যানজটে পুড়ছে হাজার কোটি টাকার শ্রম-সময়
প্রাইভেটকার,
পাবলিক বাস সবই যেন ঝিমুচ্ছে গোটা শহরে। থেমে থেমে চলছে এসব যানবাহন।
সম্প্রতি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠা মোটরসাইকেল আরোহীদের যেন একটু বেশিই তাড়া। তাই
কোনো সিগন্যাল বা সামান্য যানজটে পড়লেই তারা ফুটপাথকেই বেছে নেন বিকল্প
রাস্তা হিসেবে। অনেকে আবার ফুটপাথকে দোকানপাট হিসেবে ব্যবহার করছেন। এসবের
ফলে ঢাকা তার সুন্দর উপমাগুলোকে ছাপিয়ে বহির্বিশ্বের কাছে এখন পরিচিতি
পাচ্ছে যানজটের শহর হিসেবে। আর এই যানজটের কারণে রাজধানীবাসীর সময় অপচয়
হচ্ছে, পুড়ছে শ্রমঘণ্টা আর জ্বালানি। একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান সমীক্ষা
চালিয়ে জানিয়েছে, ২০১৯ সালে বিশ্বের সর্বাধিক যানজটের শহর হিসেবে চিহ্নিত
হয়েছে ঢাকা। এর আগের দুই বছর ঢাকার স্থান ছিল দ্বিতীয়, ২০১৬ সালে ছিল
তৃতীয়।
২০১৫ সালের সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা (আরএসটিপি) অনুযায়ী, ঢাকায় দৈনিক প্রায় ৩ কোটি ৬০ লাখ যাত্রা (ট্রিপ) হয়। একজন মানুষ কোনো একটি বাহনে উঠে নির্ধারিত গন্তব্যে নামলে একটি যাত্রা বা ট্রিপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বর্তমানে যানজটে দৈনিক ৫০ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। যানজটের আর্থিক ক্ষতি নিয়ে একাধিক গবেষণায় ভিন্ন ভিন্ন তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০ হাজার থেকে ৫৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক ক্ষতি হচ্ছে যানজটে। যা গড়ে বছরে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ বছরে ৩৭ হাজার কোটি টাকা। তবে সড়ক খাতে বিনিয়োগ, যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ ও যানজট নিরসনে রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে এই ক্ষতির অন্তত ৬০ শতাংশ বা ২২ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা যেত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকরা। ২০১৬ সালে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের ‘নগর পরিস্থিতি-২০১৬: ঢাকা মহানগরে যানজট, শাসন ব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিত’ শীর্ষক এক গবেষণায় বলা হয়েছিল, ২০০৪ সালে ঢাকার রাস্তায় প্রতি ঘণ্টায় গাড়ির গতিসীমা ছিল গড়ে ২১ দশমিক ২ কিলোমিটার। যানবাহনের পরিমাণ যদি একই হারে বাড়তে থাকে এবং তা নিরসনের কোনো উদ্যোগ না নেয়া হয়, তাহলে ২০২৫ সালে এই শহরে যানবাহনের গতি হবে ঘণ্টায় চার কিলোমিটার, যা মানুষের হাঁটার গতির চেয়ে কম। রাজধানীর যানজট নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায়, যানজটের কারণে রাজধানীতে একটি যানবাহন ঘণ্টায় যেতে পারে গড়ে ৫ কিলোমিটার। ১২ বছর আগেও এই গতি ছিল ঘণ্টায় ২১ কিলোমিটার। প্রতিনিয়ত রাজধানীবাসী এমন পরিস্থতি থেকে উত্তরণ চান। বেসরকারি একটি ব্যাংকের কর্মকর্তা শাহীন আলতাফ বলেন, ধানমন্ডি থেকে অফিস টাইমে মতিঝিল যেতে সময় লাগে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা। তাই অনেক সকালেই বের হই। কোনো দিন নিজের গাড়ি নিয়ে বের হই আবার কোনো দিন সিএনজি নিয়ে বের হই। কিন্তু কোনোটাই দ্রুত যাওয়া সম্ভব না। যানজটে আটকে শুধু সময়ই অপচয় হচ্ছে না, এসব কারণে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী মারা যাওয়ার ঘটনাও আছে অনেক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. ঝুনু শামসুন নাহার বলেন, যানজটের কারণে মানসিক অশান্তি তৈরি হয়, যার প্রভাব পড়ে নিজের কর্ম ও কাজে। তাছাড়া একজন চালক বা যাত্রী যখন যানজটের কারণে তাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়, স্বাভাবিক ভাবেই তাদের মন-মানসিকতা নষ্ট হয়ে যায়।
