‘মানবিক বিপর্যয়ে’র পরিহাস -জাতিসংঘ ভাষণ by নোয়াম চমস্কি
আজকের দুনিয়ায় যখনই কাউকে রক্ষার দায়িত্ব (রেসপনসিবিলিটি টু প্রোটেক্ট) বা এর জ্ঞাতি ভাই ‘মানবিক হস্তক্ষেপ’-এর (হিউম্যানেটারিয়ান ইন্টারভেনশন) আলোচনা আসে, তখনই সিন্দুকে বন্দী ইতিহাসের কঙ্কাল খটাখট নড়ে ওঠে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় এসবের নামে সংঘটিত হওয়া অজস্র বিব্রতকর মানবতাবিরোধী ঘটনার।
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সমগ্র ইতিহাসজুড়ে অল্প কয়েকটি নীতি সর্বত্র পালিত হয়ে আসছে। গ্রিক ইতিহাসবিদ থুসিডাইডেসের একটি প্রবচন আছে, শক্তিমান যা ইচ্ছা তা করে আর দুর্বলেরা ভোগে অপরের ইচ্ছায়। আয়ান ব্রাউনলিও এ রকমই বলেছেন: শক্তিমানের ইচ্ছাই আইন। ইংল্যান্ডে একসময়ে সব নীতি ঠিক করা হতো ব্যবসায়ী ও শিল্পমালিকদের স্বার্থে, যদিও তার পরিণতি ভোগ করতে হতো সাধারণ মানুষকে আর দখলাধীন ভারতবর্ষকে।
‘রক্ষার দায়িত্বের’ কথা বলেই জাপান মাঞ্চুরিয়া দখল করে নিয়েছিল, হিটলার আগ্রাসন চালিয়েছিলেন চেকোস্লাভাকিয়ায় আর মুসোলিনি দখল করেন ইথিওপিয়া। অবশ্য এঁদের প্রত্যেকেই তাঁদের অপকর্মের পক্ষে যুক্তি ও মানবিক অজুহাত খাড়া করেছিলেন। বর্তমানকালেও এই ধারার কার্যকলাপ অব্যাহত আছে। এটাই হয়ে আছে আন্তর্জাতিক রাজনীতির চলতি নিয়ম।
আমেরিকা দখল করার কারণ হিসেবে ইউরোপীয় দখলদারেরা বলেছিল, তারা আসলে সেখানকার আদিম মানুষকে পাপের পথ থেকে রক্ষা করছে। আফ্রিকায় তারা উপনিবেশ স্থাপন করেছে কালো মানুষকে সভ্য করার কথা বলে। আজকের দুনিয়াতেও একই কাজ হয়ে চলেছে। ক্ষমতাবানেরা বলে পেছনের দিকে না তাকিয়ে সামনের দিকে তাকাতে। কিন্তু দুর্বলের জন্য এটা বুদ্ধির কাজ নয়।
আজ থেকে ৬০ বছর আগে আন্তর্জাতিক আদালত সিদ্ধান্ত দেন, ‘অবস্থাদৃষ্টে দেখা যাচ্ছে, হস্তক্ষেপের অধিকার কেবল শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোর জন্যই সংরক্ষিত এবং এটা সহজেই আইনের শাসনকে নষ্ট করে ফেলে।’ ২০০০ সালে ১৩৩টি দেশের উপস্থিতিতে সাউথ সামিটে একই কথা উচ্চারিত হয়। এই সম্মেলনের ঘোষণায় সার্বিয়ায় ন্যাটোর বোমাবর্ষণকে জাতিসংঘ সনদের লঙ্ঘন বলে ঘোষণা করা হয়। ২০০৬ সালে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ দেশগুলোর মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে এশিয়া, আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা ও আরব বিশ্বের চিরাচরিত নিপীড়িত রাষ্ট্রগুলো এ ধরনের হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে। দেখা যায়, এ ধরনের হস্তক্ষেপের অধিকার কেবল ন্যাটোরই রয়েছে, লাতিন আমেরিকার জোট ওএএস বা আফ্রিকীয় ইউনিয়নের সেই অধিকার নেই। একদিকে বলকান দেশগুলো, অন্যদিকে আফগানিস্তান-পাকিস্তানের ওপর ন্যাটো তার মর্জিমতো এখতিয়ার ঘোষণা করেছে। মানবাধিকার কিংবা স্থানীয় মানুষকে রক্ষায় তারা এসব অঞ্চলে সামরিক অভিযান পরিচালনা করে এবং এই দেশগুলো ন্যাটোর সদস্য নয়। কিন্তু এই ন্যাটোই তার সদস্যদেশগুলোর গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনকে চরম আশকারা দিয়ে থাকে। তুরস্ক ১৯৯০ সাল থেকে সেখানকার কুর্দিদের ওপর চরম নিপীড়ন চালালেও ক্লিনটন প্রশাসন তুরস্ককে সাহায্য-সহযোগিতা করে যায়। এর বাইরে পাশ্চাত্যগামী যেকোনো তেলের পাইপলাইন বা সমুদ্রপথে কোনো বাধা সৃষ্টি হলে সেসব স্থানেও হস্তক্ষেপের একচেটিয়া ক্ষমতা কেবল তারাই সংরক্ষণ করে। মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশগুলোও তাদের ক্ষমতার ছায়ার নিচে।
