জনশক্তি রপ্তানি খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সরকারের উদ্যোগ চাই -সৌদির শ্রমবাজারে অশনিসংকেত
ভুয়া চাহিদাপত্রের মাধ্যমে সৌদি আরবে গিয়ে অসংখ্য বাংলাদেশি শ্রমিক মহা অনিশ্চয়তায় পড়েছেন। এ বছর জানুয়ারি থেকে সৌদি আরবে বাংলাদেশি শ্রমিকদের ভিসা দেওয়া বন্ধ রয়েছে। এর পরও জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে এ বছর প্রায় ১২ হাজার লোক সৌদি আরব গেছেন, যাঁদের অনেককেই দেশে ফিরে আসতে হয়েছে। নিয়মবহির্ভূতভাবে কীভাবে এই বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি শ্রমিক সৌদি আরবে পৌঁছালেন, সেটাই বড় প্রশ্ন। বিশ্বমন্দার কারণে যখন বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজার সংকুচিত হয়ে পড়ছে, তখন এ ঘটনা বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি খাতের জন্য এক বিরাট অশনিসংকেত।
বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। কিছু রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের কারণে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। জনশক্তি রপ্তানিকারক যেসব প্রতিষ্ঠান এই অপতত্পরতার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখে লাইসেন্স বাতিল করাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। বাংলাদেশের প্রধান শ্রমবাজার রক্ষা করার বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে শ্রম, কর্মসংস্থান ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আরও গতিশীল ভূমিকা প্রত্যাশিত।
বাংলাদেশের শ্রমবাজার যেসব দেশের ওপর নির্ভরশীল, তাদের প্রধানতম হচ্ছে সৌদি আরব। দীর্ঘদিন ধরে ওই দেশে বাংলাদেশি শ্রমিকেরা নানা ধরনের সমস্যার শিকার। এর পরও তাঁরা বিভিন্ন প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে টিকে আছেন এবং দেশে অর্থ পাঠাচ্ছেন। কিন্তু প্রবাসী শ্রমিকদের দেখভালের ব্যাপারে কোনো সরকারকেই তেমন মনোযোগী হতে দেখা যায় না। প্রথমত, জনশক্তি রপ্তানিকে কেন্দ্র করে দেশে নানা ধরনের অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে, প্রতিনিয়ত বহু মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন। দ্বিতীয়ত, সরকার দেশের বাইরে একটি টেকসই ও বিকাশমান জনশক্তির বাজার গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে জনশক্তি রপ্তানি ও প্রবাসী-আয় নিয়েও দিন দিন উদ্বেগ বাড়ছে।
জনশক্তি রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি বিদেশি মুদ্রা অর্জন করে থাকে। এ খাতে কোনো ধরনের বিপর্যয় বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বড় ধরনের সংকটের মুখে ফেলতে পারে। সরকারের উচিত হবে একটি সুচিন্তিত কর্মপরিকল্পনা নিয়ে তা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। প্রতিযোগিতাময় বিশ্বে একবার পা ফসকালে তা থেকে উদ্ধার পাওয়া খুবই দুরূহ। তাই এখনই সরকারের সতর্ক হওয়ার বিকল্প নেই।
বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। কিছু রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের কারণে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। জনশক্তি রপ্তানিকারক যেসব প্রতিষ্ঠান এই অপতত্পরতার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখে লাইসেন্স বাতিল করাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। বাংলাদেশের প্রধান শ্রমবাজার রক্ষা করার বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে শ্রম, কর্মসংস্থান ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আরও গতিশীল ভূমিকা প্রত্যাশিত।
বাংলাদেশের শ্রমবাজার যেসব দেশের ওপর নির্ভরশীল, তাদের প্রধানতম হচ্ছে সৌদি আরব। দীর্ঘদিন ধরে ওই দেশে বাংলাদেশি শ্রমিকেরা নানা ধরনের সমস্যার শিকার। এর পরও তাঁরা বিভিন্ন প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে টিকে আছেন এবং দেশে অর্থ পাঠাচ্ছেন। কিন্তু প্রবাসী শ্রমিকদের দেখভালের ব্যাপারে কোনো সরকারকেই তেমন মনোযোগী হতে দেখা যায় না। প্রথমত, জনশক্তি রপ্তানিকে কেন্দ্র করে দেশে নানা ধরনের অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে, প্রতিনিয়ত বহু মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন। দ্বিতীয়ত, সরকার দেশের বাইরে একটি টেকসই ও বিকাশমান জনশক্তির বাজার গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে জনশক্তি রপ্তানি ও প্রবাসী-আয় নিয়েও দিন দিন উদ্বেগ বাড়ছে।
জনশক্তি রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি বিদেশি মুদ্রা অর্জন করে থাকে। এ খাতে কোনো ধরনের বিপর্যয় বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বড় ধরনের সংকটের মুখে ফেলতে পারে। সরকারের উচিত হবে একটি সুচিন্তিত কর্মপরিকল্পনা নিয়ে তা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। প্রতিযোগিতাময় বিশ্বে একবার পা ফসকালে তা থেকে উদ্ধার পাওয়া খুবই দুরূহ। তাই এখনই সরকারের সতর্ক হওয়ার বিকল্প নেই।
No comments