ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার করতে হবে: মান্না
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, সবার সঙ্গে কথা বলেই সংস্কার প্রস্তাবগুলো করতে হবে। আর সবার সঙ্গে আলোচনা ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্র সংস্কার হবে। কমিশনের প্রধান নিজের মতো নিজে প্রস্তাব দিবেন, তা হবে না। সংস্কারে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে না তা নির্বাচিত সরকারের জন্য রেখে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সংস্কার প্রশ্নে যৌক্তিক সময় দিতে হবে। যে সময়টা লাগবে তা দিতে হবে। আমরা কী জানতাম এত বড় একটা অভ্যুত্থান হবে? আমরা জানতাম, দেড় মাস পুলিশ থাকবে না? পুলিশ সংস্কার ছাড়া কীভাবে নির্বাচন করবেন? নির্বাচন কমিশন সংস্কার মানে কী? পুরো নির্বাচন ব্যবস্থারই সংস্কার। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সময় দিতে হবে। তবে নির্বাচন আয়োজন ও সংস্কারের জন্য এই সরকারকে যৌক্তিক সময়ের বেশি নেবেন না। আমরা বিশ্বাস করি, প্রধান উপদেষ্টা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন দিয়ে চলে যাবেন। অন্যদের মতো ক্ষমতা আঁকড়ে রাখবেন না।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যর্থ হলে দেশও ব্যর্থ হবে বলে মন্তব্য করেন মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর বিভিন্ন ক্ষেত্রে জনগণ পরিবর্তন আশা করলেও কাক্সিক্ষত পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না। গায়ের জোরে গুন্ডামি করে রাজনীতি হয় না, এটাই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শিক্ষা। জনগণের রায়ের সঙ্গে যদি না যান, তাহলে কোনও আপস নয়। চাঁদাবাজি, দখলবাজি যারা শুরু করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতেই হবে। বানানো মামলা দেয়া শুরু হয়ে গেছে, এগুলো বন্ধ করতে হবে।
মান্না বলেন, এখনো জিনিসপত্রের দাম কমেনি। সিন্ডিকেট কী এখনো আছে? সমন্বয়করাও সরকারকে দ্রব্যমূল্য নিয়ে প্রশ্ন করছে। এখনও কেন দাম কমছে না?
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জিল্লুর আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।
No comments