পিলখানা হত্যাকাণ্ডের এক বছর
দিনপঞ্জিকার হিসাবে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের এক বছর পার হলেও অনেক প্রশ্নের উত্তর অজানা রয়ে গেছে। যে ঘটনা গোটা জাতিকে স্তম্ভিত করেছিল, স্বভাবতই দেশবাসী আশা করেছিল, দ্রুততম সময়ে অপরাধীদের বিচার হবে, ছিন্ন হবে সব রহস্যের জাল; হয়নি। ঘটনার পর বিডিআর পুনর্গঠনে যে তোড়জোর লক্ষ করা গিয়েছিল তাও ঝিমিয়ে পড়েছে। সে সময়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজে সমন্বয় আনতে গঠিত কমিটি যেসব প্রস্তাব দিয়েছিল, এত দিনেও সেসবের বাস্তবায়ন নেই, একমাত্র পোশাক বদল ছাড়া।
গত বছর এই ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের পর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, দ্রুততম সময়ে তদন্ত ও বিচারের কাজ সম্পন্ন করা হবে। এই লক্ষ্যে তিনটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে সরকার ও সেনাবাহিনী গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে। এসব প্রতিবেদনে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ আছে যা দ্রুত আমলে নেওয়া প্রয়োজন, ভবিষ্যতে এ ধরনের অঘটন রোধ করতেই। পিলখানা হত্যাকাণ্ড ও বিডিআর বিদ্রোহে সরাসরি যাঁরা জড়িত ছিলেন, সরকার তাঁদের চিহ্নিত ও আটক করে বিচারে সোপর্দ করেছে, এটি ভালো দিক। কিন্তু তাঁদের পেছনে কোনো স্বার্থান্বেষী মহল জড়িত ছিল কি না সে রহস্য এখনো উদ্ঘাটিত হয়নি। যদিও সরকারি ও সেনাবাহিনীর তদন্ত প্রতিবেদনে এর কিছু ইঙ্গিত রয়েছে। এখন সরকারের দায়িত্ব হলো সেসবের সত্যাসত্য উদ্ঘাটন করা।
উভয় প্রতিবেদনে বিদ্রোহের পূর্বাভাস দিতে না পারার জন্য গোয়েন্দা বিভাগকে দায়ী করা হয়েছে। এ ব্যর্থতার জন্য কারা দায়ী তাও খতিয়ে দেখতে হবে। কেন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বারবার ব্যর্থ হচ্ছে? যেখানে তাদের সাফল্য-ব্যর্থতার ওপর রাষ্ট্রের ও জনগণের নিরাপত্তা নির্ভর করে, সেখানে বিষয়টি হালকা করে দেখার সুযোগ নেই। বিডিআর বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ডের বিচারের প্রক্রিয়া নিয়ে সৃষ্ট বিতর্ক আদালত পর্যন্ত গড়ায়। হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, বিদ্রোহের বিচার বিডিআর আইনে এবং হত্যা ও লুটপাটের বিচার প্রচলিত আইনে করতে হবে।
বিদ্রোহের বিচারের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ছয়টি আদালত গঠন করা হয়েছে। কিন্তু যে গতিতে বিচারপ্রক্রিয়া চলছে তাতে শেষ করতে অনেক সময় লেগে যাবে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগের তদন্তকাজ শেষ না হওয়ায় হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু হতে পারছে না। দ্রুত তদন্ত শেষ করে হত্যাকাণ্ডের বিচারকাজও অবিলম্বে শুরু করতে হবে। অতীতে স্পর্শকাতর ও গুরুত্বর্পূণ বহু মামলার বিচার সম্ভব হয়নি সরকারের সদিচ্ছার অভাবে এবং সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির কারণে। এবারও যেন সে রকম কিছু না ঘটে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য যেমন, তেমনই ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ ঠেকাতেও সেটি প্রয়োজন। তবে এ ক্ষেত্রে সজাগ থাকতে হবে, যাতে নিরপরাধ কেউ হয়রানির শিকার না হন।
