চীনকে চিন্তায় ফেলতে চায় জাপান
জাপানের প্রতিরক্ষানীতিতে পরিবর্তন আসছে |
‘এক দশক ধরে জাপানের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য তিনটি গুরুতর উদ্বেগ রয়েছে। প্রথমত চীন, দ্বিতীয়ত চীন, আর তৃতীয়ত চীন।’
কথাগুলো বলছিলেন জাপানের এক কূটনীতিক। চীনকে নিয়ে জাপানের মধ্যে থাকা উদ্বেগ ঘিরে সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে টোকিও। দ্য ইকোনমিস্টের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
সামরিক শক্তি বাড়ানোর উদ্যোগের অংশ হিসেবে জাপান তাদের সবচেয়ে বড় যুদ্ধজাহাজ ‘দ্য ইজুমো’ উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপ নেয়। বিষয়টি দেশ-বিদেশের মানুষের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি করেছে।
সম্প্রতি আমেরিকা থেকে ১৪৭টি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কেনার আদেশ দিয়েছে জাপান। এই যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে অন্তত এক ডজন ‘দ্য ইজুমো’ ও তার সহযোগী কাগা যুদ্ধজাহাজে স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছে জাপান।
জাপানের প্রতিরক্ষানীতিতে যে পরিবর্তন আসছে, তার একটি ইঙ্গিত পাওয়া যায় ‘দ্য ইজুমো’ যুদ্ধজাহাজ সংস্কারের উদ্যোগে। পরিবর্তনটি হয়তো ছোট, কিন্তু তা গুরুত্বপূর্ণ।
যুদ্ধ ও সামরিকায়নের ক্ষেত্রে জাপানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে। এই বাধ্যবাধকতা সত্ত্বেও ‘সেলফ-ডিফেন্স ফোর্সেস’ (এসডিএফ) নামে জাপানের সামরিক বাহিনী রয়েছে। সুদক্ষ এই বাহিনী মূলত দেশের প্রতিরক্ষার বিষয়টিকেই গুরুত্ব দেয়। আর এই কাজে নিয়ম মেনে তারা মার্কিন সেনাদের ওপর নির্ভর করে। কিন্তু ধীরে ধীরে জাপানের কৌশল বদলে যাচ্ছে।
বিশেষ করে ২০১২ সালে সিনজো আবে দ্বিতীয় দফায় জাপানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি এসডিএফকে একটা সাদামাটা সামরিক বাহিনীর চেয়ে বেশি কিছু বানাতে উদ্যোগী হন। বৃহত্তর জাতীয়তাবাদী এজেন্ডার অংশ হিসেবে জাপানের ‘সামরিক ভূমিকা’ বাড়ানোর লক্ষ্যে তিনি আইন পাস করেন।
২০১৩ সালে আবে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ (এনএসসি) গঠন করেন। এই পরিষদ প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তানীতি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সমন্বয় করে। পাঁচ বছর পরপর নির্দেশনা (গাইডলাইন) দেয়। এনএসসি গত ডিসেম্বরে সবশেষ নির্দেশনা জারি করে। এই নির্দেশনাকে সত্যিকার অর্থেই তাৎপর্যপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছেন একজন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ।
জাপানের সামরিকনীতিতে পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় লক্ষণীয়। দেশটির প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ছে। বিশেষ করে চীনের হুমকি মাথায় রেখে জাপান সামরিক সক্ষমতা বাড়াচ্ছে। এনএসসির নতুন গাইডলাইনে মহাকাশ, সাইবার স্পেস ও ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রাম যুদ্ধের বিষয়টি প্রথমবারের মতো স্থান পেয়েছে। আর এসব যুদ্ধের ব্যাপারে জাপানের প্রস্তুতির প্রয়োজনীয়তার কথা আছে এনএসসির গাইডলাইনে। এসব ব্যাপারে জাপান এর মধ্যে কাজও শুরু করে দিয়েছে।
চীন ও উত্তর কোরিয়া আগ্রাসীভাবে তাদের সামরিক সক্ষমতা বাড়িয়ে চলছে। এদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমেরিকাকে আর আগের মতো নির্ভরযোগ্য ভাবতে পারছে না জাপান। উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে জাপান তাদের সামরিকনীতিতে পরিবর্তন আনতে বাধ্য হচ্ছে বলে দেশটির কর্মকর্তাদের ভাষ্য।
