৯/১১-এর ধ্বংসস্তূপ অপসারণকাজের কর্মীদের একাংশ ক্যান্সারে আক্রান্ত
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ধ্বংস হওয়া টুইন টাওয়ারের ধ্বংসস্তূপ অপসারণের কাজে অংশ নেওয়া উদ্ধারকর্মীদের একাংশ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। সম্প্রতি এক গবেষণা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। গবেষকেরা জানান, ৯/১১-এর ধ্বংসস্তূপে কাজ করা নিরপত্তা বাহিনীর খুবই ছোট একটি দল ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। তবে উদ্ধারকাজ চালানোর সময় ধ্বংসস্তূপ থেকে নির্গত কোনো ক্ষতিকর পদার্থ তাঁদের অসুস্থ হয়ে পড়ার জন্য দায়ী কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা।
গত সোমবার ‘অকুপেশনাল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল মেডিসিন’ সাময়িকীতে ওই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে চিকিত্সকেরা জানান, টুইন টাওয়ারের ধ্বংসস্তূপে যাঁরা কাজ করেছিলেন, তাঁদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা অব্যাহত রাখা উচিত। যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট সিয়ানি স্কুল অব মেডিসিনের চিকিত্সক জ্যাকুলিন এম মলিন বলেন, ‘আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণ খুঁজছি। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।’ মলিন ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার মেডিকেল মনিটরিং অ্যান্ড ট্রিটমেন্ট প্রোগ্রামের পরিচালক।
গবেষক দলটি ২৮ হাজার ২৫২ জন ৯/১১-এর নিরাপত্তাকর্মীর ওপর এই গবেষণা চালান। তাঁদের মধ্যে মাত্র আটজন রোগী পাওয়া গেছে, যাঁরা ‘মাল্টিপল মাইয়েলোমা’ ক্যান্সারে আক্রান্ত। যুক্তরাষ্ট্রে এটা তেমন অস্বাভাবিক ঘটনা না। তবে অস্বাভাবিক বিষয়টি হলো আটজনের মধ্যে চারজনের বয়স ৪৫ বছরের নিচে। সাধারণত সে দেশে তরুণদের মধ্যে এ ধরনের ক্যান্সারের সংক্রমণের হার অনেক কম।
আক্রান্ত তরুণ চারজন নিরাপত্তাকর্মীর মধ্যে একজন কর্মকর্তা কয়েক মাস টুইন টাওয়ারের ধ্বংসস্তূপ এলাকায় কাজ করেছেন। আরেকজন কর্মী ১১ দিন স্ট্যাটেন দ্বীপে কর্মরত ছিলেন, যেখানে ধ্বংসস্তূপের আবর্জনাগুলো সরিয়ে রাখা হয়েছিল। তবে অন্য দুজন প্রথম দুজনের তুলনায় ধ্বংসাবশেষের মধ্যে কম সময় কাজ করেছেন। একজন ১২ দিন এবং অন্যজন ১৪ দিন কাজ করেছেন। মলিন বলেন, তরুণদের মধ্যে মাল্টিপল মাইয়েলোমা ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা খুব কম। সাধারণত সত্তরোর্ধ্ব বয়সের মানুষদের মধ্যে এই ক্যান্সার দেখা যায়।
তবে নিউইয়র্ক শহরের স্বাস্থ্য বিভাগের উপকমিশনার লোরানা থর্প বলেন, সোমবারের প্রকাশিত গবেষণায় বা এর আগে প্রকাশিত অন্য কোনো গবেষণাতেই ৯/১১-এর ধ্বংসস্তূপের ধুলা ও ক্যান্সারের মধ্যে যোগসূত্র পাওয়া যায়নি। সাধারণত কোনো রোগীর দেহে মাল্টিপল মাইয়েলোমা ক্যান্সার বাসা বাঁধতে ২০ থেকে ৩০ বছর সময় নেয়। সেখানে ওই তরুণ চারজনের মধ্যে ধ্বংসস্তূপের আবর্জনায় কাজ করার তিন থেকে চার বছরের মধ্যে ক্যান্সার বাসা বাঁধার বিষয়টি এর পেছনে অন্য কোনো কারণের ইঙ্গিত বহন করে।
গত সোমবার ‘অকুপেশনাল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল মেডিসিন’ সাময়িকীতে ওই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে চিকিত্সকেরা জানান, টুইন টাওয়ারের ধ্বংসস্তূপে যাঁরা কাজ করেছিলেন, তাঁদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা অব্যাহত রাখা উচিত। যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট সিয়ানি স্কুল অব মেডিসিনের চিকিত্সক জ্যাকুলিন এম মলিন বলেন, ‘আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণ খুঁজছি। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।’ মলিন ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার মেডিকেল মনিটরিং অ্যান্ড ট্রিটমেন্ট প্রোগ্রামের পরিচালক।
গবেষক দলটি ২৮ হাজার ২৫২ জন ৯/১১-এর নিরাপত্তাকর্মীর ওপর এই গবেষণা চালান। তাঁদের মধ্যে মাত্র আটজন রোগী পাওয়া গেছে, যাঁরা ‘মাল্টিপল মাইয়েলোমা’ ক্যান্সারে আক্রান্ত। যুক্তরাষ্ট্রে এটা তেমন অস্বাভাবিক ঘটনা না। তবে অস্বাভাবিক বিষয়টি হলো আটজনের মধ্যে চারজনের বয়স ৪৫ বছরের নিচে। সাধারণত সে দেশে তরুণদের মধ্যে এ ধরনের ক্যান্সারের সংক্রমণের হার অনেক কম।
আক্রান্ত তরুণ চারজন নিরাপত্তাকর্মীর মধ্যে একজন কর্মকর্তা কয়েক মাস টুইন টাওয়ারের ধ্বংসস্তূপ এলাকায় কাজ করেছেন। আরেকজন কর্মী ১১ দিন স্ট্যাটেন দ্বীপে কর্মরত ছিলেন, যেখানে ধ্বংসস্তূপের আবর্জনাগুলো সরিয়ে রাখা হয়েছিল। তবে অন্য দুজন প্রথম দুজনের তুলনায় ধ্বংসাবশেষের মধ্যে কম সময় কাজ করেছেন। একজন ১২ দিন এবং অন্যজন ১৪ দিন কাজ করেছেন। মলিন বলেন, তরুণদের মধ্যে মাল্টিপল মাইয়েলোমা ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা খুব কম। সাধারণত সত্তরোর্ধ্ব বয়সের মানুষদের মধ্যে এই ক্যান্সার দেখা যায়।
তবে নিউইয়র্ক শহরের স্বাস্থ্য বিভাগের উপকমিশনার লোরানা থর্প বলেন, সোমবারের প্রকাশিত গবেষণায় বা এর আগে প্রকাশিত অন্য কোনো গবেষণাতেই ৯/১১-এর ধ্বংসস্তূপের ধুলা ও ক্যান্সারের মধ্যে যোগসূত্র পাওয়া যায়নি। সাধারণত কোনো রোগীর দেহে মাল্টিপল মাইয়েলোমা ক্যান্সার বাসা বাঁধতে ২০ থেকে ৩০ বছর সময় নেয়। সেখানে ওই তরুণ চারজনের মধ্যে ধ্বংসস্তূপের আবর্জনায় কাজ করার তিন থেকে চার বছরের মধ্যে ক্যান্সার বাসা বাঁধার বিষয়টি এর পেছনে অন্য কোনো কারণের ইঙ্গিত বহন করে।
No comments