দিলশান-মধুচন্দ্রিমায় ডুবল দক্ষিণ আফ্রিকা
শুরুর আগে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিকে বলা হয়েছে ওয়ানডে ক্রিকেটের লিটমাস টেস্ট। ওয়ানডে এতে উতরাতে পারবে কি পারবে না সেই প্রশ্ন আসবে আরও পরে। তবে পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটের এই টুর্নামেন্ট এর চেয়ে ভালো শুরু আর পেতে পারত না। ডেল স্টেইন, ওয়েইন পারনেল, জ্যাক ক্যালিসদের তুলোধুনো করে শ্রীলঙ্কার তিলকরত্নে দিলশান করলেন সেঞ্চুরি। র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বড় পরাজয় দিয়ে শুরু হলো টুর্নামেন্ট। দিলশানের ৯২ বলে ১০৬ রানের কল্যাণে শ্রীলঙ্কা জিতেছে ৫৫ রানে।
ম্যাচের ৭৪ বল বাকি থাকতে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর যখন ২০৬/৭, বৃষ্টির কারণে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। শ্রীলঙ্কা জেতে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে।
গত আইপিএলে নিজেকে ফিরে পাওয়া দিলশানের ক্যারিয়ারে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি মানেই বিবর্ণ এক অধ্যায়। ২০০৪ সালে ইংল্যান্ডে দুটি ম্যাচ খেলে করেছিলেন ২৭ রান। সর্বশেষ ২০০৬ সালে ভারতে হওয়া টুর্নামেন্টে করেছিলেন ৭১। আট ম্যাচে একটি অর্ধশত রানেরও ইনিংস খেলতে পারেননি। সেই দিলশান এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরু করলেন যেন অতীত দুঃস্বপ্নকে কবর দেওয়ার লক্ষ্যে। ওয়ানডেতে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরিটি পেলেন প্রথম ম্যাচেই। দারুণ ফর্মে থাকা দিলশান ক্যারিয়ারের এই মধুচন্দ্রিমার পেছনে ব্যাটিং অর্ডারের ওপরে উঠে আসাটাকেই দেখছেন বড় করে, ‘১২ মাস ধরে ফর্মটা ভালো যাচ্ছে আমার। আমার বিশ্বাস মিডল অর্ডার থেকে টপ অর্ডারে উঠে আসাটাই আমাকে অনেক সাহায্য করেছে।’
ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ম্যাচের মীমাংসা হওয়ার আগেই ম্যাচটা পরশু হেরে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়ে ৮ উইকেটে শ্রীলঙ্কা ৩১৯ রান তুলেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে ঠেলে দেয় পেছন পায়ে। দলীয় ১৬ রানে ডেল স্টেইন সনাত্ জয়াসুরিয়াকে ফিরিয়ে দিলেও গ্রায়েম স্মিথের টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্তকে আত্মঘাতী সিদ্ধান্তে পরিণত করে দেয় দিলশান, কুমার সাঙ্গাকারা (৫৪) ও মাহেলা জয়াবর্ধনের (৭৭) ব্যাটিং। জয়াসুরিয়ার বিদায়ের পর দিলশান দ্বিতীয় উইকেটে সাঙ্গাকারাকে নিয়ে গড়েন ১৫৮ রানের জুটি। শ্রীলঙ্কার তিন শ পেরোনো স্কোরে আছে আরেকটি সেঞ্চুরি জুটি। চতুর্থ উইকেটে সামারাবীরাকে (৩৭) নিয়ে ১১৬ রান করেছেন মাহেলা জয়াবর্ধনে।
বড় লক্ষ্যের পেছনে ছুটতে গিয়ে শুরুটা যেমন ভালো হওয়া দরকার দক্ষিণ আফ্রিকার, সেটা হয়নি। ৯ রানেই ফিরে গিয়েছিলেন হাশিম আমলা। এরপর অবশ্য অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ ক্যালিসের সঙ্গে ৮১ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামলে নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই দুর্বোধ্য এক ডেলিভারিতে গ্রায়েম স্মিথকে বোল্ড করে দেন ক্যারম বোলার অজন্তা মেন্ডিস। যেটি ছিল তাঁর প্রথম বল। স্মিথ যখন ফিরে যান, দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৯০। অবস্থাটা করুণ হয়ে ওঠে ২১তম ওভারে পরপর দু বলে মেন্ডিস জ্যাক ক্যালিস (৪১) ও জেপি ডুমিনিকে (০) ফিরিয়ে দিলে। মেন্ডিসই আসলে শেষ করে দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে সব বিভাগেই পরাজিত দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়কের বলার কিছু আসলে ছিল না। তবে বলেছেন, নিজেদের কাজটা তাঁরা ঠিকঠাকমতো করতে পারেননি বলেই অনিবার্য এই পরাজয়। তবে আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই ঘুরে দাঁড়াতে চান দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক।
