ক্ষুদ্রঋণ দেশে চরম দারিদ্র্যের হার কমাতে ব্যর্থ হয়েছে: অর্থমন্ত্রী
ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম দেশের চরম দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমাতে ব্যর্থ হয়েছে। আর এ অভিমত দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দারিদ্র্য বিমোচন কোনো সদিচ্ছার ব্যাপার নয়। এটা আমাদের সংবিধানের বাধ্যবাধকতা। বর্তমানে মোট জনগোষ্ঠীর ৪০ শতাংশ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ মানুষ আবার চরম দরিদ্র।’
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার এদের জন্য নানা কর্মসূচি নিয়েছে। তবে এ কাজে শুধু সরকারের একার পক্ষে সফল হওয়া সম্ভব নয়। এ জন্য সমাজের বিত্তবান ও উন্নয়ন-সহযোগীদের এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষত জলবায়ু প্রভাবের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় চরম দরিদ্র মানুষ। অথচ এই জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য এরা দায়ী নয়।
গতকাল রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দারিদ্র্য বিমোচন দিবস ২০০৯ উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের শেষ দিনে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এসব কথা বলেন।
যুক্তরাজ্য সরকারের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ডিএফআইডি) এবং সিঁড়ি দিনব্যাপী এই সেমিনারের আয়োজন করে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএফআইডির কান্ট্রি হেড ক্রিস অস্টিন, মানুষের জন্য-এর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম প্রমুখ।
আবদুল মুহিত বলেন, বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীন হলেও দীর্ঘ সময় সামরিক শাসনের অধীনে ছিল। আর গবেষণায় দেখা গেছে, নানা সমস্যা থাকলেও গণতান্ত্রিক সরকারের আমলে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেশি কমেছে। তাই দারিদ্র্য বিমোচন করতে হলে গণতন্ত্র অপরিহার্য।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘শুধু অর্থনৈতিক কারণ নয়, দারিদ্র্যের জন্য সামাজিক কারণও দায়ী। যৌতুক ও বাল্যবিবাহের মতো সামাজিক ব্যাধি দারিদ্র্য বাড়িয়ে দেয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এসব সামাজিক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণে সরকার আইনগত নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।
আবদুল মুহিত বলেন, দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে হলে কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে। কারণ দেশে মোট সাত কোটি কর্মজীবী মানুষ থাকলেও এর মধ্যে অর্ধেকই তাদের কাজে সন্তুষ্ট নয় বা বর্তমান আয়ে সন্তুষ্ট নয় বা কোনো মজুরি ছাড়াই কাজ করে।
এ অবস্থায় দারিদ্র্য দূর করতে ভালো মজুরি পাওয়া যায় এমন কাজের পরিমাণ বাড়ানোর ওপর জোর দেন তিনি।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে হলে সবার আগে দরকার রাজনৈতিক অঙ্গীকার। তাহলে সরকার পরিবর্তন হলেও চরম দারিদ্র্য নিরসনের মতো কর্মসূচিগুলো অব্যাহত থাকে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দারিদ্র্য বিমোচন কোনো সদিচ্ছার ব্যাপার নয়। এটা আমাদের সংবিধানের বাধ্যবাধকতা। বর্তমানে মোট জনগোষ্ঠীর ৪০ শতাংশ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ মানুষ আবার চরম দরিদ্র।’
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার এদের জন্য নানা কর্মসূচি নিয়েছে। তবে এ কাজে শুধু সরকারের একার পক্ষে সফল হওয়া সম্ভব নয়। এ জন্য সমাজের বিত্তবান ও উন্নয়ন-সহযোগীদের এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষত জলবায়ু প্রভাবের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় চরম দরিদ্র মানুষ। অথচ এই জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য এরা দায়ী নয়।
গতকাল রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দারিদ্র্য বিমোচন দিবস ২০০৯ উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের শেষ দিনে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এসব কথা বলেন।
যুক্তরাজ্য সরকারের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ডিএফআইডি) এবং সিঁড়ি দিনব্যাপী এই সেমিনারের আয়োজন করে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএফআইডির কান্ট্রি হেড ক্রিস অস্টিন, মানুষের জন্য-এর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম প্রমুখ।
আবদুল মুহিত বলেন, বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীন হলেও দীর্ঘ সময় সামরিক শাসনের অধীনে ছিল। আর গবেষণায় দেখা গেছে, নানা সমস্যা থাকলেও গণতান্ত্রিক সরকারের আমলে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেশি কমেছে। তাই দারিদ্র্য বিমোচন করতে হলে গণতন্ত্র অপরিহার্য।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘শুধু অর্থনৈতিক কারণ নয়, দারিদ্র্যের জন্য সামাজিক কারণও দায়ী। যৌতুক ও বাল্যবিবাহের মতো সামাজিক ব্যাধি দারিদ্র্য বাড়িয়ে দেয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এসব সামাজিক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণে সরকার আইনগত নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।
আবদুল মুহিত বলেন, দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে হলে কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে। কারণ দেশে মোট সাত কোটি কর্মজীবী মানুষ থাকলেও এর মধ্যে অর্ধেকই তাদের কাজে সন্তুষ্ট নয় বা বর্তমান আয়ে সন্তুষ্ট নয় বা কোনো মজুরি ছাড়াই কাজ করে।
এ অবস্থায় দারিদ্র্য দূর করতে ভালো মজুরি পাওয়া যায় এমন কাজের পরিমাণ বাড়ানোর ওপর জোর দেন তিনি।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে হলে সবার আগে দরকার রাজনৈতিক অঙ্গীকার। তাহলে সরকার পরিবর্তন হলেও চরম দারিদ্র্য নিরসনের মতো কর্মসূচিগুলো অব্যাহত থাকে।
No comments