ট্রাম্প-ইমরান বৈঠকে আরো ভালো যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সম্পর্কের আশাবাদ সৃষ্টি by আয়াজ গুল
মার্কিন
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চলতি মাসের শেষ দিকে পাকিস্তানের
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে স্বাগত জানাচ্ছেন। এটিই হতে যাচ্ছে তাদের মধ্যে
প্রথম বৈঠক। ইসলামাবাদের কর্মকর্তা ও বিশ্লেষকেরা আশা করছেন, এই বৈঠকের ফলে
প্রায়ই তিক্ত হয়ে পড়া দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বদলে যেতে পারে।
ইমরান খানের ৫ দিনের ওয়াশিংটন সফর শুরু হচ্ছে ২০ জুলাই। উভয় পক্ষ এখন হোয়াইট হাউসের বৈঠকের জন্য পরিকল্পনা চূড়ান্ত করছে। পাকিস্তানের এক কর্মকর্তা পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইমরান খান পাকিস্তানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেন যে তিনি চলতি মাসে ওয়াশিংটন সফরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। তবে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি।
অভিযোগ করা হচ্ছে যে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করেও পাকিস্তান আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী ও ভারতের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী হামলার পরিকল্পনাকারী তালেবান ও অন্যান্য জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছে। ইসলামাবাদ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
প্রায় এক বছর আগে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই ইমরান খান ওইসব অভিযোগ নিয়ে টুইটারে ট্রাম্পের সাথে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন, তিনি পাকিস্তানের নজিরবিহীন আত্মত্যাগের কথা বলেন, আঞ্চলিক সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধের সফলতার কথা তুলে ধরেন।
পাকিস্তান সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির প্রধান মুশাহিদ হোসাইন বলেন, প্রধানত আফগানিস্তানকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে আগামী বছর পুনঃনির্বাচিত হতে হলে পররাষ্ট্রনীতিতে ট্রাম্পের দারুণ একটি বিজয় দরকার।
আফগান শান্তি
মুশাহিদ ভোয়ার সাথে কথা বলার সময় উল্লেখ করেন, আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আরো ভালো যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সম্পর্কের প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার সাথে সমঝোতার চেষ্টা করছেন, চীনের সাথে বাণিজ্য বিরোধ নমনীয় করেছেন, তার মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক শতাব্দীর সেরা চুক্তি হালে পানি পাচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্র এখন বুঝতে পারছে যে আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা হলো একটি অপরিহার্য বিষয়। এ কারণে পাকিস্তান ও এর সরকারের সাথে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার প্রয়াস চলছে।
আফগান যুদ্ধ বন্ধে আলোচনার সুযোগ সৃষ্টির জন্য ওয়াশিংটন ও তালেবানের মধ্যে শান্তি আলোচনার ব্যবস্থা করার কৃতিত্বের দাবিদার ইসলামাবাদ। প্রায় এক বছর আগে আলোচনা শুরু হয়েছে, এখন কাতারে তা চলছে।
তালেবান ও আমেরিকান উভয় আলোচকেরাই বলছেন, তারা এমন একটি খসড়া চূড়ান্ত করার কাছাকাছি এসেছেন যে এতে করে দীর্ঘতম মার্কিন বৈদেশিক সামরিক অভিযান শেষ হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করবে।
ওয়াশিংটনের উইড্রো উইলসন সেন্টারের মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, ট্রাম্প-ইমরান বৈঠক হবে একটি মাত্র ইস্যুকে কেন্দ্র করে। অর্থাৎ তাদের বৈঠকের মূল বিষয় হবে আফগানিস্তান। তালেবানের সাথে শান্তি চুক্তি হলো যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দক্ষিণ এশিয়ায় তালেবানের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য।
কুগেলম্যান ভোয়াকে বলেন, তালেবানের ওপর চাপ তীব্র করার জন্য পাকিস্তানকে রাজি করানোর ওয়াশিংটনের বৃহত্তর প্রয়াসের অংশ হিসেবেই ট্রাম্প-ইমরান বৈঠক হচ্ছে। প্রথমে যুক্তরাষ্ট্র চেয়েছিল ইসলামাবাদ যেন তালেবানকে আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসে। তারা টেবিলে আছে। এখন যুক্তরাষ্ট্র চায়, পাকিস্তান যেন যুদ্ধবিরতির জন্য তালেবানকে রাজি করায়।
ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্বাস করে, এ ব্যাপারে পাকিস্তান সহায়তা করতে পারে।
বৈঠক নিয়ে প্রত্যাশা
পাকিস্তানের বিশ্লেষকেরা ট্রাম্প ও ইমরানের মধ্যকার প্রথম বৈঠকে বড় কিছু হবে বলে আশা করছে না। তবে তারা উল্লেখ করছেন যে এতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের দীর্ঘ পথের সূচনা করতে পারে। কারণ উভয় নেতা স্থিতিবস্থাকে ঘৃণা করেন এবং উভয়েই অত্যন্ত শক্তিশালী ব্যক্তিত্বসম্পন্ন।
আমেরিকান প্রেসিডেন্ট অব্যাহতভাবে বিদেশের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততার বিরোধী। আর ইমরান খান যুদ্ধবিরোধী প্রচারণার জন্য সুপরিচিত, আর তার দল যখন বিরোধী অবস্থানে ছিল, তখনো আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক শক্তি প্রয়োগের সমালোচনা করেছিল।
সাবেক পাকিস্তানি কূটনীতিবিদ রুফ হাসান বলেন, দুই নেতার মধ্যে সমঝোতা হলে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্কে নতুন মাত্রার সৃষ্টি হবে।
সোমবার এআরওয়াই টিভিতে ইমরান খান ইঙ্গিত দেন যে তিনি বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার সামরিক উত্তেজনার বিষয়টিও উত্থাপন করতে পারেন।
ইমরান খান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এই সঙ্ঘাত আমাদের স্বার্থে নয় এবং বিশ্বেরও কোনো উপকার হবে না এতে। এটা আঞ্চলিক দেশগুলোর জন্য বিপর্যয় সৃষ্টি করবে। কারণ এটা স্বল্পস্থায়ী যুদ্ধ হবে না।
ইমরান খান উল্লেখ করেন, ১৭ বছর ধরে যুদ্ধ করার পর যুক্তরাষ্ট্র এখন বুঝতে পেরেছে যে আফগানিস্তানে সামরিক সমাধান সম্ভব নয়। তাকে তালেবানের সাথে শান্তিপূর্ণ সমাধানে আসতে হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর মঙ্গলবার ঘোষণা করে যে বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে এই সংগঠনটি নিরাপত্তা বাহিনী ও বেসামরিক নাগরিকদের টার্গেট করছে।
মার্কিন এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে ইসলামাবাদ। বিশ্লেষকেরা বলছে, এটি আসন্ন বৈঠকের প্রেক্ষাপটে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নত করতে প্রাসঙ্গিক অগ্রগতিতে সহায়ক হবে।
ইমরান খানের ৫ দিনের ওয়াশিংটন সফর শুরু হচ্ছে ২০ জুলাই। উভয় পক্ষ এখন হোয়াইট হাউসের বৈঠকের জন্য পরিকল্পনা চূড়ান্ত করছে। পাকিস্তানের এক কর্মকর্তা পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইমরান খান পাকিস্তানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেন যে তিনি চলতি মাসে ওয়াশিংটন সফরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। তবে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি।
অভিযোগ করা হচ্ছে যে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করেও পাকিস্তান আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী ও ভারতের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী হামলার পরিকল্পনাকারী তালেবান ও অন্যান্য জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছে। ইসলামাবাদ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
প্রায় এক বছর আগে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই ইমরান খান ওইসব অভিযোগ নিয়ে টুইটারে ট্রাম্পের সাথে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন, তিনি পাকিস্তানের নজিরবিহীন আত্মত্যাগের কথা বলেন, আঞ্চলিক সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধের সফলতার কথা তুলে ধরেন।
পাকিস্তান সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির প্রধান মুশাহিদ হোসাইন বলেন, প্রধানত আফগানিস্তানকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে আগামী বছর পুনঃনির্বাচিত হতে হলে পররাষ্ট্রনীতিতে ট্রাম্পের দারুণ একটি বিজয় দরকার।
আফগান শান্তি
