পাকিস্তানের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে তিনবার হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা
গত দুই বছরে পাকিস্তানের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে কমপক্ষে তিনবার হামলা চালিয়েছে দেশটির চরমপন্থী সন্ত্রাসীরা। তবে এসব হামলার ঘটনা প্রকাশ পায়নি।
যুক্তরাজ্যের ব্রাডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শন গ্রেগরি পরমাণু স্থাপনাগুলোতে হামলার ঘটনাগুলো চিহ্নিত করেছেন। অধ্যাপক গ্রেগরি পাকিস্তান সিকিউরিটি রিসার্চ ইউনিটের প্রধান। তিনি জানান, প্রথম হামলাটি ঘটে ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর। ওই দিন সারাগোদায় পাকিস্তানের পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ কেন্দ্রে হামলা চালানো হয়। ২০০৭ সালের ১০ ডিসেম্বর কামারায় পরমাণু বিমানঘাঁটিতে দ্বিতীয় হামলাটি চালায় এক আত্মঘাতী হামলাকারী। সবচেয়ে তাত্পর্যপূর্ণ হামলাটি চালানো হয় ২০০৮ সালের ২০ আগস্ট। সেদিন ওয়াহ সেনানিবাসের একটি অস্ত্রাগারের বেশ কয়েকটি প্রবেশপথ উড়িয়ে দেয় পাকিস্তানি তালেবানের আত্মঘাতী জঙ্গিরা। ওয়াহ সেনানিবাসকে পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান পরমাণু অস্ত্রাগার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অধ্যাপক গ্রেগরি বলেন, সম্ভাব্য হামলা, বিশেষ করে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে যেকোনো সম্ভাব্য হামলা থেকে নিজেদের পরমাণু অস্ত্র নিরাপদ ও সুরক্ষিত করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু তা সত্ত্বেও এসব হামলা হয়েছে।
পাকিস্তান বারবার বলে আসছে, তাদের পরমাণু অস্ত্র পুরোপুরি নিরাপদ। চরমপন্থী বা সন্ত্রাসীদের হাতে সেগুলো পড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
অধ্যাপক গ্রেগরি বলেন, পাকিস্তানের প্রধান পরমাণু স্থাপনাগুলো যেসব এলাকায় অবস্থিত, ওই সব এলাকায় আল-কায়েদা ও তালেবানের আধিপত্য রয়েছে। তিনি বলেন, সত্তর ও আশির দশকে পাকিস্তান যখন পরমাণু স্থাপনাগুলো তৈরি করছিল তখন দেশটির প্রধান উদ্বেগ ছিল, স্থাপনাগুলো যদি পাক-ভারত সীমান্তবর্তী এলাকায় স্থাপন করা হয় তাহলে যেকোনো সংঘাতের সময় এতে হামলা চালাতে পারবে ভারত। যার ফলে কয়েকটি ব্যতিক্রম ছাড়া পরমাণু স্থাপনা গড়ে তোলার জন্য দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলকে বেছে নেয় পাকিস্তান। পাকিস্তানের অধিকাংশ পরমাণু স্থাপনাই ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডির আশপাশে গড়ে উঠেছে। ওয়াহ, ফতেহগঞ্জ, গোলরা শরিফ, কাহুতা, সিহালা, ইসা খেল চারমা, তারওয়ানাহ ও তক্ষশিলায় গড়ে তোলা হয়েছে পরমাণু স্থাপনাগুলো।
বহিঃশত্রুর হামলা থেকে নিজেদের পরমাণু অস্ত্র ও স্থাপনা রক্ষা করতে পাকিস্তান যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে সেগুলোর বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন অধ্যাপক গ্রেগরি। তিনি বলেন, নিজেদের পরমাণু অস্ত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ব্যাপক ব্যবস্থা গ্রহণ করে পাকিস্তান। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রকে অনুকরণ করেই এসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এতসব পদক্ষেপ সত্ত্বেও পরমাণু স্থাপনাগুলোতে হামলা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের ব্রাডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শন গ্রেগরি পরমাণু স্থাপনাগুলোতে হামলার ঘটনাগুলো চিহ্নিত করেছেন। অধ্যাপক গ্রেগরি পাকিস্তান সিকিউরিটি রিসার্চ ইউনিটের প্রধান। তিনি জানান, প্রথম হামলাটি ঘটে ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর। ওই দিন সারাগোদায় পাকিস্তানের পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ কেন্দ্রে হামলা চালানো হয়। ২০০৭ সালের ১০ ডিসেম্বর কামারায় পরমাণু বিমানঘাঁটিতে দ্বিতীয় হামলাটি চালায় এক আত্মঘাতী হামলাকারী। সবচেয়ে তাত্পর্যপূর্ণ হামলাটি চালানো হয় ২০০৮ সালের ২০ আগস্ট। সেদিন ওয়াহ সেনানিবাসের একটি অস্ত্রাগারের বেশ কয়েকটি প্রবেশপথ উড়িয়ে দেয় পাকিস্তানি তালেবানের আত্মঘাতী জঙ্গিরা। ওয়াহ সেনানিবাসকে পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান পরমাণু অস্ত্রাগার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অধ্যাপক গ্রেগরি বলেন, সম্ভাব্য হামলা, বিশেষ করে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে যেকোনো সম্ভাব্য হামলা থেকে নিজেদের পরমাণু অস্ত্র নিরাপদ ও সুরক্ষিত করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু তা সত্ত্বেও এসব হামলা হয়েছে।
পাকিস্তান বারবার বলে আসছে, তাদের পরমাণু অস্ত্র পুরোপুরি নিরাপদ। চরমপন্থী বা সন্ত্রাসীদের হাতে সেগুলো পড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
অধ্যাপক গ্রেগরি বলেন, পাকিস্তানের প্রধান পরমাণু স্থাপনাগুলো যেসব এলাকায় অবস্থিত, ওই সব এলাকায় আল-কায়েদা ও তালেবানের আধিপত্য রয়েছে। তিনি বলেন, সত্তর ও আশির দশকে পাকিস্তান যখন পরমাণু স্থাপনাগুলো তৈরি করছিল তখন দেশটির প্রধান উদ্বেগ ছিল, স্থাপনাগুলো যদি পাক-ভারত সীমান্তবর্তী এলাকায় স্থাপন করা হয় তাহলে যেকোনো সংঘাতের সময় এতে হামলা চালাতে পারবে ভারত। যার ফলে কয়েকটি ব্যতিক্রম ছাড়া পরমাণু স্থাপনা গড়ে তোলার জন্য দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলকে বেছে নেয় পাকিস্তান। পাকিস্তানের অধিকাংশ পরমাণু স্থাপনাই ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডির আশপাশে গড়ে উঠেছে। ওয়াহ, ফতেহগঞ্জ, গোলরা শরিফ, কাহুতা, সিহালা, ইসা খেল চারমা, তারওয়ানাহ ও তক্ষশিলায় গড়ে তোলা হয়েছে পরমাণু স্থাপনাগুলো।
বহিঃশত্রুর হামলা থেকে নিজেদের পরমাণু অস্ত্র ও স্থাপনা রক্ষা করতে পাকিস্তান যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে সেগুলোর বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন অধ্যাপক গ্রেগরি। তিনি বলেন, নিজেদের পরমাণু অস্ত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ব্যাপক ব্যবস্থা গ্রহণ করে পাকিস্তান। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রকে অনুকরণ করেই এসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এতসব পদক্ষেপ সত্ত্বেও পরমাণু স্থাপনাগুলোতে হামলা হয়েছে।
No comments