আমিও চাই হাসতে, মানুষের সঙ্গে মিশতে
মার্ক ভারমিউলেন |
রগচটা, বদমেজাজি, সোজা বাংলায় মাথার ঠিক নেই—তাঁর সম্পর্কে সবাই দেখি এসবই বলে! ক্রিকইনফো ওয়েবসাইটের প্রোফাইলেও পরিষ্কার বলা, ২০০৪ সালে ইরফান পাঠানের বলে আঘাত পেয়ে মস্তিষ্ক এলোমেলো হওয়ার অনেক আগে থেকেই এলোমেলো জিম্বাবুয়ের এই ব্যাটসম্যানের জীবন! তাহলে গত পরশু শেষ বিকেলের আলোয় কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব মাঠের সবুজ ঘাসে বসা যে তরুণকে অনেক স্পর্শকাতর বিষয়ও স্পর্শ করল না, তিনি কে? এ কোন মার্ক ভারমিউলেন!
দারুণ একটা কামব্যাক ইনিংস খেলার জন্য অভিনন্দন। ক্রিকেটটা নিশ্চয় খুব উপভোগ করছেন আবার?
মার্ক ভারমিউলেন: ক্রিকেট তো সব সময়ই উপভোগ করি। আবার আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে পেরে ভালো লাগছে। এই সিরিজের আগে আমি অনেক কষ্ট করেছি। প্রায় এক মাস ধরে নেটে অনুশীলন করেছি। এর আগে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান ছিল আমার। একটা সেঞ্চুরি আর বেশ কয়েকটা ফিফটি... এই পারফরম্যান্সই আমাকে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দলে সুযোগ করে দিয়েছে। আমিও আত্মবিশ্বাস নিয়েই ফিরেছি।
২০০৪ সালে ইরফান পাঠানের একটা বলে আঘাত পাওয়ার পর থেকেই তো সমস্যার শুরু?
ভারমিউলেন: হ্যাঁ... বলটা আমার ডান চোখের ওপর আঘাত করেছিল। কপাল ফেটে গিয়েছিল। ডাক্তাররা বলতে গেলে পুরো মাথাই খুলে ফেলেছিলেন অপারেশনের সময়..., মুখ-টুখ সব আলাদা করে ফেলেছিলেন (হাসি)। অপারেশনের সময়ই আমার চোখে বড় ধরনের সমস্যা হয়। ডান চোখটা অন্ধই হয়ে যাচ্ছিল বলতে পারেন। ভাগ্য ভালো যে সেটা হয়নি শেষ পর্যন্ত। মস্তিষ্কের ইনজুরি সাধারণত মানুষের হতাশার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। আমার বেলায়ও এর পর থেকেই বাজে বাজে সব ঘটনার শুরু। আমি এ ধরনের ইনজুরি বা অসুস্থতার লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন ছিলাম না। পরে চিকিত্সা নেওয়া শুরু করলে আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠি। এখন তো পুরোপুরিই ভালো হয়ে গেছি বলতে পারেন।
এ রকম একটা ধাক্কার পর নিজেকে আবার ফিরে পেলেন কীভাবে?
ভারমিউলেন: এ ধরনের ইনজুরির সঙ্গে ভালোভাবে পরিচিত এমন সব ডাক্তারের চিকিত্সা নিয়েছি। তাঁরা এর প্রতিক্রিয়াটা ভালোভাবে জানতেন। আমিও যখন বুঝতে পারলাম এসব কেন হচ্ছে, সমস্যাটা নিয়েই বেশি মনোযোগী হলাম। এরপর ওষুধ আর সঠিক চিকিত্সাই সারিয়ে তুলেছে আমাকে।
২০০৬ সালের ঘটনাটা একটু বলবেন... জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট একাডেমিতে আগুন লাগালেন। কার ওপরে রাগ থেকে এটা ঘটিয়েছিলেন?