মুশাহিদ ভোয়ার সাথে কথা বলার সময় উল্লেখ করেন, আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আরো ভালো যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সম্পর্কের প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার সাথে সমঝোতার চেষ্টা করছেন, চীনের সাথে বাণিজ্য বিরোধ নমনীয় করেছেন, তার মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক শতাব্দীর সেরা চুক্তি হালে পানি পাচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্র এখন বুঝতে পারছে যে আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা হলো একটি অপরিহার্য বিষয়। এ কারণে পাকিস্তান ও এর সরকারের সাথে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার প্রয়াস চলছে।
আফগান যুদ্ধ বন্ধে আলোচনার সুযোগ সৃষ্টির জন্য ওয়াশিংটন ও তালেবানের মধ্যে শান্তি আলোচনার ব্যবস্থা করার কৃতিত্বের দাবিদার ইসলামাবাদ। প্রায় এক বছর আগে আলোচনা শুরু হয়েছে, এখন কাতারে তা চলছে।
তালেবান ও আমেরিকান উভয় আলোচকেরাই বলছেন, তারা এমন একটি খসড়া চূড়ান্ত করার কাছাকাছি এসেছেন যে এতে করে দীর্ঘতম মার্কিন বৈদেশিক সামরিক অভিযান শেষ হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করবে।
ওয়াশিংটনের উইড্রো উইলসন সেন্টারের মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, ট্রাম্প-ইমরান বৈঠক হবে একটি মাত্র ইস্যুকে কেন্দ্র করে। অর্থাৎ তাদের বৈঠকের মূল বিষয় হবে আফগানিস্তান। তালেবানের সাথে শান্তি চুক্তি হলো যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দক্ষিণ এশিয়ায় তালেবানের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য।
কুগেলম্যান ভোয়াকে বলেন, তালেবানের ওপর চাপ তীব্র করার জন্য পাকিস্তানকে রাজি করানোর ওয়াশিংটনের বৃহত্তর প্রয়াসের অংশ হিসেবেই ট্রাম্প-ইমরান বৈঠক হচ্ছে। প্রথমে যুক্তরাষ্ট্র চেয়েছিল ইসলামাবাদ যেন তালেবানকে আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসে। তারা টেবিলে আছে। এখন যুক্তরাষ্ট্র চায়, পাকিস্তান যেন যুদ্ধবিরতির জন্য তালেবানকে রাজি করায়।
ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্বাস করে, এ ব্যাপারে পাকিস্তান সহায়তা করতে পারে।
বৈঠক নিয়ে প্রত্যাশা
পাকিস্তানের বিশ্লেষকেরা ট্রাম্প ও ইমরানের মধ্যকার প্রথম বৈঠকে বড় কিছু হবে বলে আশা করছে না। তবে তারা উল্লেখ করছেন যে এতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের দীর্ঘ পথের সূচনা করতে পারে। কারণ উভয় নেতা স্থিতিবস্থাকে ঘৃণা করেন এবং উভয়েই অত্যন্ত শক্তিশালী ব্যক্তিত্বসম্পন্ন।
আমেরিকান প্রেসিডেন্ট অব্যাহতভাবে বিদেশের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততার বিরোধী। আর ইমরান খান যুদ্ধবিরোধী প্রচারণার জন্য সুপরিচিত, আর তার দল যখন বিরোধী অবস্থানে ছিল, তখনো আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক শক্তি প্রয়োগের সমালোচনা করেছিল।
সাবেক পাকিস্তানি কূটনীতিবিদ রুফ হাসান বলেন, দুই নেতার মধ্যে সমঝোতা হলে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্কে নতুন মাত্রার সৃষ্টি হবে।
সোমবার এআরওয়াই টিভিতে ইমরান খান ইঙ্গিত দেন যে তিনি বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার সামরিক উত্তেজনার বিষয়টিও উত্থাপন করতে পারেন।
ইমরান খান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এই সঙ্ঘাত আমাদের স্বার্থে নয় এবং বিশ্বেরও কোনো উপকার হবে না এতে। এটা আঞ্চলিক দেশগুলোর জন্য বিপর্যয় সৃষ্টি করবে। কারণ এটা স্বল্পস্থায়ী যুদ্ধ হবে না।
ইমরান খান উল্লেখ করেন, ১৭ বছর ধরে যুদ্ধ করার পর যুক্তরাষ্ট্র এখন বুঝতে পেরেছে যে আফগানিস্তানে সামরিক সমাধান সম্ভব নয়। তাকে তালেবানের সাথে শান্তিপূর্ণ সমাধানে আসতে হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর মঙ্গলবার ঘোষণা করে যে বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে এই সংগঠনটি নিরাপত্তা বাহিনী ও বেসামরিক নাগরিকদের টার্গেট করছে।
মার্কিন এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে ইসলামাবাদ। বিশ্লেষকেরা বলছে, এটি আসন্ন বৈঠকের প্রেক্ষাপটে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নত করতে প্রাসঙ্গিক অগ্রগতিতে সহায়ক হবে।
পাক-আফগান সীমান্তে সীমান্ত টার্মিনাল ঘুলাম খানে পাকিস্তান সেনা সদস্যদের প্রহরা |
No comments