জঙ্গিরাই পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের জন্য বড় হুমকি: সর্বদলীয় বৈঠক -দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে শুরু হয়েছে সর্বাত্মক সেনা অভিযান
পাকিস্তানের নিরাপত্তা হুমকি নিয়ে গত শুক্রবার দেশটিতে সর্বদলীয় বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠকে রাজনৈতিক দলের নেতারা বলেছেন, জঙ্গিরাই পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার প্রতি বড় হুমকির সৃষ্টি করেছে। তাঁরা ওই হুমকি মোকাবিলায় জঙ্গি দমনে চূড়ান্ত অভিযানের সুপারিশ করেন। এর পরই গতকাল শনিবার দেশের নিরাপত্তা বাহিনী তালেবান জঙ্গিদের বড় ঘাঁটি বলে পরিচিত দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে সর্বাত্মক অভিযানে নামার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। গতকাল ভোর থেকে স্থল ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ওয়াজিরিস্তান অভিমুখে রওনা হন।
গতকাল বিকেলে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ওয়াজিরিস্তানে জঙ্গিদের প্রচণ্ড বাধার মুখে পড়েন। কয়েকটি স্থানে জঙ্গিরা ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। সারওয়াঙ্গি এলাকায়জঙ্গিরা সেনাদের ওপর ভারীঅস্ত্রের গোলাবর্ষণকরে। সেনারাও পাল্টা গোলাগুলিছোড়ে। দুই পক্ষের হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তাত্ক্ষণিকভাবে বিস্তারিত তথ্য মেলেনি।
গত শুক্রবারের সর্বদলীয় বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় সামরিক কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আশফাক পারভেজ কায়ানি বৈঠকে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন।
জঙ্গিরা গত দুই সপ্তাহে পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থাপনায় ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে। জাতিসংঘ কার্যালয়, সেনা সদর দপ্তর, পুলিশ একাডেমি, বিপণিবিতান ও বেসামরিক লোকদের ওপর জঙ্গিদের এসব হামলায় দেড় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে।
গত আগস্টে মার্কিন চালকবিহীন বিমানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তালেবান নেতা বায়তুল্লাহ মেহসুদ নিহত হওয়ার পর জঙ্গিরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এর পরই নতুন তালেবান নেতা হাকিমুল্লাহ মেহসুদ ওই হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দেন।
শুক্রবারের বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে বলা হয়, সব রাজনৈতিক দল ও সামরিক কর্মকর্তারা জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন। তাঁরা জঙ্গিবাদের মূলোত্পাটনে একমত হয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার জন্য জঙ্গিরা মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁরা ঘোষণা দিয়েছেন, জঙ্গিদের যেকোনো উপায়ে দমন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি চার ঘণ্টাব্যাপী জরুরি ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
সর্বদলীয় ওই বৈঠকের পর পর দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে কারফিউ জারি করা হয়েছে। এর পরই সেনারা জঙ্গিবিরোধী সর্বাত্মক অভিযানের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। যুদ্ধবিমান ও গানশিপের সহায়তায় স্থলবাহিনী দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের দিকে অগ্রসর হয়।
একজন শীর্ষস্থানীয় সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘সেনারা মেহসুদের নিয়ন্ত্রিত এলাকার দিকে অগ্রসর হয়েছে। আমরা প্রথমেই সেখানে পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করব না। প্রাথমিকভাবে স্বল্পমাত্রার সামরিক শক্তি প্রয়োগ করা হবে।’
কর্মকর্তারা জানান, চূড়ান্ত পর্যায়ে সামিরক, আধাসামরিক ও পুলিশের সমন্বয়ে ৬০ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী ওয়াজিরিস্তানের অভিযানে অংশ নেবে। ওয়াজিরিস্তানের পার্শ্ববর্তী এলাকায় মোতায়েন করা ট্যাংক ও ডেরা ইসমাইল খান জেলায় কর্তব্যরত সেনাদের সরিয়ে ইতিমধ্যে ওয়াজিরিস্তানের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে।
বোমা বিস্ফোরণে তিন সেনা নিহত
