ফার্গুসনের ম্যানইউই এগিয়ে
অ্যালেক্স ফার্গুসনের টানা চতুর্থ শিরোপার স্বপ্ন, লিভারপুলের ১৯ বছরের শিরোপা-খরা কাটানোর অভিযান, চেলসির নতুন কোচ কার্লো আনচেলত্তির ইংলিশ ফুটবলে অভিষেকের মৌসুমেই শিরোপা জয়ের প্রত্যয়, আর্সেনালের আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার উপলক্ষ, ম্যানচেস্টার সিটির নতুন শক্তি হয়ে ওঠার প্রতিজ্ঞা—এই হলো এবারের ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের নির্যাস।
কেবল নয়টি করে ম্যাচ শেষ হয়েছে এ পর্যন্ত। ফার্গুসনের স্বপ্ন বাঁচবে, বেনিতেজের অভিযান চলবে বীরদর্পে, আনচেলত্তির প্রত্যয় জিতবে, না আর্সেনাল ফিরে পাবে আত্মবিশ্বাস—এখনই এটা বলা মুশকিল।
তবে নয় ম্যাচ বিশ্লেষণ করলে এগিয়ে রাখতে হচ্ছে ফার্গুসনের ম্যানইউকেই। পরশু ‘বিগ ফোরের’ হরিষে বিষাদে মেশা দিনে তাঁর দল ঠিকই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। নাইটের আত্মঘাতী গোলের সঙ্গে ভ্যালেন্সিয়ার গোল মিলিয়ে বোল্টনের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জিতেছে ম্যানইউ। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থানটাও এখন ফার্গুসনের দলের অধিকারে। ৯ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট তাদের।
তবে পরশুর ম্যাচের শেষের দিকে খানিক আতঙ্ক অবশ্য ছড়িয়ে পড়েছিল ‘রেড ডেভিলদের’ শিবিরে। নাইটের আত্মঘাতী গোল ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে দিয়েছিল ম্যানইউকে। এ মৌসুমেই উইগান থেকে ম্যানইউতে নাম লেখানো ভ্যালেন্সিয়ার ৩৩ মিনিটের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ম্যানইউ। ম্যানইউর জার্সি গায়ে এটি তাঁর প্রথম গোল। তবে খেলা শেষের মিনিট পনের আগে টেলরের গোল ম্যানইউকে ধাক্কাই দিয়েছিল। আরও কয়েকটি আক্রমণও এ সময়ে করে বোল্টন। ইনজুরি কাটিয়ে এদিনই মাঠে ফেরা এডউইন ফন ডার সারের বীরত্বে কোনো বিপদ হয়নি।
পরশু ধারাবাহিকতা ছিল চেলসিরও। তবে সেটি পরাজয়ের দিক দিয়ে। লিগে টানা দ্বিতীয় পরাজয় দেখল কার্লো আনচেলত্তির দল। এই দুই পরাজয় পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে নামিয়ে দিয়েছে তাদের। ৯ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট ‘ব্লু’দের। ১৫ মিনিটে দিদিয়ের দ্রগবার গোলে অবশ্য এগিয়ে গিয়েছিল তারাই। কিন্তু দুটি সেট পিচ থেকে ডানি ও কলিন্সের গোলই তাদের সবকিছু এলোমেলো করে দেয়। ম্যাচ শেষে চেলসি কোচ কার্লো আনচেলত্তিও বললেন ওই ভুলের কথা, ‘দুটি সেট পিচের ভুলেই আমরা ম্যাচটি হেরেছি।’
আনচেলত্তি মৌসুম শুরু করেছিলেন শিরোপা জয়ের প্রত্যয় জানিয়ে, কিন্তু টানা দুটি পরাজয়ের পর তাঁকে মাথা নিচু করে থাকতে হচ্ছে। এখন বলছেন, ‘আমার ধারণা আমাদের ওপরে থেকে যারা লিগ শেষ করবে, তারাই জিতবে শিরোপা।’
এ পর্যায়ে ম্যানইউই ওপরে। পয়েন্ট তালিকার ওপরের দিকটা শেষ পর্যন্ত যদি এ রকমই থাকে, তাহলে লিভারপুলের কী হবে? পরশু সান্ডারল্যান্ডের বিপক্ষে লিভারপুলের ০-১ গোলের পরাজয়ে অবশ্য জড়িয়ে আছে বিচবল বিতর্ক। বেন্টের ৫ মিনিটের যে গোলটিতে হেরেছে লিভারপুল, বিতর্ক সেটিকে ঘিরেই। লিভারপুলেরই এক সমর্থক মাঠে ছুড়ে মেরেছিলেন একটি লাল রঙের বিচবল। বেন্টের শট তাতে লেগে গতি বদলে ঢুকে যায় জালে। তবে বেনিতেজ এই বিচবলকে দায়ী করেননি, বলেছেন নিজেদের খারাপ খেলার কথাই, ‘এটা বিশেষ একটা পরিস্থিতি। কিন্তু আমরাই বাজে খেলেছি।’
বিতর্ক-টিতর্ক কিছু নয়, আর্সেন ওয়েঙ্গারের তরুণ ‘গানার’রা এগিয়ে যাচ্ছে নিজেদের মতো করে। পরশু ফন পার্সি, দিয়াবি ও আরশাভিনের গোলে বার্মিংহামের বিপক্ষে তারা জিতেছে ৩-১ ব্যবধানে। ৮ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে তারা। টটেনহাম তৃতীয় স্থানে (১৯ পয়েন্ট)।
