দেশের ২৩ আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে পরিশোধিত মূলধন ঘাটতি এ বছরই মেটাতে হবে
এ বছরের মধ্যে দেশের ২৩টি অব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটি টাকায় উন্নীত করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রস্তুত করা ২০০৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত উপাত্ত বিশ্লেষণে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ১৬ ফেব্রুয়ারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধির সময়সীমা বাড়ানোর দাবি প্রত্যাখ্যাত হয়। অব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সমিতি বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন সময়সীমা ২০১১ সালের জুন পর্যন্ত, অর্থাত্ ছয় মাস বাড়ানোর দাবি করেছিল।
দাবি প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় আট মাসের মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোর বড় অঙ্কের টাকা পরিশোধিত মূলধন খাতে জোগান দিতে হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উপাত্তে দেখা যায়, দেশের ২৯টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ছয়টির পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা বা এর বেশি রয়েছে। এগুলো হলো ইডকল, আইপিডিসি, ন্যাশনাল হাউজিং, পিপলস লিজিং, প্রাইম ফাইন্যান্স ও সাবিনকো। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ যথাক্রমে ৬৬ কোটি টাকা, ৭৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, ৫২ কোটি টাকা, ৭২ কোটি সাত লাখ টাকা, ৬৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ও ২১০ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
বাকি ২৯টি প্রতিষ্ঠানেরই পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটি টাকার চেয়ে কম। এ বছরের মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঘাটতি-অর্থ পুনর্ভরণ করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, আট মাসের মধ্যে বে লিজিংকে ২৯ কোটি ৬০ লাখ টাকার তহবিল জোগাতে হবে পরিশোধিত মূলধন হিসেবে। বিএফআইসিকে ১৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা, বিআইএফসিকে ১৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, ডিবিএইচ ফাইন্যান্সকে নয় কোটি ৬৩ লাখ টাকা, ফারইস্ট ফাইন্যান্সকে ৩০ কোটি ৪২ লাখ টাকা, ফিডেলিটি অ্যাসেটকে ১০ কোটি ৯৩ লাখ টাকা, ফার্স্ট লিজিং ইন্টারন্যাশনালকে ২৭ কোটি টাকা, জিএসপি ফাইন্যান্সকে ২৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা, হজ ফাইন্যান্স কোম্পানিকে ৩৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা, আইডিএলসিকে ২০ কোটি টাকা, আইআইডিএফসিকে ১৭ কোটি ১২ লাখ টাকা, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংকে ২০ কোটি ৯০ লাখ টাকা, ইসলামিক ফাইন্যান্সকে ১৮ কোটি ১২ লাখ টাকা, লংকা-বাংলা ফাইন্যান্সকে ৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা, মাইডাস ফাইন্যান্সকে ১৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা, ন্যাশনাল ফাইন্যান্সকে ২৫ কোটি টাকা, ফিনিক্স লিজিংকে ১৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, প্রিমিয়ার লিজিংকে ১২ কোটি ২৫ লাখ টাকা, রিলায়েন্স ফাইন্যান্সকে ১৫ কোটি টাকা, দি ইউএই বিডিকে ৩৪ কোটি ২২ লাখ টাকা, ইউএলসিএলকে ২৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা, ইউনিয়ন ক্যাপিটালকে ৮ কোটি ১৭ লাখ টাকা এবং উত্তরা ফাইন্যান্সকে ১৮ কোটি ৩২ লাখ টাকার তহবিল জোগাড় করতে হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিধিতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটি টাকায় উন্নীত করতে কয়েক ধরনের পদক্ষেপের কথা বলা আছে। অব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলো এখন এর যেকোনো এক বা একাধিক পথ অনুসরণ করতে পারে।
আইপিও বা রাইট শেয়ার ইস্যু বা বোনাস শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করা অথবা একাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান একীভূত হওয়ার মাধ্যমে পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটি টাকায় উন্নীত করা যাবে।
পরিশোধিত মূলধনের ঘাটতি থাকা অবস্থায় কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান নগদ লভ্যাংশ দিতে পারবে না বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিধিনিষেধ রয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রগুলো বলছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক ভিত্তি শক্তিশালী করতে পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়।
বিশ্বের নামীদামি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো দেউলিয়া হয়ে পড়ায় মূলত বিশ্বব্যাপী সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করে, বিশ্বব্যাপী এই বিপর্যয়ের প্রভাব মোকাবিলায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঝুঁকি-ব্যবস্থাপনা, সম্পদের গুণগত মান উন্নয়ন এবং দক্ষ দায়সম্পদ ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিবেচনাগুলো সামনে রেখে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটি টাকায় উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রগুলো বলছে, ব্যাংকিং মান-সংক্রান্ত ব্যাসেল কমিটির সুপারিশ (ব্যাসেল-২) এ ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন করতে গেলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিশোধিত মূলধন ভবিষ্যতে আরও বাড়াতে হবে। সে জন্য এ পর্যায়ে এসে সময় বৃদ্ধির দাবিকে তারা আমলে নেয়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ১৬ ফেব্রুয়ারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধির সময়সীমা বাড়ানোর দাবি প্রত্যাখ্যাত হয়। অব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সমিতি বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন সময়সীমা ২০১১ সালের জুন পর্যন্ত, অর্থাত্ ছয় মাস বাড়ানোর দাবি করেছিল।
