প্রবাসী শ্রমজীবীরা দেশের অর্থনীতির প্রকৃত নায়ক হয়েও অবহেলিত
প্রবাসী শ্রমজীবীরাই বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রকৃত বীর। তাঁরাই দিনবদলের প্রকৃত প্রতিনিধি। ৭৫ লাখ প্রবাসী বছরে প্রায় হাজার কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েও নানাভাবে অবহেলার পাত্র। অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা এ জনগোষ্ঠীর জন্য বাজেটে আলাদা খাত থাকা উচিত।
গতকাল সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দিনব্যাপী রেমিট্যান্স উত্সব ও সোনার মানুষ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিকেলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সমাপনী ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। শ্রম, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন সম্মানিত অতিথি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান বিশেষ অতিথি ছিলেন। রামরুর প্রধান তাসনীম সিদ্দিকী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের ৭৫ লাখ মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত। জাতির অর্থনৈতিক বুনিয়াদ গঠনে তাঁদের অবদান অসীম এবং তাঁরাই হলেন প্রকৃত ‘দিনবদলের প্রতিনিধি’। তাঁদের পাঠানো রেমিট্যান্সে (প্রবাসী-আয়) লাখ লাখ পরিবার চলে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যাঁরা প্রবাসে বসবাস করেন, ওখানে থেকেই দেশের জন্য চিন্তা করেন, তাঁদের অনেক দুঃখ-কষ্ট ও অভিযোগ রয়েছে। সেগুলো আমরা বুঝলেও অনেক সময় প্রতিকার করতে পারি না। এর অর্থ তাঁদের প্রতি অবহেলা নয়, বরং সরকারের অদক্ষতা।’
বিপদ এলে ধৈর্য ও সাহস নিয়ে তা মোকাবিলার পরামর্শ দিয়ে প্রবাসীদের উদ্দেশে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এখন থেকে সরকার ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা আপনাদের অভিযোগ শুনে ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত।’
শ্রমমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, জনশক্তি রপ্তানি ও কৃষি উন্নয়ন—এ দুই খাতের উন্নয়নের মাধ্যমেই বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হতে পারে।
রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর উদ্দেশে শ্রমমন্ত্রী বলেন, ‘যে হাঁস ডিম দেয়, তাকে মারবেন না।’ তিনি প্রবাসীদের প্রতি মানবিক ও সংবেদনশীল হওয়ার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান বলেন, প্রবাসী বাঙালিরাই দেশের প্রকৃত বীর। এই বীরদের জন্য অভিবাসন ব্যয় কমানো, তাঁদের রেমিট্যান্স স্বল্প খরচে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা এবং ওই রেমিট্যান্স অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহারের পথ তৈরি করা—এ তিন কাজকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন তিনি।
তাসনীম সিদ্দিকী বলেন, অর্থনীতিতে ১০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স সংযোজনের সঙ্গে যাঁঁরা যুক্ত, দেশে তাঁদের তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় না। আদম ব্যাপারি নামটি ঘোচাতেই বহু বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য প্রভৃতি খাতের মতো বাজেটে তাঁদের জন্য আলাদা খাত থাকা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
সকালে দিনব্যাপী এ উত্সবের ‘অভিবাসন দশক ২০১০-২০১৯’ শীর্ষক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ প্রধান অতিথি ছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর জিয়াউল হাসান সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এতে বিভিন্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা আলোচনায় অংশ নেন।
