সব ধরনের বাধা দূর করতে উদ্যোগ নিন -লেবাননে নারীশ্রমিকদের সমস্যা
লেবাননে
গৃহকর্মী হিসেবে যাওয়া বাংলাদেশি নারীশ্রমিকদের অনেকেই নানাভাবে
নির্যাতিত হচ্ছেন। দেশে ফিরে আসা নারীশ্রমিকদের বক্তব্যে এর প্রমাণ
মিলেছে। এ ছাড়া দুর্বিষহ জীবন থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই দেশে ফেরার আকুতি
জানিয়েছেন প্রিয়জনদের কাছে। লক্ষাধিক টাকা খরচ করে বিদেশে গিয়ে যদি কোনো
দরিদ্র পরিবারের নারীর করুণ পরিণতি হয়, তবে এর চেয়ে হতাশাজনক আর কী হতে
পারে!
বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের পাঠানো অর্থ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে মূল্যবান অবদান রেখে চলেছে। সাম্প্রতিক সময়ে নারীশ্রমিকদের বিদেশে যাওয়ার হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো সূত্রে জানা গেছে, গত সাত মাসে ১১ হাজার ২৭৬ জন নারী বিভিন্ন দেশে কাজ করতে গেছেন। এর মধ্যে শুধু লেবাননেই গেছেন সাত হাজার ৯৫ জন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, লেবাননে বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস নেই। ফলে নারীশ্রমিকেরা কোনো সমস্যায় পড়লে তাঁদের হয়রানির শেষ থাকে না। কিন্তু সরকার এ বিষয়ে নিশ্চুপ।
আমাদের দেশ থেকে বিদেশে যাওয়া নারীশ্রমিকদের প্রধান সমস্যা, তাঁরা বেশির ভাগই স্বল্পশিক্ষিত। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর নারী অভিবাসন তথ্যকেন্দ্র থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা বিদেশ যাওয়ার আগে যেন প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র পরীক্ষা করে নিয়োগকারী দেশের ভাষা কিছুটা জেনে তবেই সে দেশে যান।
দারিদ্র্য ও কাজের অভাব এ দেশের মানুষকে বিদেশ যেতে উদ্বুদ্ধ করে তুলছে। আর এ সুযোগে প্রতারকচক্র লোকজনকে বিদেশ পাঠানোর নামে প্রতারণা করছে। ভাগ্যান্বেষণে বৈধভাবে বিদেশ গিয়ে কেউ এ রকম বিপদের মুখে পড়বে, এটা কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। কাজের আশায় এ দেশের মানুষ বিদেশে যাবে—এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু তারা যেন প্রতারণার শিকার না হয় এবং বিদেশ গিয়ে যাতে বিপদে না পড়ে, তা লক্ষ রাখা সরকারের একান্ত কর্তব্য। আমরা আশা করব, লেবাননে নারীশ্রমিকদের হয়রানির বিষয়টি সরকারের পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। পাশাপাশি বিদেশে যাওয়া নারীশ্রমিকদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি দূতাবাসগুলো এবং জনশক্তি রপ্তানি ব্যবস্থাপনাকে আরও অধিক মাত্রায় জেন্ডার-সংবেদনশীল করার দিকে মনোযোগী হতে হবে।
বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের পাঠানো অর্থ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে মূল্যবান অবদান রেখে চলেছে। সাম্প্রতিক সময়ে নারীশ্রমিকদের বিদেশে যাওয়ার হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো সূত্রে জানা গেছে, গত সাত মাসে ১১ হাজার ২৭৬ জন নারী বিভিন্ন দেশে কাজ করতে গেছেন। এর মধ্যে শুধু লেবাননেই গেছেন সাত হাজার ৯৫ জন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, লেবাননে বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস নেই। ফলে নারীশ্রমিকেরা কোনো সমস্যায় পড়লে তাঁদের হয়রানির শেষ থাকে না। কিন্তু সরকার এ বিষয়ে নিশ্চুপ।
আমাদের দেশ থেকে বিদেশে যাওয়া নারীশ্রমিকদের প্রধান সমস্যা, তাঁরা বেশির ভাগই স্বল্পশিক্ষিত। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর নারী অভিবাসন তথ্যকেন্দ্র থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা বিদেশ যাওয়ার আগে যেন প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র পরীক্ষা করে নিয়োগকারী দেশের ভাষা কিছুটা জেনে তবেই সে দেশে যান।
দারিদ্র্য ও কাজের অভাব এ দেশের মানুষকে বিদেশ যেতে উদ্বুদ্ধ করে তুলছে। আর এ সুযোগে প্রতারকচক্র লোকজনকে বিদেশ পাঠানোর নামে প্রতারণা করছে। ভাগ্যান্বেষণে বৈধভাবে বিদেশ গিয়ে কেউ এ রকম বিপদের মুখে পড়বে, এটা কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। কাজের আশায় এ দেশের মানুষ বিদেশে যাবে—এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু তারা যেন প্রতারণার শিকার না হয় এবং বিদেশ গিয়ে যাতে বিপদে না পড়ে, তা লক্ষ রাখা সরকারের একান্ত কর্তব্য। আমরা আশা করব, লেবাননে নারীশ্রমিকদের হয়রানির বিষয়টি সরকারের পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। পাশাপাশি বিদেশে যাওয়া নারীশ্রমিকদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি দূতাবাসগুলো এবং জনশক্তি রপ্তানি ব্যবস্থাপনাকে আরও অধিক মাত্রায় জেন্ডার-সংবেদনশীল করার দিকে মনোযোগী হতে হবে।
No comments