পারমাণবিক উত্তেজনার মধ্যে নিউইয়র্কে মিলিত হচ্ছে রাশিয়া ও পশ্চিমা ব্লক

পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে চরম উত্তেজনায় রাশিয়া এবং পশ্চিমা দেশগুলো। এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশগুলোর প্রতিনিধিরা এক জরুরি বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াকভকে উদ্ধৃত করে দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে, পাঁচটি পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্রের একটি দল আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে নিউইয়র্কে একটি বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি।

এতে বলা হয়,  বর্তমানে পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বিশ্বের পাঁচটি দেশ। এগুলো হচ্ছে- যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স এবং বৃটেন। পারমাণবিক অস্ত্রধারী এসব দেশ একাধারে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। এই পাঁচটি দেশের সদস্যরা আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে একটি জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। তবে এখনও কোনো নির্দিষ্ট দিন ঠিক করা হয়নি। এছাড়া এই বৈঠকে কোন পর্যায়ের কর্মকর্তারা যোগ দেবেন তাও নিশ্চিত করেনি রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর পশ্চিমাদের সাথে মস্কোর পারমাণবিক উত্তেজনার ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধির ফলে সম্ভাব্য এই বৈঠকটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত মাসে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রনীতিতে পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, মস্কো এমন পরিস্থিতির তালিকা প্রণয়ন করেছে যা যে কোনো পারমাণবিক অস্ত্র মোকাবিলা করার কথা বিবেচনা করতে সক্ষম।

২০২২ সালের জানুয়ারীতে পুতিন তার সেনাবাহিনীকে ইউক্রেনে পাঠানোর কয়েক সপ্তাহ আগে পাঁচ দেশের এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছিলেন, পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোর মধ্যে যুদ্ধ এড়ানো এবং কৌশলগত ঝুঁকি হ্রাসকে নিজেদের অগ্রাধিকার বিষয় বলে বিবেচনা করছে মস্কো। সেসময় তিনি আরও বলেছিলেন, আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে- পারমাণবিক যুদ্ধে জয়ী হওয়া যায় না এবং কখনই যুদ্ধে জড়ানো উচিত নয়।

মূলত ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে পারমাণবিক হুমকি ও সংঘাতের ভয় ছড়াচ্ছে রাশিয়া। যুদ্ধ শুরু হওয়ার অল্প সময় পরেই নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্রবিষয়ক বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। এর পর থেকে নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে তার বক্তৃতা কখনো কঠোর হয়েছে, কখনো নরম হয়েছে।

mzamin

No comments

Powered by Blogger.