অস্ত্রবিরতিতে স্বাক্ষর করেছে দারফুরের জেইএম বিদ্রোহীরা
সুদান ও দারফুরের প্রধান বিদ্রোহী দল গত মঙ্গলবার কাতারের রাজধানী দোহায় একটি অস্ত্রবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তিকে দারফুরের শান্তির জন্য বড় অগ্রগতি হিসেবে বর্ণনা করেছে অনেকে। এখন যেকোনো চূড়ান্ত শান্তিচুক্তির জন্য অন্যান্য সশস্ত্র দলের সমর্থন জরুরি।
জাস্টিস ও ইকুয়ালিটি মুভমেন্ট (জেইএম) নেতা খলিল ইব্রাহিম বলেন, তিনি ও সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশির একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন, যা মধ্যরাত থেকে কার্যকর হবে।
কাতারের আমির শেখ হামাদ বিন খলিফা আল-থানির আমন্ত্রণে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে শাদের প্রেসিডেন্ট ইদ্রিস দেবাই ইতনো ও ইরিত্রিয়ার প্রেসিডেন্ট ইসাইয়াস আফেওরকি উপস্থিত ছিলেন।
জেইএমের এক মুখপাত্র জানান, শেষ মুহূর্তে কিছু প্রতিবন্ধকতার কারণে চুক্তি স্বাক্ষরে কিছুটা দেরি হয়। তবে সমস্যাটি কী ছিল, তা তিনি উল্লেখ করেননি। সন্ধ্যা ছয়টায় চুক্তি স্বাক্ষরের সময়সূচি নির্ধারিত হলেও তা দুই ঘণ্টারও বেশি বিলম্বিত হয়।
শাদে খার্তুম সরকার ও জেইএমের প্রতিনিধিরা গত শনিবার ‘অস্ত্রবিরতি’ ঘোষণা-সংবলিত চুক্তির একটি রূপরেখায় স্বাক্ষর করেন। বিদ্রোহীদের সহায়তার জন্য দীর্ঘদিন ধরে শাদকে অভিযুক্ত করে আসছিল খার্তুম। অন্যদিকে শাদের অভিযোগ, সুদান তার নিজস্ব বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে সহায়তা দিচ্ছে। তবে চলতি মাসে খার্তুমে উভয় দেশের নেতারা সমঝোতায় পৌঁছান, যা দারফুর চুক্তির ক্ষেত্র প্রস্তুত করে দেয়।
১২টি ধারাযুক্ত ওই চুক্তিতে দারফুরের শীর্ষ সশস্ত্র বিদ্রোহী দল জেইএমকে সুদানে ক্ষমতার ভাগাভাগিতে ভূমিকা রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। গত ২৪ বছরের মধ্যে আগামী এপ্রিলে সুদানে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট ও আইনসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
চুক্তির ৩ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ক্ষমতার সব পর্যায়ে জেইএমের অংশগ্রহণের ব্যাপারে সুদানের সরকার ও জেইএমের মধ্যে ঐকমত্য হয়েছে। চতুর্থ ধারায় বলা হয়েছে, শিগগিরই একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে জেইএমের আত্মপ্রকাশ এবং ১৫ মার্চ নাগাদ চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার ব্যাপারে উভয় পক্ষের মধ্যে মতৈক্য হয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী, দারফুরে ২০০৩ সালে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় তিন লাখ লোক নিহত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে ২৭ লাখ লোক। তবে সুদানের দাবি, সহিংসতায় ১০ হাজার লোকের প্রাণহানি ঘটেছে।
এদিকে নির্বাসিত আবদেল ওয়াহিদ নূরের ফ্রান্সভিত্তিক সুদানিজ লিবারেশন আর্মির মতো ছোট ছোট বিদ্রোহী দল খার্তুমের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। উপদলগুলোর অন্যতম ‘জেইএম ডেমোক্রেসি’ চুক্তিটিকে ‘পক্ষপাতমূলক’ হিসেবে বর্ণনা করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
গত সোমবার সুদানের প্রেসিডেন্ট বলেন, অস্ত্রবিরতিচুক্তির মাধ্যমে দারফুরে ‘যুদ্ধের অবসান’ ঘটেছে। তিনি এপ্রিলে নির্বাচনের আগে ব্যাপকভিত্তিক শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ওয়াশিংটন ওই চুক্তিকে ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ হিসেবে বর্ণনা করে প্রশংসা করেছে। ব্রিটেনও এ চুক্তিকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
গত মঙ্গলবার ‘লিবারেশন মুভমেন্ট ফর জাস্টিস’ নামে একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চারটি দলের সমন্বয়ে গঠিত ওই নতুন সংগঠনের নেতারা খার্তুমের সঙ্গে একটি চুক্তিতে উপনীত হওয়ার ব্যাপারেও আশা প্রকাশ করেছে।
বান কি মুনের অভিনন্দন
সুদান ও দারফুরের প্রধান বিদ্রোহী গোষ্ঠী শান্তিচুক্তিতে উপনীত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন। তিনি শান্তিচুক্তির রূপরেখাকে ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের এক বিবৃতিতে বলা হয়, মহাসচিব দারফুর সংঘাত সমাধানে সুদান সরকার ও জেইএমের মধ্যে মঙ্গলবার দোহায় স্বাক্ষরিত ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট ফর দ্য রেজ্যুলেশনকে স্বাগত জানিয়েছেন।
