শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধি ও আইসিইউ ভবন চালু করা হোক- সিলেট ওসমানী হাসপাতাল
অনিয়মের সমার্থক হয়ে উঠেছে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। সিলেট বিভাগের প্রায় দেড় কোটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবার সবচেয়ে বড় নির্ভরতা সিলেটের প্রধান এই হাসপাতাল। সিলেট ছাড়াও বিভাগের সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার সাধারণ মানুষজন এই হাসপাতালকে নিজেদের প্রধান অবলম্বন মনে করে। কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে, এই হাসপাতালে সর্বত্র অযত্ন-অবহলোর ছাপ। একটি বিভাগীয় হাসপাতালের এমন প্রতিচ্ছবি হতে পারে না।
এই হাসপাতালের অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি নিয়ে স্থানীয় মানুষের বিস্তর অভিযোগ। হাসপাতালের মেঝে, করিডরসহ সবখানে রোগীর ছড়াছড়ি। জরুরি বিভাগ থেকেই শুরু হয় রোগীর বিড়ম্বনার পর্ব। দালালদের দৌরাত্ম্য থেকে চুরি-ছিনতাই এখানকার নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। সিলেটবাসী এ হাসপাতালের চিকিত্সাসেবার মান নিয়ে শঙ্কিত। তারা এ অবস্থা থেকে মুক্তি চায়।
১০ বছর আগে হাসপাতালটি ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ৯০০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও লোকবল, ভৌত অবকাঠামো কিংবা সুযোগ-সুবিধার কোনো উন্নতি হয়নি। প্রতিদিন এখানে গড়ে ১২০০ রোগী চিকিত্সা নিয়ে থাকে। ফলে প্রতিনিয়ত রোগীদের ভোগান্তি বেড়েই চলেছে। এ হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মাণ ভিন্ন এ সমস্যার সমাধান করা কঠিন।
আধুনিক চিকিত্সাসেবার সুযোগ নিশ্চিত করতে ছয় কোটি ৭৪ লাখ টাকা ব্যয়ে শীতাতপ-নিয়ন্ত্রিত তিনতলা আইসিইউ ভবন নির্মাণ করে স্থাপন করা হয়েছে আধুনিক যন্ত্রপাতি। চারদলীয় জোট সরকারের ক্ষমতা ছাড়ার শেষ মুহূর্তে ঘটা করে এর উদ্বোধন করা হলেও এখনো চালু হয়নি আইসিইউ ভবন। বিস্ময়কর হচ্ছে, আইসিইউ ভবনের সামনে এখন গরু চরে বেড়াতে দেখা যায়। এটি যেন এ হাসপাতালের প্রতীকী চিত্র। আমাদের নীতিনির্ধারকেরা ভবন নির্মাণের ব্যাপারে যতটা আগ্রহী, সেবা কার্যক্রম নিয়ে ততটা আগ্রহী নন।
দেশের সার্বিক উন্নয়নে সিলেটের অবদান অনস্বীকার্য। সিলেট বিভাগের সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতালটি এভাবে অনাদর-অবহেলায় রুগ্ণ হতে দেওয়া যায় না। অবিলম্বে হাসপাতালটির আইসিইউ ভবন চালু এবং শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হোক।
এই হাসপাতালের অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি নিয়ে স্থানীয় মানুষের বিস্তর অভিযোগ। হাসপাতালের মেঝে, করিডরসহ সবখানে রোগীর ছড়াছড়ি। জরুরি বিভাগ থেকেই শুরু হয় রোগীর বিড়ম্বনার পর্ব। দালালদের দৌরাত্ম্য থেকে চুরি-ছিনতাই এখানকার নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। সিলেটবাসী এ হাসপাতালের চিকিত্সাসেবার মান নিয়ে শঙ্কিত। তারা এ অবস্থা থেকে মুক্তি চায়।
১০ বছর আগে হাসপাতালটি ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ৯০০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও লোকবল, ভৌত অবকাঠামো কিংবা সুযোগ-সুবিধার কোনো উন্নতি হয়নি। প্রতিদিন এখানে গড়ে ১২০০ রোগী চিকিত্সা নিয়ে থাকে। ফলে প্রতিনিয়ত রোগীদের ভোগান্তি বেড়েই চলেছে। এ হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মাণ ভিন্ন এ সমস্যার সমাধান করা কঠিন।
আধুনিক চিকিত্সাসেবার সুযোগ নিশ্চিত করতে ছয় কোটি ৭৪ লাখ টাকা ব্যয়ে শীতাতপ-নিয়ন্ত্রিত তিনতলা আইসিইউ ভবন নির্মাণ করে স্থাপন করা হয়েছে আধুনিক যন্ত্রপাতি। চারদলীয় জোট সরকারের ক্ষমতা ছাড়ার শেষ মুহূর্তে ঘটা করে এর উদ্বোধন করা হলেও এখনো চালু হয়নি আইসিইউ ভবন। বিস্ময়কর হচ্ছে, আইসিইউ ভবনের সামনে এখন গরু চরে বেড়াতে দেখা যায়। এটি যেন এ হাসপাতালের প্রতীকী চিত্র। আমাদের নীতিনির্ধারকেরা ভবন নির্মাণের ব্যাপারে যতটা আগ্রহী, সেবা কার্যক্রম নিয়ে ততটা আগ্রহী নন।
দেশের সার্বিক উন্নয়নে সিলেটের অবদান অনস্বীকার্য। সিলেট বিভাগের সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতালটি এভাবে অনাদর-অবহেলায় রুগ্ণ হতে দেওয়া যায় না। অবিলম্বে হাসপাতালটির আইসিইউ ভবন চালু এবং শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হোক।
No comments