পিলখানার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়ে যাঁরা জীবন দিয়েছেন তাঁদের ফিরিয়ে আনা যাবে না সত্য, কিন্তু ন্যায়বিচারের মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে পারলে তাঁদের স্বজনেরা কিছুটা হলেও সান্ত্বনা খুঁজে পাবেন, দেশ হবে দায়মুক্ত।
গত বছর এই ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের পর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, দ্রুততম সময়ে তদন্ত ও বিচারের কাজ সম্পন্ন করা হবে। এই লক্ষ্যে তিনটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে সরকার ও সেনাবাহিনী গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে। এসব প্রতিবেদনে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ আছে যা দ্রুত আমলে নেওয়া প্রয়োজন, ভবিষ্যতে এ ধরনের অঘটন রোধ করতেই। পিলখানা হত্যাকাণ্ড ও বিডিআর বিদ্রোহে সরাসরি যাঁরা জড়িত ছিলেন, সরকার তাঁদের চিহ্নিত ও আটক করে বিচারে সোপর্দ করেছে, এটি ভালো দিক। কিন্তু তাঁদের পেছনে কোনো স্বার্থান্বেষী মহল জড়িত ছিল কি না সে রহস্য এখনো উদ্ঘাটিত হয়নি। যদিও সরকারি ও সেনাবাহিনীর তদন্ত প্রতিবেদনে এর কিছু ইঙ্গিত রয়েছে। এখন সরকারের দায়িত্ব হলো সেসবের সত্যাসত্য উদ্ঘাটন করা।
উভয় প্রতিবেদনে বিদ্রোহের পূর্বাভাস দিতে না পারার জন্য গোয়েন্দা বিভাগকে দায়ী করা হয়েছে। এ ব্যর্থতার জন্য কারা দায়ী তাও খতিয়ে দেখতে হবে। কেন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বারবার ব্যর্থ হচ্ছে? যেখানে তাদের সাফল্য-ব্যর্থতার ওপর রাষ্ট্রের ও জনগণের নিরাপত্তা নির্ভর করে, সেখানে বিষয়টি হালকা করে দেখার সুযোগ নেই। বিডিআর বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ডের বিচারের প্রক্রিয়া নিয়ে সৃষ্ট বিতর্ক আদালত পর্যন্ত গড়ায়। হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, বিদ্রোহের বিচার বিডিআর আইনে এবং হত্যা ও লুটপাটের বিচার প্রচলিত আইনে করতে হবে।
বিদ্রোহের বিচারের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ছয়টি আদালত গঠন করা হয়েছে। কিন্তু যে গতিতে বিচারপ্রক্রিয়া চলছে তাতে শেষ করতে অনেক সময় লেগে যাবে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগের তদন্তকাজ শেষ না হওয়ায় হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু হতে পারছে না। দ্রুত তদন্ত শেষ করে হত্যাকাণ্ডের বিচারকাজও অবিলম্বে শুরু করতে হবে। অতীতে স্পর্শকাতর ও গুরুত্বর্পূণ বহু মামলার বিচার সম্ভব হয়নি সরকারের সদিচ্ছার অভাবে এবং সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির কারণে। এবারও যেন সে রকম কিছু না ঘটে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য যেমন, তেমনই ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ ঠেকাতেও সেটি প্রয়োজন। তবে এ ক্ষেত্রে সজাগ থাকতে হবে, যাতে নিরপরাধ কেউ হয়রানির শিকার না হন।
পিলখানার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়ে যাঁরা জীবন দিয়েছেন তাঁদের ফিরিয়ে আনা যাবে না সত্য, কিন্তু ন্যায়বিচারের মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে পারলে তাঁদের স্বজনেরা কিছুটা হলেও সান্ত্বনা খুঁজে পাবেন, দেশ হবে দায়মুক্ত।
No comments