ফেরার ঘোষণা হেনিনের
বেলজিয়ামের সংবাদমাধ্যম আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিল—অবসর ভেঙে ফিরতে পারেন সাবেক নাম্বার ওয়ান জাস্টিন হেনিন। ফেরার ঘোষণাটা দেওয়ার জন্য তিনি অপেক্ষায় রেখেছিলেন জাতিকে। বেলজিয়ান টেলিভিশন চ্যানেল আরটিআইএল-টিভিআইতে পরশু দিলেন সেই ঘোষণা।
ষোল মাস আগে আকস্মিকভাবেই অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তখন তাঁর বয়স ছিল ২৫ আর ফর্মটা ছিল মধ্যগগনে। র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থেকেই সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন হেনিন। কানাঘুষা চলছিল যে শক্তিবর্ধক নিষিদ্ধ ড্রাগ নিচ্ছেন। তবে বিতর্ক মাথাচাড়া দেওয়ার আগেই তড়িঘড়ি করে অবসরের ঘোষণা দিয়ে দেন তিনি। নিজের সিদ্ধান্তে নিজেই ছিলেন বিস্মিত, ‘এটা ছিল বিস্ময়কর।’ অবসরে গিয়ে তাই স্বস্তিতে থাকতে পারেননি। টেনিস কোর্ট তাঁকে টানছিল নিরন্তর। ব্যাকুল হয়ে উঠেছিলেন ফেরার জন্য, ‘আমি খুব অধৈর্য হয়ে উঠছিলাম এবং ফিরে আসার ঘোষণা দিতে পেরে সত্যি খুব খুশি। এবং এই সন্ধ্যায় আমি ঘোষণা করছি যে খুব শিগগিরই প্রতিযোগিতায় ফিরে আসব।’
ডব্লুটিএ টুর্নামেন্ট এবং গ্র্যান্ড স্লামের খেলা দেখতে দেখতে তিনি নিশ্চিতই মনে মনে ভাবতেন, ‘কেন সরে দাঁড়ালাম কোর্ট থেকে?’ কিন্তু তাঁকে আসলে ফিরিয়ে আনল স্বদেশি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী কিম ক্লাইস্টার্সের দুর্দান্ত ফেরা? গত ১৩ সেপ্টেম্বর ইউএস ওপেন জিতলেন কিম ক্লাইস্টার্স। এই ‘টেনিস মম’ই তাহলে তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছে অবসর ভেঙে ফিরতে? তিনি নিজে বললেন, ‘এই ব্যাপারটির প্রভাব একটু আছে, তবে বড় রকমের কিছু সেটি নয়।’ মূলত রজার ফেদেরারকে প্রথমবারের মতো ফ্রেঞ্চ ওপেন জিততে দেখেই অনুপ্রাণিত হয়েছেন চারবারের ফ্রেঞ্চ ওপেন বিজয়িনী, ‘অবচেতন মনে এর একটা প্রভাব হয়তো পড়তে পারে। তবে এটা আমার ফেরার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কোনো কারণ নয়। রজার ফেদেরারের এবারের রোঁলা গাঁরোয় জয়টাই ছিল আমার অনুপ্রেরণা। ঘটনাটা আমাকে এতটাই আবেগি করে তুলেছিল যে আমার মনে হচ্ছিল আমি মনে হয় কিছু একটা মিস করছি।’
তখন থেকেই মনের গভীরে শেকড় গাড়ে টেনিসে ফেরার চিন্তাটা। শুধু মুখের কথা নয়, কাজে-কর্মেও প্রমাণ দেওয়া শুরু করলেন। বেলজিয়ামের সারলিওরিতে প্রদর্শনী টেনিসে এবং দুবাইয়ে বছর শেষের টুর্নামেন্টে অংশ নিতে তাই গত মাস থেকে অনুশীলনেও ফিরেছেন। আর তখন থেকেই গুঞ্জনটা ডালপালা মেলতে শুরু করে।
সাতটি গ্র্যান্ড স্লামের মালিক হেনিন কখনোই উইম্বলডন জিততে পারেননি। তাহলে কি ক্যারিয়ারে স্লাম পূরণ করাটাই তাঁর লক্ষ্য? হেনিনের কোচ কার্লোস রদ্রিগেজের কণ্ঠে ঝরে পড়ল ওই আক্ষেপ, ‘আমরা ওটা জিততে চাই। এটাও বলতে পারেন তাঁর ফেরার অন্যতম কারণ।’
বিশ্ব ডোপিং-বিরোধী সংস্থার (ওয়াডা) নিয়ম অনুযায়ী কোনো খেলোয়াড় প্রতিযোগিতামূলক খেলায় ফিরতে চাইলে ডোপ পরীক্ষাকারী কর্মকর্তাদের তা জানাতে হবে প্রতিযোগিতায় ফেরার তিন মাস আগে। ওই দিকটা ভেবে দেখলে দুয়ে দুয়ে চার মেলানোর মতো বলা যায় আগামী জানুয়ারির অস্ট্রেলিয়ান ওপেনই হয়তো হেনিনের লক্ষ্য। ছোটখাটো গড়নের কিন্তু প্রচণ্ড শক্তিশালী এক হাতের ব্যাক হ্যান্ডের জন্য বিখ্যাত এই চ্যাম্পিয়নও ওদিকেই ইঙ্গিত করেছেন, ‘আমার লক্ষ্য জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ায় ফেরা... আমি ২০১০ মৌসুম থেকে শুরু করতে চাই। যদিও এখনো নিশ্চিত নই যে কোন টুর্নামেন্ট দিয়ে ফিরব।
