শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জল্পনা ও জনপ্রিয় কথার ফুলঝুরি
সাবেক
প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসার দল শ্রীলংকা পদুজানা পেরামুনা
(এসএলপিপি)’র প্রার্থী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে গোটাভায়া রাজাপাকসা
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর পাঁচ দিন পার হলেও তার মার্কিন
নাগরিকত্ব নিয়ে জল্পনার অবসান হয়নি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বৈধভাবে
অংশগ্রহণের জন্য গোটাভায়া আসলেই তার মার্কিন নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেছেন
কিনা তা নিয়ে জনগণের মধ্যে সন্দেহ রয়েই গেছে।
অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি (ইউএনপি) থেকে এর উপনেতা সাজিথ প্রেমাদাসার প্রার্থী হওয়া নিয়েও সন্দেহ দূর হচ্ছে না। যদিও তিনি সড়কের পাশে বিশাল বিলবোর্ড টাঙ্গিয়ে প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন কিন্তু ইউএনপি নেতা ও প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রমাসিঙ্ঘে দলের পক্ষ থেকে সাজিথের প্রার্থীতার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোন ঘোষণা দেননি।
তবে, গোটাভায়ার মার্কিন নাগরিকত্ব তেমন বড় কোন ইস্যু হবে না কারণ তার নাগরিকত্ব পরিত্যাগের দাবি যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাখ্যান করেনি। রাজাপাকসারা বলেছেন যে প্রার্থিতা সংশ্লিষ্ট সব প্রক্রিয়া সফলভাবে শেষ হয়েছে। কিন্তু ইউএনপি’র সমস্যা গভীর।
বিক্রমাসিঙ্ঘে সাজিথকে দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে এখনো স্বীকার না করায় মনে হচ্ছে এ নিয়ে দলে গুরুতর মতবিরোধ রয়েছে। তবে জনমত সাজিথের দিকে ঝুঁকে আছে। এর মানে হলো ভাঙ্গন আধাআধি হবে না। শীর্ষ নেতাদের গুটিকতক শুধু বিক্রামাসিঙ্ঘেকে সমর্থন করতে পারেন।
শ্রীলংকায় ৮ নভেম্বর থেকে পরবর্তী এক মাসের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রার্থী হওয়ার কথাও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করছেন না বিক্রমাসিঙ্ঘে। তবে অভ্যন্তরিণ সূত্রগুলো জানিয়েছে যে তার আগ্রহ আছে। আগের নির্বাচনে ইউএনপি’র প্রার্থী ছিলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট মৈত্রিপালা সিরিসেনা। কিন্তু তিনি আসলে মাহিন্দা রাজাপাকসার নেতৃত্বাধিন শ্রীলংকা ফ্রিডম পার্টির (এসএলএফপি) দলছুট প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। নির্বাচনে হেরে মাহিন্দা দলের নেতৃত্ব সিরিসেনার হাতে ছেড়ে দেন এবং নিজের আলাদা দল এসএলপিপি গঠন করেন। মাত্র তিন বছরেরও কম সময়ের মধ্যে এসএলপিপি দেশের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এসএলএফপি ও ইউএনপি-কে বড় ব্যবধানে পরাজিত করে।