ম্যাচের ৭৪ বল বাকি থাকতে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর যখন ২০৬/৭, বৃষ্টির কারণে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। শ্রীলঙ্কা জেতে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে।
গত আইপিএলে নিজেকে ফিরে পাওয়া দিলশানের ক্যারিয়ারে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি মানেই বিবর্ণ এক অধ্যায়। ২০০৪ সালে ইংল্যান্ডে দুটি ম্যাচ খেলে করেছিলেন ২৭ রান। সর্বশেষ ২০০৬ সালে ভারতে হওয়া টুর্নামেন্টে করেছিলেন ৭১। আট ম্যাচে একটি অর্ধশত রানেরও ইনিংস খেলতে পারেননি। সেই দিলশান এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরু করলেন যেন অতীত দুঃস্বপ্নকে কবর দেওয়ার লক্ষ্যে। ওয়ানডেতে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরিটি পেলেন প্রথম ম্যাচেই। দারুণ ফর্মে থাকা দিলশান ক্যারিয়ারের এই মধুচন্দ্রিমার পেছনে ব্যাটিং অর্ডারের ওপরে উঠে আসাটাকেই দেখছেন বড় করে, ‘১২ মাস ধরে ফর্মটা ভালো যাচ্ছে আমার। আমার বিশ্বাস মিডল অর্ডার থেকে টপ অর্ডারে উঠে আসাটাই আমাকে অনেক সাহায্য করেছে।’
ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ম্যাচের মীমাংসা হওয়ার আগেই ম্যাচটা পরশু হেরে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়ে ৮ উইকেটে শ্রীলঙ্কা ৩১৯ রান তুলেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে ঠেলে দেয় পেছন পায়ে। দলীয় ১৬ রানে ডেল স্টেইন সনাত্ জয়াসুরিয়াকে ফিরিয়ে দিলেও গ্রায়েম স্মিথের টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্তকে আত্মঘাতী সিদ্ধান্তে পরিণত করে দেয় দিলশান, কুমার সাঙ্গাকারা (৫৪) ও মাহেলা জয়াবর্ধনের (৭৭) ব্যাটিং। জয়াসুরিয়ার বিদায়ের পর দিলশান দ্বিতীয় উইকেটে সাঙ্গাকারাকে নিয়ে গড়েন ১৫৮ রানের জুটি। শ্রীলঙ্কার তিন শ পেরোনো স্কোরে আছে আরেকটি সেঞ্চুরি জুটি। চতুর্থ উইকেটে সামারাবীরাকে (৩৭) নিয়ে ১১৬ রান করেছেন মাহেলা জয়াবর্ধনে।
বড় লক্ষ্যের পেছনে ছুটতে গিয়ে শুরুটা যেমন ভালো হওয়া দরকার দক্ষিণ আফ্রিকার, সেটা হয়নি। ৯ রানেই ফিরে গিয়েছিলেন হাশিম আমলা। এরপর অবশ্য অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ ক্যালিসের সঙ্গে ৮১ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামলে নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই দুর্বোধ্য এক ডেলিভারিতে গ্রায়েম স্মিথকে বোল্ড করে দেন ক্যারম বোলার অজন্তা মেন্ডিস। যেটি ছিল তাঁর প্রথম বল। স্মিথ যখন ফিরে যান, দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৯০। অবস্থাটা করুণ হয়ে ওঠে ২১তম ওভারে পরপর দু বলে মেন্ডিস জ্যাক ক্যালিস (৪১) ও জেপি ডুমিনিকে (০) ফিরিয়ে দিলে। মেন্ডিসই আসলে শেষ করে দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে সব বিভাগেই পরাজিত দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়কের বলার কিছু আসলে ছিল না। তবে বলেছেন, নিজেদের কাজটা তাঁরা ঠিকঠাকমতো করতে পারেননি বলেই অনিবার্য এই পরাজয়। তবে আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই ঘুরে দাঁড়াতে চান দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক।
No comments