ফের টার্গেট পুলিশ, আসামি অজ্ঞাত by শুভ্র দেব
আবারো
পুলিশের ওপর হামলা। এবার বিস্ফোরক ছোড়া হয়েছে ফুটওভার ব্রিজের ওপর থেকে।
এর আগে গুলিস্তানে ট্রাফিক পুলিশকে লক্ষ্য করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। মালিবাগে
পুলিশের গাড়িতে বোমা পেতে বিস্ফোরণ ঘটনানো হয়। জাতীয় সংসদের পাশে খেজুর
বাগান এলাকায় পুলিশ বক্সের কাছে বোমা রাখা হয়। এসব ঘটনার দায় স্বীকার করে
জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট। যদিও তাদের এ দাবি নাকচ করে আইনশৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনী বলছে এসব ঘটনার পেছনে স্থানীয় জঙ্গিরা জড়িত। তারা এসব
ঘটনার মাধ্যমে তাদের অস্থিত্ব জানান দিতে চাইছে।
জঙ্গি সংগঠনগুলো আগে থেকে পুলিশের ওপর হামলার হুমকি দিয়ে আসছিলো। হুমকি পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের পক্ষ থেকে সারা দেশের পুলিশ সদস্যদের সতর্ক করা হয়। কিন্ত সতর্কতার মধ্যে দিয়ে বারবার পুলিশের ওপর হামলা হচ্ছে। চলতি বছরের ৫ মাসে তিন বার পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন ছয় পুলিশ সদস্য। এছাড়া একজন রিকশা চালকও আহত হয়েছেন। প্রত্যেকটি ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। তবে এসব মামলার তেমন কোনো অগ্রগতি নাই। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা এসব হামলার রহস্য উদঘাটন করতে পারেননি। এমনকি এসব ঘটনায় কাউকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের তথ্যও মিলেনি।
সর্বশেষ শনিবার রাত ৯টার দিকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে দুর্বৃত্তরা ককটেল ছুঁড়ে মারে। এর একটু দূরেই যানজটে আটকে ছিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের গাড়ি বহর। এতে মন্ত্রীর প্রটোকলের দায়িত্বে থাকা এএসআই শাহাবুদ্দিন (৩৫) ও ট্রাফিক কনস্টেবল আমিনুল (৪০) আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ভর্তি করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যানজটে আটকা পড়া মন্ত্রীর প্রটোকলে থাকা এএসআই শাহাবুদ্দিন গাড়ি থেকে নেমে সেখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তাকে সিগন্যাল ছাড়ার কথা বলেন। কথা শেষ করে তিনি পুলিশ বক্স ও ফুটওভার ব্রিজের মাঝামাঝি স্থানে আসা মাত্র হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। সঙ্গে সঙ্গে চারদিক অন্ধকার হয়ে যায়। পরে সেখানকার পুলিশ সদস্যরা এসে তাকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে নিউ মার্কেট থানায় মামলা করা হয়েছে। গতকাল বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলাটি দায়ের করেন সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় পুলিশ বক্সের ইনচার্জ উপ পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম।
এর আগে চলতি বছরের ২৯শে এপ্রিল রাজধানীর গুলিস্তানের ডন প্লাজার সামনে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। এতে ট্রাফিক কনস্টেবল নজরুল ইসলাম (৩৭), লিটন (৪২) ও কমিউনিটি পুলিশ মো. আশিক (২৮) আহত হন। ওই দিন ডন প্লাজার সামনে তারা দায়িত্ব পালন করছিলেন। এসময় হঠাৎ বিকট শব্দে বোমা বিস্ফোরিত হয়। এর পরে ২৬ মে মালিবাগের সিআইডি কার্যালয়ের সামনে পুলিশের গাড়িতে বোমা হামলা করা হয়। এ ঘটনায় ট্রাফিক পুলিশের সহকারি উপপরিদর্শক রাশেদা আক্তার বাবলী (২৮) ও রিকশা চালক লাল মিয়া (৫৫) আহত হন। এছাড়া ২৩শে জুলাই রাতে খামারবাড়ি পুলিশ বক্সের কাছ থেকে বোমা উদ্ধার করা হয়। প্রত্যেকটি ঘটনার দায় স্বীকার করেছে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। জঙ্গি তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ আইএসের দায় স্বীকারের তথ্য প্রকাশ করে।
