কোনো আশ্বাসই কাজে আসছে না -বাজারদর ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারদর নিয়ে যত কথা হচ্ছে, ততই যেন বাজার অশান্ত হয়ে উঠছে। সরকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছে। ব্যবসায়ীরা রমজান মাসে দাম না বাড়ানোর আশ্বাস দিচ্ছেন। তাতে ক্রেতা-ভোক্তার স্বস্তি মিলছে না। ডাল-তেল, পেঁয়াজ-রসুন, আলু-চিনি—সবকিছুর দাম প্রতিদিন কিছু না কিছু হারে বাড়ছে। এই দাম বাড়ার সঠিক কারণ যেমন নির্ণয় করা যাচ্ছে না, তেমনি কেউই এর দায় নিতেও রাজি নন। পাইকারি ব্যবসায়ীরা দোষ চাপান আমদানিকারক ও উত্পাদকদের ঘাড়ে, খুচরা বিক্রেতারা আঙুল তুলছেন পাইকারদের দিকে, আর জোগানদারেরা অজুহাত দিচ্ছেন আন্তর্জাতিক বাজারদরের, কখনো বা দেশের ভেতর প্রতিকূল আবহাওয়ার।
চাহিদার বিপরীতে জোগানের ঘাটতি দেখা দিলে দাম বাড়াটা যৌক্তিক বলে প্রতীয়মান হতে পারে। কিন্তু সেই বৃদ্ধির হার কতটা? বাজারে পণ্য সরবরাহের যে চিত্র পাওয়া যায়, তাতে তো ঘাটতি হওয়ার কোনো কথাই নয়। গত সপ্তাহে প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনেই জানা গেছে, রমজান মাসে ব্যবহার্য ছোলা, মটর ও চিনির মজুদ এখন চাহিদার তুলনায় দুই থেকে আড়াই গুণ বেশি রয়েছে। আমদানি বেড়েছে ডাল ও ভোজ্যতেলের। এর পরও আমদানিমূল্যের চেয়ে প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি দাম দিয়ে ভোক্তাদের এসব পণ্য কিনতে হচ্ছে বলে প্রতিবেদন থেকে জানা যায়। স্পষ্টতই এখানে ব্যবসায়ীচক্র উচ্চ মুনাফা তুলে নিচ্ছে। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
সমস্যা হলো, এ বিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ করার কার্যত কোনো ক্ষমতাই নেই। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (টিসিবি) দিয়ে বাজারে পণ্য সরবরাহ বাড়ানোর প্রচেষ্টা এখনো ফলপ্রসূ হয়নি। আর তাই খুচরা ও পাইকারি বাজারে দৈনিক দর লিখে টাঙিয়ে রাখার মতো অগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী কখনো কঠোর ভাষায় শাসিয়ে, কখনো বা নীতিবাক্য আউড়ে ব্যবসায়ীদের দাম সহনীয় রাখার জন্য আদেশ-অনুরোধ করছেন। বলেছেন, দাম বাড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কীভাবে ও কবে সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এর অবশ্য কোনো আভাস মেলেনি আজও। ফলে সরকার হুমকি-ধমকি দিলেও তা একটা অর্থহীন বিষয়ে পর্যবসিত হচ্ছে। এ রকম চলতে থাকলে রমজান মাস শুরুর আগে দাম এমন জায়গায় গিয়ে ঠেকবে যে রমজান মাসে আর দাম না বাড়ালেও চলবে।
তাই বলে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকলে নিশ্চয়ই চলবে না। সরকারের উচিত হবে মজুদ পণ্য যত দ্রুত সম্ভব বাজারে আনার ব্যবস্থা করা। পাশাপাশি টিসিবিকে সক্রিয় করে খোলাবাজারে পণ্য বিক্রি বাড়ানো—যেন সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীদের ওপর চাপ
তৈরি হয়।
চাহিদার বিপরীতে জোগানের ঘাটতি দেখা দিলে দাম বাড়াটা যৌক্তিক বলে প্রতীয়মান হতে পারে। কিন্তু সেই বৃদ্ধির হার কতটা? বাজারে পণ্য সরবরাহের যে চিত্র পাওয়া যায়, তাতে তো ঘাটতি হওয়ার কোনো কথাই নয়। গত সপ্তাহে প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনেই জানা গেছে, রমজান মাসে ব্যবহার্য ছোলা, মটর ও চিনির মজুদ এখন চাহিদার তুলনায় দুই থেকে আড়াই গুণ বেশি রয়েছে। আমদানি বেড়েছে ডাল ও ভোজ্যতেলের। এর পরও আমদানিমূল্যের চেয়ে প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি দাম দিয়ে ভোক্তাদের এসব পণ্য কিনতে হচ্ছে বলে প্রতিবেদন থেকে জানা যায়। স্পষ্টতই এখানে ব্যবসায়ীচক্র উচ্চ মুনাফা তুলে নিচ্ছে। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
সমস্যা হলো, এ বিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ করার কার্যত কোনো ক্ষমতাই নেই। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (টিসিবি) দিয়ে বাজারে পণ্য সরবরাহ বাড়ানোর প্রচেষ্টা এখনো ফলপ্রসূ হয়নি। আর তাই খুচরা ও পাইকারি বাজারে দৈনিক দর লিখে টাঙিয়ে রাখার মতো অগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী কখনো কঠোর ভাষায় শাসিয়ে, কখনো বা নীতিবাক্য আউড়ে ব্যবসায়ীদের দাম সহনীয় রাখার জন্য আদেশ-অনুরোধ করছেন। বলেছেন, দাম বাড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কীভাবে ও কবে সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এর অবশ্য কোনো আভাস মেলেনি আজও। ফলে সরকার হুমকি-ধমকি দিলেও তা একটা অর্থহীন বিষয়ে পর্যবসিত হচ্ছে। এ রকম চলতে থাকলে রমজান মাস শুরুর আগে দাম এমন জায়গায় গিয়ে ঠেকবে যে রমজান মাসে আর দাম না বাড়ালেও চলবে।
তাই বলে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকলে নিশ্চয়ই চলবে না। সরকারের উচিত হবে মজুদ পণ্য যত দ্রুত সম্ভব বাজারে আনার ব্যবস্থা করা। পাশাপাশি টিসিবিকে সক্রিয় করে খোলাবাজারে পণ্য বিক্রি বাড়ানো—যেন সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীদের ওপর চাপ
তৈরি হয়।
No comments