‘রাউল মাদ্রিদে’র আরেক অর্জন
রেকর্ডটা তাঁর নামের পাশেই যেন সবচেয়ে বেশি মানায়। কোনো খেলোয়াড় কীভাবে একটি ক্লাবের সমার্থক হয়ে ওঠেন, এর তো জ্বলন্ত উদাহরণ রাউল গঞ্জালেস। দীর্ঘ ১৫ বছরের পথচলায় রিয়াল আর রাউল নাম দুটো মিলেমিশে এতটাই একাকার হয়ে গেছে যে অনেকে রিয়াল মাদ্রিদকে বলেন ‘রাউল মাদ্রিদ’। ক্লাবের পক্ষে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ডটা তাই রাউলের পাশেই সবচেয়ে বেশি শোভা পায়।
ভ্যালাদোলিদের বিপক্ষে পরশু মাঠে নেমেই ম্যানুয়েল সানচিজকে পেছনে ফেলেছেন রাউল। রিয়ালের বর্তমান অধিনায়কের মতোই পুরো ক্যারিয়ার বার্নাব্যুতেই কাটানো সাবেক অধিনায়ক সানচিজ খেলেছিলেন ৭১০ ম্যাচ। সেভিয়ার বিপক্ষে আগের ম্যাচটিতে পূর্বসূরিকে ছুুঁয়েছিলেন, কিন্তু মৌসুমে দলের প্রথম পরাজয়ে ম্লান হয়ে গিয়েছিল সেই আনন্দ। তবে রেকর্ড ভাঙার দিনটি রাউলের জন্য ছিল শুধুই আনন্দে রাঙানো। মাঠে নামার আগে রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ ও মহাপরিচালক জর্জ ভালদানো সুদৃশ্য এক ট্রফি দিয়ে সম্মানিত করলেন ‘ঘরের ছেলে’কে।
রাতটাকে আরও স্মরণীয় করে রাখলেন রাউল নিজেই। রেকর্ডটা উদযাপন করলেন আরও একটি মাইলফলকে পৌঁছে। দুই গোল করে দলকে জেতালেন, সেই সঙ্গে লা লিগায় সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় নিজেকে তুলে আনলেন চতুর্থ স্থানে। স্পেনের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ গোল করা এই স্ট্রাইকারের লা লিগায় গোল এখন ২২৬টি। রিয়ালের আরেক কিংবদন্তি ও বর্তমানে সম্মানসূচক সভাপতি আলফ্রেডো ডি স্টেফানোর গোল মাত্র ১টি বেশি।
এই ৩২ বছর বয়সেও যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন, তাতে হয়তো একদিন ক্লাবের হয়ে স্পর্শ করবেন হাজার ম্যাচের মাইলফলকও। অথচ একসময় এতদূর আসার কথা চিন্তাই করতে পারেননি, ‘কখনোই ভাবিনি এটা অর্জন করতে পারব। খুব শিগগিরই আমার অভিষেকের ১৫ বছর পূর্ণ হবে। একসময় এটি চিন্তা করাই ছিল কঠিন।’ তবে নিজের এতসব অর্জনের রাতেও রিয়াল অধিনায়কের চিন্তা-চেতনা জুড়ে ছিল শুধুই দল, ‘রেকর্ডে আমি খুশি, কিন্তু আমি বেশি গর্বিত আমরা ৩ পয়েন্ট পাওয়ায়। আমার পারফরম্যান্সে আমি সন্তুষ্ট এবং ক্লাব ও সতীর্থদের এভাবেই সহযোগিতা করতে চাই। কিন্তু আমি এখনই বুধবারের ম্যাচ নিয়ে ভাবতে শুরু করেছি। গুরুত্বপূর্ণ একটি ইউরোপিয়ান ম্যাচ আছে আমাদের এবং এ জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।’
২১ অক্টোবর চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ ম্যাচে রেকর্ড নয়বারের চ্যাম্পিয়নরা মুখোমুখি হবে সাতবারের চ্যাম্পিয়ন এসি মিলানের। এই ম্যাচ নিয়ে রাউলের এমন বাড়তি সতর্কতা মিলানের জন্যও একটা সতর্ক সংকেত। চ্যাম্পিয়নস লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা কিন্তু এই রাউলই!
ভ্যালাদোলিদের বিপক্ষে পরশু মাঠে নেমেই ম্যানুয়েল সানচিজকে পেছনে ফেলেছেন রাউল। রিয়ালের বর্তমান অধিনায়কের মতোই পুরো ক্যারিয়ার বার্নাব্যুতেই কাটানো সাবেক অধিনায়ক সানচিজ খেলেছিলেন ৭১০ ম্যাচ। সেভিয়ার বিপক্ষে আগের ম্যাচটিতে পূর্বসূরিকে ছুুঁয়েছিলেন, কিন্তু মৌসুমে দলের প্রথম পরাজয়ে ম্লান হয়ে গিয়েছিল সেই আনন্দ। তবে রেকর্ড ভাঙার দিনটি রাউলের জন্য ছিল শুধুই আনন্দে রাঙানো। মাঠে নামার আগে রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ ও মহাপরিচালক জর্জ ভালদানো সুদৃশ্য এক ট্রফি দিয়ে সম্মানিত করলেন ‘ঘরের ছেলে’কে।
রাতটাকে আরও স্মরণীয় করে রাখলেন রাউল নিজেই। রেকর্ডটা উদযাপন করলেন আরও একটি মাইলফলকে পৌঁছে। দুই গোল করে দলকে জেতালেন, সেই সঙ্গে লা লিগায় সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় নিজেকে তুলে আনলেন চতুর্থ স্থানে। স্পেনের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ গোল করা এই স্ট্রাইকারের লা লিগায় গোল এখন ২২৬টি। রিয়ালের আরেক কিংবদন্তি ও বর্তমানে সম্মানসূচক সভাপতি আলফ্রেডো ডি স্টেফানোর গোল মাত্র ১টি বেশি।
এই ৩২ বছর বয়সেও যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন, তাতে হয়তো একদিন ক্লাবের হয়ে স্পর্শ করবেন হাজার ম্যাচের মাইলফলকও। অথচ একসময় এতদূর আসার কথা চিন্তাই করতে পারেননি, ‘কখনোই ভাবিনি এটা অর্জন করতে পারব। খুব শিগগিরই আমার অভিষেকের ১৫ বছর পূর্ণ হবে। একসময় এটি চিন্তা করাই ছিল কঠিন।’ তবে নিজের এতসব অর্জনের রাতেও রিয়াল অধিনায়কের চিন্তা-চেতনা জুড়ে ছিল শুধুই দল, ‘রেকর্ডে আমি খুশি, কিন্তু আমি বেশি গর্বিত আমরা ৩ পয়েন্ট পাওয়ায়। আমার পারফরম্যান্সে আমি সন্তুষ্ট এবং ক্লাব ও সতীর্থদের এভাবেই সহযোগিতা করতে চাই। কিন্তু আমি এখনই বুধবারের ম্যাচ নিয়ে ভাবতে শুরু করেছি। গুরুত্বপূর্ণ একটি ইউরোপিয়ান ম্যাচ আছে আমাদের এবং এ জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।’
২১ অক্টোবর চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ ম্যাচে রেকর্ড নয়বারের চ্যাম্পিয়নরা মুখোমুখি হবে সাতবারের চ্যাম্পিয়ন এসি মিলানের। এই ম্যাচ নিয়ে রাউলের এমন বাড়তি সতর্কতা মিলানের জন্যও একটা সতর্ক সংকেত। চ্যাম্পিয়নস লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা কিন্তু এই রাউলই!
No comments