এখন এসএলএফপি’র বড় অংশ কৌশলে এসএলপিপি’র সঙ্গে যোগ দিয়েছে। আর বিশ্লেষকরা বলছেন যে বিক্রমাসিঙ্ঘে যদি সাজিথকে দল থেকে প্রার্থী হতে বাধা দেন তাহলে ইউএনপি-কেও এসএলএফপি’র পরিণতি ভোগ করতে হবে।
এসএলএফপি’র টিকে থাকার একমাত্র উপায় হলো এসএলপিপি’র সঙ্গে যোগ দেয়া। তবে প্রেসিডেন্ট সিরিসেনাকে এসএলএফপি ও এসএলপিপি থেকে যৌথ প্রার্থী হওয়ার সব ভাবনা দূর করতে হবে।
গত কয়েক দিনে কয়েকটি সমাবেশে বক্তৃতা করেছেন সাজিথ। কিন্তু তাকে রাজাপাকসাদের জনপ্রিয়তার কাছাকাছি মনে হয়নি। তার ঘোষণা শুধু দেশের জন্য যেকোন মুহূর্তে তিনি জীবন দিতে প্রস্তুত। সাজিথকে অনেকে মনে করেন বিক্রমাবিসঙ্ঘের (তিনি সিনহলার চেয়ে ইংরেজি ভালো বলতে পারেন এবং এ ধরনের মানুষ সাধারণত গ্রামীণ জগণের প্রিয় হন না) চেয়ে অনেক ভালো প্রার্থী। সাজিথের চেয়ে বিক্রমাসিঙ্ঘে বেশি বিচক্ষণ হবেন কিনা তা নিয়েও অনেকের মনে সন্দেহ রয়েছে।
সাধারণভাবে রাজাপাকসাদের ও বিশেষভাবে গোটাভায়াকে কৃতিত্ব দিয়ে বলতে হয়, এটা স্পষ্ট যে তাদের জনপ্রিয়তার মধ্যে সারবস্তু রয়েছে। রাজাপাকসারা কথা বলছেন গত এক বছর ধরে গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতে। তারা জানেন জনগণ কি চাচ্ছেন এবং কিভাবে সেই চাওয়া পূরণ করতে হবে। এসব ব্যাপার ইউএনপি’র অজানা।
কিন্তু গোটাভায়ার কালো দিকটি হলো, বিশেষ করে তামিল ও মুসলিম সংখ্যলঘু এবং সাংবাদিকদের মতো যারা রাজাপাসকার পথ মাড়িয়েছেন তাদের মনে তাকে নিয়ে থেকে যাওয়া ভীতি। রাজাপাকসার শাসনামলের চূড়ান্ত সময়ে গোটাভায়া যখন ক্ষমতাধর প্রতিরক্ষা সচিব ছিলেন তখন প্রকাশ্য দিবালোকে সানডে লিডার পত্রিকার সম্পাদক লাসানথা বিক্রমেতুঙ্গে খুন হন। ২০১৪ সালের দাঙ্গা প্রতিরোধে গোটাভায়ার ব্যর্থতা এখনো মুসলিমদের মন আচ্ছন্ন করে রেখেছে। সাদা গাড়িতে করে অপহরণের কাহিনীগুলো গোটাভায়ার কুখ্যাতি বাড়িয়ে দিয়েছিলো। এসএলপিপি’র প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে এসব কালো দাগ মুছে ফেলতে হবে।
আসন্ন নির্বাচনে তামিল ভোট হবে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। তবে পাঁচ বছর আগে ইউএনপি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো তা রক্ষা না করায় তামিলরা মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইউএনপি নেতা চলতি সপ্তাহে তামিল সংখ্যাগুরু দেশের উত্তরাঞ্চল সফর করেন। সেখানে তিনি তামিলদের কাছে দেয়া নতুন সংবিধান প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করার ব্যাপারে কোন কথা বলেননি। সেই প্রতিশ্রুতি এখনো প্রতিশ্রুতি হিসেবেই রয়ে গেছে। কিন্তু এই প্রতিশ্রুতি বাতিলের জন্য বৌদ্ধভিক্ষুরা তার উপর চাপ সৃষ্টি করেছে। বিক্রমাসিঙ্ঘে এমন প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন যে ভিক্ষুদের সন্তুষ্টি ছাড়া নতুন কোন সংবিধান প্রণয়ন করা হবে না।
