করাচি থমথমে, সহিংসতায় আরও পাঁচজন নিহত
পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের রাজধানী করাচির অবস্থা এখন থমথমে। লাগাতার সহিংসতায় ভয় আর আতঙ্কের শহরে পরিণত হয়েছে এটি। বৃহস্পতিবার রাতে করাচির বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় আরও পাঁচজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার বিকেলে রাজনৈতিক ও জাতিগত সহিংসতা শুরুর পর এ নিয়ে ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে শিশু ও পুলিশ সদস্যও আছেন। শহরে এখনো চোরাগোপ্তা হামলা চলছে। সহিংসতা রোধে করাচির বিভিন্ন স্থানে সেনা ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
করাচির পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে পার্ক কলোনি এলাকায় অজ্ঞাতনামা বন্দুকধারীরা গুলি করে একজন ট্যাক্সিচালককে হত্যা করে। বানারাস কোরাঙ্গি এলাকায় নিহত হয়েছেন তিনজন। আল-ফারাহ এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আরও একজনের লাশ। এর আগে করাচিতে গত বুধবার জাতিগত সহিংসতায় কমপক্ষে ২০ জন নিহত হন। অজ্ঞাতনামা মোটরসাইকেল আরোহীদের গুলিতে তাঁদের অধিকাংশ প্রাণ হারান। এ ছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধেও বেশ কয়েকজন নিহত হন।
এদিকে সিন্ধুর প্রাদেশিক মুখ্যমন্ত্রী কাইম আলী শাহ শহরের আইনশৃঙ্খলা কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণের জন্য নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানান, দুষ্কৃতকারীরা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে।
করাচি শহরের পুলিশপ্রধান ওয়াসিম আহমেদ বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো হানাহানির পথ পরিহার না করলে নিরাপত্তার জন্য নেওয়া কোনো পদক্ষেপই কাজে আসবে না। সহিংসতায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্টের (এমকিউএম) অনেক সদস্য আছেন। তবে নিহত ব্যক্তিদের অধিকাংশই আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির (এএনপি) সদস্য।
এমকিউএমের অধিকাংশ সদস্য হচ্ছেন উর্দুভাষী। ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ ভাগের সময় তাঁরা ভারত থেকে পাকিস্তানের করাচিতে এসে বসবাস শুরু করেন। অন্যদিকে এএনপির সমর্থকেরা হচ্ছেন পাশতুন সম্প্রদায়ের সদস্য। এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে করাচিতে হরহামেশাই বন্দুকযুদ্ধ হয়ে থাকে। এ ছাড়া করাচিতে শিয়া ও সুন্নি সম্প্রদায়ের মধ্যেও মাঝেমধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়ে থাকে।
পাকিস্তানের বাণিজ্যিক নগর হিসেবে পরিচিত করাচিতে আল-কায়েদা ও তালেবানসহ বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর তৎপরতা কমে গেলেও সম্প্রতি জাতিগত সহিংসতা বেড়ে গেছে।
মা-বাবা ও মেয়েকে হত্যা : পাকিস্তানে বন্দুকধারীরা এক ব্রিটিশ দম্পতি ও তাঁদের এক মেয়েকে গুলি করে হত্যা করেছে। পূর্বাঞ্চলীয় গুজরাট শহরে একটি কবরস্থানের কাছে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলেছে, পাকিস্তানের বংশোদ্ভূত মোহাম্মাদ ইউসুফ, তাঁর স্ত্রী পারভায়েজ ও তাঁদের ২২ বছরের মেয়ে তানিয়া ইংল্যান্ডের ল্যাঙ্কাশায়ারে থাকেন। সম্প্রতি তাঁরা দেশে ফিরে আত্মীয়স্বজনের কবর জিয়ারত করতে যান। সেখানে পাঁচ বন্দুকধারী তাঁদের গুলি করে হত্যা করে। পুলিশ বলেছে, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।
করাচির পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে পার্ক কলোনি এলাকায় অজ্ঞাতনামা বন্দুকধারীরা গুলি করে একজন ট্যাক্সিচালককে হত্যা করে। বানারাস কোরাঙ্গি এলাকায় নিহত হয়েছেন তিনজন। আল-ফারাহ এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আরও একজনের লাশ। এর আগে করাচিতে গত বুধবার জাতিগত সহিংসতায় কমপক্ষে ২০ জন নিহত হন। অজ্ঞাতনামা মোটরসাইকেল আরোহীদের গুলিতে তাঁদের অধিকাংশ প্রাণ হারান। এ ছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধেও বেশ কয়েকজন নিহত হন।
এদিকে সিন্ধুর প্রাদেশিক মুখ্যমন্ত্রী কাইম আলী শাহ শহরের আইনশৃঙ্খলা কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণের জন্য নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানান, দুষ্কৃতকারীরা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে।
করাচি শহরের পুলিশপ্রধান ওয়াসিম আহমেদ বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো হানাহানির পথ পরিহার না করলে নিরাপত্তার জন্য নেওয়া কোনো পদক্ষেপই কাজে আসবে না। সহিংসতায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্টের (এমকিউএম) অনেক সদস্য আছেন। তবে নিহত ব্যক্তিদের অধিকাংশই আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির (এএনপি) সদস্য।
এমকিউএমের অধিকাংশ সদস্য হচ্ছেন উর্দুভাষী। ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ ভাগের সময় তাঁরা ভারত থেকে পাকিস্তানের করাচিতে এসে বসবাস শুরু করেন। অন্যদিকে এএনপির সমর্থকেরা হচ্ছেন পাশতুন সম্প্রদায়ের সদস্য। এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে করাচিতে হরহামেশাই বন্দুকযুদ্ধ হয়ে থাকে। এ ছাড়া করাচিতে শিয়া ও সুন্নি সম্প্রদায়ের মধ্যেও মাঝেমধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়ে থাকে।
পাকিস্তানের বাণিজ্যিক নগর হিসেবে পরিচিত করাচিতে আল-কায়েদা ও তালেবানসহ বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর তৎপরতা কমে গেলেও সম্প্রতি জাতিগত সহিংসতা বেড়ে গেছে।
মা-বাবা ও মেয়েকে হত্যা : পাকিস্তানে বন্দুকধারীরা এক ব্রিটিশ দম্পতি ও তাঁদের এক মেয়েকে গুলি করে হত্যা করেছে। পূর্বাঞ্চলীয় গুজরাট শহরে একটি কবরস্থানের কাছে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলেছে, পাকিস্তানের বংশোদ্ভূত মোহাম্মাদ ইউসুফ, তাঁর স্ত্রী পারভায়েজ ও তাঁদের ২২ বছরের মেয়ে তানিয়া ইংল্যান্ডের ল্যাঙ্কাশায়ারে থাকেন। সম্প্রতি তাঁরা দেশে ফিরে আত্মীয়স্বজনের কবর জিয়ারত করতে যান। সেখানে পাঁচ বন্দুকধারী তাঁদের গুলি করে হত্যা করে। পুলিশ বলেছে, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।
No comments