ছয় সপ্তাহ পরই মাশরাফি আবার মাঠে
মাশরাফি:এখন শুধুই ফেরার অপেক্ষা |
অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়ার সময় একজন মানুষের মনোজগতে কী ঘুরে বেড়ায়—ভয়, দুশ্চিন্তা, শঙ্কা? মাশরাফি বিন মুর্তজার কণ্ঠে ছিল আকুলতা। চেতনানাশক দেওয়ার আগ মুহূর্তে চিকিত্সকের কাছে বাংলাদেশ অধিনায়কের জিজ্ঞাসা ছিল, ‘জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোম সিরিজে খেলতে পারব তো?’ দুই ঘণ্টার অস্ত্রোপচার শেষে সুখবরই দিয়েছেন চিকিত্সক ডেভিড ইয়াং, আরও একবার তাঁর হাতে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে মাশরাফির অস্ত্রোপচার। প্রাথমিক যা ধারণা, তাতে তিন সপ্তাহ পরেই দৌড়াতে পারবেন, আর ছয় সপ্তাহ পর আবার হাতে নিতে পারবেন বল। গত মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেন্ট ভিনসেন্ট টেস্টে বোলিং করতে গিয়েই নতুন করে চোট পান।
প্রথমে ভাবা হয়েছিল অস্ত্রোপচার লাগবে কেবল ডান হাঁটুতে। অস্ট্রেলিয়া গিয়ে দেখা গেল তাঁর বাঁ হাঁটুও একটু ফোলা। মেলবোর্নের এভিনিউ হাসপাতালে চিকিত্সক ইয়াং ও তাঁর সহকারীদের তত্ত্বাবধানে গতকাল অস্ত্রোপচার করেছেন তাই দুই হাঁটুতেই। বাঁ হাঁটুর সমস্যাটা অবশ্য জটিল কিছু ছিল না, জমে থাকা কিছু ফ্লুইডই কেবল বের করে নেওয়া হয়েছে। বড় ধকলটা আরও একবার গেছে ডান হাঁটুর ওপর দিয়েই। ডান হাঁটুর ল্যাটারাল লিগামেন্ট একটু শিথিল হয়ে গিয়েছিল, সেটিকে চেপে ঠিক করে দিয়েছেন চিকিত্সক ইয়াং। তবে মাশরাফি ও চিকিত্সক ইয়াং দুজনেই শঙ্কিত ছিলেন লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ার পুরোনো সমস্যাটা আবার দেখা দিল কি না! সে ক্ষেত্রে অপেক্ষাটা বেড়ে যেত আরও। তবে তাঁদের দুজনের সঙ্গে পুরো দেশের জন্যই স্বস্তির খবর, মাশরাফির এসিএল বা অ্যাস্টেরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্টের কোনো ক্ষতিই হয়নি। আগামীকালই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার সম্ভাবনা আছে মাশরাফির। ১৭ আগস্ট তাঁকে আরেকবার দেখবেন চিকিত্সক ইয়াং, চেকআপের প্রয়োজন হতে পারে কয়েক দফা। সব মিলিয়ে সপ্তাহ দুয়েক মাশরাফিকে থাকতে হবে অস্ট্রেলিয়ায়।
মেলবোর্নে যাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেটের বন্ধু আবদুল একরাম বাবুর বাসায় ছিলেন মাশরাফি। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরও এই সুহূদ বাঙালির ড্যান্ডিনংয়ের বাসায়ই থাকবেন তিনি। স্ত্রী সুমি সঙ্গে থাকায় আরেকটা বড় ভরসা পাচ্ছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। অবশ্য তিনি নিজেই ভরসা দিয়েছেন সবাইকে, মনোবল হারাননি মোটেও। অস্ত্রোপচারের পর জানিয়েছেন, দ্রুতই ফিরতে চান মাঠে, ‘এখন অনেকটাই স্বস্তি পাচ্ছি, সার্জারিও ভালোভাবে হয়েছে। আশা করি, দলের পরের সিরিজেই মাঠে নামতে পারব।’