তিনি কেন তার নীতি ও অঙ্গীকারগুলো কাজে পরিণত করতে পারেননি সেই ব্যাখ্যাও বিক্রমাসিঙ্ঘে দেননি। তাই আজকের প্রেক্ষাপটে যত দুর্বলতাই থাকুক না কেন প্রেসিডেন্ট পদের লড়াইয়ে গোটাভায়া রাজাপাকসা এগিয়ে রয়েছেন। এই অবস্থার কতটা পরিবর্তন ঘটবে তা নির্ভর করবে এসএলপিপি ও ইউএনপি প্রার্থীদের উচ্চারিত বাক্য কতটা ওজনদার তার উপর।
অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি (ইউএনপি) থেকে এর উপনেতা সাজিথ প্রেমাদাসার প্রার্থী হওয়া নিয়েও সন্দেহ দূর হচ্ছে না। যদিও তিনি সড়কের পাশে বিশাল বিলবোর্ড টাঙ্গিয়ে প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন কিন্তু ইউএনপি নেতা ও প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রমাসিঙ্ঘে দলের পক্ষ থেকে সাজিথের প্রার্থীতার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোন ঘোষণা দেননি।
তবে, গোটাভায়ার মার্কিন নাগরিকত্ব তেমন বড় কোন ইস্যু হবে না কারণ তার নাগরিকত্ব পরিত্যাগের দাবি যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাখ্যান করেনি। রাজাপাকসারা বলেছেন যে প্রার্থিতা সংশ্লিষ্ট সব প্রক্রিয়া সফলভাবে শেষ হয়েছে। কিন্তু ইউএনপি’র সমস্যা গভীর।
বিক্রমাসিঙ্ঘে সাজিথকে দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে এখনো স্বীকার না করায় মনে হচ্ছে এ নিয়ে দলে গুরুতর মতবিরোধ রয়েছে। তবে জনমত সাজিথের দিকে ঝুঁকে আছে। এর মানে হলো ভাঙ্গন আধাআধি হবে না। শীর্ষ নেতাদের গুটিকতক শুধু বিক্রামাসিঙ্ঘেকে সমর্থন করতে পারেন।
শ্রীলংকায় ৮ নভেম্বর থেকে পরবর্তী এক মাসের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রার্থী হওয়ার কথাও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করছেন না বিক্রমাসিঙ্ঘে। তবে অভ্যন্তরিণ সূত্রগুলো জানিয়েছে যে তার আগ্রহ আছে। আগের নির্বাচনে ইউএনপি’র প্রার্থী ছিলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট মৈত্রিপালা সিরিসেনা। কিন্তু তিনি আসলে মাহিন্দা রাজাপাকসার নেতৃত্বাধিন শ্রীলংকা ফ্রিডম পার্টির (এসএলএফপি) দলছুট প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। নির্বাচনে হেরে মাহিন্দা দলের নেতৃত্ব সিরিসেনার হাতে ছেড়ে দেন এবং নিজের আলাদা দল এসএলপিপি গঠন করেন। মাত্র তিন বছরেরও কম সময়ের মধ্যে এসএলপিপি দেশের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এসএলএফপি ও ইউএনপি-কে বড় ব্যবধানে পরাজিত করে।
এখন এসএলএফপি’র বড় অংশ কৌশলে এসএলপিপি’র সঙ্গে যোগ দিয়েছে। আর বিশ্লেষকরা বলছেন যে বিক্রমাসিঙ্ঘে যদি সাজিথকে দল থেকে প্রার্থী হতে বাধা দেন তাহলে ইউএনপি-কেও এসএলএফপি’র পরিণতি ভোগ করতে হবে।
এসএলএফপি’র টিকে থাকার একমাত্র উপায় হলো এসএলপিপি’র সঙ্গে যোগ দেয়া। তবে প্রেসিডেন্ট সিরিসেনাকে এসএলএফপি ও এসএলপিপি থেকে যৌথ প্রার্থী হওয়ার সব ভাবনা দূর করতে হবে।
