শিশু নির্বাসনের জন্য ভুল স্বীকার করল যুক্তরাজ্য
অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ সাবেক ঔপনিবেশিক দেশগুলোতে হাজার হাজার শিশুকে ‘উন্নত জীবনের’ নামে নির্বাসন দেওয়ার জন্য ব্রিটেন সরকারের পক্ষ থেকে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। গত মঙ্গলবার ব্রিটেনের জিএমটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে তিনি ৪০ বছর আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া ‘দ্য চাইল্ড মাইগ্র্যান্টস প্রোগ্রাম’ নামের শিশু অভিবাসন কার্যক্রমের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে ওই কার্যক্রমের কারণে হাজার হাজার শিশু শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিল বলে তিনি স্বীকার করেন। এএফপি।
১৯২০ সাল থেকে ব্রিটেন তার নিজ ভূখণ্ডের তিন থেকে ১৪ বছর বয়সী বহু শিশুকে কমনওয়েলথভুক্ত বিভিন্ন দেশের এতিমখানা, উপাসনালয় ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে রেখে আসা শুরু করে। সেখানে রেখে আসার আগে শিশুদের জানানো হতো, তাদের মা-বাবা মারা গেছেন। অন্যদিকে, দরিদ্র মা-বাবাকে বলা হতো, তাঁদের সন্তানকে উন্নত জীবনব্যবস্থায় রেখে আসা হবে। বাস্তবতা ছিল ভিন্ন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার বিভিন্ন কারখানায় শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ করা হতো। তাদের ওপর চলত শারীরিক ও যৌন নির্যাতন। অভিভাবকদের তাঁদের সন্তানের ঠিকানা দেওয়া হতো না। ফলে শারীরিক ও মানসিকভাবে চরম নির্যাতনের শিকার হতো অভিবাসী ওই শিশুরা।
১৯৬০ সাল পর্যন্ত ব্রিটেন তার এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। মধ্যবর্তী এ সময়ে কমপক্ষে দেড় লাখ শিশুকে বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয়। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়াতেই সবচেয়ে বেশি পাঠানো হয়।
এই অমানবিক কার্যক্রমের বিষয়ে গর্ডন ব্রাউন বলেন, তিনি এ ভুল নীতির জন্য সরকারের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করছেন। তিনি বলেছেন, এটা অনেকের পুরো জীবন ধ্বংস করে দিয়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার ব্যারোনেস ভ্যালোরি আমোসও এ বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, তিনি ভুক্তভোগী বহু শিশুর সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাদের ব্যক্তিগত দুঃখের ইতিহাস শুনেছেন।
১৯২০ সাল থেকে ব্রিটেন তার নিজ ভূখণ্ডের তিন থেকে ১৪ বছর বয়সী বহু শিশুকে কমনওয়েলথভুক্ত বিভিন্ন দেশের এতিমখানা, উপাসনালয় ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে রেখে আসা শুরু করে। সেখানে রেখে আসার আগে শিশুদের জানানো হতো, তাদের মা-বাবা মারা গেছেন। অন্যদিকে, দরিদ্র মা-বাবাকে বলা হতো, তাঁদের সন্তানকে উন্নত জীবনব্যবস্থায় রেখে আসা হবে। বাস্তবতা ছিল ভিন্ন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার বিভিন্ন কারখানায় শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ করা হতো। তাদের ওপর চলত শারীরিক ও যৌন নির্যাতন। অভিভাবকদের তাঁদের সন্তানের ঠিকানা দেওয়া হতো না। ফলে শারীরিক ও মানসিকভাবে চরম নির্যাতনের শিকার হতো অভিবাসী ওই শিশুরা।
১৯৬০ সাল পর্যন্ত ব্রিটেন তার এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। মধ্যবর্তী এ সময়ে কমপক্ষে দেড় লাখ শিশুকে বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয়। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়াতেই সবচেয়ে বেশি পাঠানো হয়।
এই অমানবিক কার্যক্রমের বিষয়ে গর্ডন ব্রাউন বলেন, তিনি এ ভুল নীতির জন্য সরকারের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করছেন। তিনি বলেছেন, এটা অনেকের পুরো জীবন ধ্বংস করে দিয়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার ব্যারোনেস ভ্যালোরি আমোসও এ বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, তিনি ভুক্তভোগী বহু শিশুর সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাদের ব্যক্তিগত দুঃখের ইতিহাস শুনেছেন।
No comments