নিষিদ্ধ নোটবই ও গাইড উচ্চ আদালতের রায়ের বাস্তবায়নই কাম্য
অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত নোটবই ও গাইডের ওপর সরকারের নিষেধাজ্ঞা যে সঠিক ছিল, সর্বোচ্চ আদালতের রায়েও তা প্রমাণিত হলো। ১৯৮০ সালে জাতীয় সংসদে এ-সংক্রান্ত একটি আইন পাস হলেও এর যথাযথ প্রয়োগ সম্ভব হয়নি। ২০০৭ সালের ১০ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) অনুমতি ছাড়া কেউ নোটবই ও গাইড ছাপতে পারবে না। এ আদেশ কার্যকর করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত গঠনেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট করলে তা নাকচ হয়ে যায়। প্রথমে হাইকোর্ট এবং সবশেষে গত বুধবার আপিল বিভাগের রায়ে সরকারের আদেশই বহাল রাখা হয়।
এটি দেশের লাখ লাখ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের জন্য সুখবর। নোটবই ও গাইডের বাড়তি বোঝা তাদের বইতে হবে না। তবে আইন পাস হওয়ার পরও বাজারে দেদার নোটবই ও গাইড বিক্রি হওয়া দুঃখজনক। এ জন্য প্রশাসক ও বিক্রেতারা যেমন দায়ী তেমনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনসিটিবিও দায় এড়াতে পারবে না। নোটবই ও গাইড ছাপার কারণে শিক্ষার্থীদের কাছে সময়মতো পাঠ্যবই পৌঁছানো যাচ্ছে না বলে যে যুক্তি দেখানো হয়েছে, তা আংশিক সত্য। প্রথমত, সব প্রকাশক পাঠ্যবই ছাপেন না; দ্বিতীয়ত, নোটবই ও গাইড ছাপা বন্ধ হলেই যে সময়মতো শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যবই পৌঁছাবে, তার নিশ্চয়তা কী?
সম্প্রতি এনসিটিবির গুদামে সাত কোটি টাকার বই পুড়ে যাওয়ার পেছনে মহলবিশেষের ষড়যন্ত্র ছিল বলে তদন্ত কমিটি জানিয়েছে। দায়ী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে এ ধরনের অন্তর্ঘাত চলতেই থাকবে। প্রতিবছর পাঠ্যবই ছাপা নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগও কম হয়নি। কিন্তু সমস্যাটি যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই রয়ে গেছে। শিক্ষামন্ত্রী বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যবই পৌঁছানোর যে আশ্বাস দিয়েছেন, তা বাস্তবায়ন করতে হলে এখনই মুদ্রণকাজ শেষ করতে হবে।
প্রতিবছর পাঠ্যবই নিয়ে যে কেলেঙ্কারি ঘটে, এবার তার পুনরাবৃত্তি হবে না বলেই আমাদের বিশ্বাস। নোটবই ও গাইড বন্ধ নিয়ে অনেক কথা হয়েছে, আদেশ জারি হয়েছে। কিন্তু কেন নোটবই ও গাইড বন্ধ করা যায়নি, সেটি খতিয়ে দেখা হয়নি। প্রাথমিক ও নিম্নমাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠক্রম, পাঠ্যবই ও পরীক্ষার পদ্ধতি এমনভাবে সাজাতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা নোটবই ও গাইডের প্রতি আগ্রহী না হয়। এ ক্ষেত্রে শিক্ষকদেরই অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। তাঁরা যদি ঠিকমতো ক্লাস নেন এবং শিক্ষার্থীদের পাঠ গ্রহণ নিশ্চিত করেন, তাহলে শিক্ষার্থীরা নোটবই ও গাইডের প্রতি ঝুঁকবে না।
সরকার নোটবই ও গাইডের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তা বহাল রাখার পাশাপাশি শিক্ষাক্রম, পাঠ্যবই ও পরীক্ষার পদ্ধতিতেও আমূল পরিবর্তন আনতে হবে। সৃজনশীল প্রশ্ন নিয়ে কিছু বিতর্ক উঠলেও এটিই হতে পারে কার্যকর পদক্ষেপ। পাঠক্রম ও পাঠ্যবই নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। অনেক সময় অনভিজ্ঞ লেখকদের দিয়ে যেসব বই লেখানো হয়, তা শিক্ষার্থীদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করে না। শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রয়োজন যোগ্য শিক্ষক, উপযুক্ত পাঠক্রম এবং মানসম্মত পাঠ্যবই। আইনি নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি সরকার এসবের প্রতি অধিক নজর দিলে নোটবই ও গাইড বন্ধ হয়ে যাবে।