পুলিশের ওপর এসব হামলা নিয়ে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এই হামলা চালিয়েছে। সবকটি হামলার ধরণ একই। পুলিশকে লক্ষ্য করেই তারা হামলা করেছে। গুলশানে সিজার হত্যা ও হলি আর্টিজানে হামলাসহ রাজধানীতে যে কয়েকটি জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে তার প্রত্যেকটি তদন্ত করে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের যেভাবে দমন করা হয়েছে তাতে পুলিশের ওপর ক্ষোভ থাকাটা স্বাভাবিক। এছাড়া রাজনৈতিক সন্ত্রাসীরা ২০১৩ সালের পর যেভাবে পুলিশের ওপর আক্রমণ ও দেশে একটা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির তৈরি করেছিল, সেসব ঘটনাতেও পুলিশ সন্ত্রাসীদের দমন করেছে। একারণে ওইসব সন্ত্রাসীদেরও পুলিশের ওপর ক্ষোভ থাকতে পারে। গুলিস্তান-মালিবাগের হামলা নিয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেকটি ঘটনার বিষয়ে আমাদের বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন। নানা ভাবে তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। দুটি ঘটনারই তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থে ও আসামীদের শনাক্তের জন্য এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।
বোমা হামলার ঘটনায় পুলিশের আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারি বলেছেন, কারা হামলা করছে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বোমা হামলার ঘটনায় সারাদেশে বাড়তি সকর্ত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর আগে ১৫ই মে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) কার্যনির্বাহি কমিটির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে আইজিপি বলেছিলেন, জঙ্গিগোষ্ঠী এখন পুলিশের ওপর হামলার টার্গেট করছে। তাই পুলিশ বাহিনীকে তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে। ওই দিন আইজিপি আরও বলেছিলেন, পুরো বিশ্বে জঙ্গিরা এখন দলবদ্ধ হয়ে হামলার প্রবণতা থেকে বের হয়ে এসেছে। তারা একাকী হামলা মানে ‘লোন উলফ’ পদ্ধতিতে হামলা চালাচ্ছে। এই প্রবণতা রোধ করা প্রায় অসম্ভব।
এদিকে সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পুলিশের ওপর বোমা হামলার পর ঢাকাসহ সারা দেশের পুলিশের সব ইউনিটকে সতর্ককতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে পুলিশ সদরদপ্তর থেকে। পুলিশের সকল এসপি, ডিআইজি ও ইউনিট প্রধানদের মৌখিকভাবে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যেকোনো গাড়ি আন-অ্যাটেন্ডেড না রাখাসহ পুলিশের যেকোনো স্থাপনায় প্রবেশকালে সবাইকে বিধি মোতাবেক সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে তল্লাশি করা। ব্লক রেইড ও চেকপোস্টে তল্লাশি করতে বলা হয়েছে। এসব ব্যাপারে পুলিশের সব ইউনিটকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অপরাধ বিশ্লেষক তৌহিদুল হক মানবজমিনকে বলেন, পুলিশের ওপর হামলার দায় আইএস স্বীকার করলেও এ নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের ভিন্ন ধরনের মতামত রয়েছে। হামলার ধরণ দেখে মনে হচ্ছে একটা মহল সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা ভীতিকর অবস্থা তৈরি করতে চায়। যেখানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপদ নয় সেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে হামলাকারী কারা তাদের খোঁজে বের করতে হবে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখায়াত হোসেন মানবজমিনকে বলেন, জঙ্গিদের তৎপরতা শেষ হয়ে যায় না। হয়তো বড় কোনো হামলার শক্তি তাদের নাই ছোটোখাটো হামলা করে তারা নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে তারা শেষ হয়ে যায়নি। জঙ্গিরা ফের ছোট ছোট গ্রুপ আকারে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। তাই তাদের সহজ শনাক্ত করা অসম্ভব। এমনকি তারা যে একেবারে নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে তার কোনো আলামত নাই। প্রতিনিয়তই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জঙ্গিদের বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা আটক হচ্ছে।
