ইরানকে বন্ধু হিসেবে দেখুন -ওবামাকে আহমাদিনেজাদ
ইরানকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সম্ভাব্য হুমকি হিসেবে নয় বরং সম্ভাব্য মিত্র হিসেবে বিবেচনা করার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইরানি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ। গতকাল বুধবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়ার আগে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে এ আহ্বান জানান আহমাদিনেজাদ। একই দিন ওবামারও ভাষণ দেওয়ার কথা।
এপিকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে আহমাদিনেজাদ বলেন, পরমাণু-সংকট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় আলোচনা ‘অবাধ ও উন্মুক্ত’ হবে বলে আশা করছেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ইরান নিজের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে কোনো ধরনের আপস করবে না। তিনি জানান, ওই আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পরমাণু শক্তিধর দেশকে তাঁদের পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার হ্রাস করার ব্যাপারে আহ্বান জানাবে ইরান। পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ উপায়ে পরমাণু শক্তির ব্যবহার করা সব দেশের অধিকার—এই বিষয়টি ওই দেশগুলোকে বোঝানোর চেষ্টা করবেন তাঁরা।
ইরান সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করার জন্য ওবামার প্রতি আহ্বান জানিয়ে আহমাদিনেজাদ বলেন, ‘বারাক ওবামাকে বলতে শুনেছি, পরবর্তী হুমকি ইরান। (কিন্তু আমি বলতে চাই) ইরান সবার জন্যই একটি বড় সুযোগ। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখবেন, যারা ইরানের সঙ্গে মিত্রতা করেছে, তারাই লাভবান হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইরানকে হুমকি হিসেবে বিবেচনাকারী প্রথম প্রেসিডেন্ট নন ওবামা। তার ইতিহাস পড়ে দেখা উচিত, যারা ইরান সম্পর্কে এভাবে চিন্তা করছে, তাদের পরিণাম কী হয়েছে।’ যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও ইসরায়েলের আশঙ্কা, পরমাণু কর্মসূচির মাধ্যমে পরমাণু বোমা তৈরির চেষ্টা করছে ইরান। তবে দেশটি বরাবরই এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে দাবি করে আসছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য পরিচালিত হচ্ছে।
নিউইয়র্কে যে হোটেলে আহমাদিনেজাদ অবস্থান করছেন, সেখানে গিয়ে এই সাক্ষাত্কার নেয় এপি। সাক্ষাত্কারে ইরানে আটক তিন মার্কিন পর্বতারোহীর বিষয়েও কথা বলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট। তিনি আশ্বাস দেন, দেশে ফিরে ওই তিন মার্কিন নাগরিকের দ্রুত বিচার সম্পন্ন করার জন্য ইরানের বিচার বিভাগকে অনুরোধ জানাবেন তিনি। গত জুলাই মাসে ইরানের ইরাক সীমান্ত থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাঁদের আটক করা হয়।
এপিকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে আহমাদিনেজাদ বলেন, পরমাণু-সংকট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় আলোচনা ‘অবাধ ও উন্মুক্ত’ হবে বলে আশা করছেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ইরান নিজের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে কোনো ধরনের আপস করবে না। তিনি জানান, ওই আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পরমাণু শক্তিধর দেশকে তাঁদের পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার হ্রাস করার ব্যাপারে আহ্বান জানাবে ইরান। পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ উপায়ে পরমাণু শক্তির ব্যবহার করা সব দেশের অধিকার—এই বিষয়টি ওই দেশগুলোকে বোঝানোর চেষ্টা করবেন তাঁরা।
ইরান সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করার জন্য ওবামার প্রতি আহ্বান জানিয়ে আহমাদিনেজাদ বলেন, ‘বারাক ওবামাকে বলতে শুনেছি, পরবর্তী হুমকি ইরান। (কিন্তু আমি বলতে চাই) ইরান সবার জন্যই একটি বড় সুযোগ। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখবেন, যারা ইরানের সঙ্গে মিত্রতা করেছে, তারাই লাভবান হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইরানকে হুমকি হিসেবে বিবেচনাকারী প্রথম প্রেসিডেন্ট নন ওবামা। তার ইতিহাস পড়ে দেখা উচিত, যারা ইরান সম্পর্কে এভাবে চিন্তা করছে, তাদের পরিণাম কী হয়েছে।’ যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও ইসরায়েলের আশঙ্কা, পরমাণু কর্মসূচির মাধ্যমে পরমাণু বোমা তৈরির চেষ্টা করছে ইরান। তবে দেশটি বরাবরই এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে দাবি করে আসছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য পরিচালিত হচ্ছে।
নিউইয়র্কে যে হোটেলে আহমাদিনেজাদ অবস্থান করছেন, সেখানে গিয়ে এই সাক্ষাত্কার নেয় এপি। সাক্ষাত্কারে ইরানে আটক তিন মার্কিন পর্বতারোহীর বিষয়েও কথা বলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট। তিনি আশ্বাস দেন, দেশে ফিরে ওই তিন মার্কিন নাগরিকের দ্রুত বিচার সম্পন্ন করার জন্য ইরানের বিচার বিভাগকে অনুরোধ জানাবেন তিনি। গত জুলাই মাসে ইরানের ইরাক সীমান্ত থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাঁদের আটক করা হয়।
No comments