বেতন-বোনাস প্রভৃতি বিষয়ে সুস্পষ্ট নীতিমালা জরুরি -বন্দরশ্রমিকদের আচরণবিধি
ঈদের আগে বাড়তি বোনাসের দাবিতে চট্টগ্রাম বন্দরের শ্রমিকেরা দুই দফা কর্মবিরতি পালন করায় কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্দর অচল হয়ে পড়েছিল। সৌভাগ্য যে দ্রুতই এর নিষ্পত্তি হয়। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমঝোতার পর বন্দর প্রাণ ফিরে পায়। কিন্তু সেখানে শ্রমিক অসন্তোষের মূলে যেতে না পারলে স্থায়ী ও কার্যকর ফল পাওয়া যাবে না। গত জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ছয়বার বন্দরে সাময়িক কর্মবিরতি পালিত হয়েছে। সভা-সমাবেশ হয়েছে অসংখ্য। কোনো সমুদ্রবন্দরই এ ধরনের অস্থিরতা মেনে নিতে পারে না। বিশেষত, চট্টগ্রাম বন্দর দেশের আমদানি-রপ্তানির প্রধান অবলম্বন। সামান্য অজুহাতে ঘন ঘন বন্দর অচলের এই প্রবণতা রোধ করা না গেলে শুধু আমদানি-রপ্তানিই বাধাগ্রস্ত হবে না, সেই সঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগও নিরুত্সাহিত হবে।
সরকার বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করে একটি কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। কমিটির কাজ হবে বন্দরে কর্মরত ৩০ হাজার শ্রমিক-কর্মচারীর জন্য একটি বিধিবদ্ধ নীতিমালা প্রণয়ন করা। বলার অপেক্ষা রাখে না, নীতিমালা ছাড়া শৃঙ্খলা আনা সম্ভব নয়। শ্রমিকদের কাজের সুযোগ-সুবিধা, বেতন-বোনাস প্রভৃতি বিষয়ে সুস্পষ্ট নীতিমালা ছাড়া বন্দর কীভাবে চলছে, সেটাই প্রশ্ন। আগে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রিত ডক শ্রমিক পরিচালনা বোর্ড এই দিকটি দেখত। কিন্তু তাদের কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে ২০০৭ সালে জরুরি আইন জারির পর ডক শ্রমিক পরিচালনা বোর্ড বিলুপ্ত করা হয়। হয়তো এর প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সমস্যা হলো, ওই পদক্ষেপের সঙ্গে শ্রমিকদের কল্যাণের দিকটিও বিলুপ্ত হয়ে যায়। তখন যে ১২ জন বার্থ অপারেটর নিয়োগ দেওয়া হয়, তারা শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ও ন্যায্য দাবিদাওয়ার ব্যাপারে নির্লিপ্ত বলে অভিযোগ রয়েছে।
শ্রমিকদের যদি বাড়াবাড়ি থাকেও, সেটা বন্ধ করার জন্য শ্রমিকদের ন্যায্য স্বার্থ রক্ষাকারী উপযুক্ত বিধিমালা দরকার। বর্তমান বার্থ অপারেটরদের ওপর এ ব্যাপারে নির্ভর করা যায় না। জরুরি আইনের সময় জরুরি ভিত্তিতে এদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। বছরখানেক পর দরপত্র আহ্বান করে উপযুক্তদের বার্থ অপারেটর নিয়োগের কথা ছিল। কিন্তু এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ বারবার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নিয়োগের স্বচ্ছতার স্বার্থে অবিলম্বে বার্থ অপারেটরদের জন্য দরপত্র আহ্বান করা দরকার।
অন্যদিকে শ্রমিকদের সংগঠনও আইনানুগ হতে হবে। বন্দরে আগে ২৮টি সংগঠন ছিল, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শুধু দুটি সংগঠনকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়—একটি বন্দরের নিজস্ব শ্রমিক-কর্মচারীদের ট্রেড ইউনিয়ন, অপরটি বন্দর ব্যবহারকারীদের সংগঠন। এতে বন্দরের কাজে গতিশীলতা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এখন আবার আগের সংগঠনগুলো সক্রিয় হয়ে উঠছে এবং যথারীতি অস্থিরতা সৃষ্টি হতে দেখা যাচ্ছে। এসব সংগঠনের তত্পরতা আইনবহির্ভূত কি না তা দেখা এবং কেউ যেন আইন লঙ্ঘন না করে সেটা নিশ্চিত করা বন্দর কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।
