দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে সেনা-জঙ্গি তুমুল লড়াই, নিহত ৬০
পাকিস্তানের দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে তালেবান ও আল-কায়েদা জঙ্গিদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর তুমুল লড়াই চলছে। পাকিস্তানি সেনারা গত শনিবার ওই এলাকায় জঙ্গি নির্মূলে সর্বাত্মক স্থল অভিযানে নামে। গতকাল রোববার অভিযানের দ্বিতীয় দিন সেখানে জঙ্গিদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। সেনারা আফগান সীমান্তবর্তী পার্বত্য ওই এলাকায় তিন দিক থেকে হামলা শুরু করে। গতকাল দুপুরে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সেখানে ৬০ জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে সেনাবাহিনী দাবি করেছে।
গতকাল সেনাবাহিনী জঙ্গিদের অবস্থানের ওপর ভারী অস্ত্রের গোলা বর্ষণ করে। সম্প্রতি পাকিস্তানের সেনাসদরসহ কয়েকটি স্থানে একের পর এক জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। এসব হামলায় দেড় শতাধিক লোক নিহত হয়। এরপরই সরকার সর্বদলীয় বৈঠক করে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে সেনা নামানোর সিদ্ধান্ত নেয়। রাজনৈতিক দলগুলো জঙ্গি নির্মূলে সরকারকে পূর্ণ সমর্থন দেয়।
গতকাল দ্বিতীয় দিনের অভিযানে সেনারা দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে তিন দিক দিয়ে হামলা শুরু করে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই দুর্গম পার্বত্য এলাকায় কমপক্ষে ১০ হাজার কট্টর তালেবান জঙ্গি (তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান-টিটিপি) রয়েছে। এসব জঙ্গির বিরুদ্ধে লড়ছে সেনাবাহিনীর ২৮ হাজার সদস্য। দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে রয়েছে প্রায় ছয় লাখ লোকের বাস। অভিযান শুরু হওয়ার পরপরই এলাকা থেকে পালিয়েছে সেখানকার লক্ষাধিক বাসিন্দা।
সেনা কর্মকর্তা কর্নেল ওয়াসিম শাহিদ বলেন, ‘আমরা অনুমান করছি, অভিযান শুরুর পরপরই ওই এলাকা থেকে এক লাখেরও বেশি মানুষ অন্যত্র চলে গেছে। এ সংখ্যা বেড়ে দেড় থেকে দুই লাখ হতে পারে।
লড়াইরত ১০ হাজার তালেবান জঙ্গির মধ্যে এক হাজার উজবেক এবং কিছু আরবের আল-কায়েদা যোদ্ধা রয়েছে। শনিবার অভিযানের প্রথম দিনই জঙ্গিদের প্রবল বাধার মুখে পড়ে সেনারা। এ সময় সেনাবাহিনী বিমান ও গোলন্দাজ বাহিনী নিয়ে জঙ্গিদের ঘাঁটির দিকে অগ্রসর হয়। প্রথম দিনের লড়াইয়ে চার সেনা নিহত ও ১২ জন আহত হয়। সেনা কর্মকর্তারা বলেন, লড়াইয়ে সেনারা সমতল এলাকায় জঙ্গিদের একটি ঘাঁটি দখল করে নেয়।
পার্বত্য জঙ্গল এলাকা শারওয়াঙ্গি ও স্পিনকাই রাগজাইয়ের কাছে গতকাল জঙ্গিদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর তুমুল গুলিবিনিময় হয়েছে। জঙ্গি নেতা হাকিমুল্লাহ মেহসুদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত কোটকাই যাওয়ার পথে সেনারা তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে। সেনা কর্মকর্তারা বলেন, উত্তরের মাকিন, পূর্বে কোটকাই ও স্পিনকাই রাগজাই এবং পশ্চিমে কুনিগারাম, সাম ও বাদ্দার অভিমুখে যাওয়ার পথে সেনা-জঙ্গি তুমুল লড়াই হয়েছে। এ সময় চার সেনা নিহত হয়।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আতাহার আব্বাস বলেন, সেনারা ওয়াজিরিস্তানে যাতায়াতের সব পথ বন্ধ করে দিয়েছে। লক্ষ অর্জন না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে।
বিবিসির ইসলামাবাদ সংবাদদাতা জানান, টাঙ্ক ও দেরা ইসমাইল খানের মধ্যকার রাস্তায় সেনাবাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ করা যাচ্ছে। সোয়াত উপত্যকার তুলনায় দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে কড়া প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে জঙ্গিরা। প্রায় ১০ হাজার স্থানীয় এবং এক হাজার ৫০০ বিদেশি জঙ্গি প্রায় ৩০ হাজার সেনার বিরুদ্ধে তুমুল প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। জঙ্গিরা দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে প্রায় এক হাজার ২৭৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
