ফতোয়ার কথা অস্বীকার করল দেওবন্দ
মুসলিম মেয়েদের বাইরে চাকরি করাকে ‘হারাম’ বলে ফতোয়া দেওয়ার কথা অস্বীকার করল দেওবন্দ দারুল উলুম মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
দেওবন্দের মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা আইএএনএস জানায়, এ ধরনের কোনো ফতোয়া দেওয়া হয়নি। তারা শুধু কর্মরত নারীর কর্মক্ষেত্রের পোশাক সম্পর্কে মতামত দিয়েছে।
মাওলানা আদনান মুন্সি নামের ওই মুখপাত্র গত বুধবার জানান, সরকারি ও বেসরকারি অফিসে কর্মরত মুসলিম নারীর যথাযথ পোশাক সম্পর্কে শরিয়া অনুযায়ী কেবল তাঁরা তাঁদের মতামত জানিয়েছেন। পুরুষদের সঙ্গে একত্রে নারীদের কাজ করার বিরোধিতা করে ফতোয়া দেওয়ার কথা তিনি অস্বীকার করেন। মাওলানা মুন্সি কর্মরত নারীদের পোশাক নিয়ে তাঁদের মতামত দেড় মাসের পুরোনো বলে জানান।
এদিকে গত বুধবার দেওবন্দের এই ফতোয়ার কথা জানাজানি হওয়ার পর ভারতে মুসলিম নেতা ও বিদ্বজ্জনদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া হয়। জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সম্পাদক মাওলানা এন এ ফারুকি এ প্রসঙ্গে বলেন, দেওবন্দের এ নির্দেশ যথাযথ দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে বোঝার চেষ্টা করা উচিত।
ফারুকী বলেন, বাইরে কাজ করতে যেতে বা ঘরের বাইরে যাওয়ার ব্যাপারে ইসলামে নারীদের নিষেধ করা হয়নি। কিন্তু ‘ঠিকমতো ঢেকেঢুকে’ যাওয়ার ব্যাপারে বাধ্যবাধকতা আছে।
কংগ্রেসের সাংসদ রশিদ আলভি বলেন, প্রত্যেক ধর্মের নির্দিষ্ট নিয়মকানুন আছে। তবে সবকিছুর পরে দেশের প্রচলিত আইনই বহাল থাকবে।
সাবেক সাংসদ সৈয়দ সাহাবুদ্দীন বলেন, এখন মুসলিম নারীরা লেখাপড়া শিখছেন, তাঁরা চাকরি করবেন, এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্বামীর ব্যবসায়িক কাজেও সাহায্য করবেন। তাই ‘এ ধরনের ফতোয়া মেনে চলা সম্ভব নয়’ বলে তিনি মনে করেন।
দেওবন্দের মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা আইএএনএস জানায়, এ ধরনের কোনো ফতোয়া দেওয়া হয়নি। তারা শুধু কর্মরত নারীর কর্মক্ষেত্রের পোশাক সম্পর্কে মতামত দিয়েছে।
মাওলানা আদনান মুন্সি নামের ওই মুখপাত্র গত বুধবার জানান, সরকারি ও বেসরকারি অফিসে কর্মরত মুসলিম নারীর যথাযথ পোশাক সম্পর্কে শরিয়া অনুযায়ী কেবল তাঁরা তাঁদের মতামত জানিয়েছেন। পুরুষদের সঙ্গে একত্রে নারীদের কাজ করার বিরোধিতা করে ফতোয়া দেওয়ার কথা তিনি অস্বীকার করেন। মাওলানা মুন্সি কর্মরত নারীদের পোশাক নিয়ে তাঁদের মতামত দেড় মাসের পুরোনো বলে জানান।
এদিকে গত বুধবার দেওবন্দের এই ফতোয়ার কথা জানাজানি হওয়ার পর ভারতে মুসলিম নেতা ও বিদ্বজ্জনদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া হয়। জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সম্পাদক মাওলানা এন এ ফারুকি এ প্রসঙ্গে বলেন, দেওবন্দের এ নির্দেশ যথাযথ দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে বোঝার চেষ্টা করা উচিত।
ফারুকী বলেন, বাইরে কাজ করতে যেতে বা ঘরের বাইরে যাওয়ার ব্যাপারে ইসলামে নারীদের নিষেধ করা হয়নি। কিন্তু ‘ঠিকমতো ঢেকেঢুকে’ যাওয়ার ব্যাপারে বাধ্যবাধকতা আছে।
কংগ্রেসের সাংসদ রশিদ আলভি বলেন, প্রত্যেক ধর্মের নির্দিষ্ট নিয়মকানুন আছে। তবে সবকিছুর পরে দেশের প্রচলিত আইনই বহাল থাকবে।
সাবেক সাংসদ সৈয়দ সাহাবুদ্দীন বলেন, এখন মুসলিম নারীরা লেখাপড়া শিখছেন, তাঁরা চাকরি করবেন, এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্বামীর ব্যবসায়িক কাজেও সাহায্য করবেন। তাই ‘এ ধরনের ফতোয়া মেনে চলা সম্ভব নয়’ বলে তিনি মনে করেন।
No comments