মেলবোর্নে থেকেও অবশ্য মাশরাফির মন পড়ে আছে বুলাওয়েতে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে যেখানে দুর্দান্ত সূচনা করেছে বাংলাদেশ। পরদিন অস্ত্রোপচার, তার পরও প্রথম ম্যাচের পুরোটা দেখেছেন ইন্টারনেটে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের ধারা জিম্বাবুয়েতেও বজায় থাকায় ভীষণ উচ্ছ্বসিত তিনি। খুশি হয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল সেঞ্চুরি পাওয়াতেও। আশা করছেন প্রতিটি ম্যাচেই অব্যাহত থাকবে এই দাপট আর খুব শিগগিরই তিনিও ব্যাটে-বলে অবদান রাখবেন দলের জয়যাত্রায়।
প্রথমে ভাবা হয়েছিল অস্ত্রোপচার লাগবে কেবল ডান হাঁটুতে। অস্ট্রেলিয়া গিয়ে দেখা গেল তাঁর বাঁ হাঁটুও একটু ফোলা। মেলবোর্নের এভিনিউ হাসপাতালে চিকিত্সক ইয়াং ও তাঁর সহকারীদের তত্ত্বাবধানে গতকাল অস্ত্রোপচার করেছেন তাই দুই হাঁটুতেই। বাঁ হাঁটুর সমস্যাটা অবশ্য জটিল কিছু ছিল না, জমে থাকা কিছু ফ্লুইডই কেবল বের করে নেওয়া হয়েছে। বড় ধকলটা আরও একবার গেছে ডান হাঁটুর ওপর দিয়েই। ডান হাঁটুর ল্যাটারাল লিগামেন্ট একটু শিথিল হয়ে গিয়েছিল, সেটিকে চেপে ঠিক করে দিয়েছেন চিকিত্সক ইয়াং। তবে মাশরাফি ও চিকিত্সক ইয়াং দুজনেই শঙ্কিত ছিলেন লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ার পুরোনো সমস্যাটা আবার দেখা দিল কি না! সে ক্ষেত্রে অপেক্ষাটা বেড়ে যেত আরও। তবে তাঁদের দুজনের সঙ্গে পুরো দেশের জন্যই স্বস্তির খবর, মাশরাফির এসিএল বা অ্যাস্টেরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্টের কোনো ক্ষতিই হয়নি। আগামীকালই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার সম্ভাবনা আছে মাশরাফির। ১৭ আগস্ট তাঁকে আরেকবার দেখবেন চিকিত্সক ইয়াং, চেকআপের প্রয়োজন হতে পারে কয়েক দফা। সব মিলিয়ে সপ্তাহ দুয়েক মাশরাফিকে থাকতে হবে অস্ট্রেলিয়ায়।
মেলবোর্নে যাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেটের বন্ধু আবদুল একরাম বাবুর বাসায় ছিলেন মাশরাফি। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরও এই সুহূদ বাঙালির ড্যান্ডিনংয়ের বাসায়ই থাকবেন তিনি। স্ত্রী সুমি সঙ্গে থাকায় আরেকটা বড় ভরসা পাচ্ছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। অবশ্য তিনি নিজেই ভরসা দিয়েছেন সবাইকে, মনোবল হারাননি মোটেও। অস্ত্রোপচারের পর জানিয়েছেন, দ্রুতই ফিরতে চান মাঠে, ‘এখন অনেকটাই স্বস্তি পাচ্ছি, সার্জারিও ভালোভাবে হয়েছে। আশা করি, দলের পরের সিরিজেই মাঠে নামতে পারব।’
মেলবোর্নে থেকেও অবশ্য মাশরাফির মন পড়ে আছে বুলাওয়েতে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে যেখানে দুর্দান্ত সূচনা করেছে বাংলাদেশ। পরদিন অস্ত্রোপচার, তার পরও প্রথম ম্যাচের পুরোটা দেখেছেন ইন্টারনেটে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের ধারা জিম্বাবুয়েতেও বজায় থাকায় ভীষণ উচ্ছ্বসিত তিনি। খুশি হয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল সেঞ্চুরি পাওয়াতেও। আশা করছেন প্রতিটি ম্যাচেই অব্যাহত থাকবে এই দাপট আর খুব শিগগিরই তিনিও ব্যাটে-বলে অবদান রাখবেন দলের জয়যাত্রায়।
No comments