ওয়ানা শহরের একজন বাসিন্দা জানান, নিজেদের নিয়ন্ত্রিত এলাকা রক্ষা করতে জঙ্গিরা আগেই শহর ছেড়ে এলাকার দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে সীমান্তবর্তী এলাকায় শক্ত অবস্থান নিয়েছে।
সেনাবাহিনীর সর্বশেষ এ অভিযানকে গত ছয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় জঙ্গিবিরোধী অভিযান হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে জঙ্গি অবস্থানে বিমান হামলা চালানোর পর এ অভিযান শুরু করা হয়েছে।
গতকাল সেনাবাহিনী জঙ্গিদের অবস্থানের ওপর ভারী অস্ত্রের গোলা বর্ষণ করে। সম্প্রতি পাকিস্তানের সেনাসদরসহ কয়েকটি স্থানে একের পর এক জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। এসব হামলায় দেড় শতাধিক লোক নিহত হয়। এরপরই সরকার সর্বদলীয় বৈঠক করে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে সেনা নামানোর সিদ্ধান্ত নেয়। রাজনৈতিক দলগুলো জঙ্গি নির্মূলে সরকারকে পূর্ণ সমর্থন দেয়।
গতকাল দ্বিতীয় দিনের অভিযানে সেনারা দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে তিন দিক দিয়ে হামলা শুরু করে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই দুর্গম পার্বত্য এলাকায় কমপক্ষে ১০ হাজার কট্টর তালেবান জঙ্গি (তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান-টিটিপি) রয়েছে। এসব জঙ্গির বিরুদ্ধে লড়ছে সেনাবাহিনীর ২৮ হাজার সদস্য। দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে রয়েছে প্রায় ছয় লাখ লোকের বাস। অভিযান শুরু হওয়ার পরপরই এলাকা থেকে পালিয়েছে সেখানকার লক্ষাধিক বাসিন্দা।
সেনা কর্মকর্তা কর্নেল ওয়াসিম শাহিদ বলেন, ‘আমরা অনুমান করছি, অভিযান শুরুর পরপরই ওই এলাকা থেকে এক লাখেরও বেশি মানুষ অন্যত্র চলে গেছে। এ সংখ্যা বেড়ে দেড় থেকে দুই লাখ হতে পারে।
লড়াইরত ১০ হাজার তালেবান জঙ্গির মধ্যে এক হাজার উজবেক এবং কিছু আরবের আল-কায়েদা যোদ্ধা রয়েছে। শনিবার অভিযানের প্রথম দিনই জঙ্গিদের প্রবল বাধার মুখে পড়ে সেনারা। এ সময় সেনাবাহিনী বিমান ও গোলন্দাজ বাহিনী নিয়ে জঙ্গিদের ঘাঁটির দিকে অগ্রসর হয়। প্রথম দিনের লড়াইয়ে চার সেনা নিহত ও ১২ জন আহত হয়। সেনা কর্মকর্তারা বলেন, লড়াইয়ে সেনারা সমতল এলাকায় জঙ্গিদের একটি ঘাঁটি দখল করে নেয়।
পার্বত্য জঙ্গল এলাকা শারওয়াঙ্গি ও স্পিনকাই রাগজাইয়ের কাছে গতকাল জঙ্গিদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর তুমুল গুলিবিনিময় হয়েছে। জঙ্গি নেতা হাকিমুল্লাহ মেহসুদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত কোটকাই যাওয়ার পথে সেনারা তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে। সেনা কর্মকর্তারা বলেন, উত্তরের মাকিন, পূর্বে কোটকাই ও স্পিনকাই রাগজাই এবং পশ্চিমে কুনিগারাম, সাম ও বাদ্দার অভিমুখে যাওয়ার পথে সেনা-জঙ্গি তুমুল লড়াই হয়েছে। এ সময় চার সেনা নিহত হয়।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আতাহার আব্বাস বলেন, সেনারা ওয়াজিরিস্তানে যাতায়াতের সব পথ বন্ধ করে দিয়েছে। লক্ষ অর্জন না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে।
বিবিসির ইসলামাবাদ সংবাদদাতা জানান, টাঙ্ক ও দেরা ইসমাইল খানের মধ্যকার রাস্তায় সেনাবাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ করা যাচ্ছে। সোয়াত উপত্যকার তুলনায় দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে কড়া প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে জঙ্গিরা। প্রায় ১০ হাজার স্থানীয় এবং এক হাজার ৫০০ বিদেশি জঙ্গি প্রায় ৩০ হাজার সেনার বিরুদ্ধে তুমুল প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। জঙ্গিরা দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে প্রায় এক হাজার ২৭৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
ওয়ানা শহরের একজন বাসিন্দা জানান, নিজেদের নিয়ন্ত্রিত এলাকা রক্ষা করতে জঙ্গিরা আগেই শহর ছেড়ে এলাকার দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে সীমান্তবর্তী এলাকায় শক্ত অবস্থান নিয়েছে।
সেনাবাহিনীর সর্বশেষ এ অভিযানকে গত ছয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় জঙ্গিবিরোধী অভিযান হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে জঙ্গি অবস্থানে বিমান হামলা চালানোর পর এ অভিযান শুরু করা হয়েছে।
No comments