এতে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ প্রবাসী শ্রমজীবীদের নেপথ্য নায়ক হিসেবে অভিহিত করেন।
সেরা পুরস্কার: অনুষ্ঠানে দুজনকে সোনার মানুষ সম্মাননা ২০০৯ দেওয়া হয়। তাঁরা হলেন কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার খোশকান্দি গ্রামের আবদুল হালিম চৌধুরী এবং কেরানীগঞ্জের সোনাকান্দা গ্রামের রুহুল আমিন।
সেরা রেমিট্যান্স ব্যবহারকারী পুরস্কার পান টাঙ্গাইলের কালিহাতীর কালোহা গ্রামের সুরাইয়া ইয়াছমিন, কেরানীগঞ্জের খাড়াকান্দির সোবহান মোল্লা ও চট্টগ্রামের পটিয়ার মোজাফফর আলম।
অনুষ্ঠানে তিনটি অভিবাসী অধিকার রক্ষা কমিটিকে সোনার মানুষ সেবা সম্মাননা দেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রথম হয়েছে পাইকরা-সহদেবপুর অভিবাসী অধিকার রক্ষা কমিটি, দ্বিতীয় কাশিল অভিবাসী অধিকার রক্ষা কমিটি এবং তৃতীয় হয়েছে যৌথভাবে সুন্দলপুর অভিবাসী অধিকার রক্ষা কমিটি ও কুমিরা অভিবাসী অধিকার রক্ষা কমিটি।
এ ছাড়া ১১ জন ব্যাংক কর্মকর্তাকে সোনার মানুষ সেবা সম্মাননা দেওয়া হয়। তাঁরা হলেন: অগ্রণী ব্যাংকের টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ রোড শাখার সালমা আক্তার, পূবালী ব্যাংকের কমরগঞ্জ শাখার আবু ফুয়াদ, ব্র্যাক ব্যাংকের দাউদকান্দি বিডিপির আঞ্চলিক কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের দোহার শাখার তপন জেমস রোজারিও, সোনালী ব্যাংকের টাঙ্গাইল শাখার সাজেদা পারভীন, কৃষি ব্যাংকের নবাবগঞ্জ শাখার নারায়ণ চন্দ্র মণ্ডল, সাউথইস্ট ব্যাংকের কেরানীগঞ্জ শাখার মাহবুবুল আলম, জনতা ব্যাংক টাঙ্গাইল শাখার রেজিনা আক্তার, ইসলামী ব্যাংকের টাঙ্গাইল শাখার আবদুল মতিন সরকার, এবি ব্যাংকের সীতাকুণ্ড শাখার নুরুন নবী এবং ন্যাশনাল ব্যাংকের মিরসরাই শাখার শহীদুল ওসমান।
এ ছাড়া আহমেদ অ্যান্ড কোম্পানি, এমসিও ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল ও গ্রিনল্যান্ড ওভারসিজ নামের তিনটি রিক্রুটিং এজেন্সিকেও সোনার মানুষ সেবা সম্মাননা দেওয়া হয়।
গতকাল সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দিনব্যাপী রেমিট্যান্স উত্সব ও সোনার মানুষ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিকেলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সমাপনী ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। শ্রম, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন সম্মানিত অতিথি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান বিশেষ অতিথি ছিলেন। রামরুর প্রধান তাসনীম সিদ্দিকী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের ৭৫ লাখ মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত। জাতির অর্থনৈতিক বুনিয়াদ গঠনে তাঁদের অবদান অসীম এবং তাঁরাই হলেন প্রকৃত ‘দিনবদলের প্রতিনিধি’। তাঁদের পাঠানো রেমিট্যান্সে (প্রবাসী-আয়) লাখ লাখ পরিবার চলে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যাঁরা প্রবাসে বসবাস করেন, ওখানে থেকেই দেশের জন্য চিন্তা করেন, তাঁদের অনেক দুঃখ-কষ্ট ও অভিযোগ রয়েছে। সেগুলো আমরা বুঝলেও অনেক সময় প্রতিকার করতে পারি না। এর অর্থ তাঁদের প্রতি অবহেলা নয়, বরং সরকারের অদক্ষতা।’
বিপদ এলে ধৈর্য ও সাহস নিয়ে তা মোকাবিলার পরামর্শ দিয়ে প্রবাসীদের উদ্দেশে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এখন থেকে সরকার ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা আপনাদের অভিযোগ শুনে ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত।’
