শেখ হাসিনার ‘সিংহাসন’ প্রত্যাখ্যান ক্ষমতাধরদের মানসিকতা পরিবর্তনের বার্তা
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে গতি সঞ্চারের লক্ষ্যে দুই দিনের এক মেলার আয়োজন করা হয়েছিল ঢাকায়। গত মঙ্গলবার মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসনটি অলংকৃত না করে সংবাদ শিরোনাম হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পাঠক, ভাববেন না, প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত প্রধানমন্ত্রী ওই অনুষ্ঠানে যাননি। গিয়েছিলেন, কিন্তু মেলার আয়োজকেরা তাঁর জন্য যে আসনটি নির্ধারণ করেছিলেন, তিনি সেটিতে বসেননি। কারণ চেয়ারটি ছিল সিংহাসনের মতো। মনে হয়, অন্যান্য অতিথির জন্য রাখা আসনগুলোর চেয়ে ওই ‘সিংহাসন’কে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এমনই বিষম ও দৃষ্টিকটু ঠেকেছিল যে তিনি সেটি বদলে দিতে বলেন।
যে ঘটনা সচরাচর ঘটে না, যা অত্যন্ত বিরল, তা-ই খবর সৃষ্টি করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই ব্যতিক্রমী আচরণ সংবাদ শিরোনাম হয়েছে যথার্থ কারণেই। যে সমাজে ক্ষমতাধর পদাধিকারী ব্যক্তিদের মানসিকতায় সামন্তযুগীয় প্রভাব প্রবলভাবে রয়ে গেছে, যে দেশে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীরা নিজেদের রাজা-রানিদের মতো দেখেন, সেখানে শেখ হাসিনা ছোট্ট হলেও এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। তাঁর এই ব্যক্তিগত আচরণ দিনবদলের পক্ষে তাঁর সরকারের অঙ্গীকারের একটি ইঙ্গিতময় দৃষ্টান্ত হিসেবেও গণ্য হতে পারে।
আমাদের সমাজে ক্ষমতা ও পদের অধিকারী ব্যক্তিদের চাটুকারিতা ও তোষামোদীর মানসিকতা অত্যন্ত প্রবল। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানেও দেখা যায় ক্ষমতাধর, উচ্চপদে আসীন বা সমাজের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের অতিরিক্ত সম্মানের আয়োজন—অভ্যর্থনার ধরনে, আসনের ব্যবস্থায়। দেখা যায়, সমাজের অনেক বর্ষীয়ান জ্যেষ্ঠ নাগরিকের পাশে অপেক্ষাকৃত কম বয়সী কিন্তু একজন ক্ষমতাধর ব্যক্তির জন্য বিশেষ আসনের ব্যবস্থা করা হয়। এবং ক্ষমতাধর অতিথি ওই আসনে বসতে একটুও অস্বস্তি বোধ করেন না; বরং জ্যেষ্ঠ, ক্ষমতাহীন নাগরিকদের মধ্যে নিজেকে আলাদা উচ্চ আসনে আসীন দেখতে পেয়ে শ্লাঘা বোধ করেন। বয়স্ক বা মুরব্বিদের শ্রদ্ধা-সমীহ করার যে চিরায়ত সংস্কৃতি আমাদের সমাজের ঐতিহ্য, তার ব্যত্যয় ঘটে ক্ষমতা ও পদের ক্ষেত্রে। আসলে, সম্মান বা শ্রদ্ধা প্রকাশের আড়ালে এটাও ক্ষমতাবানের তোষামোদী, একধরনের উদ্দেশ্যমূলক মেকি আচরণ। এর কারণও বোধহয় এই যে, ক্ষমতাধরেরা তোষামোদী পছন্দ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেদিনের ‘সিংহাসন’ প্রত্যাখ্যানের ঘটনায় বিভিন্ন পর্যায়ে ক্ষমতাবান ও পদাধিকারী ব্যক্তিরা কি মানসিকতা পরিবর্তনের বার্তা শুনতে পান?
পাঠক, ভাববেন না, প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত প্রধানমন্ত্রী ওই অনুষ্ঠানে যাননি। গিয়েছিলেন, কিন্তু মেলার আয়োজকেরা তাঁর জন্য যে আসনটি নির্ধারণ করেছিলেন, তিনি সেটিতে বসেননি। কারণ চেয়ারটি ছিল সিংহাসনের মতো। মনে হয়, অন্যান্য অতিথির জন্য রাখা আসনগুলোর চেয়ে ওই ‘সিংহাসন’কে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এমনই বিষম ও দৃষ্টিকটু ঠেকেছিল যে তিনি সেটি বদলে দিতে বলেন।
যে ঘটনা সচরাচর ঘটে না, যা অত্যন্ত বিরল, তা-ই খবর সৃষ্টি করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই ব্যতিক্রমী আচরণ সংবাদ শিরোনাম হয়েছে যথার্থ কারণেই। যে সমাজে ক্ষমতাধর পদাধিকারী ব্যক্তিদের মানসিকতায় সামন্তযুগীয় প্রভাব প্রবলভাবে রয়ে গেছে, যে দেশে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীরা নিজেদের রাজা-রানিদের মতো দেখেন, সেখানে শেখ হাসিনা ছোট্ট হলেও এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। তাঁর এই ব্যক্তিগত আচরণ দিনবদলের পক্ষে তাঁর সরকারের অঙ্গীকারের একটি ইঙ্গিতময় দৃষ্টান্ত হিসেবেও গণ্য হতে পারে।
আমাদের সমাজে ক্ষমতা ও পদের অধিকারী ব্যক্তিদের চাটুকারিতা ও তোষামোদীর মানসিকতা অত্যন্ত প্রবল। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানেও দেখা যায় ক্ষমতাধর, উচ্চপদে আসীন বা সমাজের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের অতিরিক্ত সম্মানের আয়োজন—অভ্যর্থনার ধরনে, আসনের ব্যবস্থায়। দেখা যায়, সমাজের অনেক বর্ষীয়ান জ্যেষ্ঠ নাগরিকের পাশে অপেক্ষাকৃত কম বয়সী কিন্তু একজন ক্ষমতাধর ব্যক্তির জন্য বিশেষ আসনের ব্যবস্থা করা হয়। এবং ক্ষমতাধর অতিথি ওই আসনে বসতে একটুও অস্বস্তি বোধ করেন না; বরং জ্যেষ্ঠ, ক্ষমতাহীন নাগরিকদের মধ্যে নিজেকে আলাদা উচ্চ আসনে আসীন দেখতে পেয়ে শ্লাঘা বোধ করেন। বয়স্ক বা মুরব্বিদের শ্রদ্ধা-সমীহ করার যে চিরায়ত সংস্কৃতি আমাদের সমাজের ঐতিহ্য, তার ব্যত্যয় ঘটে ক্ষমতা ও পদের ক্ষেত্রে। আসলে, সম্মান বা শ্রদ্ধা প্রকাশের আড়ালে এটাও ক্ষমতাবানের তোষামোদী, একধরনের উদ্দেশ্যমূলক মেকি আচরণ। এর কারণও বোধহয় এই যে, ক্ষমতাধরেরা তোষামোদী পছন্দ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেদিনের ‘সিংহাসন’ প্রত্যাখ্যানের ঘটনায় বিভিন্ন পর্যায়ে ক্ষমতাবান ও পদাধিকারী ব্যক্তিরা কি মানসিকতা পরিবর্তনের বার্তা শুনতে পান?
No comments