দুদক হটলাইনে ২ বছরে অভিযোগ ৩১,০০০০০ by মারুফ কিবরিয়া
দেশের
সর্বস্তরে ঘটে যাওয়া অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে জানাতে দুর্নীতি
দমন কমিশন (দুদক)কে অবহিত করতে দুই বছর আগে হটলাইন (১০৬) সার্ভিস চালু করে
সংস্থাটি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ত্বরিত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশনের
চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের নেতৃত্বে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গত দুই বছরে
দুদকের হটলাইন নম্বরে ৩১ লাখ ফোনকল এসেছে। প্রতিদিন গড়ে ৬ হাজার ৫শ’টি ফোন
আসে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সরকারি বেসরকারি সব দপ্তরের দুর্নীতির
তথ্য এই ফোনকলে দুদককে অবহিত করেছেন ভুক্তভোগীরা। ফোন কলে আসা অভিযোগের
ভিত্তিতে যাচাইবাছাই করে দুই বছরে বেশকিছু অভিযানও পরিচালনা করেছে
সংস্থাটি। দুদক জানায়, এনফোর্সমেন্ট টিম ২০১৭ সালের ৩০শে জুলাই থেকে ফোনকলে
আসা অভিযোগের ভিত্তিতে ৬২৬টি অভিযান পরিচালনা করে। গত সাত মাসে এ অভিযানের
সংখ্যা ছিল ৪৭০টি।
দুদক সূত্র আরো জানায়, বেশিরভাগ অভিযোগই সরকারি দপ্তরের বিরুদ্ধে। দুই বছরে ৩১ লাখ অভিযোগের মধ্যে ৬২৬টি অভিযান পরিচালনার বিষয়ে সংস্থাটির উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য মানবজমিনকে বলেন, দুদক সব অভিযোগই অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখে। ফোন কলে আসা অভিযোগগুলো সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পর স্ব স্ব স্থানে যাচাই বাছাই চলে। তারপর সেগুলো আমলে নিয়ে দুদক অভিযানে যায়। অভিযানের সংখ্যা কম ঠিক। তবে এরমধ্যে অনেক অভিযোগের ভিত্তিতে স্ব স্ব দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয় কমিশন থেকে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে কিনা তাও মনিটরিংয়ে রাখে দুদক। দুদক জানায়, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন এখন পর্যন্ত ৪৩টি অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য গ্রহণ করেছে।
এনফোর্সমেন্ট টিমের সুপারিশে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের বেশকিছু কর্মকতা-কর্মচারীকে শাস্তিমূলক বদলি এবং চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে, ২২ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে। অভিযান চলাকালে স্থানীয় প্রশাসন মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১৯ জনকে বিভিন্নভাবে দণ্ড দিয়েছে। আবার অনেককে জরিমানাও করেছে। নিম্নমাণের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এমন প্রায় ২৩ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ বন্ধ করেছে এনফোর্সমেন্ট ইউনিট। একই সময়ে ২১৯টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। ২৬টি টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। দুদক জানায়, এনফোর্সমেন্ট টিমের অভিযানে ৫০টিরও বেশি অবৈধ গ্যাস সংযোগ, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ৭৩ শতাংশ খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে। এমনকি অভিযোগকেন্দ্রের হটলাইনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বেশকিছু ফাঁদ মামলা পরিচালনা করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন ঘুষগ্রহণকারীকে ঘুষের টাকাসহ হাতে-নাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুদকের তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত যেসব অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে তার বেশিরভাগই সরকারি দপ্তরে। এর মধ্যে রয়েছে. ডিসি অফিসের এল,এ শাখা, ডিসি অফিসের রেকর্ড রুম, এসি (ল্যান্ড) অফিস, সাব রেজিস্ট্রারের কার্যালয়, ইউনিয়ন ভূমি/তহসিল অফিস, জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস, রাজউক, খাস জমি উদ্ধার, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, সিভিল সার্জন অফিস, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ড্রাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি), প্রধান বয়লার পরিদর্শকের কার্যালয়, স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিটিসিএল, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়, গণপূর্ত অধিদপ্তর, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, ওয়াসা (ঢাকা, চট্টগ্রাম), তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, ঢাকা পাওয়ার সাপ্লাই এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিঃ (ডিপিডিসি), ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিঃ (ডেসকো), বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডসমূহ, বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস), বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও সনদ কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ), বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জেলা শিক্ষা অফিস, উপজেলা শিক্ষা অফিস, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই), উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, এল.এস.ডি খাদ্য গুদাম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন(বিআরটিসি), বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি),বাংলাদেশ রেলওয়ে, পাসপোর্ট অধিদপ্তর/ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস,মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কারা অধিদপ্তর/জেলা কারাগার, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ, জনশক্তি-কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো, উপজেলা সমাজসেবা, ত্রাণ ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়,পরিবার পরিকল্পনা অফিস, ডাক বিভাগ, জেলা/ উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়, আঞ্চলিক আয়কর অফিস, অডিট অফিস, কাস্টমস অফিস, বন অধিদপ্তর/জেলা কার্যালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর যার মধ্যে রয়েছে অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ/বন্ধ, অবৈধ পাহাড় কাটা বন্ধ, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ, বৃক্ষ সমপদ রক্ষা, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ, নদী দখল প্রতিরোধ, নদী দূষণ প্রতিরোধ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য অধিদপ্তর ইত্যাদি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানীজ (আরজেএসসি), বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন, বাংলাদেশ এ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি), প্যাটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তর (ডিপিডিটি), সরকারি আবাসন পরিদপ্তর,একটি বাড়ী একটি খামার, পর্যটন কর্পোরেশন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ বেতার, জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি), স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ,অবৈধ টোল আদায় বন্ধ, সরকারি বাসায়অবৈধভাবে বসবাসকৃতদের উচ্ছেদ, ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ, (টিসিবি)আশ্রয়ণ প্রকল্প, পেট্রোবাংলা, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি, চিড়িয়াখানা, যমুনা ওয়েল, বিসিক সমবায় অধিদপ্তর, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, ওয়াকফ্ প্রশাসকসহ প্রায় শতাধিক দপ্তর।
হটলাইনের অভিযোগ, অভিযান এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ প্রসঙ্গে দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতি সংঘটিত হওয়ার আগেই তা প্রতিরোধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশনের অভিযোগে কেন্দ্রের হটলাইন ১০৬ চালু করা হয়। জনগণ যেভাবে অভিযোগ জানাচ্ছে তাতে কমিশনের দায়িত্ববোধ আরও বেড়ে যাচ্ছে। সব অভিযোগের ব্যাপারে হয়তো কমিশনের পক্ষে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। কারণ কমিশন আইনের তফসিল বহির্ভূত অভিযোগের ব্যাপারে কমিশনের পক্ষে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের সুযোগ নেই। তবে ১০৬ মানুষের অভিযোগ জানানোর প্লাটফরম হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। এছাড়া তিনি দুদক আইনের তফসিলভুক্ত অপরাধের বিষয়ে গণসচেতনতা বৃদ্ধিতে গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, সরকারি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে অভিযানের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দুর্নীতি প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা। হয়রানি ও দুর্নীতিমুক্ত সরকারি পরিষেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই অভিযান অব্যাহ রাখা হচ্ছে। সেবাপ্রত্যাশী নাগরিক হয়রানি বা অনিয়মের শিকার হয়ে কমিশনের হটলাইন ১০৬ এ অভিযোগ জানালেই এসকল দপ্তরে অভিযান চালানো হবে। তিনি বলেন শুধু ঢাকা নয়, ঢাকার বাইরে জেলা, উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ে অভিযান চালানো হচ্ছে এবং অনেক সেবাপ্রত্যাশীকে দুদকের হস্তক্ষেপে প্রত্যাশিত সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে। এমনকি সরকারি সম্পদের ক্ষতিসাধনও প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। সরকারি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, হয়রানি ও দুর্নীতিমুক্ত সেবাপ্রাপ্তি জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। তাই দুর্নীতি ও হয়রানিমুক্তভাবে সরকারি পরিষেবা নিশ্চিত করুন। জনগণ দুদক অভিযোগকেন্দ্রের হটলাইন ১০৬ এ যতক্ষণ অভিযোগ জানানো বন্ধ না করবেন ততক্ষণ এ অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।
দুদক সূত্র আরো জানায়, বেশিরভাগ অভিযোগই সরকারি দপ্তরের বিরুদ্ধে। দুই বছরে ৩১ লাখ অভিযোগের মধ্যে ৬২৬টি অভিযান পরিচালনার বিষয়ে সংস্থাটির উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য মানবজমিনকে বলেন, দুদক সব অভিযোগই অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখে। ফোন কলে আসা অভিযোগগুলো সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পর স্ব স্ব স্থানে যাচাই বাছাই চলে। তারপর সেগুলো আমলে নিয়ে দুদক অভিযানে যায়। অভিযানের সংখ্যা কম ঠিক। তবে এরমধ্যে অনেক অভিযোগের ভিত্তিতে স্ব স্ব দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয় কমিশন থেকে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে কিনা তাও মনিটরিংয়ে রাখে দুদক। দুদক জানায়, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন এখন পর্যন্ত ৪৩টি অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য গ্রহণ করেছে।
এনফোর্সমেন্ট টিমের সুপারিশে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের বেশকিছু কর্মকতা-কর্মচারীকে শাস্তিমূলক বদলি এবং চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে, ২২ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে। অভিযান চলাকালে স্থানীয় প্রশাসন মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১৯ জনকে বিভিন্নভাবে দণ্ড দিয়েছে। আবার অনেককে জরিমানাও করেছে। নিম্নমাণের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এমন প্রায় ২৩ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ বন্ধ করেছে এনফোর্সমেন্ট ইউনিট। একই সময়ে ২১৯টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। ২৬টি টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। দুদক জানায়, এনফোর্সমেন্ট টিমের অভিযানে ৫০টিরও বেশি অবৈধ গ্যাস সংযোগ, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ৭৩ শতাংশ খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে। এমনকি অভিযোগকেন্দ্রের হটলাইনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বেশকিছু ফাঁদ মামলা পরিচালনা করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন ঘুষগ্রহণকারীকে ঘুষের টাকাসহ হাতে-নাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুদকের তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত যেসব অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে তার বেশিরভাগই সরকারি দপ্তরে। এর মধ্যে