জঙ্গি সংগঠনগুলো আগে থেকে পুলিশের ওপর হামলার হুমকি দিয়ে আসছিলো। হুমকি পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের পক্ষ থেকে সারা দেশের পুলিশ সদস্যদের সতর্ক করা হয়। কিন্ত সতর্কতার মধ্যে দিয়ে বারবার পুলিশের ওপর হামলা হচ্ছে। চলতি বছরের ৫ মাসে তিন বার পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন ছয় পুলিশ সদস্য। এছাড়া একজন রিকশা চালকও আহত হয়েছেন। প্রত্যেকটি ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। তবে এসব মামলার তেমন কোনো অগ্রগতি নাই। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা এসব হামলার রহস্য উদঘাটন করতে পারেননি। এমনকি এসব ঘটনায় কাউকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের তথ্যও মিলেনি।
সর্বশেষ শনিবার রাত ৯টার দিকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে দুর্বৃত্তরা ককটেল ছুঁড়ে মারে। এর একটু দূরেই যানজটে আটকে ছিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের গাড়ি বহর। এতে মন্ত্রীর প্রটোকলের দায়িত্বে থাকা এএসআই শাহাবুদ্দিন (৩৫) ও ট্রাফিক কনস্টেবল আমিনুল (৪০) আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ভর্তি করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যানজটে আটকা পড়া মন্ত্রীর প্রটোকলে থাকা এএসআই শাহাবুদ্দিন গাড়ি থেকে নেমে সেখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তাকে সিগন্যাল ছাড়ার কথা বলেন। কথা শেষ করে তিনি পুলিশ বক্স ও ফুটওভার ব্রিজের মাঝামাঝি স্থানে আসা মাত্র হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। সঙ্গে সঙ্গে চারদিক অন্ধকার হয়ে যায়। পরে সেখানকার পুলিশ সদস্যরা এসে তাকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে নিউ মার্কেট থানায় মামলা করা হয়েছে। গতকাল বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলাটি দায়ের করেন সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় পুলিশ বক্সের ইনচার্জ উপ পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম।
এর আগে চলতি বছরের ২৯শে এপ্রিল রাজধানীর গুলিস্তানের ডন প্লাজার সামনে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। এতে ট্রাফিক কনস্টেবল নজরুল ইসলাম (৩৭), লিটন (৪২) ও কমিউনিটি পুলিশ মো. আশিক (২৮) আহত হন। ওই দিন ডন প্লাজার সামনে তারা দায়িত্ব পালন করছিলেন। এসময় হঠাৎ বিকট শব্দে বোমা বিস্ফোরিত হয়। এর পরে ২৬ মে মালিবাগের সিআইডি কার্যালয়ের সামনে পুলিশের গাড়িতে বোমা হামলা করা হয়। এ ঘটনায় ট্রাফিক পুলিশের সহকারি উপপরিদর্শক রাশেদা আক্তার বাবলী (২৮) ও রিকশা চালক লাল মিয়া (৫৫) আহত হন। এছাড়া ২৩শে জুলাই রাতে খামারবাড়ি পুলিশ বক্সের কাছ থেকে বোমা উদ্ধার করা হয়। প্রত্যেকটি ঘটনার দায় স্বীকার করেছে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। জঙ্গি তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ আইএসের দায় স্বীকারের তথ্য প্রকাশ করে।
