বাজার তদারকি জোরদার ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ছাড়ার পরামর্শ
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেছেন, বর্তমান শেয়ারবাজারে ১৯৯৬ সালের ধসের পুনরাবৃত্তি ঘটবে—এ ধরনের চিন্তা নিতান্তই অবান্তর। কারণ বাজারের ব্যাপ্তি ও গভীরতা বাড়ার পাশাপাশি তদারকব্যবস্থা আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে।
আজিজুল ইসলাম বাজারের সাম্প্রতিক এ গতিশীলতা ধরে রাখা এবং যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বাজার তদারকি আরও জোরদার করা, নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়াতে এদের একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থার অধীনে নিয়ে আসা, চাহিদা ও সরবরাহের ভারসাম্যহীনতা কমাতে অতি দ্রুত রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বাজারে ছেড়ে দেওয়া। তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার শেয়ারবাজারে বাজার মূলধনে রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোর অংশ ৪০ ভাগের মতো। কিন্তু বাংলাদেশে তা পাঁচ শতাংশেরও কম।
রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ট্রেনিং একাডেমিতে পুঁজিবাজারবিষয়ক সাংবাদিকদের জন্য আয়োজিত এক কর্মশালায় অতিথি বক্তা হিসেবে বক্তব্যকালে গতকাল শনিবার তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যের সপক্ষে তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে বলেন, ১৯৯৬ সালের ২ জুলাই ডিএসইর সার্বিক সূচক ছিল মাত্র ৯৫৭ পয়েন্ট। কিন্তু একই বছরের ৫ নভেম্বর মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে সূচক প্রায় চার গুণ বেড়ে দাঁড়ায় তিন হাজার ৬৪৯ পয়েন্টে। তার পরই বাজারে হঠাত্ করে ধস নামে এবং তিন সপ্তাহের মধ্যে সূচক প্রায় ৬০০ পয়েন্ট কমে তিন হাজার ১৫ পয়েন্টে নেমে আসে। এ ধারা ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত চলতে থাকে। ওই বছরের ৩ মে সূচক সর্বনিম্ন ৪৬৩ পয়েন্টে নেমে যায়। এর পর থেকে সূচক ক্রমশ বাড়তে শুরু করে।
মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মোট সিকিউরিটিজের সংখ্যা ২৪১টি। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত যা বেড়ে ৪৩২টি হয়েছে। বাজার মূলধন ছয় হাজার কোটি টাকা থেকে ২০ গুণের বেশি বেড়ে এক লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। বার্ষিক লেনদেনের পরিমাণ আগে যেখানে চার হাজার কোটি টাকা ছিল, এখন তা ২০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া বাজারে সূচকের ওঠানামা স্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছে। প্রতিদিন সূচক এক শতাংশের বেশি ওঠানামা করে না। খুব কম সময়ই এটা তিন শতাংশের মতো হয়। এগুলোই বর্তমান বাজারের শক্তির উত্স। আর এ পরিবর্তনের পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হলো, বিনিয়োগকারীদের আস্থা যথেষ্ট বেড়েছে।
ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) এবং ডিএসই যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে। ডিএসইর সভাপতি রকিবুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে স্বাগত বক্তব্য দেন সিএমজেএফের সভাপতি জিয়াউর রহমান। এতে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসইসির নির্বাহী পরিচালক এ টি এম তারিকুজ্জামান, এবি ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর রহমান ও আইসিবির মহাব্যবস্থাপক ইফতেখার-উজ-জামান। কর্মশালা বিভিন্ন জাতীয় সংবাদপত্র ও সম্প্রচারমাধ্যমের প্রায় ৪০ জন সাংবাদিক অংশ নেন।
মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, বাজারের প্রতি আস্থার কারণেই বিনিয়োগকারীরা তিন হাজার সূচকের মনস্তাত্ত্বিক বাধা পেরিয়ে এসেছে। সূচক এখন তিন হাজার ২০০ পয়েন্টের আশপাশে থাকছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির শেয়ার বাজারে ছাড়ার বিষয়ে নীতিনির্ধারকদের হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে সাবেক অর্থ উপদেষ্টা বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনেক সময় বাজারে শেয়ার ছাড়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ান। কারণ তাঁরা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাকে ভয় পান। তিনি বলেন, বাজারে শেয়ার ছাড়া হলে কোম্পানির ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকবে না এমন ভুল ধারণাও একটি বড় বাধা। কিন্তু সরকার চাইলে ৭৫ ভাগ শেয়ার বিক্রি করে দিয়েও সংশ্লিষ্ট কোম্পানিতে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা সম্ভব।
নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দ্রুত একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থার অধীনে নিয়ে আসার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তালিকাভুক্ত অনেক কোম্পানির বার্ষিক হিসাব বিবরণী বস্তুনিষ্ঠ নয়। নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তায় এরা নানা কৌশলে প্রকৃত মুনাফা আড়াল করে। এই প্রবণতা বন্ধ করতে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়ানো জরুরি। এ ছাড়া বাজারে দক্ষ জনবল বাড়াতে শিগগিরই ক্যাপিটাল মার্কেট ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম শুরু করার তাগিদ দেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি, ব্যাংক আমানতের সুদহার হ্রাস, ব্যাংকে বিপুল উদ্বৃত্ত তারল্য, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে বাজারের গতিশীলতা বেড়েছে। তারল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শেয়ার সরবরাহ না বাড়ায় কিছু শেয়ারের মূল্য অযৌক্তিকরকম বেড়ে গেছে।
রকিবুর রহমান বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির শেয়ার ছেড়ে রাষ্ট্রের এসব সম্পদের সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়ানো যায়। এ ছাড়া সরকার ব্যাংক ও দাতাদের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ না নিয়ে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাড়াতে পারে। তিনি বলেন, সবার সম্মিলিত চেষ্টায় পুঁজিবাজারে নতুন যে গতির সঞ্চার করা হয়েছে, সরকার তা কাজে লাগানোর উদ্যোগ না নিলে সেটি হবে বড় দুর্ভাগ্যের বিষয়। বিদ্যুত্ উন্নয়ন প্রকল্পে বাজারকে ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হলে ‘গ্রিনফিল্ডের’ সুযোগ দেওয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
আজিজুল ইসলাম বাজারের সাম্প্রতিক এ গতিশীলতা ধরে রাখা এবং যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বাজার তদারকি আরও জোরদার করা, নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়াতে এদের একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থার অধীনে নিয়ে আসা, চাহিদা ও সরবরাহের ভারসাম্যহীনতা কমাতে অতি দ্রুত রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বাজারে ছেড়ে দেওয়া। তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার শেয়ারবাজারে বাজার মূলধনে রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোর অংশ ৪০ ভাগের মতো। কিন্তু বাংলাদেশে তা পাঁচ শতাংশেরও কম।
রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ট্রেনিং একাডেমিতে পুঁজিবাজারবিষয়ক সাংবাদিকদের জন্য আয়োজিত এক কর্মশালায় অতিথি বক্তা হিসেবে বক্তব্যকালে গতকাল শনিবার তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যের সপক্ষে তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে বলেন, ১৯৯৬ সালের ২ জুলাই ডিএসইর সার্বিক সূচক ছিল মাত্র ৯৫৭ পয়েন্ট। কিন্তু একই বছরের ৫ নভেম্বর মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে সূচক প্রায় চার গুণ বেড়ে দাঁড়ায় তিন হাজার ৬৪৯ পয়েন্টে। তার পরই বাজারে হঠাত্ করে ধস নামে এবং তিন সপ্তাহের মধ্যে সূচক প্রায় ৬০০ পয়েন্ট কমে তিন হাজার ১৫ পয়েন্টে নেমে আসে। এ ধারা ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত চলতে থাকে। ওই বছরের ৩ মে সূচক সর্বনিম্ন ৪৬৩ পয়েন্টে নেমে যায়। এর পর থেকে সূচক ক্রমশ বাড়তে শুরু করে।
মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মোট সিকিউরিটিজের সংখ্যা ২৪১টি। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত যা বেড়ে ৪৩২টি হয়েছে। বাজার মূলধন ছয় হাজার কোটি টাকা থেকে ২০ গুণের বেশি বেড়ে এক লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। বার্ষিক লেনদেনের পরিমাণ আগে যেখানে চার হাজার কোটি টাকা ছিল, এখন তা ২০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া বাজারে সূচকের ওঠানামা স্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছে। প্রতিদিন সূচক এক শতাংশের বেশি ওঠানামা করে না। খুব কম সময়ই এটা তিন শতাংশের মতো হয়। এগুলোই বর্তমান বাজারের শক্তির উত্স। আর এ পরিবর্তনের পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হলো, বিনিয়োগকারীদের আস্থা যথেষ্ট বেড়েছে।
ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) এবং ডিএসই যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে। ডিএসইর সভাপতি রকিবুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে স্বাগত বক্তব্য দেন সিএমজেএফের সভাপতি জিয়াউর রহমান। এতে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসইসির নির্বাহী পরিচালক এ টি এম তারিকুজ্জামান, এবি ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর রহমান ও আইসিবির মহাব্যবস্থাপক ইফতেখার-উজ-জামান। কর্মশালা বিভিন্ন জাতীয় সংবাদপত্র ও সম্প্রচারমাধ্যমের প্রায় ৪০ জন সাংবাদিক অংশ নেন।
মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, বাজারের প্রতি আস্থার কারণেই বিনিয়োগকারীরা তিন হাজার সূচকের মনস্তাত্ত্বিক বাধা পেরিয়ে এসেছে। সূচক এখন তিন হাজার ২০০ পয়েন্টের আশপাশে থাকছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির শেয়ার বাজারে ছাড়ার বিষয়ে নীতিনির্ধারকদের হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে সাবেক অর্থ উপদেষ্টা বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনেক সময় বাজারে শেয়ার ছাড়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ান। কারণ তাঁরা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাকে ভয় পান। তিনি বলেন, বাজারে শেয়ার ছাড়া হলে কোম্পানির ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকবে না এমন ভুল ধারণাও একটি বড় বাধা। কিন্তু সরকার চাইলে ৭৫ ভাগ শেয়ার বিক্রি করে দিয়েও সংশ্লিষ্ট কোম্পানিতে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা সম্ভব।
নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দ্রুত একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থার অধীনে নিয়ে আসার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তালিকাভুক্ত অনেক কোম্পানির বার্ষিক হিসাব বিবরণী বস্তুনিষ্ঠ নয়। নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তায় এরা নানা কৌশলে প্রকৃত মুনাফা আড়াল করে। এই প্রবণতা বন্ধ করতে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়ানো জরুরি। এ ছাড়া বাজারে দক্ষ জনবল বাড়াতে শিগগিরই ক্যাপিটাল মার্কেট ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম শুরু করার তাগিদ দেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি, ব্যাংক আমানতের সুদহার হ্রাস, ব্যাংকে বিপুল উদ্বৃত্ত তারল্য, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে বাজারের গতিশীলতা বেড়েছে। তারল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শেয়ার সরবরাহ না বাড়ায় কিছু শেয়ারের মূল্য অযৌক্তিকরকম বেড়ে গেছে।
রকিবুর রহমান বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির শেয়ার ছেড়ে রাষ্ট্রের এসব সম্পদের সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়ানো যায়। এ ছাড়া সরকার ব্যাংক ও দাতাদের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ না নিয়ে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাড়াতে পারে। তিনি বলেন, সবার সম্মিলিত চেষ্টায় পুঁজিবাজারে নতুন যে গতির সঞ্চার করা হয়েছে, সরকার তা কাজে লাগানোর উদ্যোগ না নিলে সেটি হবে বড় দুর্ভাগ্যের বিষয়। বিদ্যুত্ উন্নয়ন প্রকল্পে বাজারকে ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হলে ‘গ্রিনফিল্ডের’ সুযোগ দেওয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
No comments