ভারমিউলেন: (দীর্ঘশ্বাস। এরপর হাসতে হাসতে...) কী যে ঘটেছিল আমি নিজেও জানি না। পুরোটাই আসলে হতাশা থেকে। ওই সময়টাতে আমি বুঝতে পারছিলাম না আমার আসলে কী করা উচিত, আমার ভবিষ্যত্ কী। সামনে শুধুই অন্ধকার দেখছিলাম। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের বাইরে থাকার হতাশায় বিক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিলাম। নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলাম, যার শেষটা হলো অগ্নিকাণ্ড দিয়ে (আবার হাসি)।
পুলিশ তো ওই ঘটনার পর আপনাকে গ্রেপ্তার করেছিল।
ভারমিউলেন: হ্যাঁ, পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছিল আমাকে। ঘটনা ঘটার পর তো জেলে নিয়েই ঢোকাল, এরপর জামিনে বেরিয়ে আসি। তিন দিন ছিলাম জেলে। দেড় বছরের মতো মামলা লড়েছি। অসুস্থতার সপক্ষে ডাক্তারি কাগজপত্র দেখিয়েছি আদালতে। অস্ট্রেলীয় যে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আমার অস্ত্রোপচার করেছেন, জিম্বাবুয়েতে যে মনোবিদ আমাকে দেখতেন তাঁরা অনেক সাহায্য করেছেন।
জেলজীবন কেমন ছিল?
ভারমিউলেন: (হেসে) দীর্ঘ তি-ন দিন...। অনেক বড় পরীক্ষা ছিল সেটা। চরিত্র গঠনের সময়ও বলতে পারেন। কেউ তো আর এ ধরনের জায়গায় শখ করে যেতে চায় না। তবে ওখানে থাকা আসামিদের মধ্যে খুব বেশি মানুষ আমাকে চিনতে পারেনি। দু-একজনকে পেয়েছি যারা আমাকে ক্রিকেটার হিসেবে চিনত। অন্যরা ক্রিকেটের খোঁজখবর রাখত বলে মনে হয়নি।
ক্রিকেটে এলেন কীভাবে?
ভারমিউলেন: আমার বয়স তখন আট-দশ হবে। একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে টেলিভিশনে অস্ট্রেলিয়ার খেলা দেখতে বসলাম। খেলাটাকে কী কারণে জানি ভালো লেগে গেল তখন। এর পরই আমি জীবনে প্রথম ক্রিকেট খেলি। নিছকই উত্তেজনার বশে ব্যাট হাতে নিয়েছিলাম। ভালো লাগা থেকেই শুরু।
আপনি নিজেই বলেন ক্রিকেট আপনার জীবন। এখন কি মনে হয় না সে জীবনের আসল সময়টাই হারিয়ে গেছে?
ভারমিউলেন: অবশ্যই... এর আগে সর্বশেষ খেলেছি পাঁচ বছর হয়ে গেছে। পাঁচ বছর অনেক সময়। অনেক ক্রিকেটই আমি মিস করেছি। কিন্তু অতীত নিয়ে ভেবে তো আসলে কোনো লাভ নেই। আমার বয়স এখন ৩০ বছর... চেষ্টা করলে আরও অনেক বছর খেলতে পারব।
ব্যক্তিগত জীবনের কথা বলুন। কে কে আছে পরিবারে?
ভারমিউলেন: এখনো একাই আছি। তবে একসময় কেউ একজন ছিল আমার...। ২০০৬ সালের ওই ঘটনার মাসখানেক আগে তার সঙ্গে সম্পর্ক হয়। আর ঘটনা ঘটার পর সে সম্পর্ক ছুটে গেল। এখন অবশ্য ওসব নিয়ে ভাবি না। আগে ক্যারিয়ারটা দাঁড় করাতে চাই। রান-টান করে যদি দলে জায়গা করে নিতে পারি, সুখী হব তখনই। তবে এমনিতে জীবনটা ভালোই উপভোগ করছি।
জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটে কঠিন সময় যাচ্ছে। আপনার কি মনে হয় আবার আগের অবস্থানে ফেরা সম্ভব?