চীন কিছু করতে গেলে দ্বিতীয়বার যাতে ভাবে, এমনটাই লক্ষ্য জাপানের। কিন্তু জাপানের বর্তমান নেতৃত্বের জন্য ব্যাপারটা এত সহজ নয়। কারণ, দেশটির অধিকাংশ জনগণই সংবিধান সংশোধন, তথা সামরিক শক্তি জোরদার করার পক্ষে।
কথাগুলো বলছিলেন জাপানের এক কূটনীতিক। চীনকে নিয়ে জাপানের মধ্যে থাকা উদ্বেগ ঘিরে সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে টোকিও। দ্য ইকোনমিস্টের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
সামরিক শক্তি বাড়ানোর উদ্যোগের অংশ হিসেবে জাপান তাদের সবচেয়ে বড় যুদ্ধজাহাজ ‘দ্য ইজুমো’ উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপ নেয়। বিষয়টি দেশ-বিদেশের মানুষের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি করেছে।
সম্প্রতি আমেরিকা থেকে ১৪৭টি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কেনার আদেশ দিয়েছে জাপান। এই যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে অন্তত এক ডজন ‘দ্য ইজুমো’ ও তার সহযোগী কাগা যুদ্ধজাহাজে স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছে জাপান।
জাপানের প্রতিরক্ষানীতিতে যে পরিবর্তন আসছে, তার একটি ইঙ্গিত পাওয়া যায় ‘দ্য ইজুমো’ যুদ্ধজাহাজ সংস্কারের উদ্যোগে। পরিবর্তনটি হয়তো ছোট, কিন্তু তা গুরুত্বপূর্ণ।
যুদ্ধ ও সামরিকায়নের ক্ষেত্রে জাপানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে। এই বাধ্যবাধকতা সত্ত্বেও ‘সেলফ-ডিফেন্স ফোর্সেস’ (এসডিএফ) নামে জাপানের সামরিক বাহিনী রয়েছে। সুদক্ষ এই বাহিনী মূলত দেশের প্রতিরক্ষার বিষয়টিকেই গুরুত্ব দেয়। আর এই কাজে নিয়ম মেনে তারা মার্কিন সেনাদের ওপর নির্ভর করে। কিন্তু ধীরে ধীরে জাপানের কৌশল বদলে যাচ্ছে।
বিশেষ করে ২০১২ সালে সিনজো আবে দ্বিতীয় দফায় জাপানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি এসডিএফকে একটা সাদামাটা সামরিক বাহিনীর চেয়ে বেশি কিছু বানাতে উদ্যোগী হন। বৃহত্তর জাতীয়তাবাদী এজেন্ডার অংশ হিসেবে জাপানের ‘সামরিক ভূমিকা’ বাড়ানোর লক্ষ্যে তিনি আইন পাস করেন।
২০১৩ সালে আবে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ (এনএসসি) গঠন করেন। এই পরিষদ প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তানীতি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সমন্বয় করে। পাঁচ বছর পরপর নির্দেশনা (গাইডলাইন) দেয়। এনএসসি গত ডিসেম্বরে সবশেষ নির্দেশনা জারি করে। এই নির্দেশনাকে সত্যিকার অর্থেই তাৎপর্যপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছেন একজন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ।
জাপানের সামরিকনীতিতে পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় লক্ষণীয়। দেশটির প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ছে। বিশেষ করে চীনের হুমকি মাথায় রেখে জাপান সামরিক সক্ষমতা বাড়াচ্ছে। এনএসসির নতুন গাইডলাইনে মহাকাশ, সাইবার স্পেস ও ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রাম যুদ্ধের বিষয়টি প্রথমবারের মতো স্থান পেয়েছে। আর এসব যুদ্ধের ব্যাপারে জাপানের প্রস্তুতির প্রয়োজনীয়তার কথা আছে এনএসসির গাইডলাইনে। এসব ব্যাপারে জাপান এর মধ্যে কাজও শুরু করে দিয়েছে।
চীন ও উত্তর কোরিয়া আগ্রাসীভাবে তাদের সামরিক সক্ষমতা বাড়িয়ে চলছে। এদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমেরিকাকে আর আগের মতো নির্ভরযোগ্য ভাবতে পারছে না জাপান। উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে জাপান তাদের সামরিকনীতিতে পরিবর্তন আনতে বাধ্য হচ্ছে বলে দেশটির কর্মকর্তাদের ভাষ্য।
চীন কিছু করতে গেলে দ্বিতীয়বার যাতে ভাবে, এমনটাই লক্ষ্য জাপানের। কিন্তু জাপানের বর্তমান নেতৃত্বের জন্য ব্যাপারটা এত সহজ নয়। কারণ, দেশটির অধিকাংশ জনগণই সংবিধান সংশোধন, তথা সামরিক শক্তি জোরদার করার পক্ষে।
No comments