্যে অভিযান শেষ হবে। সন্ধ্যা ছয়টা নাগাদ নিরাপত্তার দায়িত্ব ব্যাংকক কর্তৃপক্ষের কাছে ছেড়ে দেওয়া হবে। এর মধ্যে পানি, বিদ্যুৎ ও পরিবহনব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি।’ তিনি জানান, ব্যাংকক কর্তৃপক্ষের হাতে দায়িত্ব দেওয়া হলেও শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে নিরাপত্তা চৌকিতে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবে। ব্যাংককের পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।
গতকাল ব্যাংকক থেকে প্রায় তিন শ বিক্ষোভকারী ট্রেনে চড়ে উত্তরাঞ্চলের চিয়াং মাই শহরে ফেরেন। সেখানে অন্য বিক্ষোভকারীরা তাঁদের স্বাগত জানান। বিক্ষোভকারীরা জানান, এটা তাঁদের পরাজয় নয়। বিক্ষোভের জন্য নেতারা ডাকলে আবারও ব্যাংককে ফিরে যাবেন তাঁরা।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সরকারের উচিত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী থাকসিনকেও আলোচনায় যুক্ত করা। এটা না হলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে। দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা সরকারের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে। সিঙ্গাপুরের ইনস্টিটিউট ফর সাউথইস্ট এশিয়ান স্টাডিজের পাভিন চাচাভালপংপুন বলেন, বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে সরকার ভুল করেছে। একইভাবে সরকারের ওপর এভাবে চাপ সৃষ্টি করে ভুল করেছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী থাকসিন।
প্রধানমন্ত্রী আপিসিত ভেজ্জাজিওয়া দাবি করেছেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি স্বীকার করেন, বিক্ষোভ-পরবর্তী বর্তমান পরিস্থিতি সরকারের জন্য ‘বড় চ্যালেঞ্জ’ হিসেবে দেখা দিয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিক্ষোভ-পরবর্তী আলোচনায় সরকারের উচিত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রাকেও যুক্ত করা।
গতকাল জাতীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী আপিসিত বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর জয় হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে থাইল্যান্ডের একটি “সংকটজনক” অধ্যায়ের অবসান হলো। যত দ্রুত সম্ভব আমরা জনজীবনে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনব। এটা আমাদের জন্য বড় এক চ্যালেঞ্জ। এর চেয়েও বড় চ্যালেঞ্জ হলো জনগণের মধ্যে যে বিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে তা কাটিয়ে ওঠা।’
গত মার্চ থেকে শুরু হওয়া সরকারবিরোধী বিক্ষোভে বিভিন্ন সময় হতাহতের ঘটনায় অনুশোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী আপিসিত। তবে, তিনি দাবি করেন, নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে আইনগতভাবেই অভিযান চালিয়েছে। বিক্ষোভ ও হতাহতের ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। আপিসিত বলেন, ‘আমরা একই বাড়ির বাসিন্দা। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় আমি সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’
সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল স্যানসার্ন কায়েকামনার্দ গতকাল বলেন, ‘ব্যাংককের বিভিন্ন হোটেল ও বড় বড় ভবনে অভিযান চালানো হচ্ছে। বিকেল তিনটার মধ্যে অভিযান শেষ হবে। সন্ধ্যা ছয়টা নাগাদ নিরাপত্তার দায়িত্ব ব্যাংকক কর্তৃপক্ষের কাছে ছেড়ে দেওয়া হবে। এর মধ্যে পানি, বিদ্যুৎ ও পরিবহনব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি।’ তিনি জানান, ব্যাংকক কর্তৃপক্ষের হাতে দায়িত্ব দেওয়া হলেও শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে নিরাপত্তা চৌকিতে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবে। ব্যাংককের পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।
গতকাল ব্যাংকক থেকে প্রায় তিন শ বিক্ষোভকারী ট্রেনে চড়ে উত্তরাঞ্চলের চিয়াং মাই শহরে ফেরেন। সেখানে অন্য বিক্ষোভকারীরা তাঁদের স্বাগত জানান। বিক্ষোভকারীরা জানান, এটা তাঁদের পরাজয় নয়। বিক্ষোভের জন্য নেতারা ডাকলে আবারও ব্যাংককে ফিরে যাবেন তাঁরা।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সরকারের উচিত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী থাকসিনকেও আলোচনায় যুক্ত করা। এটা না হলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে। দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা সরকারের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে। সিঙ্গাপুরের ইনস্টিটিউট ফর সাউথইস্ট এশিয়ান স্টাডিজের পাভিন চাচাভালপংপুন বলেন, বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে সরকার ভুল করেছে। একইভাবে সরকারের ওপর এভাবে চাপ সৃষ্টি করে ভুল করেছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী থাকসিন।
No comments