ভারমিউলেন: এটা ঠিক কঠিন একটা সময় যাচ্ছে আমাদের। অস্ট্রেলিয়ার দিকে তাকান... চার-পাঁচজন ক্রিকেটার অবসরে চলে যাওয়ার পরই তারা আর আগের মতো নেই। আর জিম্বাবুয়ে তো একসঙ্গে ১৫-২০ জন ক্রিকেটারকে হারাল! তবে এখন আবার সবকিছু সঠিক পথে এগোচ্ছে। জিম্বাবুয়েতে অনেক প্রতিভা আছে। তাদের তুলে আনতে হবে। এত দিন এই প্রতিভাদের প্রতি সুবিচার করা হয়নি।
পুরোনো অনেকেই তো আবার বিভিন্ন ভূমিকায় ফিরে আসছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটে।
ভারমিউলেন: এটা ভালো লক্ষণ। অভিজ্ঞ লোকদের দরকার আছে। তাদের কাছ থেকে নতুনেরা অনেক কিছু শিখতে পারবে। মনে আছে আমি যখন প্রথম জিম্বাবুয়ে দলে আসি কোচ আমাকে বললেন, ‘অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের কাছে যাও। তার সঙ্গে কথা বলে জেনে নাও স্পিন বলে কীভাবে খেলতে হয়।’ নিজের চোখে কাউকে খেলতে দেখে তার কাছ থেকে শেখা অন্য জিনিস। আপনি তখন আরও বেশি জানবেন, নিজেকে তার সঙ্গে মেলাতে পারবেন। আমাদের তরুণদের সামনে এখন এই সুযোগটা নেই।
এখানে অনেককেই বলতে শুনেছি আপনি খুব রাগী। কিন্তু এতক্ষণ কথা বলে তো উল্টোটাই মনে হলো! বাইরে এই ভুল প্রচার কেন?
ভারমিউলেন: মানুষ আসলে আপনার বিপক্ষের জিনিসটাই বেশি নেবে। আপনি যদি ইন্টারনেটে আমার নাম টাইপ করেন, প্রথমেই ভেসে আসবে আমার হাতকড়া পরা ছবি আর আগুন লাগানোর গল্প। দুর্ভাগ্যজনকভাবে মানুষের কাছে এখন আমার এটাই ভাবমূর্তি। কিন্তু বাস্তবতা হলো, আমিও চাই জীবনটাকে উপভোগ করতে, হাসতে, মানুষের সঙ্গে মিশতে।
দারুণ একটা কামব্যাক ইনিংস খেলার জন্য অভিনন্দন। ক্রিকেটটা নিশ্চয় খুব উপভোগ করছেন আবার?
মার্ক ভারমিউলেন: ক্রিকেট তো সব সময়ই উপভোগ করি। আবার আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে পেরে ভালো লাগছে। এই সিরিজের আগে আমি অনেক কষ্ট করেছি। প্রায় এক মাস ধরে নেটে অনুশীলন করেছি। এর আগে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান ছিল আমার। একটা সেঞ্চুরি আর বেশ কয়েকটা ফিফটি... এই পারফরম্যান্সই আমাকে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দলে সুযোগ করে দিয়েছে। আমিও আত্মবিশ্বাস নিয়েই ফিরেছি।
২০০৪ সালে ইরফান পাঠানের একটা বলে আঘাত পাওয়ার পর থেকেই তো সমস্যার শুরু?