গত কয়েক দিনে কয়েকটি সমাবেশে বক্তৃতা করেছেন সাজিথ। কিন্তু তাকে রাজাপাকসাদের জনপ্রিয়তার কাছাকাছি মনে হয়নি। তার ঘোষণা শুধু দেশের জন্য যেকোন মুহূর্তে তিনি জীবন দিতে প্রস্তুত। সাজিথকে অনেকে মনে করেন বিক্রমাবিসঙ্ঘের (তিনি সিনহলার চেয়ে ইংরেজি ভালো বলতে পারেন এবং এ ধরনের মানুষ সাধারণত গ্রামীণ জগণের প্রিয় হন না) চেয়ে অনেক ভালো প্রার্থী। সাজিথের চেয়ে বিক্রমাসিঙ্ঘে বেশি বিচক্ষণ হবেন কিনা তা নিয়েও অনেকের মনে সন্দেহ রয়েছে।
সাধারণভাবে রাজাপাকসাদের ও বিশেষভাবে গোটাভায়াকে কৃতিত্ব দিয়ে বলতে হয়, এটা স্পষ্ট যে তাদের জনপ্রিয়তার মধ্যে সারবস্তু রয়েছে। রাজাপাকসারা কথা বলছেন গত এক বছর ধরে গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতে। তারা জানেন জনগণ কি চাচ্ছেন এবং কিভাবে সেই চাওয়া পূরণ করতে হবে। এসব ব্যাপার ইউএনপি’র অজানা।
কিন্তু গোটাভায়ার কালো দিকটি হলো, বিশেষ করে তামিল ও মুসলিম সংখ্যলঘু এবং সাংবাদিকদের মতো যারা রাজাপাসকার পথ মাড়িয়েছেন তাদের মনে তাকে নিয়ে থেকে যাওয়া ভীতি। রাজাপাকসার শাসনামলের চূড়ান্ত সময়ে গোটাভায়া যখন ক্ষমতাধর প্রতিরক্ষা সচিব ছিলেন তখন প্রকাশ্য দিবালোকে সানডে লিডার পত্রিকার সম্পাদক লাসানথা বিক্রমেতুঙ্গে খুন হন। ২০১৪ সালের দাঙ্গা প্রতিরোধে গোটাভায়ার ব্যর্থতা এখনো মুসলিমদের মন আচ্ছন্ন করে রেখেছে। সাদা গাড়িতে করে অপহরণের কাহিনীগুলো গোটাভায়ার কুখ্যাতি বাড়িয়ে দিয়েছিলো। এসএলপিপি’র প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে এসব কালো দাগ মুছে ফেলতে হবে।
আসন্ন নির্বাচনে তামিল ভোট হবে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। তবে পাঁচ বছর আগে ইউএনপি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো তা রক্ষা না করায় তামিলরা মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইউএনপি নেতা চলতি সপ্তাহে তামিল সংখ্যাগুরু দেশের উত্তরাঞ্চল সফর করেন। সেখানে তিনি তামিলদের কাছে দেয়া নতুন সংবিধান প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করার ব্যাপারে কোন কথা বলেননি। সেই প্রতিশ্রুতি এখনো প্রতিশ্রুতি হিসেবেই রয়ে গেছে। কিন্তু এই প্রতিশ্রুতি বাতিলের জন্য বৌদ্ধভিক্ষুরা তার উপর চাপ সৃষ্টি করেছে। বিক্রমাসিঙ্ঘে এমন প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন যে ভিক্ষুদের সন্তুষ্টি ছাড়া নতুন কোন সংবিধান প্রণয়ন করা হবে না।
তিনি কেন তার নীতি ও অঙ্গীকারগুলো কাজে পরিণত করতে পারেননি সেই ব্যাখ্যাও বিক্রমাসিঙ্ঘে দেননি। তাই আজকের প্রেক্ষাপটে যত দুর্বলতাই থাকুক না কেন প্রেসিডেন্ট পদের লড়াইয়ে গোটাভায়া রাজাপাকসা এগিয়ে রয়েছেন। এই অবস্থার কতটা পরিবর্তন ঘটবে তা নির্ভর করবে এসএলপিপি ও ইউএনপি প্রার্থীদের উচ্চারিত বাক্য কতটা ওজনদার তার উপর।
কট্টর বৌদ্ধভিক্ষু বদু বালা সেনার নানাসারা থেরার সঙ্গে গোটাভায়া রাজাপাকসা |
No comments