২০১৫ সালের সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা (আরএসটিপি) অনুযায়ী, ঢাকায় দৈনিক প্রায় ৩ কোটি ৬০ লাখ যাত্রা (ট্রিপ) হয়। একজন মানুষ কোনো একটি বাহনে উঠে নির্ধারিত গন্তব্যে নামলে একটি যাত্রা বা ট্রিপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বর্তমানে যানজটে দৈনিক ৫০ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। যানজটের আর্থিক ক্ষতি নিয়ে একাধিক গবেষণায় ভিন্ন ভিন্ন তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০ হাজার থেকে ৫৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক ক্ষতি হচ্ছে যানজটে। যা গড়ে বছরে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ বছরে ৩৭ হাজার কোটি টাকা। তবে সড়ক খাতে বিনিয়োগ, যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ ও যানজট নিরসনে রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে এই ক্ষতির অন্তত ৬০ শতাংশ বা ২২ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা যেত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকরা। ২০১৬ সালে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের ‘নগর পরিস্থিতি-২০১৬: ঢাকা মহানগরে যানজট, শাসন ব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিত’ শীর্ষক এক গবেষণায় বলা হয়েছিল, ২০০৪ সালে ঢাকার রাস্তায় প্রতি ঘণ্টায় গাড়ির গতিসীমা ছিল গড়ে ২১ দশমিক ২ কিলোমিটার। যানবাহনের পরিমাণ যদি একই হারে বাড়তে থাকে এবং তা নিরসনের কোনো উদ্যোগ না নেয়া হয়, তাহলে ২০২৫ সালে এই শহরে যানবাহনের গতি হবে ঘণ্টায় চার কিলোমিটার, যা মানুষের হাঁটার গতির চেয়ে কম। রাজধানীর যানজট নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায়, যানজটের কারণে রাজধানীতে একটি যানবাহন ঘণ্টায় যেতে পারে গড়ে ৫ কিলোমিটার। ১২ বছর আগেও এই গতি ছিল ঘণ্টায় ২১ কিলোমিটার। প্রতিনিয়ত রাজধানীবাসী এমন পরিস্থতি থেকে উত্তরণ চান। বেসরকারি একটি ব্যাংকের কর্মকর্তা শাহীন আলতাফ বলেন, ধানমন্ডি থেকে অফিস টাইমে মতিঝিল যেতে সময় লাগে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা। তাই অনেক সকালেই বের হই। কোনো দিন নিজের গাড়ি নিয়ে বের হই আবার কোনো দিন সিএনজি নিয়ে বের হই। কিন্তু কোনোটাই দ্রুত যাওয়া সম্ভব না। যানজটে আটকে শুধু সময়ই অপচয় হচ্ছে না, এসব কারণে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী মারা যাওয়ার ঘটনাও আছে অনেক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. ঝুনু শামসুন নাহার বলেন, যানজটের কারণে মানসিক অশান্তি তৈরি হয়, যার প্রভাব পড়ে নিজের কর্ম ও কাজে। তাছাড়া একজন চালক বা যাত্রী যখন যানজটের কারণে তাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়, স্বাভাবিক ভাবেই তাদের মন-মানসিকতা নষ্ট হয়ে যায়।
No comments