দাবি প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় আট মাসের মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোর বড় অঙ্কের টাকা পরিশোধিত মূলধন খাতে জোগান দিতে হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উপাত্তে দেখা যায়, দেশের ২৯টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ছয়টির পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা বা এর বেশি রয়েছে। এগুলো হলো ইডকল, আইপিডিসি, ন্যাশনাল হাউজিং, পিপলস লিজিং, প্রাইম ফাইন্যান্স ও সাবিনকো। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ যথাক্রমে ৬৬ কোটি টাকা, ৭৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, ৫২ কোটি টাকা, ৭২ কোটি সাত লাখ টাকা, ৬৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ও ২১০ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
বাকি ২৯টি প্রতিষ্ঠানেরই পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটি টাকার চেয়ে কম। এ বছরের মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঘাটতি-অর্থ পুনর্ভরণ করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, আট মাসের মধ্যে বে লিজিংকে ২৯ কোটি ৬০ লাখ টাকার তহবিল জোগাতে হবে পরিশোধিত মূলধন হিসেবে। বিএফআইসিকে ১৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা, বিআইএফসিকে ১৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, ডিবিএইচ ফাইন্যান্সকে নয় কোটি ৬৩ লাখ টাকা, ফারইস্ট ফাইন্যান্সকে ৩০ কোটি ৪২ লাখ টাকা, ফিডেলিটি অ্যাসেটকে ১০ কোটি ৯৩ লাখ টাকা, ফার্স্ট লিজিং ইন্টারন্যাশনালকে ২৭ কোটি টাকা, জিএসপি ফাইন্যান্সকে ২৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা, হজ ফাইন্যান্স কোম্পানিকে ৩৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা, আইডিএলসিকে ২০ কোটি টাকা, আইআইডিএফসিকে ১৭ কোটি ১২ লাখ টাকা, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংকে ২০ কোটি ৯০ লাখ টাকা, ইসলামিক ফাইন্যান্সকে ১৮ কোটি ১২ লাখ টাকা, লংকা-বাংলা ফাইন্যান্সকে ৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা, মাইডাস ফাইন্যান্সকে ১৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা, ন্যাশনাল ফাইন্যান্সকে ২৫ কোটি টাকা, ফিনিক্স লিজিংকে ১৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, প্রিমিয়ার লিজিংকে ১২ কোটি ২৫ লাখ টাকা, রিলায়েন্স ফাইন্যান্সকে ১৫ কোটি টাকা, দি ইউএই বিডিকে ৩৪ কোটি ২২ লাখ টাকা, ইউএলসিএলকে ২৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা, ইউনিয়ন ক্যাপিটালকে ৮ কোটি ১৭ লাখ টাকা এবং উত্তরা ফাইন্যান্সকে ১৮ কোটি ৩২ লাখ টাকার তহবিল জোগাড় করতে হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিধিতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটি টাকায় উন্নীত করতে কয়েক ধরনের পদক্ষেপের কথা বলা আছে। অব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলো এখন এর যেকোনো এক বা একাধিক পথ অনুসরণ করতে পারে।
আইপিও বা রাইট শেয়ার ইস্যু বা বোনাস শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করা অথবা একাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান একীভূত হওয়ার মাধ্যমে পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটি টাকায় উন্নীত করা যাবে।
পরিশোধিত মূলধনের ঘাটতি থাকা অবস্থায় কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান নগদ লভ্যাংশ দিতে পারবে না বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিধিনিষেধ রয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রগুলো বলছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক ভিত্তি শক্তিশালী করতে পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়।
বিশ্বের নামীদামি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো দেউলিয়া হয়ে পড়ায় মূলত বিশ্বব্যাপী সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করে, বিশ্বব্যাপী এই বিপর্যয়ের প্রভাব মোকাবিলায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঝুঁকি-ব্যবস্থাপনা, সম্পদের গুণগত মান উন্নয়ন এবং দক্ষ দায়সম্পদ ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিবেচনাগুলো সামনে রেখে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটি টাকায় উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রগুলো বলছে, ব্যাংকিং মান-সংক্রান্ত ব্যাসেল কমিটির সুপারিশ (ব্যাসেল-২) এ ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন করতে গেলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিশোধিত মূলধন ভবিষ্যতে আরও বাড়াতে হবে। সে জন্য এ পর্যায়ে এসে সময় বৃদ্ধির দাবিকে তারা আমলে নেয়নি।
No comments