বিক্ষোভকারীদের কারাগারে ধর্ষণ করা হয়েছে
ইরানের পরাজিত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মেহেদি কাররৌবি অভিযোগ করেছেন, নির্বাচন-পরবর্তী বিক্ষোভের ঘটনায় আটক বেশ কয়েকজন নারী ও পুরুষকে কারাগারে ধর্ষণ ও বলাত্কার করা হয়েছে। প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতা আকবর হাসেমি রাফসানজানিকে লেখা এক চিঠিতে তিনি এই অভিযোগ করেন।
কাররৌবি বলেন, বেশ কয়েকজন বন্দী জানিয়েছেন, কয়েকজন নারী বন্দীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। আটক তরুণদেরও বলাত্কার করা হয়েছে।
অভিযোগটি তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার জন্য রাফসানজানির প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বলাত্কারের শিকার হওয়ার পর থেকে তরুণেরা বিষাদে ভুগছেন। তাঁদের মারাত্মক শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি হয়েছে।
কাররৌবি বলেন, যদি একটি অভিযোগও সত্য প্রমাণিত হয়, তাহলে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের জন্য সেটা হবে দুর্ভাগ্যজনক।
২৯ জুলাই রাফসানজানিকে এই ‘গোপন পত্র’ দেন কাররৌবি। রাফসানজানি ইরানের এসেম্বলি অব এক্সপার্টের প্রধান। শক্তিশালী এই কমিটি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচন ও তাঁর কার্যক্রম তদারক করে থাকে।
ধর্ষণের অভিযোগের ব্যাপারে সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে কথা বলার জন্য রাফসানজানির প্রতি আহ্বান জানান কাররৌবি।
বন্দী নির্যাতনের ঘটনায় ইতিমধ্যে ইরানের একটি আটক কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার পুলিশ নিশ্চিত করে জানিয়েছিল, কাহরিজাক আটক কেন্দ্রে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। ওই কেন্দ্রে অধিকাংশ নির্বাচন-পরবর্তী বিক্ষোভকারীকে আটক রাখা হয়েছিল। এই ঘটনায় কেন্দ্রের প্রধানসহ তিন কারারক্ষীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এদিকে ইরানে সরকারবিরোধীদের বিচারের আন্তর্জাতিক সমালোচনার কড়া জবাব দিয়েছে ইরান। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে এ ধরনের ‘বিদেশি হস্তক্ষেপ’ শক্তভাবে প্রতিহত করা হবে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হাসান গাসগাবি পশ্চিমা সমালোচনাকে ‘অবৈধ ও বিস্ময়কর’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘যেকোনো ধরনের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে আমরা বলিষ্ঠভাবে রুখে দাঁড়াব।’
ব্রিটিশ দূতাবাসের কর্মী হোসেইন রাসাম, ফরাসি প্রভাষক ক্লোটিলদে রেইস এবং ফরাসি দূতাবাসের ইরানি কর্মী নাজাক আফসারসহ শতাধিক বিরোধী কর্মীকে ইরানের বিপ্লবী আদালতে তোলা হয়েছে।
ব্রিটিশ দূতাবাসের কর্মী হোসেইন রাসাম চাপের মুখে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছেন হাসান গাসগাবি। তিনি বলেন, আদালতে ওঠার আগেই রাসামকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন বাড়িতে। কোনো ধরনের চাপের মধ্যে নেই তিনি।
ফরাসি প্রভাষক ক্লোটিলদে রেইসের কর্মকাণ্ডেরও সমালোচনা করেন গাসগাবি। তিনি বলেন, ওই ফরাসি নারী ইস্পাহান কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফরাসি ভাষা শেখান। কিন্তু তিনি তেহরানের বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন ও ছবি তুলেছেন।
অন্যদিকে ইরানে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি প্রণয়নে আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন নোবেল বিজয়ী শিরিন এবাদি। দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে শিরিন এবাদি বলেন, ‘আমি ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক ও অর্থনৈতিক অবরোধের বিরোধী। এসব অবরোধ পরিস্থিতিকে আরও সঙ্গিন করে তুলতে পারে।’ তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক জনমত ইরানের গণতন্ত্রায়ণে সহায়তা করতে পারে।
