ব্যাংককে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি নিহত ১, শীর্ষ নেতাসহ আহত ৮
থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে সেনাবাহিনী গতকাল বৃহস্পতিবার গুলি চালিয়েছে। গুলিতে এক বিক্ষোভকারী নিহত ও গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আটজন। গুলিবিদ্ধদের মধ্যে বিক্ষোভকারীদের অন্যতম নেতা কাত্তিয়া সাওয়াসদিপলও রয়েছেন। সাওয়াসদিপল সেনাবাহিনীর একজন বরখাস্ত হওয়া জেনারেল। সেনাবাহিনীর এ দমনাভিযানে গোটা ব্যাংককে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ প্রকাশ করে ব্যাংককে তাদের দূতাবাস বন্ধের ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে ব্রিটেন আজ থেকে তাদের দূতাবাস বন্ধ রাখবে বলে গতকালই ঘোষণা দিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমগুলো বলেছে, সরকার বিক্ষোভকারীদের বিক্ষোভস্থল ত্যাগের জন্য যে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল, তা অতিক্রম করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেনাবাহিনী পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে। সন্ধ্যার পর হঠাত্ করেই বাঁশ ও কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা বিক্ষোভস্থলে পর পর কয়েক দফা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। নিরাপত্তা বাহিনী একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে সরাসরি গুলি চালানো শুরু করে। গুলিতে একজন এক বিক্ষোভকারী ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
অন্যদিকে উত্তেজনা চলাকালে এক সাংবাদিককে সাক্ষাত্কার দেওয়ার সময় বিক্ষোভকারীদের অন্যতম নেতা কাত্তিয়া সাওয়াসদিপলের মাথায় গুলি লাগে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ছাড়া এ পর্যন্ত আটজনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এরই মধ্যে বিরোধীরা রাজপথ না ছাড়লে ১৪ নভেম্বরের নির্বাচন স্থগিত রাখার পরিকল্পনা করছে সরকার। ফলে চলমান সংঘাত নিরসনের সম্ভাবনা আরও কমে গেল।
বিক্ষোভকারীরা বলছে, গত মাসে সামরিক অভিযানে নিহতদের ঘটনায় উপপ্রধানমন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত না করা পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বে না। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা রাজপথ না ছাড়লে নভেম্বরে নির্বাচন হবে না। বিক্ষোভকারীরা ঘরে ফিরলে তবেই নির্বাচন হবে। খবর এএফপি ও বিবিসি অনলাইনের।
প্রধানমন্ত্রী আপিসিত ভেজ্জাজিওয়া বলেছেন, বিক্ষোভকারীরা সরে যেতে অস্বীকৃতি জানানোয় নির্বাচনের তারিখ বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ব্যাংককের স্বাভাবিক অবস্থা যত দ্রুত সম্ভব ফিরিয়ে আনার জন্য নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আপিসিত ভেজ্জাজিওয়ার সচিব কোরবাস্ক সাভবাসু বলেন, ‘এটা স্পষ্ট, বিক্ষোভকারীরা কেবল মৌখিকভাবে জাতীয় রোডম্যাপ মেনে নিয়েছে। কিন্তু তারা রাজপথ ছেড়ে ঘরে ফিরে যেতে রাজি নয়। এ অবস্থায় পূর্বঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী ১৪ নভেম্বর নির্বাচন করা সম্ভব নয়।’ তিনি বলেন, থাইল্যান্ডের সবাই যদি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে এবং কোনো বাধা ছাড়াই পথ চলতে পারে, তবেই কেবল নির্বাচন হতে পারে বলে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন। আর নির্বাচন না হলে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ারও প্রশ্ন আসে না।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র সুনসার্ন কায়েকুমনার্ড বলেন, নিরাপত্তা কর্মকর্তারা স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টা (বৃহস্পতিবার) থেকে ব্যাংককের কেন্দ্রস্থলে বিক্ষোভকারীদের স্থান ঘেরাও শুরু করবে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নতুন করে কেউ যাতে যোগ দিতে না পারে সে জন্য এ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার মধ্যরাত নাগাদ বিক্ষোভকারীদের খাওয়ার, পানি ও বিদ্যুত্ সরবরাহ বন্ধ করে দিতে সমর্থ না হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী আপিসিত বলেন, বিক্ষোভকারীদের এসব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
লাল শার্টধারী বিক্ষোভকারীদের আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী আপিসিত সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে ১৪ নভেম্বর আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। থাইল্যান্ডের সব রাজনৈতিক দল তাঁর এ সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানান। লাল শার্টধারী বিক্ষোভকারীরাও এ সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিল। কিন্তু ১০ এপ্রিল আন্দোলনকারীদের ওপর সামরিক দমন-পীড়নের প্রতিবাদে তারা তাদের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।
আন্দোলনকারীরা বলছে, ১০ এপ্রিল বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের ঘটনায় উপপ্রধানমন্ত্রী সুদিপ থাগসুবাকে অভিযুক্ত না করা পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বে না। ওই সেনা অভিযানে ২৫ ব্যক্তি নিহত হয়। তাদের মধ্যে ২০ জনই বিক্ষোভকারী।
লাল শার্ট নেতা ওয়েং তোজিরাকার্ন বলেন, সরকার নির্বাচন বানচাল করে এবং পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করতে চায়। নির্বাচন না করলে সরকার আত্মঘাতী রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেবে। আরেক লাল শার্ট পরা নেতা নাত্তাউত সাইকুয়ার বলেন, সরকারের পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া ও আগাম নির্বাচনের সিদ্ধান্তে বিক্ষোভকারীরা এখনো অটল। তবে তাদের প্রধান দাবি হলো, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা।