ইরাকে মানবতার ধ্বংস তাদের বিচলিত করে না। নিরাপত্তা পরিষদের অবরোধে ইরাকের লাখ লাখ শিশু মারা যায়, কঙ্গোতে কোটি কোটি মানুষ ক্ষুধায় ধুঁকছে। জাতিসংঘের তেলের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির দুই পরিচালক ইরাকে অন্যায় অবরোধের প্রতিবাদে পদত্যাগ করেন। তাঁরা একে মানবতাবিরোধী ও ‘গণহত্যা’ বলে আখ্যায়িত করেন। অথচ আমেরিকা ও ব্রিটেন নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তে মানবতাকে রক্ষার কথা বলে দেশটিতে আগ্রাসন চালায়।
একইভাবে গাজার জনসাধারণকে রক্ষার কোনো চিন্তা এদের মধ্যে দেখা যায় না। অথচ এটাও ছিল জাতিসংঘের দায়িত্ব। জাতিসংঘের দায়িত্ব ছিল জেনেভা কনভেনশন দ্বারা রক্ষিত অন্যান্য জনসাধারণকে রক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়া। যেমন বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে পূর্ব কঙ্গোতে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে মূল্যবান খনিজ সম্পদের বেআইনি ব্যবসা চালাচ্ছে এবং সেই ব্যবসা নিরাপদ রাখতে ভয়ঙ্করতম সংঘাত জিইয়ে রাখায় তহবিল জোগান দিচ্ছে।
জাতিসংঘ সম্প্রতি দরিদ্র দেশগুলোর ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা শত কোটি ছাপিয়ে গেছে বলে ঘোষণা করেছে। এদের রক্ষায় কোনো মানবিক হস্তক্ষেপের চিন্তা পাশ্চাত্য রাষ্ট্রশক্তির কল্পনাতেও আসে না। পাশাপাশি জাতিসংঘ বৈশ্বিক খাদ্য কর্মসূচির তহবিল কমিয়ে আনে। কারণ, ধনী দেশগুলো এ খাতে চাঁদা কমিয়ে দিয়েছে। মন্দায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের চেয়ে তারা আর্থিক বিপর্যয়ের জন্য দোষী ব্যাংকগুলোকেই বিরাট তহবিল দিচ্ছে। কয়েক বছর আগের হিসাবে দৈনিক ১৬ হাজার শিশু ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে, সামান্য রোগেই মরে যাচ্ছে আরও অনেকে। এই মৃত্যু ঠেকানো খুবই সহজ, কিন্তু সেদিকে কারও মনোযোগ নেই।
মানবিক হস্তক্ষেপের সবচেয়ে ঘৃণ্য উদাহরণগুলোর মধ্যে ইরাক ছাড়া সার্বিয়া অন্যতম। নেলসন ম্যান্ডেলা এর চরম সমালোচনা করেছিলেন। কিন্তু দুর্বলের সমালোচনা উপেক্ষণীয়। ন্যাটোর বোমাবর্ষণ সার্বিয়ার সংঘাতকে কমাতে পারেনি, যেমন ন্যাটো বাহিনী ইরাক বা আফগানিস্তানে হানাহানিকে আরও বাড়িয়েছে মাত্র।
গত ২৫ বছরে আমেরিকা ৪৩, রাশিয়া চার, যুক্তরাজ্য ১০ এবং চীন ও ফ্রান্স তিনটি ভেটো দিয়েছে। বিশ্বশান্তির স্বার্থেই এই ভেটো ক্ষমতা রদ হওয়া উচিত। এসব কারণেই বিশ্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা অপ্রাসঙ্গিকতায় পর্যবসিত হয়েছে। শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো এগুলো মানে না। তা হলেও বিশ্ববাসীর প্রচেষ্টাই পারে আবার এসবকে তাত্পর্যপূর্ণ করে তুলতে।
(জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গত ২৩ জুলাই দেওয়া ভাষণের সংক্ষিপ্ত অনুবাদ।)
নোয়াম চমস্কি: শান্তিবাদী মার্কিন বুদ্ধিজীবী ও ভাষাতাত্ত্বিক।
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সমগ্র ইতিহাসজুড়ে অল্প কয়েকটি নীতি সর্বত্র পালিত হয়ে আসছে। গ্রিক ইতিহাসবিদ থুসিডাইডেসের একটি প্রবচন আছে, শক্তিমান যা ইচ্ছা তা করে আর দুর্বলেরা ভোগে অপরের ইচ্ছায়। আয়ান ব্রাউনলিও এ রকমই বলেছেন: শক্তিমানের ইচ্ছাই আইন। ইংল্যান্ডে একসময়ে সব নীতি ঠিক করা হতো ব্যবসায়ী ও শিল্পমালিকদের স্বার্থে, যদিও তার পরিণতি ভোগ করতে হতো সাধারণ মানুষকে আর দখলাধীন ভারতবর্ষকে।
‘রক্ষার দায়িত্বের’ কথা বলেই জাপান মাঞ্চুরিয়া দখল করে নিয়েছিল, হিটলার আগ্রাসন চালিয়েছিলেন চেকোস্লাভাকিয়ায় আর মুসোলিনি দখল করেন ইথিওপিয়া। অবশ্য এঁদের প্রত্যেকেই তাঁদের অপকর্মের পক্ষে যুক্তি ও মানবিক অজুহাত খাড়া করেছিলেন। বর্তমানকালেও এই ধারার কার্যকলাপ অব্যাহত আছে। এটাই হয়ে আছে আন্তর্জাতিক রাজনীতির চলতি নিয়ম।
আমেরিকা দখল করার কারণ হিসেবে ইউরোপীয় দখলদারেরা বলেছিল, তারা আসলে সেখানকার আদিম মানুষকে পাপের পথ থেকে রক্ষা করছে। আফ্রিকায় তারা উপনিবেশ স্থাপন করেছে কালো মানুষকে সভ্য করার কথা বলে। আজকের দুনিয়াতেও একই কাজ হয়ে চলেছে। ক্ষমতাবানেরা বলে পেছনের দিকে না তাকিয়ে সামনের দিকে তাকাতে। কিন্তু দুর্বলের জন্য এটা বুদ্ধির কাজ নয়।
আজ থেকে ৬০ বছর আগে আন্তর্জাতিক আদালত সিদ্ধান্ত দেন, ‘অবস্থাদৃষ্টে দেখা যাচ্ছে, হস্তক্ষেপের অধিকার কেবল শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোর জন্যই সংরক্ষিত এবং এটা সহজেই আইনের শাসনকে নষ্ট করে ফেলে।’ ২০০০ সালে ১৩৩টি দেশের উপস্থিতিতে সাউথ সামিটে একই কথা উচ্চারিত হয়। এই সম্মেলনের ঘোষণায় সার্বিয়ায় ন্যাটোর বোমাবর্ষণকে জাতিসংঘ সনদের লঙ্ঘন বলে ঘোষণা করা হয়। ২০০৬ সালে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ দেশগুলোর মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে এশিয়া, আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা ও আরব বিশ্বের চিরাচরিত নিপীড়িত রাষ্ট্রগুলো এ ধরনের হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে। দেখা যায়, এ ধরনের হস্তক্ষেপের অধিকার কেবল ন্যাটোরই রয়েছে, লাতিন আমেরিকার জোট ওএএস বা আফ্রিকীয় ইউনিয়নের সেই অধিকার নেই। একদিকে বলকান দেশগুলো, অন্যদিকে আফগানিস্তান-পাকিস্তানের ওপর ন্যাটো তার মর্জিমতো এখতিয়ার ঘোষণা করেছে। মানবাধিকার কিংবা স্থানীয় মানুষকে রক্ষায় তারা এসব অঞ্চলে সামরিক অভিযান পরিচালনা করে এবং এই দেশগুলো ন্যাটোর সদস্য নয়। কিন্তু এই ন্যাটোই তার সদস্যদেশগুলোর গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনকে চরম আশকারা দিয়ে থাকে। তুরস্ক ১৯৯০ সাল থেকে সেখানকার কুর্দিদের ওপর চরম নিপীড়ন চালালেও ক্লিনটন প্রশাসন তুরস্ককে সাহায্য-সহযোগিতা করে যায়। এর বাইরে পাশ্চাত্যগামী যেকোনো তেলের পাইপলাইন বা সমুদ্রপথে কোনো বাধা সৃষ্টি হলে সেসব স্থানেও হস্তক্ষেপের একচেটিয়া ক্ষমতা কেবল তারাই সংরক্ষণ করে। মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশগুলোও তাদের ক্ষমতার ছায়ার নিচে।