ভারমিউলেন: হ্যাঁ... বলটা আমার ডান চোখের ওপর আঘাত করেছিল। কপাল ফেটে গিয়েছিল। ডাক্তাররা বলতে গেলে পুরো মাথাই খুলে ফেলেছিলেন অপারেশনের সময়..., মুখ-টুখ সব আলাদা করে ফেলেছিলেন (হাসি)। অপারেশনের সময়ই আমার চোখে বড় ধরনের সমস্যা হয়। ডান চোখটা অন্ধই হয়ে যাচ্ছিল বলতে পারেন। ভাগ্য ভালো যে সেটা হয়নি শেষ পর্যন্ত। মস্তিষ্কের ইনজুরি সাধারণত মানুষের হতাশার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। আমার বেলায়ও এর পর থেকেই বাজে বাজে সব ঘটনার শুরু। আমি এ ধরনের ইনজুরি বা অসুস্থতার লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন ছিলাম না। পরে চিকিত্সা নেওয়া শুরু করলে আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠি। এখন তো পুরোপুরিই ভালো হয়ে গেছি বলতে পারেন।
এ রকম একটা ধাক্কার পর নিজেকে আবার ফিরে পেলেন কীভাবে?
ভারমিউলেন: এ ধরনের ইনজুরির সঙ্গে ভালোভাবে পরিচিত এমন সব ডাক্তারের চিকিত্সা নিয়েছি। তাঁরা এর প্রতিক্রিয়াটা ভালোভাবে জানতেন। আমিও যখন বুঝতে পারলাম এসব কেন হচ্ছে, সমস্যাটা নিয়েই বেশি মনোযোগী হলাম। এরপর ওষুধ আর সঠিক চিকিত্সাই সারিয়ে তুলেছে আমাকে।
২০০৬ সালের ঘটনাটা একটু বলবেন... জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট একাডেমিতে আগুন লাগালেন। কার ওপরে রাগ থেকে এটা ঘটিয়েছিলেন?
ভারমিউলেন: (দীর্ঘশ্বাস। এরপর হাসতে হাসতে...) কী যে ঘটেছিল আমি নিজেও জানি না। পুরোটাই আসলে হতাশা থেকে। ওই সময়টাতে আমি বুঝতে পারছিলাম না আমার আসলে কী করা উচিত, আমার ভবিষ্যত্ কী। সামনে শুধুই অন্ধকার দেখছিলাম। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের বাইরে থাকার হতাশায় বিক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিলাম। নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলাম, যার শেষটা হলো অগ্নিকাণ্ড দিয়ে (আবার হাসি)।
পুলিশ তো ওই ঘটনার পর আপনাকে গ্রেপ্তার করেছিল।
ভারমিউলেন: হ্যাঁ, পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছিল আমাকে। ঘটনা ঘটার পর তো জেলে নিয়েই ঢোকাল, এরপর জামিনে বেরিয়ে আসি। তিন দিন ছিলাম জেলে। দেড় বছরের মতো মামলা লড়েছি। অসুস্থতার সপক্ষে ডাক্তারি কাগজপত্র দেখিয়েছি আদালতে। অস্ট্রেলীয় যে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আমার অস্ত্রোপচার করেছেন, জিম্বাবুয়েতে যে মনোবিদ আমাকে দেখতেন তাঁরা অনেক সাহায্য করেছেন।
জেলজীবন কেমন ছিল?
ভারমিউলেন: (হেসে) দীর্ঘ তি-ন দিন...। অনেক বড় পরীক্ষা ছিল সেটা। চরিত্র গঠনের সময়ও বলতে পারেন। কেউ তো আর এ ধরনের জায়গায় শখ করে যেতে চায় না। তবে ওখানে থাকা আসামিদের মধ্যে খুব বেশি মানুষ আমাকে চিনতে পারেনি। দু-একজনকে পেয়েছি যারা আমাকে ক্রিকেটার হিসেবে চিনত। অন্যরা ক্রিকেটের খোঁজখবর রাখত বলে মনে হয়নি।
ক্রিকেটে এলেন কীভাবে?
ভারমিউলেন: আমার বয়স তখন আট-দশ হবে। একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে টেলিভিশনে অস্ট্রেলিয়ার খেলা দেখতে বসলাম। খেলাটাকে কী কারণে জানি ভালো লেগে গেল তখন। এর পরই আমি জীবনে প্রথম ক্রিকেট খেলি। নিছকই উত্তেজনার বশে ব্যাট হাতে নিয়েছিলাম। ভালো লাগা থেকেই শুরু।
আপনি নিজেই বলেন ক্রিকেট আপনার জীবন। এখন কি মনে হয় না সে জীবনের আসল সময়টাই হারিয়ে গেছে?