রয়েছে. ডিসি অফিসের এল,এ শাখা, ডিসি অফিসের রেকর্ড রুম, এসি (ল্যান্ড) অফিস, সাব রেজিস্ট্রারের কার্যালয়, ইউনিয়ন ভূমি/তহসিল অফিস, জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস, রাজউক, খাস জমি উদ্ধার, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, সিভিল সার্জন অফিস, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ড্রাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি), প্রধান বয়লার পরিদর্শকের কার্যালয়, স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিটিসিএল, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়, গণপূর্ত অধিদপ্তর, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, ওয়াসা (ঢাকা, চট্টগ্রাম), তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, ঢাকা পাওয়ার সাপ্লাই এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিঃ (ডিপিডিসি), ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিঃ (ডেসকো), বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডসমূহ, বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস), বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও সনদ কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ), বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জেলা শিক্ষা অফিস, উপজেলা শিক্ষা অফিস, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই), উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, এল.এস.ডি খাদ্য গুদাম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন(বিআরটিসি), বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি),বাংলাদেশ রেলওয়ে, পাসপোর্ট অধিদপ্তর/ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস,মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কারা অধিদপ্তর/জেলা কারাগার, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ, জনশক্তি-কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো, উপজেলা সমাজসেবা, ত্রাণ ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়,পরিবার পরিকল্পনা অফিস, ডাক বিভাগ, জেলা/ উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়, আঞ্চলিক আয়কর অফিস, অডিট অফিস, কাস্টমস অফিস, বন অধিদপ্তর/জেলা কার্যালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর যার মধ্যে রয়েছে অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ/বন্ধ, অবৈধ পাহাড় কাটা বন্ধ, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ, বৃক্ষ সমপদ রক্ষা, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ, নদী দখল প্রতিরোধ, নদী দূষণ প্রতিরোধ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য অধিদপ্তর ইত্যাদি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানীজ (আরজেএসসি), বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন, বাংলাদেশ এ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি), প্যাটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তর (ডিপিডিটি), সরকারি আবাসন পরিদপ্তর,একটি বাড়ী একটি খামার, পর্যটন কর্পোরেশন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ বেতার, জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি), স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ,অবৈধ টোল আদায় বন্ধ, সরকারি বাসায়অবৈধভাবে বসবাসকৃতদের উচ্ছেদ, ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ, (টিসিবি)আশ্রয়ণ প্রকল্প, পেট্রোবাংলা, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি, চিড়িয়াখানা, যমুনা ওয়েল, বিসিক সমবায় অধিদপ্তর, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, ওয়াকফ্ প্রশাসকসহ প্রায় শতাধিক দপ্তর।
হটলাইনের অভিযোগ, অভিযান এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ প্রসঙ্গে দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতি সংঘটিত হওয়ার আগেই তা প্রতিরোধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশনের অভিযোগে কেন্দ্রের হটলাইন ১০৬ চালু করা হয়। জনগণ যেভাবে অভিযোগ জানাচ্ছে তাতে কমিশনের দায়িত্ববোধ আরও বেড়ে যাচ্ছে। সব অভিযোগের ব্যাপারে হয়তো কমিশনের পক্ষে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। কারণ কমিশন আইনের তফসিল বহির্ভূত অভিযোগের ব্যাপারে কমিশনের পক্ষে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের সুযোগ নেই। তবে ১০৬ মানুষের অভিযোগ জানানোর প্লাটফরম হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। এছাড়া তিনি দুদক আইনের তফসিলভুক্ত অপরাধের বিষয়ে গণসচেতনতা বৃদ্ধিতে গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, সরকারি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে অভিযানের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দুর্নীতি প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা। হয়রানি ও দুর্নীতিমুক্ত সরকারি পরিষেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই অভিযান অব্যাহ রাখা হচ্ছে। সেবাপ্রত্যাশী নাগরিক হয়রানি বা অনিয়মের শিকার হয়ে কমিশনের হটলাইন ১০৬ এ অভিযোগ জানালেই এসকল দপ্তরে অভিযান চালানো হবে। তিনি বলেন শুধু ঢাকা নয়, ঢাকার বাইরে জেলা, উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ে অভিযান চালানো হচ্ছে এবং অনেক সেবাপ্রত্যাশীকে দুদকের হস্তক্ষেপে প্রত্যাশিত সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে। এমনকি সরকারি সম্পদের ক্ষতিসাধনও প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। সরকারি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, হয়রানি ও দুর্নীতিমুক্ত সেবাপ্রাপ্তি জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। তাই দুর্নীতি ও হয়রানিমুক্তভাবে সরকারি পরিষেবা নিশ্চিত করুন। জনগণ দুদক অভিযোগকেন্দ্রের হটলাইন ১০৬ এ যতক্ষণ অভিযোগ জানানো বন্ধ না করবেন ততক্ষণ এ অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।
No comments