আর ১৫ পয়েন্ট নিয়ে আট নম্বরে লিভারপুল। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে প্রথম ৯ ম্যাচের চারটিতে হেরে এখন পর্যন্ত কোনো দলের শিরোপা ঘরে তোলার রেকর্ড নেই। লিভারপুল কি পারবে? বেনিতেজের উত্তর, ‘চারটি ম্যাচ হারা ভালো নয়। কিন্তু পরের ম্যাচগুলোর ওপরে অনেক কিছু নির্ভর করছে।’
কেবল নয়টি করে ম্যাচ শেষ হয়েছে এ পর্যন্ত। ফার্গুসনের স্বপ্ন বাঁচবে, বেনিতেজের অভিযান চলবে বীরদর্পে, আনচেলত্তির প্রত্যয় জিতবে, না আর্সেনাল ফিরে পাবে আত্মবিশ্বাস—এখনই এটা বলা মুশকিল।
তবে নয় ম্যাচ বিশ্লেষণ করলে এগিয়ে রাখতে হচ্ছে ফার্গুসনের ম্যানইউকেই। পরশু ‘বিগ ফোরের’ হরিষে বিষাদে মেশা দিনে তাঁর দল ঠিকই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। নাইটের আত্মঘাতী গোলের সঙ্গে ভ্যালেন্সিয়ার গোল মিলিয়ে বোল্টনের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জিতেছে ম্যানইউ। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থানটাও এখন ফার্গুসনের দলের অধিকারে। ৯ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট তাদের।
তবে পরশুর ম্যাচের শেষের দিকে খানিক আতঙ্ক অবশ্য ছড়িয়ে পড়েছিল ‘রেড ডেভিলদের’ শিবিরে। নাইটের আত্মঘাতী গোল ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে দিয়েছিল ম্যানইউকে। এ মৌসুমেই উইগান থেকে ম্যানইউতে নাম লেখানো ভ্যালেন্সিয়ার ৩৩ মিনিটের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ম্যানইউ। ম্যানইউর জার্সি গায়ে এটি তাঁর প্রথম গোল। তবে খেলা শেষের মিনিট পনের আগে টেলরের গোল ম্যানইউকে ধাক্কাই দিয়েছিল। আরও কয়েকটি আক্রমণও এ সময়ে করে বোল্টন। ইনজুরি কাটিয়ে এদিনই মাঠে ফেরা এডউইন ফন ডার সারের বীরত্বে কোনো বিপদ হয়নি।
পরশু ধারাবাহিকতা ছিল চেলসিরও। তবে সেটি পরাজয়ের দিক দিয়ে। লিগে টানা দ্বিতীয় পরাজয় দেখল কার্লো আনচেলত্তির দল। এই দুই পরাজয় পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে নামিয়ে দিয়েছে তাদের। ৯ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট ‘ব্লু’দের। ১৫ মিনিটে দিদিয়ের দ্রগবার গোলে অবশ্য এগিয়ে গিয়েছিল তারাই। কিন্তু দুটি সেট পিচ থেকে ডানি ও কলিন্সের গোলই তাদের সবকিছু এলোমেলো করে দেয়। ম্যাচ শেষে চেলসি কোচ কার্লো আনচেলত্তিও বললেন ওই ভুলের কথা, ‘দুটি সেট পিচের ভুলেই আমরা ম্যাচটি হেরেছি।’
আনচেলত্তি মৌসুম শুরু করেছিলেন শিরোপা জয়ের প্রত্যয় জানিয়ে, কিন্তু টানা দুটি পরাজয়ের পর তাঁকে মাথা নিচু করে থাকতে হচ্ছে। এখন বলছেন, ‘আমার ধারণা আমাদের ওপরে থেকে যারা লিগ শেষ করবে, তারাই জিতবে শিরোপা।’
এ পর্যায়ে ম্যানইউই ওপরে। পয়েন্ট তালিকার ওপরের দিকটা শেষ পর্যন্ত যদি এ রকমই থাকে, তাহলে লিভারপুলের কী হবে? পরশু সান্ডারল্যান্ডের বিপক্ষে লিভারপুলের ০-১ গোলের পরাজয়ে অবশ্য জড়িয়ে আছে বিচবল বিতর্ক। বেন্টের ৫ মিনিটের যে গোলটিতে হেরেছে লিভারপুল, বিতর্ক সেটিকে ঘিরেই। লিভারপুলেরই এক সমর্থক মাঠে ছুড়ে মেরেছিলেন একটি লাল রঙের বিচবল। বেন্টের শট তাতে লেগে গতি বদলে ঢুকে যায় জালে। তবে বেনিতেজ এই বিচবলকে দায়ী করেননি, বলেছেন নিজেদের খারাপ খেলার কথাই, ‘এটা বিশেষ একটা পরিস্থিতি। কিন্তু আমরাই বাজে খেলেছি।’
বিতর্ক-টিতর্ক কিছু নয়, আর্সেন ওয়েঙ্গারের তরুণ ‘গানার’রা এগিয়ে যাচ্ছে নিজেদের মতো করে। পরশু ফন পার্সি, দিয়াবি ও আরশাভিনের গোলে বার্মিংহামের বিপক্ষে তারা জিতেছে ৩-১ ব্যবধানে। ৮ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে তারা। টটেনহাম তৃতীয় স্থানে (১৯ পয়েন্ট)।
আর ১৫ পয়েন্ট নিয়ে আট নম্বরে লিভারপুল। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে প্রথম ৯ ম্যাচের চারটিতে হেরে এখন পর্যন্ত কোনো দলের শিরোপা ঘরে তোলার রেকর্ড নেই। লিভারপুল কি পারবে? বেনিতেজের উত্তর, ‘চারটি ম্যাচ হারা ভালো নয়। কিন্তু পরের ম্যাচগুলোর ওপরে অনেক কিছু নির্ভর করছে।’
No comments