শ্রমমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, জনশক্তি রপ্তানি ও কৃষি উন্নয়ন—এ দুই খাতের উন্নয়নের মাধ্যমেই বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হতে পারে।
রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর উদ্দেশে শ্রমমন্ত্রী বলেন, ‘যে হাঁস ডিম দেয়, তাকে মারবেন না।’ তিনি প্রবাসীদের প্রতি মানবিক ও সংবেদনশীল হওয়ার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান বলেন, প্রবাসী বাঙালিরাই দেশের প্রকৃত বীর। এই বীরদের জন্য অভিবাসন ব্যয় কমানো, তাঁদের রেমিট্যান্স স্বল্প খরচে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা এবং ওই রেমিট্যান্স অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহারের পথ তৈরি করা—এ তিন কাজকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন তিনি।
তাসনীম সিদ্দিকী বলেন, অর্থনীতিতে ১০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স সংযোজনের সঙ্গে যাঁঁরা যুক্ত, দেশে তাঁদের তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় না। আদম ব্যাপারি নামটি ঘোচাতেই বহু বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য প্রভৃতি খাতের মতো বাজেটে তাঁদের জন্য আলাদা খাত থাকা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
সকালে দিনব্যাপী এ উত্সবের ‘অভিবাসন দশক ২০১০-২০১৯’ শীর্ষক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ প্রধান অতিথি ছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর জিয়াউল হাসান সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এতে বিভিন্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা আলোচনায় অংশ নেন।
এতে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ প্রবাসী শ্রমজীবীদের নেপথ্য নায়ক হিসেবে অভিহিত করেন।
সেরা পুরস্কার: অনুষ্ঠানে দুজনকে সোনার মানুষ সম্মাননা ২০০৯ দেওয়া হয়। তাঁরা হলেন কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার খোশকান্দি গ্রামের আবদুল হালিম চৌধুরী এবং কেরানীগঞ্জের সোনাকান্দা গ্রামের রুহুল আমিন।
সেরা রেমিট্যান্স ব্যবহারকারী পুরস্কার পান টাঙ্গাইলের কালিহাতীর কালোহা গ্রামের সুরাইয়া ইয়াছমিন, কেরানীগঞ্জের খাড়াকান্দির সোবহান মোল্লা ও চট্টগ্রামের পটিয়ার মোজাফফর আলম।
অনুষ্ঠানে তিনটি অভিবাসী অধিকার রক্ষা কমিটিকে সোনার মানুষ সেবা সম্মাননা দেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রথম হয়েছে পাইকরা-সহদেবপুর অভিবাসী অধিকার রক্ষা কমিটি, দ্বিতীয় কাশিল অভিবাসী অধিকার রক্ষা কমিটি এবং তৃতীয় হয়েছে যৌথভাবে সুন্দলপুর অভিবাসী অধিকার রক্ষা কমিটি ও কুমিরা অভিবাসী অধিকার রক্ষা কমিটি।
এ ছাড়া ১১ জন ব্যাংক কর্মকর্তাকে সোনার মানুষ সেবা সম্মাননা দেওয়া হয়। তাঁরা হলেন: অগ্রণী ব্যাংকের টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ রোড শাখার সালমা আক্তার, পূবালী ব্যাংকের কমরগঞ্জ শাখার আবু ফুয়াদ, ব্র্যাক ব্যাংকের দাউদকান্দি বিডিপির আঞ্চলিক কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের দোহার শাখার তপন জেমস রোজারিও, সোনালী ব্যাংকের টাঙ্গাইল শাখার সাজেদা পারভীন, কৃষি ব্যাংকের নবাবগঞ্জ শাখার নারায়ণ চন্দ্র মণ্ডল, সাউথইস্ট ব্যাংকের কেরানীগঞ্জ শাখার মাহবুবুল আলম, জনতা ব্যাংক টাঙ্গাইল শাখার রেজিনা আক্তার, ইসলামী ব্যাংকের টাঙ্গাইল শাখার আবদুল মতিন সরকার, এবি ব্যাংকের সীতাকুণ্ড শাখার নুরুন নবী এবং ন্যাশনাল ব্যাংকের মিরসরাই শাখার শহীদুল ওসমান।
এ ছাড়া আহমেদ অ্যান্ড কোম্পানি, এমসিও ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল ও গ্রিনল্যান্ড ওভারসিজ নামের তিনটি রিক্রুটিং এজেন্সিকেও সোনার মানুষ সেবা সম্মাননা দেওয়া হয়।
No comments