বৃটেনে বিকল্প পার্লামেন্ট গঠনের ঘোষণা অর্ধশতাধিক বিদ্রোহী এমপি’র
বৃটেনের
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন যদি সেপ্টেম্বরে পার্লামেন্ট স্থগিত রাখেন তাহলে
বিকল্প হাউজ অব কমন্সে বসার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধান দলগুলোর
অর্ধশতাধিক এমপি। তারা জানিয়েছেন যে, ব্রেক্সিট ইস্যুতে আগামী ৫ সপ্তাহজুড়ে
তারা বিতর্ক করতে সংকল্পবদ্ধ। এ খবর দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান। এ নিয়ে
সংবাদমাধ্যমটির কাছে কনজারভেটিভ, লেবার, এসএনপি, লিবারেল ডেমোক্রেটস ও
চেঞ্জ ইউকে দলের ব্যাকবেঞ্চাররা একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। এতে তারা জানিয়েছেন,
তারা একটি বিকল্প পার্লামেন্টের আহ্বান করতে যাচ্ছেন। ওই চিঠিতে স্বাক্ষর
করেছেন লেবার পার্টির এমপি ডেভিড ল্যামি, বর্তমান লিবারেল ডেমোক্রেট নেতা
জো সুইনসন, গ্রীন পার্টির এমপি স্যার ভিন্স ক্যাবল এবং কনজারভেটিভ এমপি
অ্যান্টোইনেটে সান্ডবাচ ও গুটো বেব। তারা বলেন, এমন একটি জাতীয় সংকটের সময়
আমরা সরকারকে সুবিবেচনা থেকে দূরে থাকতে দিতে পারি না।
চিঠিতে আরো বলা হয়, ২০১৬ সালে যারা ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসতে ভোট দেয় তাদেরকে দরকষাকষির মাধ্যমে একটি ব্রেক্সিট চুক্তির প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিলো।
অথচ এখন প্রধানমন্ত্রী বলছেন, চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটের জন্য তিনি পার্লামেন্ট স্থগিত করবেন। এমন একটি অসাংবিধানিক ক্যু-এর অর্থ হচ্ছে জনগণের কাজ, নিরাপত্তা ও জীবনমানের সঙ্গে আপসের ঝুঁকি নেয়া। বরিস জনসন শুধুমাত্র তার নিজের জন্য এগুলো সব বিপন্ন করছেন।
প্রচারণাকারী দলের প্রধান নির্বাহী নাওমি স্মিথ বলেন, বৃটেনের ভোটাররা তাদের প্রতিনিধিকে এমন একটি পরিবর্তনশীল সময়ে হাউজ অব কমন্সে দেখতে চায়। যদি বরিস জনসন তার পরিকল্পিত অসাংবিধানিক ক্যুতে সফল হয় এবং এই সংকটময় সময়ে ওয়েস্ট মিনিস্টার প্যালেসের দরজা বন্ধ করে দেয় তাহলে অন্য কোথাও থেকে এই পরিষদের আওয়াজ তোলা উচিত।
আগামী মঙ্গলবার পার্লামেন্টে ফিরে আসছে এমপি’রা। বরিস জনসনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পরবর্তী সপ্তাহে বেশ কিছু পদক্ষেপের পরিকল্পনা করা হয়েছে। বামপন্থি গ্রুপ মোমেন্টাম তার সদস্যদের আন্দোলনের অংশ হিসেবে রাস্তা ও ব্রিজ আটকে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। শনিবার ব্রেক্সিটবিরোধী গ্রুপ এনাদার ইউরোপ ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসজুড়ে মোট ৩২টি বিক্ষোভের আয়োজন করেছে। গত সপ্তাহে এমপিরা একটি চার্চ হাউজে জড়ো হয়ে বরিস জনসনের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে নতুন করে পার্লামেন্ট ডাকার দাবি তুলেছেন। সেখান থেকেই এমপিদের নিয়ে নতুন এই বিকল্প হাউজ অব কমন্স গঠনের পরিকল্পনার ঘোষণাটি আসে।
চার্চ হাউজের ওই ঘোষণায় বলা হয়েছিলো, দেশের এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে পার্লামেন্ট স্থগিত করা হবে একটি অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপ। এতে বরিস জনসনের এমন সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক সাংবিধানিক সংকট হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। বলা হয়, চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটের জন্য পার্লামেন্ট স্থগিত করা হলে তার বিরুদ্ধে শক্তিশালী ও সুদূরপ্রসারী গণতান্ত্রিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
চিঠিতে আরো বলা হয়, ২০১৬ সালে যারা ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসতে ভোট দেয় তাদেরকে দরকষাকষির মাধ্যমে একটি ব্রেক্সিট চুক্তির প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিলো।
অথচ এখন প্রধানমন্ত্রী বলছেন, চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটের জন্য তিনি পার্লামেন্ট স্থগিত করবেন। এমন একটি অসাংবিধানিক ক্যু-এর অর্থ হচ্ছে জনগণের কাজ, নিরাপত্তা ও জীবনমানের সঙ্গে আপসের ঝুঁকি নেয়া। বরিস জনসন শুধুমাত্র তার নিজের জন্য এগুলো সব বিপন্ন করছেন।
প্রচারণাকারী দলের প্রধান নির্বাহী নাওমি স্মিথ বলেন, বৃটেনের ভোটাররা তাদের প্রতিনিধিকে এমন একটি পরিবর্তনশীল সময়ে হাউজ অব কমন্সে দেখতে চায়। যদি বরিস জনসন তার পরিকল্পিত অসাংবিধানিক ক্যুতে সফল হয় এবং এই সংকটময় সময়ে ওয়েস্ট মিনিস্টার প্যালেসের দরজা বন্ধ করে দেয় তাহলে অন্য কোথাও থেকে এই পরিষদের আওয়াজ তোলা উচিত।
আগামী মঙ্গলবার পার্লামেন্টে ফিরে আসছে এমপি’রা। বরিস জনসনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পরবর্তী সপ্তাহে বেশ কিছু পদক্ষেপের পরিকল্পনা করা হয়েছে। বামপন্থি গ্রুপ মোমেন্টাম তার সদস্যদের আন্দোলনের অংশ হিসেবে রাস্তা ও ব্রিজ আটকে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। শনিবার ব্রেক্সিটবিরোধী গ্রুপ এনাদার ইউরোপ ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসজুড়ে মোট ৩২টি বিক্ষোভের আয়োজন করেছে। গত সপ্তাহে এমপিরা একটি চার্চ হাউজে জড়ো হয়ে বরিস জনসনের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে নতুন করে পার্লামেন্ট ডাকার দাবি তুলেছেন। সেখান থেকেই এমপিদের নিয়ে নতুন এই বিকল্প হাউজ অব কমন্স গঠনের পরিকল্পনার ঘোষণাটি আসে।
চার্চ হাউজের ওই ঘোষণায় বলা হয়েছিলো, দেশের এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে পার্লামেন্ট স্থগিত করা হবে একটি অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপ। এতে বরিস জনসনের এমন সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক সাংবিধানিক সংকট হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। বলা হয়, চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটের জন্য পার্লামেন্ট স্থগিত করা হলে তার বিরুদ্ধে শক্তিশালী ও সুদূরপ্রসারী গণতান্ত্রিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
No comments