ষোল মাস আগে আকস্মিকভাবেই অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তখন তাঁর বয়স ছিল ২৫ আর ফর্মটা ছিল মধ্যগগনে। র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থেকেই সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন হেনিন। কানাঘুষা চলছিল যে শক্তিবর্ধক নিষিদ্ধ ড্রাগ নিচ্ছেন। তবে বিতর্ক মাথাচাড়া দেওয়ার আগেই তড়িঘড়ি করে অবসরের ঘোষণা দিয়ে দেন তিনি। নিজের সিদ্ধান্তে নিজেই ছিলেন বিস্মিত, ‘এটা ছিল বিস্ময়কর।’ অবসরে গিয়ে তাই স্বস্তিতে থাকতে পারেননি। টেনিস কোর্ট তাঁকে টানছিল নিরন্তর। ব্যাকুল হয়ে উঠেছিলেন ফেরার জন্য, ‘আমি খুব অধৈর্য হয়ে উঠছিলাম এবং ফিরে আসার ঘোষণা দিতে পেরে সত্যি খুব খুশি। এবং এই সন্ধ্যায় আমি ঘোষণা করছি যে খুব শিগগিরই প্রতিযোগিতায় ফিরে আসব।’
ডব্লুটিএ টুর্নামেন্ট এবং গ্র্যান্ড স্লামের খেলা দেখতে দেখতে তিনি নিশ্চিতই মনে মনে ভাবতেন, ‘কেন সরে দাঁড়ালাম কোর্ট থেকে?’ কিন্তু তাঁকে আসলে ফিরিয়ে আনল স্বদেশি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী কিম ক্লাইস্টার্সের দুর্দান্ত ফেরা? গত ১৩ সেপ্টেম্বর ইউএস ওপেন জিতলেন কিম ক্লাইস্টার্স। এই ‘টেনিস মম’ই তাহলে তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছে অবসর ভেঙে ফিরতে? তিনি নিজে বললেন, ‘এই ব্যাপারটির প্রভাব একটু আছে, তবে বড় রকমের কিছু সেটি নয়।’ মূলত রজার ফেদেরারকে প্রথমবারের মতো ফ্রেঞ্চ ওপেন জিততে দেখেই অনুপ্রাণিত হয়েছেন চারবারের ফ্রেঞ্চ ওপেন বিজয়িনী, ‘অবচেতন মনে এর একটা প্রভাব হয়তো পড়তে পারে। তবে এটা আমার ফেরার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কোনো কারণ নয়। রজার ফেদেরারের এবারের রোঁলা গাঁরোয় জয়টাই ছিল আমার অনুপ্রেরণা। ঘটনাটা আমাকে এতটাই আবেগি করে তুলেছিল যে আমার মনে হচ্ছিল আমি মনে হয় কিছু একটা মিস করছি।’
তখন থেকেই মনের গভীরে শেকড় গাড়ে টেনিসে ফেরার চিন্তাটা। শুধু মুখের কথা নয়, কাজে-কর্মেও প্রমাণ দেওয়া শুরু করলেন। বেলজিয়ামের সারলিওরিতে প্রদর্শনী টেনিসে এবং দুবাইয়ে বছর শেষের টুর্নামেন্টে অংশ নিতে তাই গত মাস থেকে অনুশীলনেও ফিরেছেন। আর তখন থেকেই গুঞ্জনটা ডালপালা মেলতে শুরু করে।
সাতটি গ্র্যান্ড স্লামের মালিক হেনিন কখনোই উইম্বলডন জিততে পারেননি। তাহলে কি ক্যারিয়ারে স্লাম পূরণ করাটাই তাঁর লক্ষ্য? হেনিনের কোচ কার্লোস রদ্রিগেজের কণ্ঠে ঝরে পড়ল ওই আক্ষেপ, ‘আমরা ওটা জিততে চাই। এটাও বলতে পারেন তাঁর ফেরার অন্যতম কারণ।’
বিশ্ব ডোপিং-বিরোধী সংস্থার (ওয়াডা) নিয়ম অনুযায়ী কোনো খেলোয়াড় প্রতিযোগিতামূলক খেলায় ফিরতে চাইলে ডোপ পরীক্ষাকারী কর্মকর্তাদের তা জানাতে হবে প্রতিযোগিতায় ফেরার তিন মাস আগে। ওই দিকটা ভেবে দেখলে দুয়ে দুয়ে চার মেলানোর মতো বলা যায় আগামী জানুয়ারির অস্ট্রেলিয়ান ওপেনই হয়তো হেনিনের লক্ষ্য। ছোটখাটো গড়নের কিন্তু প্রচণ্ড শক্তিশালী এক হাতের ব্যাক হ্যান্ডের জন্য বিখ্যাত এই চ্যাম্পিয়নও ওদিকেই ইঙ্গিত করেছেন, ‘আমার লক্ষ্য জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ায় ফেরা... আমি ২০১০ মৌসুম থেকে শুরু করতে চাই। যদিও এখনো নিশ্চিত নই যে কোন টুর্নামেন্ট দিয়ে ফিরব।
No comments