ভারমিউলেন: অবশ্যই... এর আগে সর্বশেষ খেলেছি পাঁচ বছর হয়ে গেছে। পাঁচ বছর অনেক সময়। অনেক ক্রিকেটই আমি মিস করেছি। কিন্তু অতীত নিয়ে ভেবে তো আসলে কোনো লাভ নেই। আমার বয়স এখন ৩০ বছর... চেষ্টা করলে আরও অনেক বছর খেলতে পারব।
ব্যক্তিগত জীবনের কথা বলুন। কে কে আছে পরিবারে?
ভারমিউলেন: এখনো একাই আছি। তবে একসময় কেউ একজন ছিল আমার...। ২০০৬ সালের ওই ঘটনার মাসখানেক আগে তার সঙ্গে সম্পর্ক হয়। আর ঘটনা ঘটার পর সে সম্পর্ক ছুটে গেল। এখন অবশ্য ওসব নিয়ে ভাবি না। আগে ক্যারিয়ারটা দাঁড় করাতে চাই। রান-টান করে যদি দলে জায়গা করে নিতে পারি, সুখী হব তখনই। তবে এমনিতে জীবনটা ভালোই উপভোগ করছি।
জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটে কঠিন সময় যাচ্ছে। আপনার কি মনে হয় আবার আগের অবস্থানে ফেরা সম্ভব?
ভারমিউলেন: এটা ঠিক কঠিন একটা সময় যাচ্ছে আমাদের। অস্ট্রেলিয়ার দিকে তাকান... চার-পাঁচজন ক্রিকেটার অবসরে চলে যাওয়ার পরই তারা আর আগের মতো নেই। আর জিম্বাবুয়ে তো একসঙ্গে ১৫-২০ জন ক্রিকেটারকে হারাল! তবে এখন আবার সবকিছু সঠিক পথে এগোচ্ছে। জিম্বাবুয়েতে অনেক প্রতিভা আছে। তাদের তুলে আনতে হবে। এত দিন এই প্রতিভাদের প্রতি সুবিচার করা হয়নি।
পুরোনো অনেকেই তো আবার বিভিন্ন ভূমিকায় ফিরে আসছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটে।
ভারমিউলেন: এটা ভালো লক্ষণ। অভিজ্ঞ লোকদের দরকার আছে। তাদের কাছ থেকে নতুনেরা অনেক কিছু শিখতে পারবে। মনে আছে আমি যখন প্রথম জিম্বাবুয়ে দলে আসি কোচ আমাকে বললেন, ‘অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের কাছে যাও। তার সঙ্গে কথা বলে জেনে নাও স্পিন বলে কীভাবে খেলতে হয়।’ নিজের চোখে কাউকে খেলতে দেখে তার কাছ থেকে শেখা অন্য জিনিস। আপনি তখন আরও বেশি জানবেন, নিজেকে তার সঙ্গে মেলাতে পারবেন। আমাদের তরুণদের সামনে এখন এই সুযোগটা নেই।
এখানে অনেককেই বলতে শুনেছি আপনি খুব রাগী। কিন্তু এতক্ষণ কথা বলে তো উল্টোটাই মনে হলো! বাইরে এই ভুল প্রচার কেন?
ভারমিউলেন: মানুষ আসলে আপনার বিপক্ষের জিনিসটাই বেশি নেবে। আপনি যদি ইন্টারনেটে আমার নাম টাইপ করেন, প্রথমেই ভেসে আসবে আমার হাতকড়া পরা ছবি আর আগুন লাগানোর গল্প। দুর্ভাগ্যজনকভাবে মানুষের কাছে এখন আমার এটাই ভাবমূর্তি। কিন্তু বাস্তবতা হলো, আমিও চাই জীবনটাকে উপভোগ করতে, হাসতে, মানুষের সঙ্গে মিশতে।
No comments