সাড়ে ছয় লাখ উট হত্যা করবে অস্ট্রেলিয়া
নিরীহ প্রাণী উটও আধুনিক সভ্যতার নিষ্ঠুরতা থেকে রেহাই পাচ্ছে না। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার মরু এলাকা আউটব্যাকে সাড়ে ছয় লাখের বেশি উট মেরে ফেলার পরিকল্পনা নিয়েছে সে দেশের সরকার। এ জন্য তারা আড়াই কোটি ডলারের বাজেটও ঘোষণা করেছে।
আউটব্যাকে উটের সংখ্যা অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় সেখানকার মানব বসতিগুলোয় পানি ও খাদ্যের সন্ধানে উত্পাত করছে প্রাণীগুলো। স্থানীয় বাসিন্দারা এ বিষয়ে সরকারের কাছে অভিযোগ করায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান সরকারি কর্মকর্তারা। হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালিয়ে উটগুলোকে হত্যা করা হবে। তবে অস্ট্রেলীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন পশুপ্রেমীরা।
আউটব্যাকের স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, উটগুলো পানির সন্ধানে সেখানকার আদিবাসীদের বাড়িঘরে ঢুকে পড়ছে, পানির পাইপ ভেঙে ফেলছে, স্নানঘরের ভেতর ঢুকে পড়ছে, কমোড ভেঙে ফেলছে। প্রতি আট থেকে নয় বছরে সেখানে উটের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় উটের সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ।
অস্ট্রেলিয়ার মরু অঞ্চলে মালামাল বহনের জন্য ১৮৪০ সালে অভিযাত্রীরা অস্ট্রেলিয়ায় উট আনেন। এর পর থেকে সেগুলো সেখানে বাস করছে এবং বংশবৃদ্ধি করছে।
উটের সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় এখন সেগুলো অস্ট্রেলীয় সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই নিধনের মাধ্যমে উটের সংখ্যা দুই-তৃতীয়াংশে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এ ব্যাপারে ক্যানবেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনভাসিভ অ্যানিমেলস কো-অপারেটিভ রিসার্চ সেন্টারের প্রধান নির্বাহী টনি পিকক বলেন, হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে উট হত্যার বিষয়টি নিষ্ঠুরতা মনে হলেও, আসলে এটিই বরং অনেক বেশি মানবিক।
তবে এ সিদ্ধান্তের বিরোধীরা বলছেন, হত্যা করে সংখ্যা কমানোর পরিকল্পনা এ সমস্যার একটি স্বল্পমেয়াদি সমাধান। পশুপ্রেমীরা এ সমস্যা সমাধানে উটের জন্মনিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি মাংসের জন্য বাণিজ্যিকভাবে উটের খামার করার পরামর্শ দিয়েছেন অনেক উদ্যোক্তা।
ওয়াইল্ড লাইফ প্রিজারভেশন সোসাইটি অব অস্ট্রেলিয়ার প্রেসিডেন্ট মার্ক পিটারসন বলেন, হাজার হাজার উট ধরে সেগুলো রপ্তানি করার পরিকল্পনা বাস্তবসম্মত নয়। বরং সেগুলোর জন্মনিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা যেতে পারে।
অস্ট্রেলীয় সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, চার বছর ধরে এসব উট হত্যা করা হবে।
আউটব্যাক অঞ্চলে উটের উত্পাতে সেখানকার সম্পত্তির মালিক ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের বছরে এক কোটি ৪০ লাখ অস্ট্রেলীয় ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়।
আউটব্যাকে উটের সংখ্যা অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় সেখানকার মানব বসতিগুলোয় পানি ও খাদ্যের সন্ধানে উত্পাত করছে প্রাণীগুলো। স্থানীয় বাসিন্দারা এ বিষয়ে সরকারের কাছে অভিযোগ করায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান সরকারি কর্মকর্তারা। হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালিয়ে উটগুলোকে হত্যা করা হবে। তবে অস্ট্রেলীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন পশুপ্রেমীরা।
আউটব্যাকের স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, উটগুলো পানির সন্ধানে সেখানকার আদিবাসীদের বাড়িঘরে ঢুকে পড়ছে, পানির পাইপ ভেঙে ফেলছে, স্নানঘরের ভেতর ঢুকে পড়ছে, কমোড ভেঙে ফেলছে। প্রতি আট থেকে নয় বছরে সেখানে উটের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় উটের সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ।
অস্ট্রেলিয়ার মরু অঞ্চলে মালামাল বহনের জন্য ১৮৪০ সালে অভিযাত্রীরা অস্ট্রেলিয়ায় উট আনেন। এর পর থেকে সেগুলো সেখানে বাস করছে এবং বংশবৃদ্ধি করছে।
উটের সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় এখন সেগুলো অস্ট্রেলীয় সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই নিধনের মাধ্যমে উটের সংখ্যা দুই-তৃতীয়াংশে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এ ব্যাপারে ক্যানবেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনভাসিভ অ্যানিমেলস কো-অপারেটিভ রিসার্চ সেন্টারের প্রধান নির্বাহী টনি পিকক বলেন, হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে উট হত্যার বিষয়টি নিষ্ঠুরতা মনে হলেও, আসলে এটিই বরং অনেক বেশি মানবিক।
তবে এ সিদ্ধান্তের বিরোধীরা বলছেন, হত্যা করে সংখ্যা কমানোর পরিকল্পনা এ সমস্যার একটি স্বল্পমেয়াদি সমাধান। পশুপ্রেমীরা এ সমস্যা সমাধানে উটের জন্মনিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি মাংসের জন্য বাণিজ্যিকভাবে উটের খামার করার পরামর্শ দিয়েছেন অনেক উদ্যোক্তা।
ওয়াইল্ড লাইফ প্রিজারভেশন সোসাইটি অব অস্ট্রেলিয়ার প্রেসিডেন্ট মার্ক পিটারসন বলেন, হাজার হাজার উট ধরে সেগুলো রপ্তানি করার পরিকল্পনা বাস্তবসম্মত নয়। বরং সেগুলোর জন্মনিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা যেতে পারে।
অস্ট্রেলীয় সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, চার বছর ধরে এসব উট হত্যা করা হবে।
আউটব্যাক অঞ্চলে উটের উত্পাতে সেখানকার সম্পত্তির মালিক ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের বছরে এক কোটি ৪০ লাখ অস্ট্রেলীয় ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়।
No comments