ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রস্তুত, আজ ৪৫তম সমাবর্তন
দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৫তম সমাবর্তন আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্রের খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল শুক্রবার সমাবর্তনে অংশ নিতে শিক্ষার্থীরা প্রস্তুতি নিয়েছেন। সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে উত্সবের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সমাবর্তনের পোশাক পরে দলে দলে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ছবি তুলতে দেখা গেছে। ডিগ্রি পাওয়ার আনন্দে উজ্জ্বল হয়েছে তাঁদের সবার চোখ-মুখ।
এবারের সমাবর্তন বক্তা ১৯৮৬ সালে রসায়নে নোবেল বিজয়ী ইমেরিটাস অধ্যাপক ইউয়ান টি. লি। তিনি তাইওয়ানের তাইপের জেনোমিক রিসার্স সেন্টারের ইনস্টিটিউট অব অ্যাটোমিক অ্যান্ড মলিকুলার সায়েন্সেসের একাডেমিয়া সিনিকার প্রেসিডেন্ট। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তাঁকে সম্মানসূচক ডক্টর অব সায়েন্স ডিগ্রি দেওয়া হবে।
এ ছাড়া সমাবর্তনে আরও দুজন বিশ্বখ্যাত অধ্যাপককে সম্মানসূচক ডিগ্রি দেওয়া হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সাবেক ছাত্র অধ্যাপক আবুল হুস্সামকে ‘সনো ফিল্টার’ উদ্ভাবনের জন্য সম্মানসূচক ডক্টর অব সায়েন্স এবং ভারতবর্ষের ইতিহাস চর্চার নতুন ধারার প্রবর্তক অধ্যাপক রণজিত্ গুহকে ডক্টর অব লিটারেচার ডিগ্রি দেওয়া হবে।
অধ্যাপক ইউয়ান টি. লি গতকাল শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম হোসেন ভবনে রসায়ন বিভাগ আয়োজিত ২৪তম মুকাররম হোসেন খন্দকার স্মারক বক্তৃতা দেন। মুকাররম হোসেন ছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ও রসায়নবিদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, অধ্যাপক তাজমেরী এস এ ইসলাম প্রমুখ।
এ বছর সমাবর্তন অনুষ্ঠান থেকে নয় হাজার ৫৮ জন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রির সনদ দেওয়া হবে। পরীক্ষায় অসামান্য ফলাফল করায় ৩৪ জনকে মোট ৪৩টি স্বর্ণপদক দেওয়া হবে।
সমাবর্তনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ক্যাম্পাসের প্রবেশপথে প্রহরা দিচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কে এম সাইফুল ইসলাম খান বলেন, যেকোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর। ওই সমাবর্তনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক অমর্ত্য সেনকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রিতে ভূষিত করা হয়। এরপর দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম সমাবর্তন যথাক্রমে ২০০১, ২০০৪, ২০০৭ এবং ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ১৯২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯২৪ সাল থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত প্রতিবছরই (সর্বমোট ২৪ বার) সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। ব্রিটিশ আমলে শেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৪৬ সালের ২১ নভেম্বর। পাকিস্তান আমলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ বার সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম সমাবর্তন হয়েছিল ১৯৪৮ সালের ২৪ মার্চ এবং শেষবার সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭০ সালের ৮ মার্চ।
গতকাল শুক্রবার সমাবর্তনে অংশ নিতে শিক্ষার্থীরা প্রস্তুতি নিয়েছেন। সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে উত্সবের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সমাবর্তনের পোশাক পরে দলে দলে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ছবি তুলতে দেখা গেছে। ডিগ্রি পাওয়ার আনন্দে উজ্জ্বল হয়েছে তাঁদের সবার চোখ-মুখ।
এবারের সমাবর্তন বক্তা ১৯৮৬ সালে রসায়নে নোবেল বিজয়ী ইমেরিটাস অধ্যাপক ইউয়ান টি. লি। তিনি তাইওয়ানের তাইপের জেনোমিক রিসার্স সেন্টারের ইনস্টিটিউট অব অ্যাটোমিক অ্যান্ড মলিকুলার সায়েন্সেসের একাডেমিয়া সিনিকার প্রেসিডেন্ট। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তাঁকে সম্মানসূচক ডক্টর অব সায়েন্স ডিগ্রি দেওয়া হবে।
এ ছাড়া সমাবর্তনে আরও দুজন বিশ্বখ্যাত অধ্যাপককে সম্মানসূচক ডিগ্রি দেওয়া হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সাবেক ছাত্র অধ্যাপক আবুল হুস্সামকে ‘সনো ফিল্টার’ উদ্ভাবনের জন্য সম্মানসূচক ডক্টর অব সায়েন্স এবং ভারতবর্ষের ইতিহাস চর্চার নতুন ধারার প্রবর্তক অধ্যাপক রণজিত্ গুহকে ডক্টর অব লিটারেচার ডিগ্রি দেওয়া হবে।
অধ্যাপক ইউয়ান টি. লি গতকাল শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম হোসেন ভবনে রসায়ন বিভাগ আয়োজিত ২৪তম মুকাররম হোসেন খন্দকার স্মারক বক্তৃতা দেন। মুকাররম হোসেন ছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ও রসায়নবিদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, অধ্যাপক তাজমেরী এস এ ইসলাম প্রমুখ।
এ বছর সমাবর্তন অনুষ্ঠান থেকে নয় হাজার ৫৮ জন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রির সনদ দেওয়া হবে। পরীক্ষায় অসামান্য ফলাফল করায় ৩৪ জনকে মোট ৪৩টি স্বর্ণপদক দেওয়া হবে।
সমাবর্তনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ক্যাম্পাসের প্রবেশপথে প্রহরা দিচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কে এম সাইফুল ইসলাম খান বলেন, যেকোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর। ওই সমাবর্তনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক অমর্ত্য সেনকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রিতে ভূষিত করা হয়। এরপর দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম সমাবর্তন যথাক্রমে ২০০১, ২০০৪, ২০০৭ এবং ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ১৯২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯২৪ সাল থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত প্রতিবছরই (সর্বমোট ২৪ বার) সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। ব্রিটিশ আমলে শেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৪৬ সালের ২১ নভেম্বর। পাকিস্তান আমলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ বার সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম সমাবর্তন হয়েছিল ১৯৪৮ সালের ২৪ মার্চ এবং শেষবার সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭০ সালের ৮ মার্চ।
No comments