এটি দেশের লাখ লাখ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের জন্য সুখবর। নোটবই ও গাইডের বাড়তি বোঝা তাদের বইতে হবে না। তবে আইন পাস হওয়ার পরও বাজারে দেদার নোটবই ও গাইড বিক্রি হওয়া দুঃখজনক। এ জন্য প্রশাসক ও বিক্রেতারা যেমন দায়ী তেমনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনসিটিবিও দায় এড়াতে পারবে না। নোটবই ও গাইড ছাপার কারণে শিক্ষার্থীদের কাছে সময়মতো পাঠ্যবই পৌঁছানো যাচ্ছে না বলে যে যুক্তি দেখানো হয়েছে, তা আংশিক সত্য। প্রথমত, সব প্রকাশক পাঠ্যবই ছাপেন না; দ্বিতীয়ত, নোটবই ও গাইড ছাপা বন্ধ হলেই যে সময়মতো শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যবই পৌঁছাবে, তার নিশ্চয়তা কী?
সম্প্রতি এনসিটিবির গুদামে সাত কোটি টাকার বই পুড়ে যাওয়ার পেছনে মহলবিশেষের ষড়যন্ত্র ছিল বলে তদন্ত কমিটি জানিয়েছে। দায়ী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে এ ধরনের অন্তর্ঘাত চলতেই থাকবে। প্রতিবছর পাঠ্যবই ছাপা নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগও কম হয়নি। কিন্তু সমস্যাটি যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই রয়ে গেছে। শিক্ষামন্ত্রী বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যবই পৌঁছানোর যে আশ্বাস দিয়েছেন, তা বাস্তবায়ন করতে হলে এখনই মুদ্রণকাজ শেষ করতে হবে।
প্রতিবছর পাঠ্যবই নিয়ে যে কেলেঙ্কারি ঘটে, এবার তার পুনরাবৃত্তি হবে না বলেই আমাদের বিশ্বাস। নোটবই ও গাইড বন্ধ নিয়ে অনেক কথা হয়েছে, আদেশ জারি হয়েছে। কিন্তু কেন নোটবই ও গাইড বন্ধ করা যায়নি, সেটি খতিয়ে দেখা হয়নি। প্রাথমিক ও নিম্নমাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠক্রম, পাঠ্যবই ও পরীক্ষার পদ্ধতি এমনভাবে সাজাতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা নোটবই ও গাইডের প্রতি আগ্রহী না হয়। এ ক্ষেত্রে শিক্ষকদেরই অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। তাঁরা যদি ঠিকমতো ক্লাস নেন এবং শিক্ষার্থীদের পাঠ গ্রহণ নিশ্চিত করেন, তাহলে শিক্ষার্থীরা নোটবই ও গাইডের প্রতি ঝুঁকবে না।
সরকার নোটবই ও গাইডের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তা বহাল রাখার পাশাপাশি শিক্ষাক্রম, পাঠ্যবই ও পরীক্ষার পদ্ধতিতেও আমূল পরিবর্তন আনতে হবে। সৃজনশীল প্রশ্ন নিয়ে কিছু বিতর্ক উঠলেও এটিই হতে পারে কার্যকর পদক্ষেপ। পাঠক্রম ও পাঠ্যবই নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। অনেক সময় অনভিজ্ঞ লেখকদের দিয়ে যেসব বই লেখানো হয়, তা শিক্ষার্থীদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করে না। শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রয়োজন যোগ্য শিক্ষক, উপযুক্ত পাঠক্রম এবং মানসম্মত পাঠ্যবই। আইনি নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি সরকার এসবের প্রতি অধিক নজর দিলে নোটবই ও গাইড বন্ধ হয়ে যাবে।
No comments