‘রাজনীতির’ ব্যাপারে হাম্মামের হুঁশিয়ারি
এটি ছিল দক্ষিণ এশীয় ফুটবল ফেডারেশনের (সাফ) অভিষেক সভা। এখানেই নতুন নির্বাচিত সাফ কমিটি দায়িত্বভার গ্রহণ করল আনুষ্ঠানিকভাবে। আনুষ্ঠানিকতায় অলংকার ছিল এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) সভাপতি মোহাম্মদ বিন হাম্মামের উপস্থিতি। অভিষেক সভা বলেই হয়তো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে গৃহীত হয়েছে বেশ কিছু প্রস্তাব। সবই সাফের ভবিষ্যত্ পরিকল্পনাবিষয়ক। গত অক্টোবরে সাফের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর যা আগেই বলেছেন কাজী সালাউদ্দিন। কিন্তু মোহাম্মদ বিন হাম্মাম এই সভা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কাল যা বললেন, তা একটু অন্য রকম শোনাল।
হঠাত্ করেই ‘রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের’ প্রসঙ্গটি টেনে আনলেন এএফসি সভাপতি। ফুটবল ফেডারেশনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের ফল কী হয়, বাংলাদেশের মানুষ তা ভালো করেই জানে। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাতিল করে দিয়েছিল বাফুফের আগের নির্বাচিত কমিটি। তারপর ফিফা-এএফসি থেকে নেমে এসেছিল বহিষ্কারাদেশের খড়্গ। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের ওই কালো দাগটি বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাস থেকে কখনো মুছে ফেলা যাবে না। তবে ওই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশের ফুটবল তো ঠিক পথেই পা ফেলছিল। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত আরেকটি কমিটি এসেছে। যাতে সভাপতির পদ আলো করে আছেন দেশের ফুটবল ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় কাজী সালাউদ্দিন। তাহলে হঠাত্ করেই এই রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের প্রসঙ্গটি উঠল কেন?
রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বলতে হাম্মাম শুধু বাংলাদেশের প্রসঙ্গ তোলেননি, ইঙ্গিত করেছেন গোটা দক্ষিণ এশিয়ার দিকেই। এএফসি থেকে সাফকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়ার সঙ্গে নিত্যশুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে বাংলাদেশের ফুটবল উন্নয়নে সাহায্য করার ধারাটি অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে হাম্মাম বললেন, ‘আমি চাই না বাংলাদেশের ফুটবলে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ আসুক। এই অঞ্চলের ফুটবলের ওপরই কোনো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ চাইব না আমরা।’ বাফুফে ও সাফ সভাপতি সালাউদ্দিন, এএফসি সহসভাপতি মণিলাল ফার্নান্দো এবং সাফের নতুন সাধারণ সম্পাদক আলবার্তো কোলাসোকে পাশে নিয়ে বাংলাদেশের ফুটবলকে কী বার্তা দিতে চাইলেন হাম্মাম?