আগাম নির্বাচনের দাবিতে মার্চের মাঝামাঝি থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার অনুসারীরা আন্দোলনে নামে। দুই মাসে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে ২৯ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে এক হাজার। দুই দশকের মধ্যে থাইল্যান্ডে এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সহিংসতা।
সংবাদমাধ্যমগুলো বলেছে, সরকার বিক্ষোভকারীদের বিক্ষোভস্থল ত্যাগের জন্য যে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল, তা অতিক্রম করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেনাবাহিনী পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে। সন্ধ্যার পর হঠাত্ করেই বাঁশ ও কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা বিক্ষোভস্থলে পর পর কয়েক দফা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। নিরাপত্তা বাহিনী একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে সরাসরি গুলি চালানো শুরু করে। গুলিতে একজন এক বিক্ষোভকারী ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
অন্যদিকে উত্তেজনা চলাকালে এক সাংবাদিককে সাক্ষাত্কার দেওয়ার সময় বিক্ষোভকারীদের অন্যতম নেতা কাত্তিয়া সাওয়াসদিপলের মাথায় গুলি লাগে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ছাড়া এ পর্যন্ত আটজনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এরই মধ্যে বিরোধীরা রাজপথ না ছাড়লে ১৪ নভেম্বরের নির্বাচন স্থগিত রাখার পরিকল্পনা করছে সরকার। ফলে চলমান সংঘাত নিরসনের সম্ভাবনা আরও কমে গেল।
বিক্ষোভকারীরা বলছে, গত মাসে সামরিক অভিযানে নিহতদের ঘটনায় উপপ্রধানমন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত না করা পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বে না। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা রাজপথ না ছাড়লে নভেম্বরে নির্বাচন হবে না। বিক্ষোভকারীরা ঘরে ফিরলে তবেই নির্বাচন হবে। খবর এএফপি ও বিবিসি অনলাইনের।
প্রধানমন্ত্রী আপিসিত ভেজ্জাজিওয়া বলেছেন, বিক্ষোভকারীরা সরে যেতে অস্বীকৃতি জানানোয় নির্বাচনের তারিখ বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ব্যাংককের স্বাভাবিক অবস্থা যত দ্রুত সম্ভব ফিরিয়ে আনার জন্য নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আপিসিত ভেজ্জাজিওয়ার সচিব কোরবাস্ক সাভবাসু বলেন, ‘এটা স্পষ্ট, বিক্ষোভকারীরা কেবল মৌখিকভাবে জাতীয় রোডম্যাপ মেনে নিয়েছে। কিন্তু তারা রাজপথ ছেড়ে ঘরে ফিরে যেতে রাজি নয়। এ অবস্থায় পূর্বঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী ১৪ নভেম্বর নির্বাচন করা সম্ভব নয়।’ তিনি বলেন, থাইল্যান্ডের সবাই যদি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে এবং কোনো বাধা ছাড়াই পথ চলতে পারে, তবেই কেবল নির্বাচন হতে পারে বলে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন। আর নির্বাচন না হলে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ারও প্রশ্ন আসে না।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র সুনসার্ন কায়েকুমনার্ড বলেন, নিরাপত্তা কর্মকর্তারা স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টা (বৃহস্পতিবার) থেকে ব্যাংককের কেন্দ্রস্থলে বিক্ষোভকারীদের স্থান ঘেরাও শুরু করবে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নতুন করে কেউ যাতে যোগ দিতে না পারে সে জন্য এ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার মধ্যরাত নাগাদ বিক্ষোভকারীদের খাওয়ার, পানি ও বিদ্যুত্ সরবরাহ বন্ধ করে দিতে সমর্থ না হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী আপিসিত বলেন, বিক্ষোভকারীদের এসব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
লাল শার্টধারী বিক্ষোভকারীদের আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী আপিসিত সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে ১৪ নভেম্বর আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। থাইল্যান্ডের সব রাজনৈতিক দল তাঁর এ সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানান। লাল শার্টধারী বিক্ষোভকারীরাও এ সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিল। কিন্তু ১০ এপ্রিল আন্দোলনকারীদের ওপর সামরিক দমন-পীড়নের প্রতিবাদে তারা তাদের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।
আন্দোলনকারীরা বলছে, ১০ এপ্রিল বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের ঘটনায় উপপ্রধানমন্ত্রী সুদিপ থাগসুবাকে অভিযুক্ত না করা পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বে না। ওই সেনা অভিযানে ২৫ ব্যক্তি নিহত হয়। তাদের মধ্যে ২০ জনই বিক্ষোভকারী।
লাল শার্ট নেতা ওয়েং তোজিরাকার্ন বলেন, সরকার নির্বাচন বানচাল করে এবং পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করতে চায়। নির্বাচন না করলে সরকার আত্মঘাতী রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেবে। আরেক লাল শার্ট পরা নেতা নাত্তাউত সাইকুয়ার বলেন, সরকারের পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া ও আগাম নির্বাচনের সিদ্ধান্তে বিক্ষোভকারীরা এখনো অটল। তবে তাদের প্রধান দাবি হলো, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা।
আগাম নির্বাচনের দাবিতে মার্চের মাঝামাঝি থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার অনুসারীরা আন্দোলনে নামে। দুই মাসে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে ২৯ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে এক হাজার। দুই দশকের মধ্যে থাইল্যান্ডে এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সহিংসতা।
No comments