পুলিশের ওপর এসব হামলা নিয়ে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এই হামলা চালিয়েছে। সবকটি হামলার ধরণ একই। পুলিশকে লক্ষ্য করেই তারা হামলা করেছে। গুলশানে সিজার হত্যা ও হলি আর্টিজানে হামলাসহ রাজধানীতে যে কয়েকটি জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে তার প্রত্যেকটি তদন্ত করে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের যেভাবে দমন করা হয়েছে তাতে পুলিশের ওপর ক্ষোভ থাকাটা স্বাভাবিক। এছাড়া রাজনৈতিক সন্ত্রাসীরা ২০১৩ সালের পর যেভাবে পুলিশের ওপর আক্রমণ ও দেশে একটা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির তৈরি করেছিল, সেসব ঘটনাতেও পুলিশ সন্ত্রাসীদের দমন করেছে। একারণে ওইসব সন্ত্রাসীদেরও পুলিশের ওপর ক্ষোভ থাকতে পারে। গুলিস্তান-মালিবাগের হামলা নিয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেকটি ঘটনার বিষয়ে আমাদের বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন। নানা ভাবে তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। দুটি ঘটনারই তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থে ও আসামীদের শনাক্তের জন্য এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।
বোমা হামলার ঘটনায় পুলিশের আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারি বলেছেন, কারা হামলা করছে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বোমা হামলার ঘটনায় সারাদেশে বাড়তি সকর্ত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর আগে ১৫ই মে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) কার্যনির্বাহি কমিটির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে আইজিপি বলেছিলেন, জঙ্গিগোষ্ঠী এখন পুলিশের ওপর হামলার টার্গেট করছে। তাই পুলিশ বাহিনীকে তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে। ওই দিন আইজিপি আরও বলেছিলেন, পুরো বিশ্বে জঙ্গিরা এখন দলবদ্ধ হয়ে হামলার প্রবণতা থেকে বের হয়ে এসেছে। তারা একাকী হামলা মানে ‘লোন উলফ’ পদ্ধতিতে হামলা চালাচ্ছে। এই প্রবণতা রোধ করা প্রায় অসম্ভব।
এদিকে সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পুলিশের ওপর বোমা হামলার পর ঢাকাসহ সারা দেশের পুলিশের সব ইউনিটকে সতর্ককতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে পুলিশ সদরদপ্তর থেকে। পুলিশের সকল এসপি, ডিআইজি ও ইউনিট প্রধানদের মৌখিকভাবে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যেকোনো গাড়ি আন-অ্যাটেন্ডেড না রাখাসহ পুলিশের যেকোনো স্থাপনায় প্রবেশকালে সবাইকে বিধি মোতাবেক সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে তল্লাশি করা। ব্লক রেইড ও চেকপোস্টে তল্লাশি করতে বলা হয়েছে। এসব ব্যাপারে পুলিশের সব ইউনিটকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অপরাধ বিশ্লেষক তৌহিদুল হক মানবজমিনকে বলেন, পুলিশের ওপর হামলার দায় আইএস স্বীকার করলেও এ নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের ভিন্ন ধরনের মতামত রয়েছে। হামলার ধরণ দেখে মনে হচ্ছে একটা মহল সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা ভীতিকর অবস্থা তৈরি করতে চায়। যেখানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপদ নয় সেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে হামলাকারী কারা তাদের খোঁজে বের করতে হবে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখায়াত হোসেন মানবজমিনকে বলেন, জঙ্গিদের তৎপরতা শেষ হয়ে যায় না। হয়তো বড় কোনো হামলার শক্তি তাদের নাই ছোটোখাটো হামলা করে তারা নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে তারা শেষ হয়ে যায়নি। জঙ্গিরা ফের ছোট ছোট গ্রুপ আকারে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। তাই তাদের সহজ শনাক্ত করা অসম্ভব। এমনকি তারা যে একেবারে নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে তার কোনো আলামত নাই। প্রতিনিয়তই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জঙ্গিদের বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা আটক হচ্ছে।
No comments