রাজধানীর এক হোটেলে আয়োজিত নবনির্বাচিত সাফের প্রথম সভায় যে প্রস্তাবগুলো এসেছে তা হলো, সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ চালু করা যাতে ইরান ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত মধ্য এশিয়ার দেশ যেমন উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান, কিরগিজস্তানের ক্লাবগুলোকে যুক্ত করার চেষ্টা থাকবে। যুব ফুটবলকে গুরুত্ব দিয়ে অনূর্ধ্ব-১৬ ও অনূর্ধ্ব-১৮ দক্ষিণ এশীয় প্রতিযোগিতার প্রবর্তন। সেই সঙ্গে দক্ষিণ এশীয় মহিলা ও দক্ষিণ এশীয় অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন। সাফের বিদায়ী সভাপতি গণেশ থাপা এই অঞ্চলের ফুটবলারদের অবাধে খেলার সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি প্রস্তাব করেছেন। যে প্রস্তাব পাস হলে সাফের আট দেশে ‘বিদেশি’ কোটায় খেলতে হবে না কোনো দক্ষিণ এশীয় ফুটবলারকে। সর্বশেষ প্রস্তাব ছিল সাফের গঠনতন্ত্রের সংশোধনীবিষয়ক। অন্যান্য আঞ্চলিক ফুটবল ফেডারেশনের গঠনতন্ত্র দেখে নতুন ও যুগোপযোগী একটি গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করবে সাফ। এসব প্রস্তাব সিদ্ধান্ত আকারে চূড়ান্ত হতে পারে আগামী ফেব্রুয়ারি কলম্বোতে অনুষ্ঠেয় সাফের পরবর্তী সভায়।
হঠাত্ করেই ‘রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের’ প্রসঙ্গটি টেনে আনলেন এএফসি সভাপতি। ফুটবল ফেডারেশনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের ফল কী হয়, বাংলাদেশের মানুষ তা ভালো করেই জানে। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাতিল করে দিয়েছিল বাফুফের আগের নির্বাচিত কমিটি। তারপর ফিফা-এএফসি থেকে নেমে এসেছিল বহিষ্কারাদেশের খড়্গ। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের ওই কালো দাগটি বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাস থেকে কখনো মুছে ফেলা যাবে না। তবে ওই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশের ফুটবল তো ঠিক পথেই পা ফেলছিল। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত আরেকটি কমিটি এসেছে। যাতে সভাপতির পদ আলো করে আছেন দেশের ফুটবল ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় কাজী সালাউদ্দিন। তাহলে হঠাত্ করেই এই রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের প্রসঙ্গটি উঠল কেন?
রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বলতে হাম্মাম শুধু বাংলাদেশের প্রসঙ্গ তোলেননি, ইঙ্গিত করেছেন গোটা দক্ষিণ এশিয়ার দিকেই। এএফসি থেকে সাফকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়ার সঙ্গে নিত্যশুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে বাংলাদেশের ফুটবল উন্নয়নে সাহায্য করার ধারাটি অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে হাম্মাম বললেন, ‘আমি চাই না বাংলাদেশের ফুটবলে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ আসুক। এই অঞ্চলের ফুটবলের ওপরই কোনো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ চাইব না আমরা।’ বাফুফে ও সাফ সভাপতি সালাউদ্দিন, এএফসি সহসভাপতি মণিলাল ফার্নান্দো এবং সাফের নতুন সাধারণ সম্পাদক আলবার্তো কোলাসোকে পাশে নিয়ে বাংলাদেশের ফুটবলকে কী বার্তা দিতে চাইলেন হাম্মাম?
রাজধানীর এক হোটেলে আয়োজিত নবনির্বাচিত সাফের প্রথম সভায় যে প্রস্তাবগুলো এসেছে তা হলো, সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ চালু করা যাতে ইরান ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত মধ্য এশিয়ার দেশ যেমন উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান, কিরগিজস্তানের ক্লাবগুলোকে যুক্ত করার চেষ্টা থাকবে। যুব ফুটবলকে গুরুত্ব দিয়ে অনূর্ধ্ব-১৬ ও অনূর্ধ্ব-১৮ দক্ষিণ এশীয় প্রতিযোগিতার প্রবর্তন। সেই সঙ্গে দক্ষিণ এশীয় মহিলা ও দক্ষিণ এশীয় অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন। সাফের বিদায়ী সভাপতি গণেশ থাপা এই অঞ্চলের ফুটবলারদের অবাধে খেলার সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি প্রস্তাব করেছেন। যে প্রস্তাব পাস হলে সাফের আট দেশে ‘বিদেশি’ কোটায় খেলতে হবে না কোনো দক্ষিণ এশীয় ফুটবলারকে। সর্বশেষ প্রস্তাব ছিল সাফের গঠনতন্ত্রের সংশোধনীবিষয়ক। অন্যান্য আঞ্চলিক ফুটবল ফেডারেশনের গঠনতন্ত্র দেখে নতুন ও যুগোপযোগী একটি গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করবে সাফ। এসব প্রস্তাব সিদ্ধান্ত আকারে চূড়ান্ত হতে পারে আগামী ফেব্রুয়ারি কলম্বোতে অনুষ্ঠেয় সাফের পরবর্তী সভায়।
No comments