পাশাপাশি প্রস্তাবিত উচ্চপর্যায়ের কমিটি যেন দ্রুত প্রতিবেদন জমা দেয়, সেটা দেখা দরকার। তাদের সুপারিশগুলো বিচার-বিশ্লেষণের পর বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করলে অনেক সমস্যার সমাধান সহজতর হবে বলে আশা করা যায়। চট্টগ্রাম বন্দরে ঘন ঘন কর্মবিরতি বন্ধ করার বিষয়টি সরকার, কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের অভিন্ন কর্তব্য হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত।
সরকার বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করে একটি কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। কমিটির কাজ হবে বন্দরে কর্মরত ৩০ হাজার শ্রমিক-কর্মচারীর জন্য একটি বিধিবদ্ধ নীতিমালা প্রণয়ন করা। বলার অপেক্ষা রাখে না, নীতিমালা ছাড়া শৃঙ্খলা আনা সম্ভব নয়। শ্রমিকদের কাজের সুযোগ-সুবিধা, বেতন-বোনাস প্রভৃতি বিষয়ে সুস্পষ্ট নীতিমালা ছাড়া বন্দর কীভাবে চলছে, সেটাই প্রশ্ন। আগে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রিত ডক শ্রমিক পরিচালনা বোর্ড এই দিকটি দেখত। কিন্তু তাদের কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে ২০০৭ সালে জরুরি আইন জারির পর ডক শ্রমিক পরিচালনা বোর্ড বিলুপ্ত করা হয়। হয়তো এর প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সমস্যা হলো, ওই পদক্ষেপের সঙ্গে শ্রমিকদের কল্যাণের দিকটিও বিলুপ্ত হয়ে যায়। তখন যে ১২ জন বার্থ অপারেটর নিয়োগ দেওয়া হয়, তারা শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ও ন্যায্য দাবিদাওয়ার ব্যাপারে নির্লিপ্ত বলে অভিযোগ রয়েছে।
শ্রমিকদের যদি বাড়াবাড়ি থাকেও, সেটা বন্ধ করার জন্য শ্রমিকদের ন্যায্য স্বার্থ রক্ষাকারী উপযুক্ত বিধিমালা দরকার। বর্তমান বার্থ অপারেটরদের ওপর এ ব্যাপারে নির্ভর করা যায় না। জরুরি আইনের সময় জরুরি ভিত্তিতে এদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। বছরখানেক পর দরপত্র আহ্বান করে উপযুক্তদের বার্থ অপারেটর নিয়োগের কথা ছিল। কিন্তু এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ বারবার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নিয়োগের স্বচ্ছতার স্বার্থে অবিলম্বে বার্থ অপারেটরদের জন্য দরপত্র আহ্বান করা দরকার।
অন্যদিকে শ্রমিকদের সংগঠনও আইনানুগ হতে হবে। বন্দরে আগে ২৮টি সংগঠন ছিল, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শুধু দুটি সংগঠনকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়—একটি বন্দরের নিজস্ব শ্রমিক-কর্মচারীদের ট্রেড ইউনিয়ন, অপরটি বন্দর ব্যবহারকারীদের সংগঠন। এতে বন্দরের কাজে গতিশীলতা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এখন আবার আগের সংগঠনগুলো সক্রিয় হয়ে উঠছে এবং যথারীতি অস্থিরতা সৃষ্টি হতে দেখা যাচ্ছে। এসব সংগঠনের তত্পরতা আইনবহির্ভূত কি না তা দেখা এবং কেউ যেন আইন লঙ্ঘন না করে সেটা নিশ্চিত করা বন্দর কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।
পাশাপাশি প্রস্তাবিত উচ্চপর্যায়ের কমিটি যেন দ্রুত প্রতিবেদন জমা দেয়, সেটা দেখা দরকার। তাদের সুপারিশগুলো বিচার-বিশ্লেষণের পর বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করলে অনেক সমস্যার সমাধান সহজতর হবে বলে আশা করা যায়। চট্টগ্রাম বন্দরে ঘন ঘন কর্মবিরতি বন্ধ করার বিষয়টি সরকার, কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের অভিন্ন কর্তব্য হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত।
No comments