কাররৌবি বলেন, বেশ কয়েকজন বন্দী জানিয়েছেন, কয়েকজন নারী বন্দীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। আটক তরুণদেরও বলাত্কার করা হয়েছে।
অভিযোগটি তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার জন্য রাফসানজানির প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বলাত্কারের শিকার হওয়ার পর থেকে তরুণেরা বিষাদে ভুগছেন। তাঁদের মারাত্মক শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি হয়েছে।
কাররৌবি বলেন, যদি একটি অভিযোগও সত্য প্রমাণিত হয়, তাহলে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের জন্য সেটা হবে দুর্ভাগ্যজনক।
২৯ জুলাই রাফসানজানিকে এই ‘গোপন পত্র’ দেন কাররৌবি। রাফসানজানি ইরানের এসেম্বলি অব এক্সপার্টের প্রধান। শক্তিশালী এই কমিটি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচন ও তাঁর কার্যক্রম তদারক করে থাকে।
ধর্ষণের অভিযোগের ব্যাপারে সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে কথা বলার জন্য রাফসানজানির প্রতি আহ্বান জানান কাররৌবি।
বন্দী নির্যাতনের ঘটনায় ইতিমধ্যে ইরানের একটি আটক কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার পুলিশ নিশ্চিত করে জানিয়েছিল, কাহরিজাক আটক কেন্দ্রে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। ওই কেন্দ্রে অধিকাংশ নির্বাচন-পরবর্তী বিক্ষোভকারীকে আটক রাখা হয়েছিল। এই ঘটনায় কেন্দ্রের প্রধানসহ তিন কারারক্ষীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এদিকে ইরানে সরকারবিরোধীদের বিচারের আন্তর্জাতিক সমালোচনার কড়া জবাব দিয়েছে ইরান। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে এ ধরনের ‘বিদেশি হস্তক্ষেপ’ শক্তভাবে প্রতিহত করা হবে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হাসান গাসগাবি পশ্চিমা সমালোচনাকে ‘অবৈধ ও বিস্ময়কর’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘যেকোনো ধরনের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে আমরা বলিষ্ঠভাবে রুখে দাঁড়াব।’
ব্রিটিশ দূতাবাসের কর্মী হোসেইন রাসাম, ফরাসি প্রভাষক ক্লোটিলদে রেইস এবং ফরাসি দূতাবাসের ইরানি কর্মী নাজাক আফসারসহ শতাধিক বিরোধী কর্মীকে ইরানের বিপ্লবী আদালতে তোলা হয়েছে।
ব্রিটিশ দূতাবাসের কর্মী হোসেইন রাসাম চাপের মুখে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছেন হাসান গাসগাবি। তিনি বলেন, আদালতে ওঠার আগেই রাসামকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন বাড়িতে। কোনো ধরনের চাপের মধ্যে নেই তিনি।
ফরাসি প্রভাষক ক্লোটিলদে রেইসের কর্মকাণ্ডেরও সমালোচনা করেন গাসগাবি। তিনি বলেন, ওই ফরাসি নারী ইস্পাহান কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফরাসি ভাষা শেখান। কিন্তু তিনি তেহরানের বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন ও ছবি তুলেছেন।
অন্যদিকে ইরানে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি প্রণয়নে আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন নোবেল বিজয়ী শিরিন এবাদি। দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে শিরিন এবাদি বলেন, ‘আমি ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক ও অর্থনৈতিক অবরোধের বিরোধী। এসব অবরোধ পরিস্থিতিকে আরও সঙ্গিন করে তুলতে পারে।’ তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক জনমত ইরানের গণতন্ত্রায়ণে সহায়তা করতে পারে।
No comments