ইরাকে মানবতার ধ্বংস তাদের বিচলিত করে না। নিরাপত্তা পরিষদের অবরোধে ইরাকের লাখ লাখ শিশু মারা যায়, কঙ্গোতে কোটি কোটি মানুষ ক্ষুধায় ধুঁকছে। জাতিসংঘের তেলের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির দুই পরিচালক ইরাকে অন্যায় অবরোধের প্রতিবাদে পদত্যাগ করেন। তাঁরা একে মানবতাবিরোধী ও ‘গণহত্যা’ বলে আখ্যায়িত করেন। অথচ আমেরিকা ও ব্রিটেন নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তে মানবতাকে রক্ষার কথা বলে দেশটিতে আগ্রাসন চালায়।
একইভাবে গাজার জনসাধারণকে রক্ষার কোনো চিন্তা এদের মধ্যে দেখা যায় না। অথচ এটাও ছিল জাতিসংঘের দায়িত্ব। জাতিসংঘের দায়িত্ব ছিল জেনেভা কনভেনশন দ্বারা রক্ষিত অন্যান্য জনসাধারণকে রক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়া। যেমন বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে পূর্ব কঙ্গোতে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে মূল্যবান খনিজ সম্পদের বেআইনি ব্যবসা চালাচ্ছে এবং সেই ব্যবসা নিরাপদ রাখতে ভয়ঙ্করতম সংঘাত জিইয়ে রাখায় তহবিল জোগান দিচ্ছে।
জাতিসংঘ সম্প্রতি দরিদ্র দেশগুলোর ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা শত কোটি ছাপিয়ে গেছে বলে ঘোষণা করেছে। এদের রক্ষায় কোনো মানবিক হস্তক্ষেপের চিন্তা পাশ্চাত্য রাষ্ট্রশক্তির কল্পনাতেও আসে না। পাশাপাশি জাতিসংঘ বৈশ্বিক খাদ্য কর্মসূচির তহবিল কমিয়ে আনে। কারণ, ধনী দেশগুলো এ খাতে চাঁদা কমিয়ে দিয়েছে। মন্দায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের চেয়ে তারা আর্থিক বিপর্যয়ের জন্য দোষী ব্যাংকগুলোকেই বিরাট তহবিল দিচ্ছে। কয়েক বছর আগের হিসাবে দৈনিক ১৬ হাজার শিশু ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে, সামান্য রোগেই মরে যাচ্ছে আরও অনেকে। এই মৃত্যু ঠেকানো খুবই সহজ, কিন্তু সেদিকে কারও মনোযোগ নেই।
মানবিক হস্তক্ষেপের সবচেয়ে ঘৃণ্য উদাহরণগুলোর মধ্যে ইরাক ছাড়া সার্বিয়া অন্যতম। নেলসন ম্যান্ডেলা এর চরম সমালোচনা করেছিলেন। কিন্তু দুর্বলের সমালোচনা উপেক্ষণীয়। ন্যাটোর বোমাবর্ষণ সার্বিয়ার সংঘাতকে কমাতে পারেনি, যেমন ন্যাটো বাহিনী ইরাক বা আফগানিস্তানে হানাহানিকে আরও বাড়িয়েছে মাত্র।
গত ২৫ বছরে আমেরিকা ৪৩, রাশিয়া চার, যুক্তরাজ্য ১০ এবং চীন ও ফ্রান্স তিনটি ভেটো দিয়েছে। বিশ্বশান্তির স্বার্থেই এই ভেটো ক্ষমতা রদ হওয়া উচিত। এসব কারণেই বিশ্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা অপ্রাসঙ্গিকতায় পর্যবসিত হয়েছে। শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো এগুলো মানে না। তা হলেও বিশ্ববাসীর প্রচেষ্টাই পারে আবার এসবকে তাত্পর্যপূর্ণ করে তুলতে।
(জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গত ২৩ জুলাই দেওয়া ভাষণের সংক্ষিপ্ত অনুবাদ।)
নোয়াম চমস্কি: শান্তিবাদী মার্কিন বুদ্ধিজীবী ও ভাষাতাত্ত্বিক।
No comments