জাস্টিস ও ইকুয়ালিটি মুভমেন্ট (জেইএম) নেতা খলিল ইব্রাহিম বলেন, তিনি ও সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশির একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন, যা মধ্যরাত থেকে কার্যকর হবে।
কাতারের আমির শেখ হামাদ বিন খলিফা আল-থানির আমন্ত্রণে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে শাদের প্রেসিডেন্ট ইদ্রিস দেবাই ইতনো ও ইরিত্রিয়ার প্রেসিডেন্ট ইসাইয়াস আফেওরকি উপস্থিত ছিলেন।
জেইএমের এক মুখপাত্র জানান, শেষ মুহূর্তে কিছু প্রতিবন্ধকতার কারণে চুক্তি স্বাক্ষরে কিছুটা দেরি হয়। তবে সমস্যাটি কী ছিল, তা তিনি উল্লেখ করেননি। সন্ধ্যা ছয়টায় চুক্তি স্বাক্ষরের সময়সূচি নির্ধারিত হলেও তা দুই ঘণ্টারও বেশি বিলম্বিত হয়।
শাদে খার্তুম সরকার ও জেইএমের প্রতিনিধিরা গত শনিবার ‘অস্ত্রবিরতি’ ঘোষণা-সংবলিত চুক্তির একটি রূপরেখায় স্বাক্ষর করেন। বিদ্রোহীদের সহায়তার জন্য দীর্ঘদিন ধরে শাদকে অভিযুক্ত করে আসছিল খার্তুম। অন্যদিকে শাদের অভিযোগ, সুদান তার নিজস্ব বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে সহায়তা দিচ্ছে। তবে চলতি মাসে খার্তুমে উভয় দেশের নেতারা সমঝোতায় পৌঁছান, যা দারফুর চুক্তির ক্ষেত্র প্রস্তুত করে দেয়।
১২টি ধারাযুক্ত ওই চুক্তিতে দারফুরের শীর্ষ সশস্ত্র বিদ্রোহী দল জেইএমকে সুদানে ক্ষমতার ভাগাভাগিতে ভূমিকা রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। গত ২৪ বছরের মধ্যে আগামী এপ্রিলে সুদানে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট ও আইনসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
চুক্তির ৩ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ক্ষমতার সব পর্যায়ে জেইএমের অংশগ্রহণের ব্যাপারে সুদানের সরকার ও জেইএমের মধ্যে ঐকমত্য হয়েছে। চতুর্থ ধারায় বলা হয়েছে, শিগগিরই একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে জেইএমের আত্মপ্রকাশ এবং ১৫ মার্চ নাগাদ চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার ব্যাপারে উভয় পক্ষের মধ্যে মতৈক্য হয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী, দারফুরে ২০০৩ সালে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় তিন লাখ লোক নিহত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে ২৭ লাখ লোক। তবে সুদানের দাবি, সহিংসতায় ১০ হাজার লোকের প্রাণহানি ঘটেছে।
এদিকে নির্বাসিত আবদেল ওয়াহিদ নূরের ফ্রান্সভিত্তিক সুদানিজ লিবারেশন আর্মির মতো ছোট ছোট বিদ্রোহী দল খার্তুমের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। উপদলগুলোর অন্যতম ‘জেইএম ডেমোক্রেসি’ চুক্তিটিকে ‘পক্ষপাতমূলক’ হিসেবে বর্ণনা করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
গত সোমবার সুদানের প্রেসিডেন্ট বলেন, অস্ত্রবিরতিচুক্তির মাধ্যমে দারফুরে ‘যুদ্ধের অবসান’ ঘটেছে। তিনি এপ্রিলে নির্বাচনের আগে ব্যাপকভিত্তিক শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ওয়াশিংটন ওই চুক্তিকে ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ হিসেবে বর্ণনা করে প্রশংসা করেছে। ব্রিটেনও এ চুক্তিকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
গত মঙ্গলবার ‘লিবারেশন মুভমেন্ট ফর জাস্টিস’ নামে একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চারটি দলের সমন্বয়ে গঠিত ওই নতুন সংগঠনের নেতারা খার্তুমের সঙ্গে একটি চুক্তিতে উপনীত হওয়ার ব্যাপারেও আশা প্রকাশ করেছে।
বান কি মুনের অভিনন্দন
সুদান ও দারফুরের প্রধান বিদ্রোহী গোষ্ঠী শান্তিচুক্তিতে উপনীত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন। তিনি শান্তিচুক্তির রূপরেখাকে ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের এক বিবৃতিতে বলা হয়, মহাসচিব দারফুর সংঘাত সমাধানে সুদান সরকার ও জেইএমের মধ্যে মঙ্গলবার দোহায় স্বাক্ষরিত ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট ফর দ্য রেজ্যুলেশনকে স্বাগত জানিয়েছেন।
No comments