উত্তর ওয়াজিরিস্তানে গতকাল রাস্তার পাশে পুঁতে রাখা বোমার বিস্ফোরণে দুই সেনা নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলেছেন, তালেবান জঙ্গিরা দূরনিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের মাধ্যমে এ বোমা হামলা চালিয়ে থাকতে পারে। রাজমাক সামরিক ঘাঁটি অতিক্রম করার সময় ওই হামলার ঘটনা ঘটে। দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের জান্দোলা শহরে অন্য এক বোমা হামলায় এক সেনা নিহত ও আরও দুজন আহত হন।
গতকাল বিকেলে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ওয়াজিরিস্তানে জঙ্গিদের প্রচণ্ড বাধার মুখে পড়েন। কয়েকটি স্থানে জঙ্গিরা ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। সারওয়াঙ্গি এলাকায়জঙ্গিরা সেনাদের ওপর ভারীঅস্ত্রের গোলাবর্ষণকরে। সেনারাও পাল্টা গোলাগুলিছোড়ে। দুই পক্ষের হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তাত্ক্ষণিকভাবে বিস্তারিত তথ্য মেলেনি।
গত শুক্রবারের সর্বদলীয় বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় সামরিক কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আশফাক পারভেজ কায়ানি বৈঠকে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন।
জঙ্গিরা গত দুই সপ্তাহে পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থাপনায় ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে। জাতিসংঘ কার্যালয়, সেনা সদর দপ্তর, পুলিশ একাডেমি, বিপণিবিতান ও বেসামরিক লোকদের ওপর জঙ্গিদের এসব হামলায় দেড় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে।
গত আগস্টে মার্কিন চালকবিহীন বিমানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তালেবান নেতা বায়তুল্লাহ মেহসুদ নিহত হওয়ার পর জঙ্গিরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এর পরই নতুন তালেবান নেতা হাকিমুল্লাহ মেহসুদ ওই হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দেন।
শুক্রবারের বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে বলা হয়, সব রাজনৈতিক দল ও সামরিক কর্মকর্তারা জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন। তাঁরা জঙ্গিবাদের মূলোত্পাটনে একমত হয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার জন্য জঙ্গিরা মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁরা ঘোষণা দিয়েছেন, জঙ্গিদের যেকোনো উপায়ে দমন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি চার ঘণ্টাব্যাপী জরুরি ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
সর্বদলীয় ওই বৈঠকের পর পর দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে কারফিউ জারি করা হয়েছে। এর পরই সেনারা জঙ্গিবিরোধী সর্বাত্মক অভিযানের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। যুদ্ধবিমান ও গানশিপের সহায়তায় স্থলবাহিনী দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের দিকে অগ্রসর হয়।
একজন শীর্ষস্থানীয় সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘সেনারা মেহসুদের নিয়ন্ত্রিত এলাকার দিকে অগ্রসর হয়েছে। আমরা প্রথমেই সেখানে পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করব না। প্রাথমিকভাবে স্বল্পমাত্রার সামরিক শক্তি প্রয়োগ করা হবে।’
কর্মকর্তারা জানান, চূড়ান্ত পর্যায়ে সামিরক, আধাসামরিক ও পুলিশের সমন্বয়ে ৬০ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী ওয়াজিরিস্তানের অভিযানে অংশ নেবে। ওয়াজিরিস্তানের পার্শ্ববর্তী এলাকায় মোতায়েন করা ট্যাংক ও ডেরা ইসমাইল খান জেলায় কর্তব্যরত সেনাদের সরিয়ে ইতিমধ্যে ওয়াজিরিস্তানের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে।
বোমা বিস্ফোরণে তিন সেনা নিহত
উত্তর ওয়াজিরিস্তানে গতকাল রাস্তার পাশে পুঁতে রাখা বোমার বিস্ফোরণে দুই সেনা নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলেছেন, তালেবান জঙ্গিরা দূরনিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের মাধ্যমে এ বোমা হামলা চালিয়ে থাকতে পারে। রাজমাক সামরিক ঘাঁটি অতিক্রম করার সময় ওই হামলার ঘটনা ঘটে। দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের জান্দোলা শহরে অন্য এক বোমা হামলায় এক সেনা নিহত ও আরও দুজন আহত হন।
No comments